মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিরাজুল ইসলাম বাবু (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ীর ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত বাবু যশোরের মণিরামপুরের রামনাথপুর গ্রামের আব্দুল বারিক মোড়লের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় অটোমোবাইলসের ব্যবসা করতেন।
এদিকে সোমবার (১৫ জুন) সকালে তাকওয়া ফাউন্ডেশন মণিরামপুর শাখার উদ্যোগে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সিরাজুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এরআগে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার মরদেহ মণিরামপুরের রামনাথপুরে পৌঁছায়।
দাফনকাজে স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনটির সাত সদস্য আশরাফ ইয়াসিন, নাসিম খান, মাহমুদুল হাসান, সাইফুল ইসলাম, সবুজ হোসেন, মাওলানা সামছুজ জামান ও মোহাম্মদ ইউসুফ অংশ নেন।
এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
তাকওয়া ফাউন্ডেশনের মণিরামপুর শাখার সমন্বয়ক নাসিম খান বলেন, করোনাকালীন দুর্যোগে যখন দেখলাম করোনায় মৃতদের দাফন কাপনে কেউ এগিয়ে আসছেন না। মৃতদেহ রেখে স্বজনরা বা এলাকাবাসী পালিয়ে যাচ্ছেন, তখন তাকওয়া ফাউন্ডেশনের
২০ জনের সমন্বয়ে আমরা একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করি। যারা বিনা পারিশ্রমিকে করোনায় মৃতের দাফন কাপন করবেন। আমাদের টিমে দুই জন নারী সদস্য আছেন। যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মণিরামপুরে কোন নারীর মৃত্যু হয় তাহলে তাদের গোসলসহ কাপন পরানোর কাজ আমাদের নারী সদস্যরা করবেন।
নাসিম আরো বলেন, এই প্রথম আমরা কোন করোনায় মৃতের দাফন করলাম। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমাদের পিপিইসহ অনেক ইকুইপমেন্ট সরবরাহ দিয়েছে।
দাফন কাজ নিরাপদে সম্পন্ন করার জন্য জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন, সদস্যদের জন্য জীবানু রোধক চশমা এবং জুতার প্রয়োজন রয়েছে। যেগুলো আমাদের নেই। প্রয়োজনীয় সরাঞ্জামগুলো প্রদানে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার, বলেন সমন্বয়ক নাসিম।
প্রসঙ্গত, ১১ দিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হন সিরাজুল ইসলাম বাবু। ছয় দিন বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর জ্বর না পড়ায় চারদিন আগে তিনি (বাবু) রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রোববার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তার।