খুলনাঞ্চল’র সব খবর

26
Spread the love

খুমেক ল্যাবে একদিনে সর্বোচ্চ ৮০জনের করোনা শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার

গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমকে) ল্যাবে সর্বোচ্চ ৮০জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে খুলনায় নতুন করে আক্রান্ত ধরা পড়েছে ৪৫জন। এছাড়াও বাগেরহাটে ৭জন, সাতীরায় ৪জন, যশোরে ১৩ জন, ঝিনাইদহে ৯জন ও মাগুরায় ২জন করোনা রোগী চিহ্নিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার খুমেকের উপাধ্যা ডা. মেহেদী নেওয়াজ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, শনিবার খুলনার পিসিআর ল্যাবে মোট ২৮৪ জনের নমুনা পরীা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ১২৪টি। খুলনায় পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে ৪৫জনের। আর বিভাগের পাঁচ জেলায় ৩৫জন নতুন করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েছে।

রূপসায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার

গত ৯জুন রূপসার দেয়াড়া গ্রামে আছরের নামাজে কাতারে দাঁড়ানো নিয়ে কথা কাটিকাটি ঘটনার জেরে জনৈক সাইফুল ইসলাম প্রতিপক্ষকে সায়েস্তা করতে রূপসা থানায় ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫ জনকে। মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৯ জুন রূপসার দেয়াড়া ফরেন মার্কেট গ্রামের মৃত. আলি আজাদের ছেলে মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত. জলিল শেখের ছেলে বাবলু শেখের কথা কাটিকাটি হয়। এরই সুত্র ধরে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার জন্য রূপসা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, আসামীরা ওইদিন হত্যার উদ্দ্যেশে আদিল শেখ এর মাথায় কোপ দিলে মারাত্মক আহত করেন। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় আদিল শেখকে খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর চিকিৎসার ব্যস্ততার কারনে থানায় মামলা করতে বিলম্ব হয়। কিন্তু খুলনা জেনারেল হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে সংগ্রাম শেখ পিতা আরিফ শেখ নামক জনৈক ব্যক্তি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। আদিল শেখ নামক কোন ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হননি বা চিকিৎসা নেননি। অপরদিকে মামলার বাদী সাইফুল ইসলামকে কেন আপনি মামলা দায়ের করলেন? আদিলের পিতা বাদী হলো না কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আদিলের বাবা আমার ব্যবসায়ী পার্টনার হওয়ায় সে আমাকে বাদী করেছেন। অপরদিকে আসামীদের পরিবারের দাবী বাবলুসহ তার পরিবারকে শায়েস্তা করতে পরিবারের চারজনের নামে ৩৪১, ১৪৩, ৩২৩, ৩২৬, ৩০৭, ৩৭৯, ১১৪ ও ৫০৬ ধারায় রূপসা থানায় হয়রানীমুলক মামলা দায়ের করেছেন যার নং-৫, তারখি-১০/৬/২০।

দাকোপে জোড়া খুনের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে: এসপি খুলনা

স্টাফ রিপোর্টার

খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ্ বিপিএম শনিবার দাকোপ থানার বাজুয়া এলাকায় ডাবল মার্ডার এর ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ্ বিপিএম এ সময় নিহত নীলোৎপল ও নিহত ইমনের পরিবারের কাছে গিয়ে সমবেদনা জানান এবং তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন।

গত ৯ জুন  সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাজুয়া গ্রামের সুকুমার রফতানের পুত্র নীলোৎপল (২৮) ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে। আহত নীলোৎপলকে চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পথে পথে তিনি মারা যান। পরবর্তীতে একই গ্রামের বাদল মেকারের পুত্র ইমন (১৯) কে ধরে গনধোলাই দিলে পুলিশ ইমনকে উদ্ধার করে দাকোপ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।  এস.এম. শফিউল্লাহ্ বিপিএম নিহত পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসীকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) জি.এম আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ, অফিসার ইনচার্জ, দাকোপ থানা মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরি, ইন্সপেক্টর ডিএসবি মাসুদুর রহমানসহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ্ বিপিএম এরপর বাজুয়া সুরেন্দ্রনাথ কলেজে আইন শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ খুলনা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি রঘুনাথ রায়ের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত এই সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাজুয়া সুরেন্দ্রনাথ (এসএন) কলেজ এর অধ্যক্ষ শ্যামল কুমার রায়, দাকোপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, বাজুয়া ইউনিয়নের প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান দেব প্রসাদ গাইন, বানিশান্তা ইউপি চেয়ারম্যান ও সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ জনাব সুদেব রায়, কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিহির মন্ডল, লাউডোব ইউপি চেয়ারম্যান সরজিত কুমার রায়সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ।

পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ্ বিপিএম তার বক্তব্যে এই দুই তরুনের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে থানা পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষকে দায়িত্বশীল আচরন করার আহবান জানান। তিনি বলেন,  এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে হয়রানী করা হবে না। তিনি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে এই সংকট কাটিয়ে ওঠার আহবান জানান। কোন দুষ্কৃতিকারী যাতে কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানী দিতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান। ভৌগলিকভাবে থানা সদর থেকে অনেকটা দুরবর্তী ও নদী বেষ্ঠিত বাজুয়া এলাকায় একটি পুলিশ ফাড়ি/ক্যাম্প স্থাপনের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানান। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ্ বিপিএম বিষয়টি নিয়ে আন্তরিকভাবে  উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দেন। তিনি সবাইকে করোনাকালে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সুস্থ্য থাকার পরামর্শ দেন। আলোচনা সভা শেষে পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ্ বিপিএম দাকোপ থানা পরিদর্শন করেন এবং চলমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুলিশ সদস্যদের পেশা দারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।

সাতক্ষীরায় নতুন করে ৫ জনের করোনা শনাক্ত, মোট করোনা আক্রান্ত ৬৬ জন

খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা

গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। খুলনা পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো এক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে সাতক্ষীরায় আজ পর্যন্ত মোট ৬৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে।

করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার লিমন আলী (৪০), শহরের মুনজিত এলাকার আনারুল ইসলাম (৫৫), কলারোয়া উপজেলার খোরদো গ্রামের সত্যপদ পাল (৪০) ও তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামের আজিজুর রহমান (৩৪) ও একই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া গ্রামের শুভেন্দ্র হালদার (৩৮)। ইতিমধ্যে স্ব স্ব স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িসহ তাদের আশে পাশের কয়েকটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। সেখানে টানানো হয়েছে লাল পতাকা।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ১ হাজার ৩৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইডিসিআর ও পিসআির ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ৮৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৬৬ জনের করোনা পজিটিভ ও বাকীসব রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

করোনা সুরক্ষায় মোংলা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর জনসচেতনতামূলক টহল

খবর বিজ্ঞপ্তি

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি রোধকল্পে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংক্রমিত এলাকাসমূহ পর্যায়ক্রমে রেড জোন, ইয়োলা জেন এবং গ্রীন জোনে বিভক্ত করণসহ নানাবিধ সচেতনতামূলক কার্য পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সকল এলাকায় প্রচার করা হয় লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাধারণ জনগণকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, একান্ত প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে অবস্থানের ক্ষেত্রে মুখে মাস্ক পরিধানের জন্য নির্দেশনা প্রদানসহ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। জনগণকে কাঁচা বাজার, ঔষধের দোকান ও মসজিদ ব্যবহারে সরকারী নীতিমালা অনুসরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে নৌ সদস্যরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে অসহায় ও দুস্থ পরিবারের দরজায় দরজায় গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে নৌবাহিনী। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের অংশ হিসেবে মোতায়েনকৃত নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট বরগুনা জেলা সদর, বামনা, বেতাগী, তালতলী ও পাথরঘাটা এলাকায় নিয়মিত টহলের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ উপজেলাসমূহের বিভিন্ন স্থানে ২০০টি সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় সাধারণ জনগণকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, একান্ত প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে অবস্থানের ক্ষেত্রে মুখে মাস্ক পরিধানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ইজিবাইক, মাহেন্দ্রের যাত্রীবহনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দু’জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে এবং মোটরসাইকেল হেলমেটসহ একজন চলাচলের নির্দেশ প্রদান করা হয়। প্রত্যেকের মাক্স ব্যবহার বাধ্যতামূলক কোন অবস্থাতেই মাক্স মুখের নিচে ঝুলিয়ে রাখলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি করা হয়। নৌ কন্টিনজেন্ট মংলা সামাজিক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিগরাজ বাজার, বুড়িরডাঙ্গা, বৈদ্যমারী, চটেরহাট, চরকানাই, চাদপাই, আপাবাড়ি, মংলা বাজার, হাসপাতাল চত্ত্বর ও ফেরিঘাট এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সর্ম্পকিত বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ, এছাড়া রাস্তা ও যানবাহনে ১০% কোরিনযুক্ত জীবাণুনাশক পানি ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হয়। নৌ কন্টিনজেন্ট জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানসহ নিয়মিত টহল ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ।

ঝিনাইদহে আরও ১০ জন করোনায় আক্রান্ত: সমতা লকডাউন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৮২ জন। সমতা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার লকডাউন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, শনিবার সকালে কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ঝিনাইদহে ৮৪ টি রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ১০ টি পজেটিভ। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৭ জন, হরিণাকুন্ডু ১ জন ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ২ জন। আক্রান্ত ৮২ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৪৩ জন।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ শহরের সমতা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারণে একই সাথে ৬ জন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শরণখোলায় আরো ৪ জন করোনায় আক্রান্ত

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের শরণখোলায় আরো ৪জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের বাড়ী উপজেলার রাজাপুর ও উত্তর খোন্তাকাটা গ্রামে। এনিয়ে শরণখোলায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১৫ জন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন জানান, খুলনার পিসিআর ল্যাব থেকে শুক্রবার রাতে তাদের নমুনা পাঠানো চারজনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। আক্রান্তরা হচ্ছেন, উপজেলার উত্তর কোন্তাকাটা গ্রামের আঃ রশিদ কাজির ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)। তাকে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া রাজাপুর গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে হাফিজ হাওলাদার (২২), তার মেয়ে হনুফা বেগম (৫৬) ও  সুমন তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (৬)। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। তাদেরকে রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুলের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। সেখানে আগে থেকে সনাক্ত হওয়া শাহজাহান হাওলাদারের অপর ছেলে জাহিদুল (১৮) মেয়ে মাহিনুর বেগম (২৭) ও পুত্রবধু মুক্তা (২২) ভর্তি রয়েছেন। এনিয়ে শরণখোলা এখন আক্রান্তে সংখ্যা ১৫ জন।

ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে ফেরা যুবকের করোনা পজেটিভ

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে যশোরের মণিরামপুরে ফেরা যুবক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। আক্রান্ত তৌফিকুর রহমান (২৭) রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত বেসরকারি চ্যানেল এসএ টিভির স্টাফ। তিনি ঢাকার বংশালে বাসা ভাড়া থাকতেন। তৌফিকুর রহমান মণিরামপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের খন্দকার আবু সালেকের ছেলে।

মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ৩১ মে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দেন তৌফিকুর। পরে শুক্রবার (১২ জুন) রাত ১১ টার দিকে তার করোনা পজেটিভ ফলাফল আসে। এখন তিনি নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে সুস্থ আছেন। শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে মোবাইল ফোনে আক্রান্ত তৌফিকুর রহমান জানান, ঢাকায় রিকশাযোগে অফিসে যাওয়ার পথে বৃষ্টিতে ভিজে ১৯ মে ঠা-া জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর অফিসে বিষয়টি জানালে তাকে ছুটি দেওয়া হয়। গত ২৩ মে তিনি মণিরামপুরে বাড়িতে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন। কিন্তু তার শরীরে জ্বর থেকে যায়। সন্দেহ হওয়ায় গত ৩১ মে যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন তিনি।

তৌফিকুর রহমান দাবি করেন, নমুনা দেওয়ার দুই দিন পর থেকে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। আমার জ্বর আসার সময়সীমা ২৫-২৬ দিন পার হয়েছে। যদিও শুক্রবার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। আমি নিশ্চিত এখন আমার দেহে করোনা নেই। এদিকে খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে করোনা আক্রান্ত তৌফিকুর রহমানের খবর নিতে তার বাড়িতে যান ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী। এসময় ডা. মুসাব্বিরুল ইসলাম রিফাত, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী টিমের মেন্টর আল হেলাল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

ডা. রিফাত বলেন, করোনা পজেটিভ তৌফিকুর রহমান এখন সুস্থ আছেন। তার দেহে করোনার কোন উপসর্গ বিদ্যমান নেই। নিজ বাড়িতে তার আইসোলেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে রেখে তার চিকিৎসা চলবে। দুই একদিনের মধ্যে তার দ্বিতীয় নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

মণিরামপুরে এই পর্যন্ত ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্ত বাকি তিনজন হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সাতক্ষীরায় নৈশ প্রহরীকে বেঁধে ইজিবাইকের শোরুমে দুধর্ষ চুরি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা শহরে নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে শার্টারের তালা ভেঙে ইজিবাইকের এক শোরুমে দূধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। চোরেরা এ সময় ওই শোরুম থেকে ইজিবাইকের ৭০টি ব্যাটারী, একটি কপি ম্যাশিনসহ ছয় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। শনিবার ভোর রাত আড়াইটার দিকে শহরের আটপুকুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

আটপুকুর এলাকার হাবিব ইজিবাইক সেন্টারের মালিক হাবিবুল্লাাহ জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে তারা বাড়িতে চলে যান। এরপর ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে পার্শ্ববর্তী দোকানদার আব্দুল হামিদ তার বাড়িতে যেয়ে জানান যে নৈশপ্রহরী রওশানকে বেঁধে রেখে এক দল চোর তার শোরুমের শার্টারের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে টেবিলের ড্রয়ার ভাঙচুর করে। এরপর ইজিবাইকে ব্যবহারের জন্য নতুন ২৫টি ও পুরাতন ৪৭টি ব্যাটারি লুট করে নিয়ে যায় তারা। এ ছাড়াও ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি কপি মেশিনসহ ইজি বাইকের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ নিয়ে যায়। চোরেরা এ সময় তার মোট ছয় লাখ টাকার মালামালাল নিয়ে গেছে বলে তিনি আরো জানান।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মার্কেটের নৈশ প্রহরী রওশান আলীকে সকালে থানায় আনা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ওই ইজিবাইক সেন্টারের মালিক হাবিবুল্লাাহ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নিধন হচ্ছে শত শত প্রজাতির মাছের পোনা: দাকোপের বিভিন্ন নদনদী নিষিদ্ধ নেটজালে সয়লাব

মোঃ জাহিদুর রহমান সোহাগ, দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি

খুলনার দাকোপের বিভিন্ন নদনদীতে গোলদা চিংড়ির রেণু পোনা আহরণের প্রতিযোগীতা চলছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে এ পোনা আহরণ করছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় চিংড়ির পোনার সঙ্গে দেশীয় প্রজাতির অন্যান্য পোনাও বিলুপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় উপজেলার কাজিবাছা, পশুর, চুনকুড়ি, ঢাকি, কালাবগী ও শিপসাসহ বিভিন্ন নদীতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে শত শত শিশু নারীসহ বয়ঃবৃদ্ধ মানুষ প্রকাশ্যে আহরণ করছে চিংড়ির এ রেণু পোনা। এতে একটি রেণু পোনা আহরণ করতে গিয়ে প্রায় শতাধিক প্রজাতির মাছের পোনা নিধন হচ্ছে। আর প্রতিদিন এভাবে হাজার হাজার দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা নিধন হওয়ায় দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্তির পথে। স্থানীয় মৎস্য বিশেষজ্ঞদের এক সমীক্ষায় জানা গেছে, প্রতিটি চিংড়ির রেণু পোনার সঙ্গে অন্য প্রজাতির অন্তত ১২০টি পোনা নিধন হচ্ছে। নেটজাল টেনে তীরে উঠিয়ে বেছে বেছে চিংড়ির রেণু পোনা রেখে অন্য পোনা ফেলে দিচ্ছে তীরে যা পরে কাকের খাবারে পরিনত হয়। যুগ যুগ ধরে এমন চিত্র প্রদর্শিত হওয়ায় দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ নেই বললেই চলে। এসব প্রতিটি রেণু পোনা ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১.৫০ টাকা দামে বিভিন্ন ফড়েদের কাছে বিক্রি করছেন আহরণকারীরা।

বাজুয়া এলাকার পরিনিতা মন্ডল জানান, পশুর নদীতে নেটজাল টেনে যে রেণু পোনা পায় তা বিক্রি করে সংসার চালান। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে তার স্বামীরও তেমন একটা আয় না থাকায় মাঝে মধ্যে তিনিও একাজে যোগ দেন। তবে নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে রেণু পোনা আহরণ করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তার জানা থাকলেও সবাই রেণু পোনা ধরছে তাই তিনিও একাজে নিয়োজিত বলে জানান।

চালনা বাজার মৎস্য আড়ত সমিতির সভাপতি নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রতিদিন তার আড়তের ৩টি সেটে রেণু পোনা হাজার প্রতি ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বাগদা চিংড়ির পোনা ১৬০০ টাকা হাজার। তবে বাগদার পোনা এখন অনেক কম হলেও প্রায় প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার রেণু পোনা বিক্রি হয় বলে জানান।

এবিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান জানান, নদীতে নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে কোন প্রকার মাছ ধরা যাবে না। মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু অভিযানের সময়ে তাড়া খেয়ে সবাই চলে যায়, পরে আবার এসে জাল টানে। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা অথবা শাস্তি দিলে হয়তো জালটানা বন্দ হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। খুব তাড়াতাড়ি আবারও অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।

বাগেরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি কিনিকের কর্মীরা সাহসের সঙ্গে দিয়ে যাচ্ছেন রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদেরকে সাহসের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন কমিউনিটি কিনিকের কর্মীরা। এখন করোনা সংক্রমণের ঝুকি এড়াতে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় কমিউনিটি কিনিকে স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছেন অধিকাংশ রোগী। জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ২০৫টি কমিউনিটি কিনিক রয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৩২, কচুয়ায় ১২, মোরেলগঞ্জে ৫১, শরণখোলায় ১৯, মোংলায় ১৩, রামপালে ২৪, ফকিরহাটে ১৬, চিতলমারিতে ১৯ এবং মোল্লাহাটে ১৯টি কমিউনিটি কিনিক রয়েছে। এ কিনিকগুলো বেশিরভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। প্রতি কিনিকে নিরাপত্তা সামগ্রী পিপিই মাস্ক, সেনিটাইজার, হ্যান্ডগ্লোভস দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ মতে সপ্তাহে ৬ দিন কিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন রোগীদের। এছাড়া একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও মাঠ পর্যায়ে কাজের জন্য নিযুক্ত ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার অ্যাসিসটেন্ট সপ্তাহে তিনদিন করে কিনিক গুলোতে সেবা দিচ্ছেন।

বাগেরহাট সদর উপজেলার মুক্ষাইট কমিউনিটি কিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, করোনা সংক্রমণের আশংকার মাঝেও জীবনের ঝুকি নিয়ে তৃণমূল জনসাধারণকে নিয়মিত সেবা প্রদান করছি। প্রায়ই কিছু রোগী আসেন যাদের সমস্যার সাথে করোনা সংক্রমণের উপসর্গের অনেকটা মিল থাকে। যার ফলে করোনা আক্রান্ত রোগী হলেও তা নির্ধারণ করা আমাদের পক্ষে কঠিন হয়। কিনিকে আসা রোগীদের কাছ থেকে তাদের শারিরীক সমস্যার তথ্য জেনে সিএমইডি এজেন্ট অ্যাপস ব্যাবহার করে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে কিনা তা নির্ধারণ করি। তাদেরকে সচেতনতামুলক পরামর্শ প্রদান করে থাকি। সুরক্ষা সামগ্রী ব্যাবহারের মাধ্যমে যতটা সম্ভব নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে সেবা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এখন আগের থেকে রোগীও বৃদ্ধি পেয়েছে।

শরণখোলা উপজেলার চৌমোহনা কমিউনিটি কিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার তুষার মুন্সী বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সাধারণ মৌসুমি জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা, পেট ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, বমি ও পাতলা পায়খানা এ ধরণের সমস্যা নিয়ে রোগীরা আসেন আমাদের কাছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি তাদের সেবা দেওয়ার। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের কিনিকে রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কিনিকের সেবা সম্পর্কে একাধিক রোগী জানান, কমিউনিটি কিনিক না থাকলে স্বাস্থ্যসেবা পেতে তাদের অনেক দূরে যেতে হত, যাতে সময় ও অর্থ ব্যয় হত এবং দুর্ভোগ বাড়তো।

বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বকসী বাসসকে বলেন, উপজেলার ৩২টি কমিউনিটি কিনিকের সিএইচসিপিকে করোনা সংক্রমণের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও উপজেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়েছে। শরীর থেকে স্যাম্পল গ্রহণের উপর ১ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে সিএইচসিপিদের। করোনাভাইরাসের এই সংকটময় মুহুর্তে সদর উপজেলার কমিউনিটি কিনিকগুলো নিরবিচ্ছিন্নভাবে তৃণমুল মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। সিএইচসিপিদের অগ্রণীয় সাহসী ভুমিকার জন্য যা সম্ভব হচ্ছে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, করোনাকালে কমিউনিটি কিনিকের কর্মীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিমাসে ১০ থেকে ১২ হাজার রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সিএইচসিপিদের সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি কমিউনিটি কিনিকের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।

আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেলো বাংলাদেশ

খুলনাঞ্চল ডেস্ক

শনিবার নতুন করে ২ হাজার ৮শ’ জনেরও বেশি মানুষ শনাক্ত হওয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৮ নম্বরে। শনিবার (১৩ জুন) বেলা আড়াইটায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই হাজার ৮৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত হলেন ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন।

জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবারের এই ব্রিফিংয়ের আগ পর্যন্ত ৮৩ হাজার ৭৫ জন আক্রান্ত নিয়ে চীনের অবস্থান ছিল তালিকার ১৮ নম্বরে। বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সেই অবস্থানটি এখন বাংলাদেশের।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ১৩৯ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ১৭ হাজার ৮২৭ জন।

তিন সহস্রাধিক স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত, ৩৩ চিকিৎসকের মৃত্যু

ঢাকা অফিস

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের তিন হাজার ১৬৪ জন চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক এক হাজার তিনজন, নার্স ৮৫৩ এবং স্বাস্থ্যকর্মী এক হাজার ৩০৮ জন। মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৩৩ জন চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) শনিবার (১৩ জুন) চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ৫৮৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৯, খুলনা বিভাগে ৫০, রাজশাহী বিভাগে ১৮, রংপুর বিভাগে ২৯, সিলেট বিভাগে ৭৮ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১১৮ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া নার্সদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫০৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১৮, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৯, খুলনা বিভাগে ২৬, রাজশাহী বিভাগে ২১, রংপুর বিভাগে ৩১, সিলেট বিভাগে ৬৩ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১১৮ জন আক্রান্ত হন।

পরিসংখ্যান অনুসারে, ঢাকা বিভাগে ৫৫৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১৭, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫৮, খুলনা বিভাগে ৭২, রাজশাহী বিভাগে ৩৪, রংপুর বিভাগে ৫১, সিলেট বিভাগে ৯৯ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২১৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কতজন আক্রান্ত: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৪ জন, মিটফোর্ডে ৫৬, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে ১০৩, আজগর আলী হাসপাতালে ২১, বিএসএমএমইউতে ছয়, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে ৯, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ১১, শিশু হাসপাতালে ছয়, জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালে ১০, নিউরো সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১১, অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঁচ, বারডেম হাসপাতালে সাত, ইউনিভার্সেল হাসপাতালে তিন, পঙ্গু হাসপাতালে ৯, কুর্মিটোলা হাসপাতালে ৯ এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ১৩ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন।

গঠন হচ্ছে আরও একটি রাজনৈতিক দল

ঢাকা অফিস

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ, মার্কসবাদী) থেকে বেরিয়ে আসা একটি অংশ নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে আপাতত তারা একটি ‘কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরাম’ গঠন করেছে। শনিবার (১৩ জুন) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন তারা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাব ও রাষ্ট্রীয় চরম অব্যবস্থাপনার ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে দেশের শ্রমজীবী মানুষের পাশে সাধ্যানুযায়ী দাঁড়ানো, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা এবং বিপ্লবী পার্টি গড়ে তোলার অভ্যন্তরীণ সংগ্রাম পরিচালনার জন্য একটি ‘কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরাম’ গঠন করা হয়েছে। কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীকে সমন্বয়ক করে ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট এ ফোরাম বর্তমান পরিস্থিতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘আমরা কিছু কমরেড যারা বাসদ মার্কসবাদীতে ছিলাম। বাসদ পার্টিটা যেভাবে গড়ে তোলার কথা ছিল, একটা বিপ্লবী পার্টি হিসেবে তা গড়ে উঠেনি।বিষয়টা নিয়ে দলের ভেতর তিন বছর ধরে কথা-বার্তা চলছিল। শেষ মুহূর্তে আমাকে ছাড়াও ১৬ জনকে বের করে দেয়া হয় দল থেকে। আমরা যেহেতু মনে করি, পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় মানুষ তার মনুষত্ব নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য লড়াই করতে হবে। তার জন্য পার্টিও লাগবে। তো আমরা ওই পার্টিটাকেই পুনর্গঠিত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা যখন হলো না, তখন আমরা ওই ১৬ জনসহ আমি একটি পার্টি গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’

তিনি জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে কবে আত্মপ্রকাশ করবে, তা এখননি বলা যাচ্ছে না। তবে দ্রুতই তারা আত্মপ্রকাশ করতে চান। অন্যদিকে পার্টির কী নাম হবে, সেটাও এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করোনার আগেই নতুন বিপ্লবী দল গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বিদ্যামান অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। এরমধ্যে পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে তাও বলা যাচ্ছে না। তাই এই পরিস্থিতির মধ্যেই দল গড়ে তোলার প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা থাকবে। ভবিষ্যতে সারাদেশের কর্মী, সমর্থক, দরদীদের সঙ্গে মতবিনিময় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব নতুন পার্টি প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।

করোনায় সফল অস্ত্রোপচার: রোগীকে বাঁচাতে শেষ ভরসা ফুসফুস প্রতিস্থাপন

খুলনাঞ্চল ডেস্ক

করোনায় আক্রান্ত রোগীর ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেছেন চিকিৎসকরা। এরা আগে করোনা আক্রান্ত রোগীকে বাঁচাতে এত বড় পদক্ষেপ নেননি কোনও চিকিত্সক। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক অঙ্কিত ভারতের নেতৃত্বে চিকিত্সকদের একটি দল করোনা আক্রান্ত রোগীর ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেন। ২০ বছর বয়সী এক রোগীকে বাঁচাতে ডাক্তাররা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ওই যুবকের ফুসফুস ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। রোগীকে বাঁচাতে ফুসফুস প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক অঙ্কিত ভারত। রোগীর ফুসফুস সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই যুবককে বেশ কয়েকদিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় পর তার শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সেই যুবকের জন্য কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু তার ফুসফুসে ইনফেকশন দেখা দেয়। তখনই ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেন তার ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হবে। শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিন হাসপাতাল জানিয়েছে, কঠিন অস্ত্রোপচারের পর এখন ওই যুবক শঙ্কামুক্ত।

থোরাসিস সার্জারির প্রধান ও নর্থ ওয়েস্টার্ন হাসপাতালের ফুসফুস প্রতিস্থাপন প্রোগ্রাম-এর সার্জিকাল ডিরেক্টর অঙ্কিত ভারত বলেছেন, এটি তাঁর জীবনের সব থেকে কঠিন অস্ত্রোপচার ছিল।

ড. অঙ্কিত ভারত জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে করোনা সংক্রমণ কিছু রোগীর মধ্যে চূড়ান্ত আকার নিতে পারে। করোনার আক্রমণে মানবদেহে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ফুসফুস। যে সব রোগীদের চিকিত্সার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়, তাদের ক্ষেত্রে অঙ্গ প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।

ভরসা রাখুন বেদানায়

মিলি রহমান

ফল ভালোবেসেও অনেকে বেদানা খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু বেদানা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কাজের কাজ করে। সেটা অনেকেই জানি না। কী কী সেই উপকার, যা বেদানার রস থেকে আপনি সহজেই পাবেন? জেনে নিন-

অ্যানিমিয়া আটকায়: রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া নিয়ে একটু আধটু অনেকেই ভোগেন। বিশেষত মহিলারা খুব বেশি সমস্যায় পড়েন। তাঁরা রোজ সকালে খালি পেটে বেদানার রস খেতেই পারেন। অ্যানিমিয়া তো আপনাকে দুর্বলও করে দেয়। তাই একটুতেই হয় তো হাঁপিয়েও পড়েন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বেদানার রস রোজ সকালে খেতে পারেন। এতে থাকা আয়রন আপনার শরীরের আয়রনের ঘাটতি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।

কোষ্টকাঠিন্য দূর: রোজ সকালে বাড়ির বাকিদের থেকে বেশি সময় লাগে বাথরুমে? সারা দিন তাই পেট গুরগুর, গ্যাস, পেট ভার থাকে আপনার? বেদানার রসে সমাধান মিলতে পারে। খালি পেটে রোজ এই রস খান, এতে থাকা ফাইবার আপনার কোষ্টকাঠিন্য সহজেই দূর করে দেবে।

দাঁতের সমস্যা মেটায়: দাঁতের সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস খুব বড় একটা জায়গা দখল করে থাকে। এই ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস বেদানার রসে বাগে থাকে। তাই যাদের দাঁতের সমস্যা থাকে, তারা রোজ বেদানার রস খেতেই পারেন। পায়োরিয়ার মতো নাছোড় সমস্যাও দূরে যায় এই বেদানার রসেই। তাই যাদের মুখে বিশ্রী গন্ধ হয়, পায়োরিয়া থেকে , তারা এই রস খেতেই পারেন।

হাড় শক্ত হয়: বেদানার রসে থাকা ক্যালসিয়াম আপনার হাড় শক্ত করতে কাজে আসে। শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে একটুতেই হয় তো হাঁপিয়ে যেতে পারেন আপনি। খালি পেটে বেদানার রস খেলে তা থেকে সহজেই শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পাবেন আপনি। হাড়ও মজবুত হবে তাতে। অতএব এক ফলে যখন এতগুলো সুফল পাচ্ছেন, রোজ দিন শুরু করুন বেদানার রসে চুমুক দিয়েই।

শুরু হচ্ছে সব্যসাচীর সঙ্গে তিশার ‘বোবা রহস্য’

বিনোদন ডেস্ক

অবশেষে শুরু হচ্ছে কলকাতার ছবি ‘বোবা রহস্য’এর শুটিং। বিখ্যাত অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর সাথে সিনেমাতে আছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এই ছবির সাথে চুক্তিবদ্ধ হন তিশা। এ ছবির মধ্য দিয়েই দীর্ঘদিন পর গোয়েন্দা চরিত্রে ফেরার কথা ছিল ফেলুদা-খ্যাত ভারতের সব্যসাচী চক্রবর্তী। বাংলাদেশ থেকে সিনেমা চুক্তিতে আরও যুক্ত ছিলেন অভিনেতা আমান রেজা।

পুরো লাইনআপ একই রেখে এটির কাজ আবারও শুরু হতে যাচ্ছে। চলচ্চিত্রটি নতুন করে আলোচনায় আসার কারণ এটি এবার শুটিং ফোরে যাচ্ছে। কলকাতার পরিচালক অভিষেক বাগচির এ সিনেমায় আরও আছেন খরাজ মুখার্জি, সুদীপ্ত চক্রবর্তী, দর্শনা বণিক, রাহুল ব্যানার্জি ও অরিন্দম বসুর মতো টলিউড অভিনেতারা। এদিকে চলচ্চিত্রটি নিয়ে ভারতীয় পত্রিকা খবর প্রকাশ করেছে। তাদের তথ্য মতে, ঝাড়খ-ে এর দৃশ্যধারণ হবে। প্রস্তুতিও প্রায় শেষের পথে। ছবিতে তিশা থাকবেন মূল ভূমিকায়। তার চরিত্রটিকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে যাবে কাহিনি। গোয়েন্দা কাহিনি হলেও এটি মূলত ভৌতিক ছবি। লকডাউনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই এর শুটিং শুরু হবে।

নড়াইলে বিদ্যুতায়িত হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলে বিদ্যুতায়িত হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সদরের ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ছাগলছিড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  ছাগলছিড়া গ্রামের শেখ আহাদুজ্জামান জানান, কৃষক মুসা শিকদার (৫০) শনিবার সকাল ৬টায় ঘর থেকে রাইস মিলে ধান ছাঁটাইয়ের জন্য মাথায় নেওয়ার সময় বারান্দায় রাখা কাপড় ও তারের সঙ্গে জড়িয়ে তিনি বিদ্যুতায়িত হন। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী রাবেয়া বেগমও (৪২) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে ঘটনাস্থলেই দু’জন মৃত্যুবরণ করেন। ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বর সজীব আহম্মেদ জানান, মুসা শিকদারের বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ থেকে টিনের ঘরটি বিদ্যুতায়িত হয়। কাপড় ও তারটি ঘরের টিনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

পাইকগাছায় লীজ ঘেরে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটে আহত ৩ : পুলিশের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

পাইকগাছা প্রতিনিধি

পাইকগাছায় লীজ ঘেরে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটে ৩জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের হোগলারচক গ্রামে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, খুলনার চানমারীর সেকেন্দার মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া পাইকগাছার হোগলারচক মৌজায় ১৪৩ বিঘা জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে লীজ ঘের করে আসছে। প্রতিপক্ষ আশাশুনি থানার গোলাম বারী শেখের পুত্র নবীর আলী শেখ বিনিময় সূত্র দাবী করে গত শুক্রবার দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে নবির আলী, হুমায়ুন কবির, নাহিদ সরদার, সহিল উদ্দীন গাজী, টুটুল গাজী, মাসুম হালদার, আসলাম গাজী, রুহুল ঢালী, মনিরুল শেখ, টুটুল গাজী সহ ৩০/৪০জন লোক নিয়ে নুরু মিয়ার ঘেরে হামলা চালিয়ে বাসা বাড়ী ভাংচুর সহ মাছ ধরতে থাকলে ঘের মালিক নুরু মিয়া ও তার লোকজন বাঁধা দিলে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। আহতরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনায় নুরু মিয়া বাদী হয়ে শনিবার পাইকগাছা থানায় মামলা দায়ের করেছে। যার নং- ১৬, তাং- ১৩/০৬/২০২০। ওসি এজাজ শফী জানান, মামলা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।

ফুলতলায় জয়তুন অটো রাইচ এন্ড ডাল মিলে আগুন

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি

খুলনার ফুলতলা তরতিবপুর এলাকার শেখ ব্রাদার্স লিমিটেড এর মালিকানাধিন জয়তুন অটো রাইচ এন্ড ডাল মিলের বয়লার সংলগ্ন তুষ গোডাউনে শনিবার বিকালে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট এসে রাত ৮টায় আগুন পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে আনে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি।

খুলনার খানজাহানআলী ফায়ার সার্ভিজের স্টেশন অফিসার সোয়াইব হোসেন মুন্সী বলেন, বিকালে মিলের বয়লার সংলগ্ন তুষ গোডাউনে আগুন লাগলে বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে সাড়ে ৩টার মধ্যে দুটি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে যাই। একটু পরেই ফায়ার সার্ভিজের নওয়াপাড়া থেকে অপর একটি ইউনিট এসে আমাদের সাথে যোগ দেয়। যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। তবে সংরক্ষিত তুষের গুদামে মাঝে মধ্যে আগুন ও ধোয়া বেরুতে থাকায় আগুন পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে আনতে রাত ৮টা বেজে যায়। মিলের বয়লারে অতিরিক্ত তাপ ও চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে বয়লার সংলগ্ন জ্বালানী তুষ থেকে এ আগুনের সূত্রপাত। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হলেও অনেক মূল্যবান সম্পদ ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ আগুন থেকে রক্ষা হয়েছে। মিলের কর্মরত সাই কিনার মোঃ রফিকুল ইসলাম (৫৫) বলেন, তুষ গোডাউন থেকে বিকাল আনুমানিক ৩টার দিকে ধোয়া উড়তে দেখে ফায়ার সার্ভিসে সংবাদ ও আমরা আগুন নিয়ন্ত্রন আনার চেষ্টা করি। মিলের প্রকৌশলী মোঃ কেতাউর রহমান বলেন, আবওহাওয়াগত কারণে মিলের হাজ বাংকার থেকেই এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। সবকিছু মিলেয়ে ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা।

জেলা ও মহানগর সিপিবি’র বাজেট প্রতিক্রিয়া: ৯৯% মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ১% মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে

খবর বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি’র নেতৃবৃন্দ ঘোষিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এ বাজেট দেশের ৯৯% মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে শুধুমাত্র ১% মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে। সাধারণ, মধ্যবিত্তের স্বার্থবিরোধী, গতানুগতিক, আমলাতান্ত্রিক এ বাজেটে চলমান করোনা মহাবিপর্যয়ের মধ্যেও স্বাস্থ্যখাত উপেক্ষিত রাখা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক ও হতাশাজনক। নেতৃবৃন্দ বলেন, এ বাজেটে ১% লুটেরা ধনিকশ্রেণির স্বার্থ সংরক্ষিত হয়েছে। এ বাজেটে সা¤্রাজ্যবাদ ও লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষার গণবিরোধী দলিল। অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক বিষয়, বর্তমান মহাবিপর্যয়কালেও স্বাস্থ্য-কৃষি-কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টি সচেতনভাবে চাতুর্যের সাথে উপেক্ষিত। গণবিরোধী এ বাজেটে ঋণ খেলাপীদের পাওনা টাকা আদায়, অপ্রদর্শিত কালো টাকা ও বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরৎ আনা, অর্থ বছরের ক্ষেত্রে অপচয়,  সিস্টেম লস, বিলাসিতা রোধ, প্রত্যক্ষ করের প্রতি জোর না দিয়ে ‘পূর্বের হুকুম বহাল’-এর ন্যায় একটি দায়সারা গোচের বাজেট প্রস্তাব করা হলো, যা অবশ্যই প্রত্যাখ্যানযোগ্য। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাঁধ নির্মাণ কিংবা উক্ত অঞ্চলের মানসিক ও সার্বিক উন্নয়নের কোনো বরাদ্দ বা সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা অনুপস্থিত। বরাবরের ন্যায় উপেক্ষিত সুন্দরবন রক্ষার বিষয়টিও। খুলনা বিমান বন্দর, রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে বাজেটে কোনো স্পর্শই করা হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে থাকা খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা, খুলনায় গ্যাস ও পানি সরবরাহের ব্যাপরটি সম্পূর্ণরূপেই উপেক্ষিত। এ বাজেটে তৈরিতে সুষম ও উন্নয়নের বিষয়টি তো বিবেচনায় রাখা হয়নি বরং পদে পদে বৈষম্যের চিত্র সুস্পষ্ট। অথচ খুলনার মানুষদেরও গুণতে হবে পরোক্ষ কর। প্রত্যক্ষ করের দ্বিগুণ এই দুঃসহ পরোক্ষ করের বোঝা প্রায় সবটাই বহন করতে হবে গরীব-মধ্যবিত্ত-সাধারণ নাগরিকদেরকে। বাজেট ঘোষণা সাথে সাথে যা শুরুও হয়েছে ইতোমধ্যে। নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিবৃতিদাতারা হলেনÑবাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশ, মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদৎ, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. রুহুল আমিন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ সাতক্ষীরায় আজ ত্রান বিতরণ করবেন খুলনা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ

খবর বিজ্ঞপ্তি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, কাশিমারী, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও আনুলিয়া ইউনিয়নের জনগনের সাহায্যে ৪০০ পরিবারের মাঝে আজ ১৪ জুন (শনিবার) ত্রান সামগ্রী বিতরণ করবেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এদিন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, লবন ও বিশুদ্ধ পানি ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, নগর সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু উপস্থিত থেকে ত্রাস সামগ্রী বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু তার সহধর্মিনী, মানবাধিকার নেতা অ্যাড. সৈয়দা সাবিহা খাতুনের করোনা পজেটিভ হওয়া পরিবারসহ আইসোলেশনে থাকায় নজরুল ইসলাম মঞ্জু ত্রান কার্যক্রমে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এ জন্য সাতক্ষীরার ত্রান কার্যক্রম টিমের নেতৃত্ব দিবেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের সা: সম্পাদক নিখিল’র পিতার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

খবর বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভাই এর পিতা প্রবীণ আওয়াামী লীগ নেতা মরহুম আলহাজ্ব মোফাজ্জল হোসেন খান এর ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় বাদ আছর রামপুরা সালামবাদ জামে মসজিদে পবিএ কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া শেষে দুঃস্থদের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়। মিলাদ মাহফিল আয়োজন করেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় নেতা ও এন জে এন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নুর আলম মিয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ এর সহ-সভাপতি মুজিব মহাসিন পিয়াস, ৯৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সোহেল, আশিকুল আলম রিমন, ২২নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ বুলবুল আহমেদ (বাবু) ও শাকিল আহমেদ সহ আরও অন্যান্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাএলীগ নেতৃবৃন্দ।

সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম’র ইন্তেকালে বিভিন্নমহলের শোক

খবর বিজ্ঞপ্তি

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জননেতা মোহাম্মদ নাসিম-এর ইন্তেকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় সিটি মেয়র মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

আ’লীগ, মন্ত্রী, মেয়র, সংসদ সদস্যের শোক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য, ১৪ দলের সমম্বয়ক, সাবেক স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ………. রাজেউন)। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী সহ আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ।

১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম এমপি’র মৃত্যুতে খুলনার নেতৃবৃন্দের শোক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ম-লীর সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক মো. নাসিম এমপি’র সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর জাসদ সভাপতি রফিকুল হক খোকন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক এফ এম ইকবাল, ন্যাপের সভাপতি এ্যাড. ফজলুর রহমান, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, জেপি’র শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মিনা মিজানুর রহমান, জাসদের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খালিদ হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার রায়, জেপি’র এন আলম সিদ্দিকী, জাকের পার্টির বদরউদ্দিন বিশ্বাস বদু, গোলাম নবী মাসুম সহ ১৪ দলের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ।

নাসিমের মৃত্যুতে খুবি উপাচার্যের গভীর শোক প্রকাশ: সাবেক সফল স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম শনিবার সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে … রাজিউন)। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব নগর সরকারের অর্থমন্ত্রী শহীদ ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলীর পুত্র। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এক শোক বিবৃতিতে বলেন সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে খ্যাত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সশস্ত্র সন্ত্রাসী চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করেন এবং এই জনপদে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন। তাঁর আমলে সন্ত্রাসী খুনী এরশাদ শিকদারের পতন হয় এবং তাকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়। ঢাকায় সন্ত্রাসীদের গডফাদার আসলাসমকে গ্রেফতারসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। এছাড়া তিনি একজন সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের রাজনীতিতে এবং আইন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ এই রাজনীতিক ও সংগঠকের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দে: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য, ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটের সময় চিকিৎসকগণ তাঁর মৃত্যু ঘোষণা করেন। মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি, খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেনÑওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমান, মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনসার আলী মোল্লা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, জেলা ও মহানগর সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, কমরেড গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, কমরেড শেখ মিজানুর রহমান, কমরেড মনির আহমেদ, কমরেড খলিলুর রহমান, কমরেড আব্দুস সাত্তার মোল্লা, কমরেড নারায়ণ সাহা, কমরেড আমিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য শেখ সাহিদুর রহমান, কমরেড মনিরুজ্জামান, কমরেড সন্দীপন রায়, কমরেড রেজাউল করিম খোকন, কমরেড কৌশিক দে বাপী, কমরেড আঃ হামিদ মোড়ল, কমরেড মোঃ আলাউদ্দিন, কমরেড মনির হোসেন, কমরেড আরিফুর রহমান বিপ্লব, কমরেড আনোয়ার হোসেন, কমরেড এড. কামরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার, কমরেড অজয় দে, কমরেড বাবুল আখতার, কমরেড হাফিজুর রহমান, কমরেড গৌরী ম-ল প্রমুখ।

খুলনা চেম্বার: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এবং জাতীয় নেতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী’র পুত্র মোহাম্মদ নাসিম (৭২) ১৩ জুন, ২০২০ তারিখে আনুমানিক সকাল ১১:০০ ঘটিকায় ঢাকাস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। তার এ মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও জনমানুষের নেতাকে হারাল। তাঁর এ মৃত্যুতে খুলনার সর্বস্তরের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প থেকে খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজি আমিনুল হক, উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি শেখ আসাদুর রহমান, সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বুলু, সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা জেসান ভূট্টো, পরিচালকবৃন্দ গোপী কিষণ মুন্ধড়া, এম এ মতিন পান্না, জেড এ মাহামুদ ডন, এস এম ওবায়দুল্লাহ, আলহাজ্ব মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, ঠাকুর মোঃ শাহ্ আলম, জোবায়ের আহমেদ খান (জবা), মোঃ সিরাজুল হক, কাজী মাসুদুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ মোশাররফ হোসেন, শেখ আল্লামা ইকবাল তুহিন, মোঃ আবুল হাসান, দীপক কুমার দাস, মোঃ ইসলাম খান, উজ্জল কুমার গাঙ্গুলী, শেখ মোঃ গাউসুল আজম, খান সাইফুল ইসলাম, মোঃ মনিরুল ইসলাম মাসুম, মোঃ মাহবুব আলম ও চৌধুরী মিনহাজ¦ উজ জামান এবং খুলনা চেম্বারের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

ফুলবাড়ীগেট করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ঔষধ প্রদান

খবর বিজ্ঞপ্তি

ফুলবাড়ীগেটস্থ মৃত্তিকা হোমিও রিসার্সের পক্ষ থেকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নের্তৃবৃন্দকে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রদান করা হয়। ১৩ জুন শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ফুলবাড়ীগেটস্থ আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মৃত্তিকা হোমিও রিসার্সের সত্ত্বাধিকারী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি গবেষণা পরিষদের খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি ও খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশন অফিসার ডাঃ মনোজ কুমার মজুমদার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রদান করেন। এসময় খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ফুলবাড়ীগেট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহাবুদ্দিন আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামন মুকুল, সাংবাদিক ডাঃ রবিউল আলম এবং থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নের্তৃবৃন্দ উপস্তিত ছিলেন।

মোড়েলগঞ্জে ৪শ’ শিশুদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন পৌর মেয়র এ্যাড.মনিরুল হক তালুকদার

এম.পলাশ শরীফ, মোড়েলগঞ্জ

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ৪০০ শিশুকে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বিশেষ খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। পৌর আওয়ামী লীগর সভাপতি, পৌরসভা মেয়র এসএম মনিরুল হক তালুকদার শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ১০৭ নং বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিশু খাদ্য দুধ, সূজী, বিস্কুট, নুডুলস ও চিপস্ বিতরণ করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খানম, সাবেক প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা হাসি, কাউন্সিলর মো. শাহিন শেখ, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, সোনাডাঙ্গা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুমান আহ্মেদ, প্রেসকাবের অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক এম.পলাশ শরীফ, তাতীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি চয়ন পোদ্দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পৌরসভার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিশু খাদ্য বিতরণ করা হবে বলে পৌরসভা মেয়র জানিয়েছেন।

বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান: শরণখোলার শাকিলের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের শরণখোলায় মেধাবী ছাত্র শাকিল মুন্সি (১৬) চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ নিয়ে পাশ করলেও  দারিদ্রতার কারণে তার উচ্চ শিক্ষা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামের হতদরিদ্র মোঃ রফিক মাঝির ছেলে শাকিল মুন্সী ২০২০ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রায়েন্দা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এমন সাফাল্য অর্জন করলেও শাকিলের পরিবারের অর্থাভাবে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

শাকিলের পিতা রফিক মাঝি জানান, আগে রায়েন্দা খালে খেয়ায় যাত্রী পারাপার করে উপার্জিত অর্থে সংসার চালাতাম। রায়েন্দা খালে ব্রীজ হওয়ার পর তাও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন বাজারে প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে ভাঙ্গাড়ি দোকানে বিক্রি করি। তা দিয়ে কোন মতে সংসার চলে। ছেলেটা এখন পাশ করলেও উচ্চ শিক্ষার জন্য খরচ জোগানোর সামর্থ আমার নাই। পাশ করার পর থেকে ছেলেটা সারাদিন মন খারাপ করে ঘরে বসে থাকে ও কান্নাকাটি করে তাই ছেলের চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারিনা। তাই তিনি সরকারসহ দেশের বিত্তশালী ব্যক্তিদের কাছে সহয়তা দাবী জানান।

সাতক্ষীরায় মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার নগরঘাটায় জাল দলিল সৃষ্টি করে অবৈধভাবে সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্য জমির মালিকদের মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসকাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামের সোবহান অনসারীর ছেলে কামরুল ইসলাম ও আবু বক্কর আনসারীর ছেলে জিল্লুর রহমান। সংসবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, নগরঘাটা গ্রামের মৃত রফিক মেড়িলের ছেলে রহমত আলী আনসারীর সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। নিজের সম্পত্তি দখলে থাকার পরও রহমত আনসারী অন্য শরিকের সম্পত্তি কৌশলে দখলের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সে একের পর মিথ্যে মামলা দিয়ে খুন জকমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাথে একটি জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় আদালতে মামলা করা হলে আদালত উভয় পক্ষকে স্ব স্ব স্থানে ভোগদখলে থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা ওই নির্দেশনা অমান্য করে অন্য একটি সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছেন। ওই সম্পত্তি নিয়ে কোন মামলা চলমান না থাকলেও রকিব ও তার ছেলে আলমগীরের ইদ্ধনে রহমত, তার স্ত্রী  ও ছেলেরা নগরঘাটা মৌজায় ৬৯৩৫ দাগের সম্পত্তির গাছ পালা কেটে নেয়াসহ ভোগ দখলের চেষ্টা করে। এসময় আমরাবাধা দিতে গেলে সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে বলে তারা দাবি করেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ৬৯৩৫ দাগের সম্পত্তি নিয়ে আদালতে কোন মামলা নেই। তারা আইন ও আদালতের মিথ্যে দোহাই দিয়ে উক্ত সম্পত্তি দখলের পায়তারাকরে। এবিষয়ে গত ২৪ মে কথা কাটাকাটির একপর্যায় রহমত আনসারীদের সাথে আমাদের ধাক্কা ধাক্কি হয়। এসময় পড়ে গিয়ে রহমত আনসারীর মাথায় সামান্য কেটে যায়। সেখানে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা বা মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি। অথচ এনিয়ে রহমত আনসারীর স্ত্রী পাটকেলঘাটা থানায় একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজনকে আটকও করে। গত ১০ জুন সাতক্ষীরা প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলনে আমাদের বিরুদ্ধে তাদের মামলা তুলে নিতে খুন জখমরে হুমকি ধামকি দেয়ার যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। তিনি উক্ত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা অভিযোগ করে বলেন, রকিব, আলমগীর ও রহমত গংরা জাল দলিল সৃষ্টি করে গত ১০ বছর ধরে আমাদের একাধিক মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। উক্ত জাল দলিলের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করলে তদন্তের জন্য স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা তাদের দলিলটি সন্দেহযুক্ত মনে হয় বলেআদালতে প্রতিবেদন দেন। তারা জাল দলিল সৃষ্টিকারি রকিব ও আলমগীর গংদের হাত থেকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মশিয়ালিতে স্ত্রীর নামে জমি লিখে না দেওয়ায় স্বামীকে  মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির  অভিযোগ 

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি

নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালীতে স্ত্রীর দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের হাত  থেকে রেহাই পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছে  লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়  প্রায় ১০ বছর আগে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক পিরোজপুরের মিঠাখালি এলাকার ফরিদউদ্দিন আহম্মেদের কন্যা সামছুন্নাহারের সাথে  বিবাহ  হয় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেনের । বিবাহের পর থেকে স্ত্রী সামছুন্নাহার  তার  পরিবারের সবার সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে, কিন্তু ২ সন্তানের কথা ভেবে স্বামী আলমগির মুখ বুজে সব সহ্য করে । এক পর্যায়ে আলমগিরের শশুর বাড়ীর লোকজন কে কৌশলে  হাত করে তার স্ত্রী এবং স্বামীর সাথে তার পরিবারের সাথে খারাপ আচরণ করবেনা এই অঙ্গিকারে গ্রামের বাড়ি মঠবাড়িয়ার সাড়ে ২৭ শতক জমি স্ত্রীর নামে লিখে নেয়।  ঐ জমি লিখে নেয়ার পর সবার সাথে  ভাল আচরণ করে আসছিলো । ইতিমধ্যে তার ব্যাবহার পাল্টে গিয়ে মশিয়ালিতে থাকা জমিটুকু লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। তা না হলে আত্যহত্যা করার হুমকি দিচ্ছে স্ত্রী সামছুন্নাহার । এ বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ২৯ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২ টায় আলমগিরের স্ত্রী বটি নিয়ে তাকে  কোপাতে আসে । এসময়  স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় কোন মতে রেহাই পেলেও গত ৫ মার্চ তার  স্ত্রী স্বামী আলমগিরকে শায়েস্তা করা এবং মশিয়ালির জমিটি নিজের নামে লিখে নেয়ার  জন্য  খানজাহান আলী থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে।  অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায় স্ত্রী বিভিন্ন খবরের মাধ্যমে স্বামী আলমগীর  যদি তাকে  মশিয়ালির জমিসহ বাড়িটি লিখে দেয় তাহলে সে মামলা তুলে নিবে। স্ত্রী দায়ের করা মামলায় এলাকা ছাড়া হয়েছে এ সুযোগে গত ৬ জুন আলমগিরের শিরোমণি ডাকাতিয়া বিলের মাছের ঘের এবং  বাড়িতে  একইরাতে চুরি হয়েছে ,বাড়ি থেকে চোরেরা গ্রিল ভেঙ্গে পানির মটর স্বর্ণের আংটি সহ নগদ টাকা নিয়ে যায় । অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আলমগির হোসেন স্ত্রীর দেয়া মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে  তদন্তপুর্বক জনপ্রতিনিধি সহ  প্রশাসনের নিকট  আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

দিঘলিয়া উন্নয়ন ফোরামের করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি

দিঘলিয়া উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান গতকাল দিঘলিয়া বাওয়ালীঘাট জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , দিঘলিয়া উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি মোঃ আল আমিন হুসাইন, কোষাধক্ষ্য শেখ ফয়সাল আল হাসান সবুজ,  নাজমুল হাসান সবুজ, রিয়াজ আহম্মেদ সেতু, কায়সেদ শেখ, জিহাদ, শাহেদ,সাকিব,হাসিব, সিয়াম, প্রমুখ । সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে  দোয়া অনুষ্ঠানে দিঘলিয়া উন্নয়ন ফোরাম” এর সভাপতি মোঃ আল আমিন হুসাইন বলেন সর্বোচ্চ সচেতন হয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট রোগ মুক্তির জন্য দোয়া চাইতে হবে। তিনি আরও বলেন হিংসা বিদ্বেষ পরিহার করে করোনা আক্রান্তদের মানসিক শক্তিতে উজ্জীবিত করা আমাদের প্রধান কাজ। তিনি দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি  ঘোষণা করেন । দিঘলিয়া উন্নয়ন ফোরাম ” সামাজিক সংগঠনটি প্রথম থেকেই করোনা আক্রান্ত পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে চলছে । উল্লেখ্য এ সংগঠনটি ইতিমধ্যে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, রক্তদান কর্মসুচি , বৃক্ষরোপণ কর্মসুচি ,যুবকদের নৈতিক চরিত্রের উন্নয়ন সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আলোচনায় এসেছে ।

মহেশপুরে পুলিশের উপর মাদক ব্যবসায়ীদের হামলা: ৫ পুলিশ সদস্য আহত

মহেশপুর (ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ

শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় এস্আই সহ ৫ পুলিশ আহত হয়েছেন। থানা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশপুর থানার এসআই রওশোন আলী ও এসআই সজল উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামের জোনাব কামারের মেয়ে মাসুরা খাতুনের বাড়িতে মাদক উদ্ধারের জন্য অভিযান চালালে তার ভাই আইনাল হোসেন (৩২), জয়নাল হোসেন (২৫) ও একই গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে ইসরাফিল সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা করে। এতে এ.এস.আই আবুজার গিফারী, এ.এস.আই সজল, এ.এস.আই রওশোন, কনস্টেবল মনির ও রকিব উদ্দিন আহত হয়। পরে তারা থানায় ফিরে এসে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটস্থলে যেয়ে ৩ জনকে ভারতীয় ৩ বোতল মদ ও ১ কেজি গাঁজা সহ আটক করে এ সময় মাদক স¤্রাজ্ঞী মাসুরা পালিযে যায় ।

মহেশপুর থানার অফিসার ইনচাজর্স মোর্শেদ হোসেন খাঁন জানানা, এ ব্যাপারে মাদক আাইনে মামলা হয়েছে। যার নং-১৮ তারিখ১২/৬/২০ইং। এছাড়া সরকারি কাজে বাধাদানের কারণে একই দিনে মামলা হয়েছে যার নং ১৯। শনিবার সকালে আসামীদেরকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, মাদক ব্যবসায়ী মাসুরা বেগম একজন স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা সে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিযে আসছে।

মহেশপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় সমস্যা সমাধান বিষয়ক আলোচনা সভা

মহেশপুর (ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় সমস্যা সমাধান বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্বাশতী শীলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শফিকুল আজম খান চঞ্চল,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মইজদ্দিন হামিদ,উপজেলা হাসপাতালের টিএইচএ আনজুমানারা বেগম,উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় সমস্যা সমাধান বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন করোনা ভাইরাস থেকে বাচতে হলে আমাদের সকলকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে এবং সরকারের বেধে দেওয়া আইন মেনে প্রয়োজনীয় যা যা করনীয় সেই দিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

কালীগঞ্জে কৃষক আমিরুল হত্যা মামলা প্রধান আসামী গ্রেফতার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী শাহীন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোররাতে কালীগঞ্জের খেদাপাড়া গ্রামের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত শাহীন মন্ডল দৌলতপুর গ্রামের সামছু মন্ডলের ছেলে। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান জানান, হত্যা মামলার একমাত্র আসামী শাহিন মন্ডল খেদাপাড়া গ্রামে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সেখান থেকেই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, ছাগল বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ২ দিন আগে দৌলতপুর গ্রামের শাহিন হোসেন ও বিশারত মন্ডলের বাক-বিতন্ডা হয়। বিষয়টি আমিরুল ইসলাম মিটিয়ে দিলে শুক্রবার সকালে ছাগল বিক্রেতা শাহিন হোসেনের সাথে আমিরুল ইসলামের কথা কাটা-কাটি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমিরুলকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় শাহিন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রমেছা বেগম বাদি হয়ে শাহীন মন্ডলকে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

ঝিনাইদহে করোনার মধ্যে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল, ভোগান্তিতে গ্রাহক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (ওজোপাডিকো)’র হাজার হাজার গ্রাহক। ক’মাস আগেও ৩’শ থেকে ৫’শ টাকা বিল আসলেও এ মাসে বিল দেখানে হয়েছে ১৫’শ থেকে ২ হাজার টাকা। করোনার কারণে আয় রোজগার না থাকায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে গ্রাহকরা।

ঝিনাইদহ ওজোপাডিকো’র দেওয়া তথ্য মতে, জেলা সদর, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর শহরে ওজোপাডিকো’র গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার।

করোনার কারণে বিদ্যুৎ বিভাগের মিটার রিডাররা ঘরে বসে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল তৈরী করেছে। এতে দোকান-পাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।

অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঝিনুকমালা আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা ঝালমুড়ি বিক্রেতা আজিজুর রহমান। বর্তমানে তার মিটারের রিডিং ৭ হাজার ৩’শ ৪১ ইউনিট থাকলেও ক’দিন আগের দেয়া বিদ্যুৎ বিলে রিডিং দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৪’শ ইউনিট। মিটার থেকে ৪০ ইউনিট বেশি দেখিয়ে বিল দেওয়া হয়েছে।

শহরের কাঞ্চননগর এলাকার একটি বাসভবনের বিদ্যুৎ বিলে বর্তমান মিটার রিডিং দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৯’শ ৪০ ইউনিট। পূর্ববর্তী ইউনিট দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৮’শ ৬০ ইউনিট। কিন্তু মিটারের দেখা যাচ্ছে বর্তমান রিডিং ১,৮৪৭ ইউনিট। একই দশা বিদ্যুতের গ্রাহকদের।

ঝালমুড়ি বিক্রেতা আজিজুর রহমান বলেন, ৬০ ইউনিট বেশি এসেছে। আমি দিন আনি দিন খাই। আমার উপার্জন বন্ধ। এখন বাড়তি বিল কীভাবে দেবো।

শহরের এইচএসএস সড়কের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকার এক ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন বলেন, আমার বাসায় প্রতি মাসে যেখানে ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা বিল আসে। সেই হিসাবে ৩ মাসে ১৫’শ থেকে ২ হাজার টাকা বিল আসতে পারে। কিন্তু এবার সেখানে বিল এসেছে ৪ হাজার টাকা।  তিন থেকে চার গুন বেশি বিল হয়েছে যা আমার পক্ষে পরিশোধ করা অসম্ভব।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোলি’র নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকারের সাথে তার অফিসে কথা বলতে গেলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

অভয়নগরে গত ২৪ ঘন্টায় ৬ জনের করোনা শনাক্ত

অভয়নগর প্রতিনিধি

অভয়নগরে গত ২৪ ঘন্টায় ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত অভয়নগরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ জন। ১৩ জুন শনিবার অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটের মেডিকেল অফিসার ডা: আহমেদ ফয়সাল পাভেল তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

আক্রান্ত ব্যাক্তিদের ব্যাপারে ডা: পাভেল জানান, মতিয়ার রহমান (৫৮) ধলিরগাতি, ওমর ফারুক (২৭) ওয়াপদা মোড়, ফাহাদ বিন ফারুক (২২) বুইকারা, জাহিদ হাসান (৪০) বুইকারা, হাবিবুর রহমান ( গুয়াখোলা) ও তার স্ত্রী শারমিনা ইয়াসমিন। এই নিয়ে  অভয়নগরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দড়ালো ৫১ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন  ৯ জন। ভাইরাস টিতে মারা গেছেন ১ জন।

খুলনা চেম্বরের শোক

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মানীত সদস্য, মেসার্স বিশ্বাস প্রোপার্টিজ হামিদনগর রায়েরমহল, বয়রা, খুলনা এর সি.ই.ও আলহাজ্ব মোঃ আজগর বিশ্বাসের পিতা আলহাজ্ব মোঃ হারেজ উদ্দিন বিশ্বাস   (৬৭) গত ১২ জুন এবং খুলনা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জেসমিন সুলতানা শম্পার স্বামী মোঃ শারাফাত হোসেন বাবলু (৫০) ১২ জুন, ২০২০ তারিখে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় আক্রন্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। মরহুমদয়ের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজি আমিনুল হক, উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি শেখ আসাদুর রহমান, সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বুলু, সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা জেসান ভূট্টো, পরিচালকবৃন্দ গোপী কিষণ মুন্ধড়া, এম এ মতিন পান্না, জেড এ মাহামুদ ডন, এস এম ওবায়দুল্লাহ, আলহাজ্ব মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, ঠাকুর মোঃ শাহ্ আলম, জোবায়ের আহমেদ খান (জবা), মোঃ সিরাজুল হক, কাজী মাসুদুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ মোশাররফ হোসেন, শেখ আল্লামা ইকবাল তুহিন, মোঃ আবুল হাসান, দীপক কুমার দাস, মোঃ ইসলাম খান, উজ্জল কুমার গাঙ্গুলী, শেখ মোঃ গাউসুল আজম, খান সাইফুল ইসলাম, মোঃ মনিরুল ইসলাম মাসুম, মোঃ মাহবুব আলম ও চৌধুরী মিনহাজ¦ উজ জামান এবং খুলনা চেম্বারের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

ঝিনাইদহে কৃষক আমিরুল হত্যা মামলা প্রধান আসামী গ্রেফতার, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে কৃষক আমিরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী শাহীন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে কালীগঞ্জের খেদাপাড়া গ্রামের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া।

পুলিশ জানায়, হত্যা মামলার একমাত্র আসামী শাহিন মন্ডল খেদাপাড়া গ্রামে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সেখান থেকেই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার রাতে ছাগল বিক্রির পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে কালীগঞ্জের দৌলতপুর গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় শাহিন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রমেছা বেগম বাদি হয়ে শাহীন মন্ডলকে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

যশোরে নতুন দুজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ করো আক্রান্ত ১৮: মোট আক্রান্ত ২শ

যশোর অফিস

কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৮জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের দু’জন এমএলএসএস রয়েছে। এ নিয়ে গত ১০ মার্চ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত যশোর জেলায় আক্রান্তর সংখ্যা ২শ’ দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১শ’ ১জন সুস্থ্য হয়ে হয়েছে। যশোর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহনেওয়াজ এ তথ্য সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেছেন। যশোর সিভিল সার্জন অফিসের হিসাব মতে যশোরের অভয়নগর উপজেলার (৮০) বছরের এক বৃদ্ধ ছাড়া কোন মৃত্যুর সংবাদ নেই।

সিভিল সার্জন অফিসের উক্ত মেডিকেল অফিসার শনিবার সাংবাদিকদের জানান, ১৩ জুন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টার থেকে ১০০ টি ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব থেকে ৩৫টি  রিপোর্ট মোট ১৩৫ রিপোর্টের মধ্যে ১৮টি পজিটিভ আসে। আক্রান্তের মধ্যে যশোর সদর উপজেলার থেকে ৩ জনের মধ্যে (৩০) নারী, পুরুষ (৩৫), ও (৩৫) পুরুষ,মণিরামপুর উপজেলার ১ জন যার বয়স (২৭) পুরুষ,কেশবপুর উপজেলার ২ জনের মধ্যে (৪০)  ও (৩৫) বছরের পুরুষ,ঝিকরগাছা উপজেলার  ২জনের মধ্যে (৪৫) ও (৫০) বছরের পুরুষ, চৌগাছা উপজেলায় ১ জন (৫৫) বছরের পুরুষ,বাঘারপাড়া উপজেলায়  (৬৫) বছরের একজন পুরুষ, অভয়নগর উপজেলায়   ৬ জনের মধ্যে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এমএল এসএস কামরুজ্জামান (৩৯), এছাড়া, (৪৩), (৪০),(২২),(২৭) ও (৯৮) বছর বয়সের পুরুষ এবং শার্শা উপজেলায় ২ জনের মধ্যে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে কর্মরত এমএল এসএস নাসির (৪৫) ও (৪৩) বছরের একজন পুরুষ রয়েছে। এছাড়া, গত ১০ মার্চ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ হাজার ৬শ’ ৪৩টি নমুনা পাঠানো হলে ২ হাজার ৩শ’ ৯৫ জনের রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়।  পাঠানো নমুনার মধ্যে ২শ’ ৪৮ টি রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে বলে সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয়। ১৩ জুন যশোর জেলা থেকে ১শ’ ১৯ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

যশোরের আরবপুর ইউনিয়নে রাস্তা নির্মানের দাবিতে মানববন্ধন

যশোর অফিস

যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের চলাচলের ঐতিহ্যবাহী রাস্তা সংস্কারের দাবিতে  মানববন্ধন হয়েছে। আরবপুর ইউনিয়নের  কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে বি-পতেঙ্গায়ালী গ্রামে শতশত নারী পুরুষেরা  মানববন্ধনের আয়োজন করে।

সদরের  আরবপুর ইউনিয়নের  চার গ্রামের বাসিন্দারা জানান,  ইউনিয়ন অফিস রোডের প্রায় আড়াই কিলো মিটার (২৪৬০ মিটার)সলিং রাস্তা থেকে পাকা করনের  উদ্যোগ নেয়  এলজিইডি যশোর । শত বছরের পুরাতন  রাস্তাটি  পাকা করনের  কাজ শুরু হলে  বি-পতেঙ্গায়ালীর অংশে স্থানীয় লক্ষণ মন্ডল এসে বাঁধা দেয় এবং নিজের জমি বলে দাবি করেন।  রাস্তাটি তিনি দখলে নিয়ে ঘিরে দিয়ে রাস্তা পাকা করনের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করেন।  তিনি রাস্তার জায়গাটি নিজের বলে দাবি করছেন।   বর্তমানে রাস্তা পাকা বা সংস্কারের কাজ বন্ধ রয়েছে এলাকায়।  এর ফলে এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দাবি পাকা রাস্তা দিয়ে চলাচলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  আরবপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণবাটি পুলেরহাট ,বিপতেঙ্গায়ালি মাদিয়াসহ ৪ গ্রামের প্রায় ৪/৫ হাজার জনগনের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি হচ্ছে পুলেরহাট থেকে আরবপুর ইউনিয়ন অফিস পযন্ত। রাস্তা পাকা করনের কাজ বন্ধের কারনে হাজার হাজার নারী পুরুষেরা চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাস্তার সংস্কারের ঠিকাদারের কাছে গেলে তিনি জানান। লক্ষণ মন্ডল দখল করে এ স্থানে গর্ত করে রেখেছে।  এলাকাবাসী এ ব্যাপারে  গণস্বাক্ষর করে নির্বাহী প্রকৌশলী  এলজিইডি  বরাবর অভিযোগ করেছেন লক্ষণ  মন্ডলের বিরুদ্ধে ।

মানববন্ধনে সেচ্ছায় অংশ নিতে আসা আরবপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য সালমা খাতুন বলেন, এলাকার জনগনের কাতারে দাড়িয়েছি। তাদের দাবি যুক্তিগত। এলাকায় কতিপয় ব্যক্তির কারনে আজ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ মাঝে মাঝে থমকে যাচ্ছে। এজন্য আজ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় দাড়িয়েছি।  এলাকারবাসির অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মি ইবাদুল কবির, বর্তমান ইউপি সদস্য উজ্জ্বল হোসেন, সাবেক সদস্য আব্দুর করিম রাজু, ফিরোজ হোসেন, আলতাব হোসেন, নজরুল ইসলাম, ও লিয়াকত হোসেনসহ আরো অনেকে।

এব্যাপারে  লক্ষণ মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, রাস্তা নির্মানে বাধা দেবো কেন, আমি শুধু বলেছি রাস্তাটি একটু অন্য সাইড দিয়ে ঘুরিয়ে দিতে। তিনি এলজিইডিতে এর প্রতিকার চেয়ে  গেল নভেম্বর  মাসে আবেদন করেছে। এব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা মোঃ ইফতেকার আলী বলেন, এ রাস্তা সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছে। আমরা এসিল্যান্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। তিনি সমাধানের  চেষ্টা করছেন  আশা রাখি সমাধান হবে।

যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে আটক ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র

যশোর অফিস

সদর উপজেলার ৪ নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের তরফ নওয়াপাড়া গ্রামস্থ জনেক নওয়াব আলীর খেঁজুর বাগানে তিন রাস্তার মোড়ে ডাকাতি প্রস্তুতির সময় স্থানীয় লোকজন ৬ ডাকাতকে ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দেওয়ার ঘটনায়  তদন্ত করে প্রমানীন হওয়ায় আদালতে চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ। গত ৩১ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই এইচএমএ লতিফ আদালতে চার্জশীট দিয়েছেন। অভিযোগ পত্র নং ৩১৮ তারিখঃ ৩১/০৫/২০২০ ইং। কোতয়ালি মডেল থানার মামলা নং ১৯ তারিখ ৯/৪/২০ ইং। ধারা ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড। চার্জশীট ভুক্ত ডাকাতেরা হচ্ছে, যশোর শহরের বারান্দীপাড়া সরদার পাড়ার মতিয়ার শেখ এর ছেলে গোলাম রসুল,আব্দুস সালাম শেখ এর ছেলে মুন্না শেখ,  সেলিমের ছেলে সোহেল,শেখ রশিদের ছেলে  মিতুল হোসেন, আবু খায়ের এর ছেলে তালহা ও আল আমিন। ডাকাতি প্রস্তুতির ঘটনায় পুলিশ ২০ ইঞ্চি লম্বা ছুরি ও ৩ টি বার্মিজ চাকু জব্দ ও বাদীসহ ১০ জনকে স্বাক্ষী করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলার বিবারনে জানাগেছে, তৎকালীন যশোর তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ৯ এপ্রিল কোতয়ালি  মডেল থানায় উল্লেখিত আসামীদের হাজিরসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে এজাহার দায়ের করেন। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন,  গত ৯ এপ্রিল রাতে টহল ডিউটি করাকালে গোপন সূত্রে খবর পান তরফ নওয়াপাড়া গ্রামস্থ নওয়াব আলীর খেজুর বাগান তিন রাস্তার মোড় এলাকায় কয়েকজন ডাকাত অবস্থান নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে রাত ১১ টা ২৫ মিনিটে পৌছানোর পূর্বে স্থানীয় লোকজন উক্ত ৬ জন ডাকাতকে গণপিটুনী দিয়ে তাদের দখল হতে একটি ধারালো ছুরি ও ৩টি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে অবস্থান করছে। এলাকাবাসীরা উক্ত ৬ জনকে ডাকাত সন্দেহে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে এসআই নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তর ভার দেওয়া হয় উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের  ইনচার্জ এসআই এইচএমএ লতিফকে। তিনি তদন্ত করে আসামীদের অপরাধ স্বাক্ষীদের দেওয়া স্বাক্ষ্য মতো প্রমানিত হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট  আমলী আদালত কোতয়ালি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।