স্টাফ রিপোর্টার >>
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবুল বাসার খানের নারী কেলেঙ্কারির তথ্য, চিত্র ও কলরেকর্ড সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। একজন মেয়েকে চাকুরি দেয়ার প্রলোভনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সাথে শারীরিক সর্ম্পক করার প্রস্তাবটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত সমালোচনার ঝড় বইছে। এ প্রেক্ষিতে ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে খুলনা জেলা ছাত্রলীগ।
শুক্রবার (১২ জুন) খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ পারভেজ হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেনের যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তদন্ত করতে মো: মারুফ হোসাইন ও এস এম তারভীর রহমান আকাশকে দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সাথে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাদেরকে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে তত্ত্ব ও উপাত্তসহ তদন্ত রিপোর্ট জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ডুমুরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবুল বাসার খানের একই সাথে একাধিক মেয়েদের সাথে সর্ম্পক গড়ে তোলার কথোপকথোন ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গেছে সে মেয়েদের মেসেঞ্জারে বিভিন্ন সময়ে অশ্লীল ছবি পাঠিয়েছে, ছবিগুলো এতটাই আসামাজিক যা মিডিয়ায় প্রকাশ করা সম্ভব না। কখনো কখনো অসামাজিক কাজের প্রস্তাবও দিয়েছে। আবার একটি কল রেকর্ডে পাওয়া গেছে, তাতে একটি মেয়েকে চাকরী দেওয়ার প্রস্তাবে শারীরিক সর্ম্পক করতে চেয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর বারবার কল কেটে দিয়েছে। তবে ডুমুরিয়া এলাকার একাধিক সূত্র তার এ অপকর্মের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন গত ১০ জুন বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের সেবায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে অবদান রেখেছে, তা স্বরণীয় হয়ে থাকবে। তবে যদি কেউ ব্যক্তিগত কোন কাজে দলকে সমালোচনার মধ্যে ফেলে তার দ্বায়ভার নেওয়া হবে না। ডুমুরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ব্যাপারে জানতে পেরেছে। এ বিষয়ে আমি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির সাথে কথা বলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিব।