ক্রীড়া প্রতিবেদক
আইসিসির নির্দেশনা মেনে বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী ঠিক ঈদের পরপরই জানিয়েছিলেন, ফিট ও ফুরফুরে রাখার জন্য ক্রিকেটারদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে শুরু করা হবে ফিটনেস ক্যাম্প, সঙ্গে স্কিল ট্রেনিংও চলবে। সেটাও এমনভাবে হবে যাতে করে খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনরকম শারীরিক সংস্পর্শ না হয়।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়ে রেখেছেন, যখনই শুরু হোক, জাতীয় দলের অনুশীলনের শুরুতে প্রথম তিন সপ্তাহ ধরে চলবে শুধু ফিজিক্যাল ট্রেনিং। তার পরের দুই সপ্তাহ হবে স্কিল ট্রেনিং। জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়কের বোধ-উপলব্ধি এই ৫ সপ্তাহের মধ্যেই ক্রিকেটাররা প্রস্তুত হয়ে উঠবেন। এরপর আসলো ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলন করার কথা। সাবেক অধিনায়ক ও নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমসহ কয়েকজন ক্রিকেটারের একান্ত ইচ্ছে তারা মাঠে গিয়ে রানিং,স্ট্রেচিং, জিমওয়ার্ক করার পাশাপাশি ব্যাটিং-বোলিংয়ের স্কিল ট্রেনিং করবেন। কিন্তু শেষ খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একজন ক্রিকেটারও একক অনুশীলন করার লক্ষ্য মিরপুরের শেরে বাংলা কিংবা চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যাননি। সেটাই শেষ কথা নয়, করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আপাতত সব স্থগিত। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শারীরিক সংস্পর্শহীন অবস্থায় জাতীয় দলের প্র্যাকটিসের সম্ভাবনাও খুব কম। জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের কথাবার্তায় সেই ইঙ্গিত। এখন দেশে করোনা সংক্রমণ যে মহামারী আকার ধারণ করেছে, তাতে করে যে কারও বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়াতেই রাজ্যের ঝুঁকি। সেখানে রুটিন করে ক্রিকেটারদের মাঠে গিয়ে অনুশীলন করা আরও ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন জানিয়েছন, ‘করোনার যা অবস্থা, তাতে যত পরিকল্পনাই করা হোক না কেন, জুন মাসে জাতীয় দলের অনুশীলন করার প্রশ্নই আসে না। জুলাইয়ের প্রথম ভাগেও হয়তো সম্ভব না। জুলাইয়ের মাঝামাঝি গিয়ে অবস্থা বুঝে চিন্তাভাবনা করা যাবে। কিন্তু এখন করোনাযেভাবে চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে এরভেতরে অনুশীলনের চিন্তা করার প্রশ্নই আসে না।’
লা লিগা ফেরার ম্যাচে সেভিয়ার জয়
ক্রীড়া প্রতিবেদক
জার্মানিতে বুন্দেসলিগা ফিরেছে গত মাসে। স্পেনে বৃহস্পতিবার ফিরলো লা লিগা। তবে সেই শূন্য মাঠ। দর্শক নেই। গ্যালারিতে নেই প্রাণচাঞ্চল্য। তবু ফুটবলামোদীদের কাছে এটি এক সুখের উপলব্ধি যে ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগের অন্যতম এই লিগটির বাকি অংশ মাঠে গড়ালো।
করোনাভাইরাস অকালে তা শেষ করে দিতে পারেনি। ফেরার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সেভিয়া ও রিয়াল বেতিস, সেভিয়া ডার্বি, স্পেনে যেটির পরিচিতি এল গ্রান ডার্বি। এতে বেতিসকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেভিয়া উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার তিনে। তাদের ওপরে শুধু বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে বেতিস থাকলো ১২ নম্বরেই। সেভিয়ার দুটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথম গোল করে ও দ্বিতীয় গোলটি করিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় এক আর্জেন্টাইন, লুকাস ওকাম্পোস। লুক ডি ইয়ংকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে সেভিয়াকে পেনাল্টি উপহার দেন মার্ক বারত্রা। তা থেকে ৫৬ মিনিটে গোল করেন আর্জোন্টাইন ফরোয়ার্ড। ৬ মিনিট পর হেডে গোল করেন ফার্নান্দো, অসাধারণ এক ব্যাক ফিকে ওকাম্পোসই তাকে বল দিয়েছিলেন। প্রথমার্ধে খেলা হয়েছে সমানে সমান। দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচটি পুরোপুরিই চলে যায় সেভিয়ার নিয়ন্ত্রণে। শেষদিকে পুরোনো যোদ্ধা হোয়াকিন মাঠে নামার পর একটু ছন্দ ফিরে পায় বেতিস। কয়েকটি আক্রমণও করেছে তারা এই সময়। কিন্তু সেভিয়ার রক্ষণভাগের সঙ্গে আর পেরে ওঠেনি।
২৮ ম্যাচ শেষে সেভিয়ার পয়েন্ট ৫০, একটি ম্যাচ কম খেলে চতুর্থ স্থানে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদের পয়েন্ট ৪৬। একটি ম্যাচ বেশি খেলে বার্সেলোনার চেয়ে সেভিয়া এখন পিছিয়ে ৮ পয়েন্টে, রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৬ পয়েন্টে। চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা তো হচ্ছেই, হুলেন লোপেতেগির দলের চোখে কিন্তু স্বপ্ন আঁকছে লা লিগার শিরোপাও। অসম্ভব কিছু নয়। আর তাই যদি হয়, ১৯৪৬ সালের পর শিরোপা জেতা হবে প্রথম।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলবে জামাল ভূঁইয়া
ক্রীড়া প্রতিবেদক
গতবছর অক্টোবরে কলকাতায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ছিলেন দলের প্রাণভোমরা। তার অধীনে ভারতের মাটিতেই ভারতকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যাচ ড্র করে স্বাগতিক দল।
সে ম্যাচ থেকেই জামাল ভূঁইয়ার ওপর চোখ পড়ে ভারতীয় ফুটবল সংগঠকদের। আই লিগ এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলার প্রস্তাব তখন থেকেই পেতে থাকেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেই প্রস্তাবগুলো এখন আরও বড় আকারে বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে।
জার্সি নিলামে তুলছেন আশরাফুল
ক্রীড়া প্রতিবেদক
যার হাত ধরে এসেছে বাংলাদেশের বহুল প্রতীক্ষিত জয়গুলো, তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সুপার স্টার মোহাম্মদ আশরাফুল। তার ব্যবহৃত সরঞ্জামও তাই দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে অমূল্য। কিন্তু দেশের বিপদে আশরাফুল সেসব রেখে দিতে চান না বরং বিলিয়ে দিতে চান সবার মাঝে। তাই আশরাফুল তার একটি জার্সি নিলামে তোলার কথা জানিয়েছেন ফেসবুকে একটি ভিডিওর মাধ্যমে।
২০০৭ বিশ্বকাপ খেলা জার্সিটি নিলামে তুলছেন দেশের সংস্কৃতি শিল্পী ও খেলোয়াড়দের জন্য। সেই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব ও সেকেন্ড রাউন্ডে খেলা ওই জার্সিতে আশরাফুল নিয়েছিলেন তৎকালীন কোচ ডেভ হোয়াটোমোর, অধিনায়ক হাবিবুল বাশারসহ দলের সবার অটোগ্রাফ। আগামী ১৯ জুন ‘বাংলাদেশ আর্ট উইক ভার্চুয়াল চ্যারিটি’-নিলামের মাধ্যমে আগামী ১৯ তারিখ রাত ৮টার সময় নিলামে উঠানো হবে।
করোনায় ফিফা র্যাংকিং অপরিবর্তিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের কারণে সর্বশেষ মার্চ থেকে স্থগিত হয়ে আছে সকল প্রকারের আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ। এর ফলে ইউরো ২০২০ বাছাই পর্বের ম্যাচও মাঠে গড়াতে পারেনি। এমনকি চলতি বছরের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ পিছিয়ে সামনের বছরের জুন-জুলাইয়ে আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এছাড়াও ২০২৩ কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচও স্থগিত করা হয়েছে। ফলে এই সময়ের মধ্যে মাঠে নামা হয়নি ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা থেকে শুরু করে ছোট বড় কোনো দলেরই। আর কোনো খেলা না হওয়াতে ফিফার ঘোষিত সর্বশেষ র্যাংকিংয়েও আসেনি কোনো পরিবর্তন। যথারীতি ১৭৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ২০১৮ বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান দখল করা বেলজিয়াম। এরপরের অবস্থানে আছে সর্বশেষ বিশ্বকাপজয়ী দল ফ্রান্স। ১৭১২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল আছে তিনে। চার ও পাঁচে আছে যথাক্রমে ইংল্যান্ড এবং উরুগুয়ে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল আছে তালিকার ৭ নাম্বারে। তাদের উপরের অবস্থান ক্রোয়েশিয়ার। রোনালদোর পর্তুগালের চেয়েও দুই স্থান পিছিয়ে নবম স্থানে আছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকার এই দলটির উপরের স্থান স্পেন ও নিচে দশম স্থানে আছে কলম্বিয়া। বাংলাদেশ ৯১৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১৮৭ নম্বরে। ভারত আছে ১০৮তম অবস্থানে। এশিয়ান দেশ গুলোর মধ্যে জাপান আছে সবার উপরে ২৮তম অবস্থানে।
ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের দল ঘোষণা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল ইংল্যান্ড সফরের জন্য ২৮জন খেলোয়াড় এবং ১৪জন সাপোর্ট স্টাফসহ মোট ৪২জনের বিশাল বহর ঘোষণা করবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে সে তালিকায় যোগ হয়েছে আরও একটি নাম। সবমিলিয়ে নিজেদের পরের মিশনের জন্য ২৯ ক্রিকেটার ও ১৪ সাপোর্ট স্টাফের নাম জানিয়েছে পিসিবি।
সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভালো করার সুবাদে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন হায়দার আলি। এছাড়া দলে অভিজ্ঞতা বাড়াতে ৩৬ বছর বয়সী পেসার সোহেল খানকেও রাখা হয়েছে ২৯ জনের স্কোয়াডে। পুরো দল ভাগ করা হয়েছে ৪ ওপেনার, ৯ মিডলঅর্ডার, ২ উইকেটরক্ষক, ১০ ফাস্টবোলার ও ৪ স্পিনার দিয়ে। জুলাইয়ের শুরুর দিকেই ইংল্যান্ডে চলে যাবে পাকিস্তান। কেননা সেখানে গিয়ে থাকতে হবে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে। এছাড়া নিজেদের দেশে কোন অনুশীলন ক্যাম্প করতে না পারায়, ইংল্যান্ডে গিয়েই নিজেদের অনুশীলন সারবে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ২৯ সদস্যের স্কোয়াড : আবিদ আলি, ফাখর জামান, ইমাম উল হক এবং শান মাসুদ, আজহার আলি, বাবর আজম, আসাদ শফিক, ফাওয়াদ আলম, হায়দার আলি, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সরফরাজ আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, হারিস রউফ, ইমরান খান, মোহাম্মদ আব্বাস, মোহাম্মদ হাসনাইন, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি,সোহেল খান, উসমান শিনওয়ারি এবং ওয়াহাব রিয়াজ, ইমাদ ওয়াসিম, কাশিফ ভাট্টি, শাদাব খান এবং ইয়াসির শাহ।
ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন না আমির-সোহেল
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন না মোহাম্মদ আমির ও হারিস সোহেল। ব্যক্তিগত কারণে গ্রীষ্মকালীন এ সফর থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন তারা।
আগস্টে দ্বিতীয় সন্তানকে স্বাগত জানাবেন ২৮ বছরের তারকা পেসার আমির। এ কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলবেন না তিনি। আর ৩১ বছরের ব্যাটসম্যান সোহেল নিজের নাম প্রত্যাহার করেছেন পারিবারিক কারণে। আমির টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত বছর। তবে খেলে যাচ্ছেন সাদা বলের ক্রিকেট। ক্রিকেটের সব ধরনের সংস্করণ মিলে পাকিস্তানের হয়ে ১৪৫ ম্যাচে ২৫৯ উইকেট শিকার করেছেন আমির। অন্য দিকে সব ধরনের ক্রিকেটই খেলে যাচ্ছেন সোহেল। টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ৩৭.২২। আর টি-টোয়েন্টিতে তার গড় ১৯.০৯।
বিদেশে আইপিএল আয়োজনের ইঙ্গিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে আছে ঘরোয়া লিগের জনপ্রিয় আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। তবে তা আয়োজনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে কতৃপক্ষ। এমনকি আগামী দু’মাসের মধ্যে এ ভাইরাসের প্রার্দুভাব না কমলে, ভারত থেকে সড়ে যেতে পারে আইপিএল। বিদেশের মাটিতে আইপিএল আয়োজনের ইঙ্গিত দিলেন আইপিএল গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল।
গতকাল শুক্রবার প্যাটেল বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভারতে আয়োজনের সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। যদি পরিস্থিতি আমাদের সুযোগ না দেয়, তবে আমরা অন্য বিকল্পের দিকে মনোযোগ দেবো’। ‘আগামী মাসে বা পরবর্তী দুই মাসে পরিস্থিতি কি হয়, সেদিকে নজর থাকবে আমাদের। তারপরে একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারবো আমরা’। এর আগে জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি দু’বার দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালে আইপিএলের দ্বিতীয় আসরটি অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর ২০১৪ আসরের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
জিম্বাবুয়েকেও ‘না’ বলে দিল ভারত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ভারতের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন মানেই বড় অংকের আর্থিক লাভ। করোনার ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে শ্রীলঙ্কা তাই এই সিরিজটির দিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব আশা ভরসায় জল ঢেলে দিল ওই করোনাই।
করোনার এই পরিস্থিতিতে ভারত সফর করতে রাজি হয়নি, বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেয় লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। গতকাল শুক্রবার জিম্বাবুয়ে সফরও বাতিল করেছেন বিরাট কোহলিরা। এবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকেই নিশ্চিত করা হয়েছে এ খবর। শ্রীলঙ্কায় চলতি মাসের শেষ দিকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল বিরাট কোহলির দলের। এরপর ২২ আগস্ট থেকে জিম্বাবুয়ের মাটিতে ছিল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
শাস্তির মুখে বার্সার সেমেদো
ক্রীড়া প্রতিবেদক
নীরবে শাস্তি পেয়েই গেছেন। শাস্তিটা এরপর হতে পারে সরাসরি এবং অনেক বড় হয়ে দেখা গেল শনিবারের ম্যাচে জায়গাই পেলেন না নেলসন সেমেদো। এমন হতেই পারে জরিমানাও গুনতে হলো।
গত সোমবার এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন বার্সেলোনার রাইটব্যাক নেলসন সেমোদো। সেখানে গিয়ে স্পেন সরকার ও লা লিগা নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি যতভাবে পারা যায় লঙ্ঘন করেছেন। বার্সেলোনার একটি রেস্তোরাঁয় সেমেদোকে দেখা যায় হাতে গ্লাভস নেই, মুখে মাস্ক নেই। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ধার ধারেননি। গা ঘেঁষাঘেষি করে হুল্লোড় করেছেন। যেখানে ছয়জনের বেশি জড়ো হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা, সেখানে ওই পার্টিতে ছিলেন ২০ জনেরও বেশি। সরকারি নির্দেশে এখন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দ্বিতীয় ধাপের সতর্কতা মেনে চলছে স্পেন। সেমেদো বন্ধুদের সঙ্গে মিলে এসব সতর্কতার থোড়াই কেয়ার করেছেন। মঙ্গল ও বুধবার তাই বার্সেলোনার অনুশীলনে রাখা হয়নি ২৬ বছর বয়সী পর্তুগিজ ফুটবলারকে। শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য জরিমানা যে সেমেদোর হচ্ছে, এটি নিশ্চিত। যদিও বার্সেলোনা তা প্রকাশ করেনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়া
ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে আছে সব ধরনের ক্রিকেট আসর। চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্যও ঝুলছে সুতোতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সীমিত ওভারের এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ভাগ্য আপাতত মূলতবি রাখলেও গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রী রিচার্ড কোলব্যাক জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে তারা এখনও আশাবাদী।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। সীমিত ওভারের এই ক্রিকেট লড়াই ১৮ অক্টোবর শুরু হয়ে চলতো ১৫ নভেম্বর পযর্ন্ত। কিন্তু করোনার কারণে এখন শঙ্কার মুখে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে ফেডারেল সরকার খুব ঘনিষ্ঠতার সঙ্গে স্থানীয় আয়োজন কমিটি এবং সকল রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘আবারও উড়ছেন হ্যাজার্ড’
ক্রীড়া প্রতিবেদক
আলভারো আরবেলোয়ার বিশ্বাস দীর্ঘদিনের চোট থেকে সেরে ইডেন হ্যাজার্ড পুনরায় তার সর্বোচ্চ ফর্মে ফিরবেন। বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডের অনুশীলন দেখে মুগ্ধ রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক স্প্যানিশ ডিফেন্ডার এটাই মনে করছেন।
আগামী মৌসুমে রিয়ালের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিতে যাওয়া আরবেলোয়া রিয়াল মাদ্রিদ টিভিকে বলেন, ‘আমার মনে হয়, মার্কো আসানসিওকে অল্প অল্প সময় দিয়ে আরেকটু যতœ করা প্রয়োজন। তার পাশাপাশি হ্যাজার্ডের প্রতি আরেকটু সযতœ থাকতে হবে, যে ফিরেছে এয়ারপ্লেনের মতো। সে অনেক ম্যাচ জিততে যাচ্ছে।’
অলিম্পিক নিয়ে অনিশ্চয়তায় পৃষ্ঠপোষকরা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
টোকিও ২০২০ অলিম্পিকের কর্পোারেট পৃষ্ঠপোষকরা এখনো নিশ্চিত হতে পারছেনা ২০২১ সাল পর্যন্ত এই গেমসকে সমর্থন দিয়ে যাবেন কিনা। একটি জরিপের রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে। জাপানের পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকেতে সম্প্রচারিত রিপোর্টে বলা হয় পৃষ্ঠপোষকদের ৬৫ শতাংশের উপর চালানো জরিপে দেখা গেছে পরের বছর পর্যন্ত আর্থিক সহযোগিতা করার ব্যাপারে তারা এখনো মনস্থির করতে পারছেন না।
এনএইচকের মতে করোনা ভাইরাসের কারণে জনসমাবেশের উপর কড়াকড়ি আরোপ করায় গেমসের বিভিন্ন কর্মকান্ড থেকে তারা কাংঙ্খিত প্রচার পাবেন কিনা। এ বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন। গেমসটি শেষ পর্যন্ত বাতিল হবারও আশংকা করছেন অনেকে। কারণ অলিম্পিকের অনেক সিনিয়র কর্মকর্তারাই বলে বেড়াচ্ছেন যে ২০২১ সালের মধ্যে অবশ্যই টোকিওকে গেমস আয়োজন করতে হবে।
মাস্ক ও বলবয় থাকছে না প্রিমিয়ার লিগে
ক্রীড়া প্রতিবেদক
মাস্কে ঢাকা মুখ নিয়ে টানেল দিয়ে বেরিয়ে আসছেন বুন্দেসলিগার খেলোয়াড়রা। এমনকি বেঞ্চে বসে থাকা খেলোয়াড় ও স্টাফের সবারই মাস্ক লাগানো। প্রিমিয়ার লিগে কিন্তু এই দৃশ্য থাকছে না। স্টেডিয়ামে ঢোকার পর কারও আর মাস্ক পরার দরকার নেই। তবে বাড়তি সতর্কতায় মাঠে বলবয় রাখছে না ইংলিশ ফুটবল লিগ কর্তৃপক্ষ।
লিগ ফেরার সময় কী কী দিক-নির্দেশনা থাকছে, বৃহস্পতিবার সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগ। ১৭ জুন অ্যাস্টন ভিলা-শেফিল্ড ইউনাইটেডের ম্যাচ দিয়ে ফের শুরু হবে দর্শক জনপ্রিয়তায় বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট প্রতিযোগিতা। ওই ম্যাচ থেকেই অনেক নতুনের সঙ্গে পরিচিত হবে ইংলিশ ফুটবল। স্টেডিয়ামে প্রবেশের পর খেলোয়াড় কিংবা কোচিং স্টাফের কারও মাস্ক পরতে হবে না। এমনকি চতুর্থ রেফারিও এর আওতায়। বুন্দেসলিগায় শুধু মাঠের খেলোয়াড় ও রেফারি থাকেন মাস্কা ছাড়া, কিন্তু ডাগআউটে কিংবা খেলার বাইরে থাকা সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রিমিয়ার লিগ পুরো স্টেডিয়ামকে এতটা নিরাপদ করে রাখতে যাচ্ছে যে, স্টেডিয়ামে ঢোকার পর আর মাস্কের প্রয়োজন পড়বে না। শুধু তা-ই নয়, ড্রেসিং রুম, ডাক্তার কিংবা ফিজিও থাকবেন মাস্ক ছাড়া।