মিলি রহমান
ঝিমিয়ে পড়া পৃথিবী একটু একটু করে আড়মোড়া ভাঙতে শুরু করেছে। কিছু দেশে লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে, কিছু দেশ সেদিকেই এগোচ্ছে। বেশিরভাগ অফিস খুলে গেলেও, অনেক অফিস বাড়িতে বসে কাজ করার সুবিধা দিচ্ছে। বাড়িতে থাকার কারণে খাওয়া-দাওয়াও হচ্ছে বেশি। সারাক্ষণ খাই খাই করছে মনটা। এদিকে বেশিরভাগ সময় বসে থাকা এবং ইচ্ছেমতো খাবার খাওয়ার কারণে দেদারসে বাড়ছে ভুঁড়িখানা।
সময় মতো খাওয়া, তিন বেলা খাবার- এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। যখন খুশি তখন খাবেন না। আর প্রতিদিন সকালে উঠে বিশেষ একগ্লাস পানীয় পান করতে পারলে ভুঁড়ি বিদায় নেবে চিরতরে। সেই পানীয় কী দিয়ে তৈরি করবেন? খুবই সহজ। গরম পানিতে গুড় আর লেবুর রস মিশিয়ে নিলেই হয়ে গেল! প্রতিদিন সকালে এটি নিয়ম করে পান করলে সুফল পাবেন দ্রুতই।
লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। লেবুর জুস যেরকম আপনাকে হাইড্রেটড রাখে, ঠিক সেরকমই মেটাবলিজমও বাড়ায়। গবেষণা বলছে, আমাদের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে লেবু। কারণ এর মধ্যে প্রচুর পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস রয়েছে।
পলিফেনল ফ্যাট মেটবলিজম বাড়িয়ে শরীরের বিপুল পরিমাণ ফ্যাটকে দমন করে। একইসঙ্গে লেবু শরীরে যেমন এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায় অন্যদিকে আবার এলডিএল কোলেস্টেরল কমায়। লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সামগ্রী কোষকে ফ্রি র্যাডিকেলে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। চিনির বিকল্প হিসেবে গুড় স্বাস্থ্যকর খাবার। লো ক্যালরির গুড়ে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডান্টস, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম- যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশিই কোষের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গেও লড়াই করতে সাহায্য করে।
শরীরের জন্য ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সাহায্য করে গুড়। ফলে মেটাবলিজম ক্ষমতা বাড়ে। একইসঙ্গে ক্যালোরি গলাতেও সাহায্য করে গুড়। যেকোনো ধরনের খাবার খাওয়ার পর এক টুকরো গুড় খেয়ে নিলে, তা আপনার হজমে সাহায্য করে। পাশাপাশিই গুড় শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পাচনতন্ত্র পরিষ্কার করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই সুস্থতার জন্য গুড় আর লেবু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।