ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
স্টাফ রিপোর্টার
সুপার সাইকোন ‘আম্পান’ পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দিক-নির্দেশনায় আগে থেকেই সেনাবাহিনী ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে তারা ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকাগুলোতে বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে পরিদর্শন করে যৌথভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপন করছে। এরই মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য যশোর সেনানিবাসের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল ও মেডিকেল টিম যশোর অঞ্চলের দশটি জেলাতে অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে মোতায়ন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুর্যোগ উপদ্রুত এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি বিধ্বস্ত বসতবাড়ি, মসজিদ এবং অন্যান্য স্থাপনা পুনঃনির্মাণে সাধারণ মানুষদের সহায়তা করছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় কবলিত বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসহায়তা হিসেবে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতকৃত ত্রাণ সামগ্রী অসহায় দুঃস্থ মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা পৌঁছে দিচ্ছে।
একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত যশোর সেনানিবাসের টহল দল ১০ টি জেলায় বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তার জন্য পাঠানো হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এ সব টহল দল স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা ও মহীনগর সিপিবি’র জরুরী সভায় নেতৃবৃন্দ: মানুষ, বাঁধ এবং সুন্দরবন রক্ষার প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), খুলনা জেলা ও মহানগর কামিটির উদ্যোগে ঘুর্র্ণিঘর আমপানে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে এক জরুরী সভা শুক্রবার সকালে পার্টির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষায় প্রয়োজন মানুষ, বাঁধ, সুন্দরবন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচানোর লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগ। অন্যথায় এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা করা অম্ভব। কাঁচা ভেড়ীবাঁধ নদী-ভাঙ্গন, জলোচ্ছাসের কারণে ভেঙ্গে যায়, প্রয়োজন কনক্রিট অথবা পাঁকা বাঁধ। অন্যদিকে সুন্দরবন সবসময় ঝড়, জলোচ্ছাসে ঢালের ন্যায় ভূমিকা পালন করলেও এই বনটি রক্ষায় সরকার মারাত্মক উদাসীন। এমনিতেই, প্রকৃতিক দুর্যোগ, লবণ পানির আধিক্য, উজানের পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় বনটি ক্ষয়িষ্ণু। তার উপর নির্বিচারে গাছ, গোলপাতা, মধু আহরণ, আইন না মেনে বনের নিকটে অবকাঠামোগত ও ক্ষতিকর বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ, মনুষ্য সৃষ্টি নানা কারণে বনের অস্তিত্ব হুমকীর মুখে। এ বনটি রক্ষায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। নেতৃবৃন্দ সুন্দরবনের জন্য হাওড়, বরেন্দ্র এলাকার ন্যায় পৃথক বোর্ড অথবা কর্তৃপক্ষ গঠনের আহ্বান জানান। প্রয়োজনে সুন্দরবনের জন্য পৃথক আইন ও নীতিমালা। দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑকেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. রুহুল আমিন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, সিপিবি নেতা সুতপা বেদজ্ঞ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, এস এম চন্দন, ওয়াহিদুর রেজা বিপলু, ফজলুল হক প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ আমপানে বিশেষ করে, কয়রার বেদকাশীসহ অন্যান্য এলাকার যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন, তাদের ঘর নির্মাণের জন্যে জরুরী ভিত্তিতে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। এ সময় নেতৃবৃন্দ সাধ্যমত ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
খুলনায় ইসলামী আন্দোলনের ঈদ সামগ্রী বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
চরমোনাই পীর সাহেব হুজুরের পক্ষ থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ আঃ রশিদের সৌজন্যে শুক্রবার (২২ মে) বিকালে ১৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঈদ সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর সহ-সভাপতি মুফতি মাহবুবুর রহমান, নগর সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, নগর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার।
আরও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাসান আমির , মোঃ ফেরদৌস রহমান, মাওলানা আব্বাস আমিন, মাওলানা মোস্তফা কামাল, মাওঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ বিল্লাল শিকদার, মোঃ মফিজুল ইসলাম, মোঃ মনির হোসেন, মোহাম্মদ হানিফ ব্যাপারী, মোহাম্মদ ফয়সাল করিম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
খুলনায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
তথ্য বিবরণী
খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা ও পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খুলনা জেলা প্রশাসন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে। খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন শুক্রবার সারাদিন কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রাণ সমগ্রীর মধ্যে ছিলো ঢেউ টিন, শুকনা খাবার, সুপেয় পানি ও নগদ অর্থ।
ত্রাণ বিতরণকালে সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, এ অঞ্চলের বেড়িবাঁধগুলো ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে তৈরি হয়। তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে শুধুমাত্র বাঁধগুলো সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এখন বৈশি^কভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সিডর, আইলা ও আম্পানের মতো দুর্যোগে বেড়িবাঁধগুলো টিকে থাকতে পারছে না। তাই তিনি এ অঞ্চলের বেড়িবাঁধগুলো টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনা জেলার উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলো টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য একনেকে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে অনুমোদন হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো মেরামতের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ও পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে। তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার যেন শতভাগ সরকারি সহায়তা পায় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় খুলনা জেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
ত্রাণ বিতরণকালে কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, উপজেলা নির্বাহ অফিসার, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যশোরে এক ডজন মানুষ মারলো আম্পানে
যশোর অফিস
বাংলাদেশের যে ক’টি জেলাকে মোটামুটি দুর্যোগমুক্ত বলে মনে করা হয়, যশোর তার শীর্ষে। এখানে সাইকোন আঘাত হানে না, বন্যা হয় না। নেই নদী ভাঙন। এলাকাটি ভূমিকম্পের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ না। ফলে এই জেলার মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কী- তা বোঝেনই না বললেই চলে।
কিন্তু গেল রাতে এই জেলার মানুষ কী দেখলেন? দেড়শ’ কিলোমিটার গতির সুপার সাইকোন বয়ে গেল এই জেলার ওপর দিয়ে। তাও আবার সারারাতজুড়ে। যেন প্রলয় বয়ে গেল এই জনপদের ওপর দিয়ে।
এই ‘প্রলয়ে’ ইতিমধ্যে এক ডজন মানুষের মৃত্যুর কথা শোনা গেছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এর মধ্যে মণিরামপুরে পাঁচ ও শার্শায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গাছপালা উপড়ে গেছে হাজারে হাজার। ফসলের ক্ষতি হয়েছে অপূরণীয়।
সুপার সাইকোন ‘আম্পান’ সাগর ছেড়ে স্থলভাগে উঠে আসার পরপরই বুধবার শেষবিকেলে যশোরে শুরু হয় ঝড়োহাওয়া। এরপর সময় যত গড়িয়েছে বাতাসের দাপট ততো বেড়েছে। মধ্যরাত নাগাদ বাতাসের গতি বেড়ে দেড়শ’ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। জীবদ্দশাতে এমন ঝড় দেখেননি এখানকার প্রবীণেরাও।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ধ্বংসলীলা চালানোর পর সুন্দরবন ঘেঁষে সাতক্ষীরা ও যশোর হয়ে ক্রমে উত্তরের দিকে যেতে শুরু করে আম্পান। এর আগে আম্পানের প্রভাবে দুপুর দুইটা নাগাদ যশোরে বৃষ্টি শুরু হয়। সময় যতো বাড়তে থাকে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের তীব্রতাও বাড়তে থাকে। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা ৪০ মিনিটে বাতাসের গতি বেড়ে ঝড়ে রূপ নেয়। সঙ্গে চলতে থাকে বৃষ্টি। রাত দশটার দিকে ঝড়ের তীব্রতা বাড়ে অনেকটাই। যশোর বিমানঘাঁটিতে অবস্থিত আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা যায়, রাত দশটায় যশোরে ঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০৪ কিলোমিটার। রাত ১২টায় তা বেড়ে ১৩৫ কিলোমিটারে পৌঁছায়। রাত পৌনে দুইটায় নাগাদ বাতাসের গতিবেগ স্তিমিত হতে থাকে; কিন্তু রেশ থেকে যায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বুধবার বিকেল পাঁচটায় সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে আম্পান। এরপর সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা হয়ে নড়াইল, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ পাড়ি দিয়ে জামালপুর হয়ে দুর্বল আম্পান পাড়ি জমায় ভারতভূমে। যশোরে ঝড়-বাতাস ছিল মোটামুটি বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত। এতো দীর্ঘস্থায়ী ঝড় এর আগে দেখেননি যশোরের মানুষ। আট ঘণ্টাব্যাপী বয়ে যাওয়া ঝড়ের কারণে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে যায় গোটা জেলা।
আম্পানের আঘাতে হাজার হাজার গাছপালা ভেঙে পড়েছে। গাছ চাপা পড়ে জেলায় এখনো পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর বাইরেও আরো কয়েক ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য আসছে নানা মাধ্যমে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এসব বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
রাত সোয়া নয়টা পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে যশোর জেলা প্রশাসন। ওই ছয় ব্যক্তির পরিবারকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ।
পুলিশের বিশেষ শাখার হিসেব অনুযায়ী নিহতরা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের খোকন দাস (৭০), তার স্ত্রী বিজন দাস (৬০), ওয়াজেদ আলী (৫০), তার ছেলে ইসা (১৫) ও আছিয়া বেগম (৭০), শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামের ময়না বেগম, সামটা জামতলার মুক্তার আলী (৬৫), মহিপুড়া গ্রামের মিজানুর রহমান (৬০) ও মালোপাড়ার গোপালচন্দ্র বিশ্বাস, চৌগাছার চাঁদপুর গ্রামের ক্ষ্যান্ত বেগম (৪৫), তার মেয়ে রাবেয়া খাতুন (১৩) এবং বাঘারপাড়ার বোধপুর গ্রামের ডলি বেগম (৪৮)। ঘর বা গাছ চাপা পড়ে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ডিস্ট্রিক্ট ইন্টেলিজেন্স অফিসার (ডিআইও-১) এম মসিউর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মণিরামপুরে মৃত্যুর তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে এখনো নেই। রাতে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক জানান, ওখানে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। এমনকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আরো মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি জানান। যশোর শহরতলির শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার সত্তরোর্ধ্ব আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার জীবনে বেশ কয়েকটি বড় ঝড় দেখেছি। কিন্তু এতো দীর্ঘ সময় ধরে চলা ঝড় আর কখনো দেখিনি। সন্ধ্যা থেকে সারারাতজুড়ে তান্ডব চালিয়েছে ঝড়। গাছপালা ভেঙে পড়েছে মানুষের বসতঘরের ওপর। বাতাসের তীব্রতায় ছাদের ওপর পানির ট্যাংক পর্যন্ত উড়ে গেছে। পুরো রাতটাই আমরা নির্ঘুম কাটিয়েছি।’ সাইকোনে হতাহতের পাশাপাশি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাত্র কয়েকদিন আগেই বোরো আবাদ ঘরে তুলেছেন কৃষক। যেকারণে ঝড়ে বোরো ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে সবজি, পাট, পান, আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. আকতারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ঝড়ের কারণে যশোরে ফসলের ক্ষতি বেশি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা জেলার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য কৃষি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। ক্ষতি হওয়া ফসলের মধ্যে রয়েছে ১১ হাজার ৭৮৩ হেক্টর জমির পাট, ১১ হাজার ৭৪৮ হেক্টর জমির সবজি; যা মোট আবাদের ৮০ শতাংশ। এছাড়া ৭৫০ হেক্টর জমির পেঁপে, দেড় হাজার হেক্টর জমির কলা, ৬৭৫ হেক্টর জমির মরিচ, এক হাজার ৪৫ হেক্টর জমির মুলা, তিন হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমির আম, ৬০০ হেক্টর জমির লিচু এবং এক হাজার হেক্টর জমির পানের বরজ ক্ষতির মুখে পড়েছে। মাঠে থাকা ফসল ও ফলের ৭০ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান জেলার প্রধান এই কৃষি কর্মকর্তা। এছাড়া জেলার নিম্নাঞ্চল কেশবপুর-মণিরামপুর-অভয়নগরের ভবদহ এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির ফসল। ভেসে গেছে ঘেরের মাছ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ঝড়ের সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে যশোরের কেশবপুর, মণিরামপুরের নিম্নাঞ্চলের কিছু ঘের ও পুকুর ভেসে ক্ষতি হয়েছে। তবে অন্যান্য এলাকায় মাছের তেমন ক্ষতি হয়নি। আম্পানের আঘাতে গাছপালা ভেঙে জেলার অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক আটকে যায়। ঐতিহাসিক ‘যশোর রোডের’ (যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক) প্রাচীন বেশকিছু গাছ ভেঙে ও উপড়ে রাস্তার ওপর পড়ে। ফলে দুপুর পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি বন্ধ ছিল। এছাড়া যশোর-খুলনা মহাসড়ক, যশোর-মাগুরা মহাসড়ক, যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কসহ অধিকাংশ সড়ক ও গ্রাম্য রাস্তার ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসব গাছ সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করেন।
এদিকে, ঝড়ে বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ ও ডাল ভেঙে পড়ায় গোটা জেলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বুধবার সন্ধ্যায়ই। টানা দশ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকার পর কিছু কিছু এলাকায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো জেলার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন।
জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বিকেলে জানান, ‘ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ এখনো নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। কাজ চলছে। তবে মানুষ মারা গেছেন। ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাঠে থাকা ফসল নষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, ঝড়ের কারণে যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত শেষে এসব মানুষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। প্রবীণেরা বলছেন, এর আগে ১৯৮৮ সালে যশোরে একবার বড় ধরনের সাইকোন আঘাত করেছিল। আর ২০০০ সালে যশোরে একবার বন্যা হয়েছিল; যা ছিল স্মরণকালের মধ্যে প্রথম।
আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার দাবি নগর ওয়ার্কার্স পার্টির
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ প্রলংকারী ঘূর্নিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার দাবি জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বের উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-শ্রমিকদের বিনামূল্যে রেশন কার্ড প্রদানের জন্য সরকারের আহ্বান জানান। নেতারা বলেন, করোনা সংকটে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। কৃষক-শ্রমিকরা এখনো অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। কিন্তু খুলনাসহ উপকূলীয় এলাকার কৃষক, ক্ষেতমজুর, মাছ চাষীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন। তাদেরর রক্ষা করতে না পারলে ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে। শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে এক নগর নেতা মনির হোসেনের বাসভবনে মহানগর কমিটির জরুরী সভায় এ দাবি তোলা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপংকর সাহা দিপু, নগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফারুক উল ইসলাম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার মোল্লা, খলিলুর রহমান, নারায়ণ সাহা, আমিনুল ইসলাম, কৌশিক দে বাপী, মনির হোসেন প্রমুখ।
ঘরবন্দি কর্মহীন মানুষদের বিএমএ’র খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
শুক্রবার সকাল ১১.০০মিঃ করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমন রোধে ঘরবন্দি কর্মহীন মানুষদের জন্য বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন,খুলনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে ২৫০ টি পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে খাদ্য সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর মাননীয় মেয়র জনাব তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব এম ডি এ বাবুল রানা, খুলনা বিএমএ’র সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম, খুলনা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ মেহেদী নেওয়াজ, সহ-সভাপতি ডা. অধ্যাপক ডা. ধীরাজ মোহন বিশ্বাস, ডা. মোল্যা হারুন অর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক ডা. বঙ্গ কমল বস,ু সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.মোঃ মামুনূর রশিদ, প্রচার ও জন-সংযোগ সম্পাদক ডা. সুমন রায়, সাংস্কৃতি ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. পরিতোষ কুমার চৌধূরী,কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আজাদ, অধ্যাপক ডা. মনোজ কুমার বোস, ডা. হিমেল সাহা বিপিএমপিএ’ খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ শওকাত আলী লস্কর প্রমূখ।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে সাতক্ষীরায় ৮০ হাজার ঘরবাড়ির ক্ষতি, মৎস্য, প্রানীসম্পদ ও কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি
খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে সাতক্ষীরায় ২২ হাজার ৭১৫টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও প্রায় ৬১ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া কৃষিবিভাগের যে ক্ষতি হয়েছে তাতে টাকার পরিমান ১৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মৎস্য বিভাগের ক্ষতি হয়েছে ১৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। প্রানী সম্পদের ৭৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এদিকে, ৮১ কিলোমিটার রাস্তা ও ৫৭.৫০ কিলোমিটার বেড়িবাধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দেড় শতাধিক বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়েছে। গাছপালা ভেঙে পড়েছে অসংখ্য। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, জেলায় ৪ হাজার ৩৩২ হেক্টর জমির ফসলি জমি সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। আর আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৮ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমি। এনিয়ে কৃষিতে মোট ক্ষতি হয়েছে ১৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকার। ভেসে গেছে ১৩ হাজার ৪৯৭ হেক্টর জমির চিংড়ি ঘের ও ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির মৎস্য খামার। যার ক্ষতির পরিমান ১৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। এছাড়া ৯১টি খামার ও ৬৪০টি গবাদি পশু ও ৮৬টি হাস মুরগির খামারসহ মোট ৭৭ লাখ টাকা ৬৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ২৩ টি পয়েন্টে নদীর বেঁড়িবাধ ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮১ কিলোমিটার রাস্তা ও ৫৭.৫০ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ। এছাড়া, জেলায় ২২ হাজার ৭১৫টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও প্রায় ৬১ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
বাগেরহাটে বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ কর্তন
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাট সদর উপজেলার রণজিৎপুর গ্রামের সঞ্জয় কুমার দাসের শতাধিক সুপারি, মেহগনি ও কলা গাছ কর্তন করেছে গরু চুরি মামলার আসামীরা। এঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অভিযুক্তদের আটক করতে পারেনি। ভুক্তভোগীরা জানান, গত রোববার তাদের তিন লাখ টাকা মূল্যের তিনটি গরু চুরি হলে দুই দিন আগে পুলিশ তিন আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ ও চুরির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করে। এতে অপর ৩ আসামী হাসান, হোসেন ও তায়েফ মামলা তুলে নেয়ার হুমকী দিতে থাকে। মামলা তুলে না নেয়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে শতাধিক গাছ কেটে ফেলে এই চক্রটি। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দীন বলেন, গাছ কাটার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাণঘাতি করোনা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিএনপি নেতা বকুলের পক্ষে জেলা বিএনপির ত্রান সামগ্রী বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
বিএনপি’র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেতা রকিবুল ইসলাম বকুলের পক্ষ থেকে নগরী জুরে বিভিন্ন থানাায় করোনায় সংকটে পড়া কর্মহীন অসহায় দুস্থ ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঈদের খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন খুলনা জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পি।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় নগরীর আমতলা মোড়ে বিভিন্ন বস্তিতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ও প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পরা অসহায় মানুষের মাঝে খুলনা জেলা বিএনপি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে। এ সময়ে উপস্থিত জনসাধারনের উদ্দেশ্যে মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে হতাহত ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া এবং প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হাত গুটিয়ে নিরাপদ দূরত্ব রয়েছে। খুলনা ও নি¤œাঞ্চলের উপজেলাগুলো জলোচ্ছাসে বাঁধভেঙে ঘরবাড়ী ভেসে যাওয়ায় বিভিন্ন মৎস্য ঘের সহ কৃষি আবাদির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের অনেক মানুষ সবকিছু হারিয়ে অনাহারে নোনা পানিতে আজও ভাসমান রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ অঞ্চলের জনপ্রতিনীধিদের তৎপরতা প্রশ্নবিদ্ধ। তবে সমাজের নানান শ্রেনী পেশার মানুষ ও সংগঠন চেষ্টা করছে অনাহারে থাকা হতদরিদ্র মানুষকে যতটা পারে খাদ্রসামগ্রী পৌঁছে দিতে। দেশের এই দুঃসময় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রতিটা নেতাকর্মী জনগণের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমান এই সমাজে এমন কোটি কোটি মানুষ আছে যারা হাত পেতে সাহায্য নিবে না আতœসম্মানের ভয়ে। তাই সরকারের প্রতি আহবান, সর্বদলীয় কমিটি গঠন করে দেশের প্রতিটি অসহায় জনসাধারনের কাছে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহন করুন।
অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা জেলা যুবদলের সভাপতি এস এম শামীম কবির, জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মিরাজুর রহমান মিরাজ, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শেখ নাদিমুজ্জামান জনি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, মনজুর আরেফিন, শেখ মাশকুর হাসান ফ্রান্স, রুবেল মীর, মোঃ মিজানুর রহমান, সজীব শেখ, সৈয়দ মেসবাহুল হাসান শুভ, মাসুম বিল্লাহ, মোঃ আমির হোসাইন, মেহেদি হাসান, আব্দুস সালাম, মনিরুজ্জামান নয়ন, মোঃ সঞ্জু মোল্লা, মোঃ সাজু হাওলাদার, মো: সজিব হাওলাদার, মাহাবুব হোসেন হিরা, মোঃ ইমন গাজি প্রমূখ।
নির্মূল কমিটির খুলনার আহবান: ত্রাণ বিতরণে কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতি হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে জানাতে হবে
খবর বিজ্ঞপ্তি
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে কর্মহীন পরিবারের ভিতর ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ কাজ চলবে ঈদের পরেও। ‘করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে দেশব্যাপী ধারাবাহিক লক ডাউনের কারণে খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সরকার এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি দেশব্যাপী একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বিভিন্ন শাখা এপ্রিল মাসের শুরু থেকে লক ডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিকট স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ও ত্রাণসামাগ্রী পৌছে দিচ্ছে। গত ৫০ দিনের এই ত্রাণ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার দুপুর ১২ টায় বিএমএ মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি খুলনা জেলা কমিটি উদ্যোগে কর্মহীন মানুষেদের ভেতর ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে।
খুলনা জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ এর আগেও শহীদ মিলন চত্বরে নিজস্ব উদ্যোগে এলাকায় জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ সহ স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এই ত্রাণ কার্যক্রমে নির্মূল কমিটির সভাপতি, বিএমএ’র সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেনের নেতৃত্বে এক দল তরুণ কর্মী অংশ গ্রহণ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংকটকালে ক্ষতিগ্রস্থ দুর্গত মানুষের জন্য যে বিশাল প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তা প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিকট পৌছাচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য এবং ত্রাণ বিতরণে কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতি হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে জানানোর জন্য। একই সঙ্গে সরকারের পাশাপাশি সকল বিত্তবান মানুষ এবং দল ও সংগঠনকে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে মানবতার স্বার্থে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াবার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে এতিম শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান
খবর বিজ্ঞপ্তি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ২০২০-২১ সালের সমগ্র বছরব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে নৌবাহিনী কর্তৃক সারা দেশে একযোগে এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের মহতী উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছে । এর অংশ হিসেবে শুক্রবার সরকারী শিশু পরিবার (বালক) ও সরকারী ছোট মণি নিবাস মহেশ্বরপাশা, খুলনা মাদ্রাসায় এতিম শিশুদের মাঝে উপহার হিসেবে ঈদের পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। এই উপহার একটি বৃহৎ কার্যক্রমের ক্ষুদ্র অংশ। কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়ার আয়োজনে ইতিমধ্যে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, নড়াইল, বরগুনা ও ঝিনাইদাহ জেলার ৩৬টি মাদ্রাসার ৮০০ জন ছেলে ও ৮০০ জন মেয়ে শিশু অর্থাৎ মোট ১৬০০ জন এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। উপহার সামগ্রী হিসেবে ছেলে শিশুদের জন্য পাঞ্জাবী-পায়জামা ও টুপি এবং মেয়ে শিশুদের জন্য সেলোয়ার, কামিজ ও হিজাব প্রদান করা হয়েছে। নৌবাহিনীর এ মহতী উদ্দ্যোগের মাধ্যমে ১৬০০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণভাবে উদ্যাপন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ সুন্দরবন উপকূলের সাড়ে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে কোস্ট গার্ডের খাদ্য সহায়তা
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
সুপার সাইকোন আম্পানের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ সুন্দরবন উপকূলের সাড়ে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড। শুক্রবার সকাল থেকে পর্যায়ক্রমে মোংলার জয়মনি, বাগেরহাটের শরণখোলা, খুলনার দাকোপের বানীশান্তা, নলিয়ান, সাতক্ষীরার কয়রা, গাবুরা ও কৈখালী এলাকার দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ হিসেবে চাল, ডাল, তেল, আটা, চিনি, লবণ, সেমাই, দুধ, সুজি, পেয়াজ, রসুন ও সাবানসহ নানা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন’র (মোংলা) ষ্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে: ইমতিয়াজ আলম বলেন, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় ও দুস্থ জেলেসহ সকল পেশাজীবি মানুষের সাহায্যার্থে এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া কোস্ট গার্ডের জাহাজ সিজিএস তামজিদ, অপরাজেয় বাংলা ও গড়াই উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা ও চিকিৎসা সেবাসহ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে টানা তিনদিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল থেকে মোংলা সমুদ্র বন্দরে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বন্দর জেটি ও পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত ১১টি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণ কাজ করে স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ও ষ্টিভিডরস কোম্পানী।
আম্পানের আঘাতে মোংলার ৩শ কাঁচা ঘরবাড়ী পুুরোপুরি বিধ্বস্ত, সাড়ে ৯শ ঘরবাড়ী আশিংক ক্ষতিগ্রস্থ ও দেড় হাজার চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পশুর নদীর পাড়ের বিভিন্নস্থানের ভেঁড়ী বাঁধ ভেঙ্গে ক্ষতিতে পড়েছে কয়েক হাজার বাসিন্দা। এদিকে মোংলায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ২৪শ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করছে উপজেলা প্রশাসন।
খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন: দাকোপে ঝড়ে অনেকের ঘরবাড়ি মালামাল নদীতে ভেসে গেছে
দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
থাকারঘর আম্ফান ঝড়ে পশুর নদীতে উড়ে নিয়ে গেছে। ধান,চাল, থালা, বাসনসহ অনেক মাল নদীতে ভেসে গেছে। এখনো জোয়ারের পানিতে হাবু-ডুবু খাচ্ছি। ছেলে মেয়ে নিয়ে বর্তমানে মাচার উপরে খোলা জায়গায় বাস করতিছি। খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে। অশ্রু ভোরা চোখে এসব কথাগুলো বলছিলেন খুলনার দাকোপের বানিশান্তা ইউনিয়নের ঢাংমারী এলাকার পুলিন কৃষ্ণ সরদার (৬৫)। তার মত একই এলাকার রনজিত সরদার, সত্যজিত সরদার, উত্তরা মন্ডল, রতনা মন্ডলসহ আরও অনেকে একই অভিমত ব্যক্ত করেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সুপার সাইকোন আম্ফানের আঘাতে সুন্দরবন লাগোয়া ওয়াপদা বেড়িবাঁধের বাহিরে পশুর নদীর তীরে বসবাসরত উপজেলার ঢাংমারী, রেখামারী ও বানিশান্তা পতিতা পল্লীর অধিকাংশ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। পুলিনের মত নদীতে ভেসে গেছে অনেকের মালামাল এবং অসংখ্য মৎস্য ঘের। বর্তমানে খোলা আকাশের নীচে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে এসব পরিবার। এখনো পর্যন্ত পায়নি তারা কোন ত্রান। এমকি কেউ তাদের খোঁবর পর্যন্ত নেয়নি বলে তাদের অভিযোগ। এছাড়া কালাবগী এলাকায় বেড়িবাঁধের বাহিরে অবস্থানরত ঝুলন্ত পাড়ায়ও একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
ঢাংমারী এলাকার সমাজ সেবক বিনয় কৃষ্ণ সরদার, স্বপন মন্ডল জানায়, মঙ্গলবার বিকাল থেকে এসব এলাকার লোকজন প্রত্যেক বাড়িতে দুই একজন বাদে সবাই ছেলে মেয়ে নিয়ে সাইকোন সেল্টারে আশ্রয় নেয়। ঝড়ের তান্ডবে এসব পরিবারের অধিকাংশ বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া পশুর নদীর জোয়ারের পানির তোড়ে অনেকের ঘর, মালামাল ভেসে গেছে। ঝড়ে ঢাংমারী এলাকায় ৮৫টি রেখামারী ৮৮টি ও পতিতা পল্লীর ৯০টি ঘর সম্পূর্ণ বিধবস্ত হয়েছে। এছাড়া কাচা রাস্তঘাট ভেঙ্গে বিলিন হয়েছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ এসব লোকজন খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে তারা জানান।
এবিষয়ে বানিশান্তা ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় বলেন ওয়াপদা রাস্তার বাহিরে ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পতিতা পল্লী, ঢাংমারী, রেখামারী অধিকাংশ ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে তালিকা করা হচ্ছে। উপজেলা থেকে কিছু ত্রান আসছে। খুব শিঘ্রই এগুলো তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল ওয়াদুদ জানান ঝড়ে গোটা উপজেলায় প্রায় ১২০০ ঘরবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ৩ কিলো মিটার ওয়াপদা বেড়িবাঁধ এবং ৯ হাজার ঘরবাড়ির আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া বেড়িবাঁধের বাহিরে থাকা ৩০০ ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে গেছে। বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আনোয়ান হোসেন হাওলাদার এবং খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ হেলাল হোসেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা বটবুনিয়া বাজার পরিদর্শন করেছেন। এসময়ে তারা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগত অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ করেন বলে তিনি জানান।
চিত্রল হরিণের মৃত দেহ উদ্ধার: সুন্দরবনের কারনে আবারো রক্ষা পেল উপকূলবাসী
মোঃ আনোয়ার হোসেন, শরণখোলা
ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডব থেকে উপকূলবাসীকে আবারো বুক পেতে রক্ষা করেছে সুন্দরবন। সুন্দরবনের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বা কোন প্রাণহানী ঘটেনি শরণখোলায়। তবে সুন্দরবনের বণ্যপ্রানী, গাছপালা ও বন বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বনসংলগ্ন বলেশ্বর নদীর টেংরা হাজির খালের মোহনায় একটি মৃত হরিণ পাওয়া গেছে।
২০০৭ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘুর্ণিঝড় সিডর এবং পরবর্তীতে আইলা, মহাসিন, নার্গিস, ফনি ও বুলবুলের মতো ঘুর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করেছিল সুন্দরবন। এবারেও তার কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। ঘুর্ণিঝড় আম্পানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছে শরণখোলার মানুষকে। তবে উপজেলার সাউথখালীতে নির্মানাধীন বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার ভেঙ্গে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, সুন্দরবন প্রতিবারের মতো এবারেও উপকূলবাসীকে রক্ষা করেছে। প্রতিবার ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়। গাছপালার ক্ষতি হলে নিজেই আবার তা পুষিয়ে নেয়। তবে প্রতিবারেই বন বিভাগের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। গত বছরে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করে উঠতেই এবছর আবার আম্পানের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বুধবারের ঝড়ে সুন্দরবনের কটকা অভয়ারন্য কেন্দ্রের জেটি, বেশ কিছু ঝাউগাছ, বনরক্ষীদের আবাসিক ঘর ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া কটকা, দুবলা, কচিখালী, সুপতি, শেলারচরের সাতটি পুকুর লবন পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া এসব জায়গার বন অফিসের আটটি জেটি, তিনটি রাস্তা, সাতটি ঘর বিধ্বস্ত ও কিছু জব্দকরা সুন্দরী গাছ ভেসে গেছে। এসব ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য তারা বন পরিদর্শনে নেমেছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড়ে সুন্দরবনে কোন বন্যপ্রানী মারা গেছে কিনা এবং গাছপালা-অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের এসিএফদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পৃথক দুইটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। তারা তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করবেন।
এদিকে সামাজিক বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, সুন্দরবনে ঝড়ের কবলে পরে মারা যাওয়া একটি চিত্রল হরিন বলেশ্বর নদীর টেংরা হাজির খালের মোহনায় পাওয়া গেছে। পরে হরিণটি উদ্ধার করে চামড়া খুলে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে
নগরীর তিন হাজার চারশত কর্মহীন ইজিবাইক চালক এবং নির্মাণ শ্রমিকদের মাঝে সিটি মেয়রের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
তথ্য বিবরণী
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘মানবিক সহায়তা কর্মসূচির’ আওতায় শুক্রবার খুলনা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে আটশত ৫০, বয়রা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর চত্বরে আটশত ২৫, খালিশপুর প্রভাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে আটশত ৮৬ এবং দৌলতপুর ঈদগাহ প্রাঙ্গণে আটশত ৩০ কর্মহীন ইজিবাইক চালক এবং গৃহনির্মাণ শ্রমিকদের মাঝে আট কেজি করে চালসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সক্ষম ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য ঘরে থাকায় কোন বিকল্প নেই।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মোঃ আরিফুল ইসলাম, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার ঘোষসহ শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান-এর ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ফুলবাড়িগেটস্থ বঙ্গবন্ধু চত্বরে মোট ছয়শত কর্মহীন নি¤œআয়ের শ্রমজীবী, অসহায়, দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে সাত কেজি করে চালসহ আলু, তেল, ডাল, লবণ, সেমাই ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘মানবিক সহায়তা কর্মসূচির’ আওতায় পঞ্চমধাপের নগরীর ৪, ৮, ৬, ১৩, ৯, ২৪, ২৬, ২৩, ২৯, ২২, ২৫ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চারশত ২৮ জন করে মোট পাঁচ হাজার একশত ৩৬ কর্মহীন নি¤œআয়ের শ্রমজীবীদের মাঝে সাত কেজি করে চাল ও সবজি ক্রয়ের জন্য নগদ একশত করে টাকাসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পানে’র কারণে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের মাঝে জেলা রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ
খবর বিজ্ঞপ্তি
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পানে’র কারণে খুলনায় উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের মধ্যে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করেছে খুলনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
খুলনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে যুব রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা দাকোপ উপজেলার সুতারখালি, কৈলাশগঞ্জ, কামারখোলা, বাজুয়া, লাউডোব ও উপজেলা সদরের আশ্রয় কেন্দ্রে ২হাজার প্যাকেট এবং কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি, উল্টর বেদকাশি, কালাবগী ও মহারাজপুরের আশ্রয় কেন্দ্রে ৩হাজার ২শ’ প্যাকেট খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী আশ্রিতদের মধ্যে সরবরাহ করেছে। খুলনা জেলা পরিষদ ও খুলনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ,খুলনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি মকবুল হোসেন মিন্টু, জয়ন্তী রানী সরদার ও ইউনিট কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম পলাশের তত্ত্বাবধানে খাদ্য সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যুব রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করেন।
ভবিষ্যতে যে কোন সংকট ও দুর্যোগে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে এবং কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জেলা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সকল ভয়ভীতি ও মিথ্যাচার উপেক্ষা করে খুলনাবাসীর স্বার্থে সত্যপ্রকাশে পিছপা হবো না, ইনশাআল্লাহ্: নজরুল ইসলাম মঞ্জু
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দেয়া বিবৃতির প্রতিবাদে দেয়া বক্তব্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গঠনমুলক সমালোচনা সহ্য করতে পারে না বলেই ব্যক্তিগতভাবে আক্রমন করে। দেশে চলমান করোনা ভাইরাস সংকটে সরকারের ব্যর্থতা ও জনগন আকাঙ্খা তুলে ধরাই বিএনপির প্রথম কাজ। গত দেড়মাসে সরকারী দলের কর্মী যারা বিগত একদলীয় নির্বাচনে তিনধাপে জনপ্রতিনিধি জনপ্রতিনিধি হয়েছে, তারে হাতে ত্রাণের চাল, তেল আত্মসাতের ভুরিভুরি প্রমান গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। ত্রাণের তালিকা প্রস্তুত ও বন্টনে রাজনীতিকরণের বিস্তর অভিযোগ জনমনে। আড়াই হাজার টাকা বন্টনের একই মোবাইল নম্বর শতবার তালিকায় সে সংবাদও পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু সে বক্তব্যই তুলে ধরেছেন। খুলনার পাটকল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের সংগ্রামে বিএনপি সব সময় তাদের পক্ষে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। উস্কানী নয়; বঞ্চিত শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আন্দোলনের সম্মুখভাগে থাকবেন মঞ্জু।
বিবৃতিতে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, হটাৎ ভেসে আসা অথবা ভূইফোঁড় নেতা নয় মঞ্জু। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে গড়ে উঠা বিএনপির নেতৃত্ব কোন তদ্বীর বা পরিবারের আর্শিবাদে নয়। বিগত কেসিসি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তা টের পেয়েছে। বিএনপি ও মঞ্জুকে হারাতে খুলনায় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে মঞ্জুকে হারাতে হয়েছে। বিবৃতিতে মঞ্জু বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আর জনগনের উপর নির্ভরশীল দল নয়, জনগন বিএনপির সাথে; তা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণে বিএনপির ফটো সেশন করার অভিযোগ সম্পর্কে মঞ্জু বলেছেন, অসত্য কথা বলে বিএনপিকে জনমনে খাটো করার আওয়ামী মিথ্যাচার জনগন বিশ্বাস করে না। আর মঞ্জু জুজু বুড়ির ভয় পায় না। বিএনপি’র ছিদ্র অন্বেষণ না করে নিজেদের ছিদ্র বন্ধ করার পরামর্শ থাকলো।
এ পর্যন্ত খুলনা মহানগরীতে বিএনপি মানবিক সাহায্য কর্মসূচীর মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৫০০জনকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছে। কেবল আজই দিয়েছৈ ৫৫০জনকে। এক্ষেত্রে ত্রাণের তালিকা কি আওয়ামীলীগ কোন কারণে পেতে পারে, এটা চাওয়া তো অভদ্রতা। আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগকে বিবৃতি দেবার ক্ষেত্রে ভাষা প্রয়োগ সংযত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে নিজেদের দেয়া বিবৃতিটি একটু পড়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। কারণ বিবৃতি লেখক অপরিপক্ক রাজনৈতিক কর্মী।
১২শ’ পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন যুবলীগ নেতা পলাশ
খবর বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে খুলনার ১ হাজার ২ শত পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করেছেন খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ। রূপসা, দিঘলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের মাঝে তিনি এ ঈদ উপহার প্রদান করেন। ঈদ উপহার হিসেবে ছিলো- চাল, ডাল, তেল, সেমাই, চিনি, দুধ, বাদাম, কিছমিসসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী। জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রাদুর্ভাবের প্রথম থেকেই খুলনার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, কাঁচা বাজার, রমজান মাসের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ। এবার করোনাভাইরাসের মধ্যেই পবিত্র ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হবে। অনেক পরিবার কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে ও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এসব পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও নগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ।
খুলনা মহানগরীর পাশাপাশি রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়ন, দিঘলিয়ার সেনহাটী ইউনিয়নসহ অন্যান্য এলাকার ১২ শত পরিবারের মধ্যে ঈদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করেছেন। এছাড়াও তিনি আইচগাতী ইউনিয়নের ঋষিপাড়া ৬০টি পরিবার, জেলেদের ৪৪টি পরিবার ও সেলুনের কর্মচারীদের ৩৩টি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এ বিষয়ে খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ জানান, ঈদ মানে আনন্দ। এসময়ে সব পরিবারই নিজেদের সাধ্যমতো ভালো খাবার রান্না করেন। নিজেরা আনন্দ ভাগাভাগি করেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে করোনাভাইরাসের কারণে অনেক কর্মহীন পরিবারের মুখে হাসি ফুটছে না। আনন্দহীন হয়ে পড়েছে তারা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশনা মেনে আমাদের অভিভাবক শেখ হেলাল এমপি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এর সার্বিক পরামর্শে এসব পরিবারকে সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করে যদি মানুষের ভালবাসা পাওয়া যায়, সেটাই বড় পাওয়া। দু:সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আমাদের কর্তব্য। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর সকলে আনন্দের সাথে উদযাপন করুক এটাই আমাদের চাওয়া।
মণিরামপুরে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন বিভাগীয় কমিশনার
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তা-বে যশোরের মণিরামপুরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ডক্টর আনোয়ার হাওলকদার। শুক্রবার (২২ মে) বিকেলে তিনি উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ মোশারেফ সরদারের বাড়িসহ ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী, চালুয়াহাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, বিভাগীয় কমিশনার স্যার আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আম্পানে গাছ চাপা পড়ে নিহত পাঁচ জনের পরিবারসহ উপজেলাজুড়ে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা যেন সঠিকভাবে সরকারি সহায়তা পান। ইউএনও বলেন, দাফন কাপন ও সৎকারের জন্য নিহত পাঁচ পরিবারকে জেলা পশাসকের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। দ্রুত এই অর্থ নিহতদের স্বজনদের হাতে পৌঁছাবে। এছাড়া ওই পরিবারগুলোসহ উপজেলাজুড়ে যাদের বসতঘর ভেঙেছে তাদেরকে সরকারি টিন ও নগদ অর্থ দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। মোবাইল নেটওয়ার্কের কারণে তালিকা এখনও হাতে আসেনি, বলেন ইউএনও। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ফলে বুধবার (২০ মে) রাতভর চলা তা-বে গাছ চাপা পড়ে মণিরামপুরের মশ্মিমনগরের পারখাজুরা গ্রামের ঋষিপাড়ার খোকন দাস (৭০) ও তার স্ত্রী বিজন দাসী (৬০), দফাদারপাড়ার ওয়াজেদ আলী (৫০) ও তার ছেলে ইছা (১৫) এবং একই পাড়ার মৃত জবেদ আলীর স্ত্রী আছিয়া বেগমের (৭০) মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে কয়েকশ’ হেক্টর জমির কলা, পেঁপে, তিলসহ আমের।
রাতের ভোটে নির্বাচিত সরকার জনগনের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে: মঞ্জু
খবর বিজ্ঞপ্তি
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় মত্ত রয়েছে বর্তমান সরকার। করোনা ভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে ব্যর্থ তারা। প্রতিদিন হাজারের উপর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে ২০ থেকে ২৫জন লোক। তিনি বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে যারা জুয়া খেলছে, যারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় ব্যস্ত, তারা কখনোই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। রাতের অন্ধকারে যারা ভোট করে, যাদের ভোট করতে জনগণ লাগে না, তারাই তো জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেই। রাতের ভোটের নির্বাচিতদের জনগণের কাছে তাদের কোন জবাবদিহি নেই বলেই তারা অসহায় দুঃস্থ মানুষের ত্রাণ ও টাকা চুরি করছে। এই দুর্যোগময় মুহুর্তে যে সকল নেতৃবৃন্দ সার্বিক ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছেন তাদেরকে আর ও ঐক্যবদ্ধ ভাবে সমাজের অসহায় দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।
গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা, সোনাডাঙ্গা থানার ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে রহমত পাড়া জামে মসজিদ এলাকায় গৃহবন্ধি দুঃস্থ অসহায় পরিবার গুলোর মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান, আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, একরামুল কবির মিল্টন, শেখ আশরাফ হোসেন, আনিসুর রহমান আরজু, শাহাদাৎ হোসেন বাবলু, হেদায়েৎ হোসেন হেদু, মাসুদ আলম শামীম, শরিফুল ইসলাম সাগর, মোস্তাফিজুর রহমান দিহান, হুমায়ুন কবির, চুন্নি রহমান প্রমুখ।
দুপুর ২টায় মহানগর বিএনপি’র সার্বিক সহযোগিতায় খালিশপুর থানার ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে আলমনগর রোলিং জামে মসজিদের সামনে গৃহবন্ধি অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, মনি, স ম রহমান, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, শাহিনুল ইসলাম পাম্পী, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, আবুল কালাম জিয়া, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, সালাম হাওলাদার, মফিজুর রহমান বিশ্বাস, রুহুল আমিন, তোফাজ্জেল হোসেন, আনজিরা খাতুন, তসির উদ্দিন, আরাফাত মাতব্বর, জাহিদ মল্লিক, হাসিব শেখ, আনসার মল্লিক, লিটু রহমান প্রমুখ।
নগর বিএনপি’র সার্বিক সহযোগিতায় দৌলতপুর থানার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে উত্তর পাড়া কাব মাঠে দরিদ্র অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মোশারেফ হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মুর্শিদ কামাল, শরিফুল আলম, মুজিবর রহমান, সাইফুল ইসলাম মামুন, রুবায়েত হোসেন বাবু, সরদার আরব অলি, আশরাফ হোসেন, আরমান হোসেন, এরশাদ হোসেন, বাবর মোল্যা, নুর ইসলাম প্রমুখ।
পরে নগর বিএনপি’র সার্বিক সহযোগিতায় দৌলতপুর থানার ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে আঞ্জুমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে করোনা ভাইরাসের কারণে গৃহবন্ধি পরিবার গুলোর মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মোশারেফ হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মুর্শিদ কামাল, শেখ ইমাম হোসেন, আরব অলি, জাহিদ হাসান খসরু, মাসুদুর রহমান রানা, খন্দকার লিটন হোসেন, ইকবাল হোসেন, শামীম আজাদ খান মিলু, আসাদুর রহমান প্রমুখ।
সমাজের প্রতিটি সচেতন মানুষের উচিৎ কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো: রাজু
স্টাফ রিপোর্টার
আওয়ামী লীগ নেতা এস এম রাজুল হাসান রাজু বলেছেন, সমাজের প্রতিটি সচেতন মানুষের উচিৎ কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারন খুলনা নগরী লকডউিন চলছে তার ওপর আম্ফান নামক ঘুর্ণিঝড় মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে।
আজ শুক্রবার বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেলের নির্দেশনায় সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম রাজুল হাসান রাজু অসহায় মানুষের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সেমাই চিনি বিতরণকালে এসব কথা বলেন। রাজু আরও বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে মানুষ, ঈদে পরিবার নিয়ে দুমোঠো খেতে পারে তাই এই ঈদ উপহার প্রদান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সোনাডাঙ্গা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হাসান আকাশ, ১৮নং ওয়াড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসিবুর রহমান হাসিব, সনজিত ঘোষ, রুবেল, হাদিউরজামান মিঠু, রিয়াদ শেখ প্রমুখ।
ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতে সেনা সদস্যরা কয়রায়
স্টাফ রিপোর্টার
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাঁধ মেরামতের জন্য সেনা সদস্যদের একটি টিম খুলনার কয়রায় অবস্থান করছে। টিমটি শুক্রবার (২২ মে) সকালে কয়রায় পৌঁছায়। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকালে কয়রায় আসা সেনাবাহিনীর সদস্যরা তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে, মদিনাবাদ মডেল স্কুল, কালনা মাদ্রাসা ও সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সেনা সদস্যরা এখন পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। তারা দ্রুত বাঁধ মেরামত কাজ নিয়ে অগ্রসর হতে পারেন। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কয়রার বাঁধ মেরামতের জন্য ৩শ’ সেনা সদস্য আসার কথা রয়েছে। অগ্রগামী টিম ইতোমধ্যেই কয়রায় অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেছেন।’
ঝিনাইদহের ৮০ ভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর থেকে ঝিনাইদাহ জেলার ৮০ ভাগ এলাকা এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলা শহরের কিছু এলাকায় বৃহস্পতিবার (২১ মে) সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলেও উপজেলা ও গ্রাম এলাকা অন্ধকারে রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারছেন না মানুষ। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা খাবার।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ঝড়ের তা-বে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় দুইশ’ খুঁটি ভেঙে পড়েছে। পিডিবি’র ৩০টি পিলার ভেঙে পড়েছে। এছাড়া তার ছিঁড়ে সঞ্চালন লাইনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রুহুল আমিন বলেন, ‘গত বুধবার থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। আজ দুই দিন পার হলেও বিদ্যুৎ অফিসের কোনও লোকজন খোঁজ নিতে এলেন না। আর ক’দিন লাগবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে তা তো বলা যাচ্ছে না।’
শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, ‘ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অনেক স্থানে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। লাইন স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ অফিসের লোক সংকট হলেও বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্থায়ী লোক নিয়োগ করে দ্রুত লাইন মেরামত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জি এম ইসাহাক আলি জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। লাইন মেরামতের কাজ চলছে। আশা করি, দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. এর নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘ঝিনাইদহ শহর এবং কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। শৈলকুপা ও মহেশপুর শহরে চালু করা যায়নি, কাজ চলছে।’
আম্পানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ৩ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত
স্টাফ রিপোর্টার
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বিভাগের ৩ হাজার খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯ খুঁটি একেবারে ভেঙে গেছে। বাকিগুলো হেলে পড়েছে। পাশাপাশি এক হাজার স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড ও খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শফিক উদ্দিন বলেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২১ জেলায় আম্পানের কারণে ৫৮১টি বৈদ্যুতিক পোল ভেঙে গেছে এবং ১৭৭৬টি পোল হেলে গেছে। এছাড়া ৪৯০ কিলোমিটার কন্ডাক্টর ছিঁড়ে গেছে। ১১৪টি বিতরণ ট্রান্সফরমার বিকল, ৯৬৬টি ইনসুলিটর ক্ষতিগ্রস্ত, ২৩০৬টি পোল ফিটিংস সেট বিকল এবং ৪৬৯টি ক্রনিক টানা ছিঁড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার থেকে মেরামত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ওজোপাডিকোর নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) আবু হাসান বলেন, আম্পানের প্রভাবে বুধবার রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া গ্রিডের দু’টি ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়। ফলে গোটা এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া আলমডাঙ্গা, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও কুমারখালি এই পাঁচটি উপজেলা শহর বৃহস্পতিবার দিনভর বিদ্যুৎ ছিল না। ওইসব এলাকায় রাত ১০টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কুষ্টিয়া শহরে বিকল্প ব্যবস্থায় অর্থাৎ ফরিদপুর এবং ভেড়ামারা থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
খুলনা পল্লী বিদ্যুতের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ত-বে খুলনার ৮টি উপজেলায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ৩ লাখ ১৬ হাজার গ্রাহক দুর্ভোগে পড়েন। ৫০০ খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার (৩০০ খুঁটি ভেঙে গেছে ও ২০০ খুঁটি হেলে পড়েছে) পাশাপাশি ৪০০ স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ পড়ে ক্ষতি হয়েছে বেশি। পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ৬০০ কর্মী মাঠে কাজ করছেন। খুলনার পাইকগাছায় দেয়াল চাপা পড়ে একটি শিশু নিহত হয়েছে। শিশু মিরাজ (৫) পাইকগাছায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফি জানান, আম্পানের তা-ব চলাকালে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাঁদখালী ইউপির কৃষ্ণনগর গ্রামে নানা বাড়িতে মিরাজ ইটের দেয়াল চাপায় নিহত হয়। এসময় তার মা শাবনুর বেগমও আহত হয়। মিরাজ যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বিশোরীপুর গ্রামের জহুরুল শেখের ছেলে।
কুষ্টিয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে কুষ্টিয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতির হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝড়ের তা-বে ভেঙে গেছে অনেক ঘরবাড়ি এবং উপড়ে পড়েছে গাছপালা। তবে জেলায় কোনও প্রাণহাণির ঘটনা ঘটেনি। বিপর্যস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে কুষ্টিয়ায় বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ মে) আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। কুষ্টিয়ার পদ্মা ও গড়াই নদীতে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (সদস্য সেবা) প্রকৌশলী খন্দকার জসীম উদ্দীন জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা গ্রিডের আওতায় দৌলতপুর, ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ২ পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা বিদ্যুৎ ছিল না। পরে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৩ উপজেলার কিছু এলাকা বাদে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। সদর উপজেলায় ১০টি ফিডারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬টি ফিডার চালু হয়েছে। আশা করি শুক্রবারের মধ্যে বাকিগুলো চালু করা সম্ভব হবে। তবে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতেও কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়নি।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বুধবার রাত ১০ থেকে বৃহস্পতিবার (২১ মে) ভোর ৫টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় তুমুল ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়। এতে প্রাণহানির না হলেও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকের বাড়িঘর ভেঙে গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণের কাজ চলছে।
ট্রাকপ্রতি আম মাত্র হাজার টাকা!
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় দীর্ঘ সময় ধরে তা-ব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। ঘূর্ণিঝড়ের তা-বে গোটা জেলা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি সবজি, ধান ও আমসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়া আম ট্রাকপ্রতি হাজার টাকাতেও বিক্রি করতে পারছেন না কেউ কেউ। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, আম সংগ্রহের আগে ঝড় হওয়ায় চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালী আম কোথাও ৮০ ভাগ কোথাও ৯০ ভাগ এবং কোথাও শতভাগ ঝরে পড়েছে। সবমোট ৮৩ ভাগ আমের ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ২৯৯টি আম বাগানে আম চাষ হচ্ছে। ১৩ হাজার ৯৯ জন চাষি আম উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে আরও কয়েক হাজার আম চাষি রয়েছেন। চলতি মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার মেট্রিক টন। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আম পাড়া শুরু হওয়ার কথা ছিল।
গত সপ্তাহে সাতক্ষীরায় কালবৈশাখী ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে পড়া সেই কাঁচা আম ৫ থেকে ১৫ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হয়েছে। করোনা প্রকোপ ও আম্পান আমের চূড়ান্ত ক্ষতি করেছে বলে দাবি করছেন আম চাষিরা।
সাতক্ষীরা সদরের আম চাষি আব্দুল গণি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সব শেষ হয়ে গেছে। পড়া আম কেউ নিতে চাচ্ছে না। যেখানে এক মণ আম ১৫ শ’ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা সেখানে এক ট্রাক আম এক হাজার টাকা দিয়ে একজন নিয়ে চলে গেছেন।’ তিনি সরকারি সহায়তা দাবি করেন।
সাতক্ষীরা সদরের চাষি বিপ্লব দাশ জানান, ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ১২টি বাগান কিনেছিলেন তিনি। সব বাগানের আম ঝরে পড়েছে এক রাতের ঝড়ে। আমের পরিচর্যা বাবদ আরও ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। ঋণ শোধের চিন্তা নিয়ে দিশেহারা তিনি। সাতক্ষীরা তালা উপজেলার আম চাষি ঘোষ বলেন, ‘আমার ১২ বিঘার আম বাগানের একটি গাছেও আম নেই। খরচও হয়েছে অনেক। করোনার পর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে তছনছ হয়ে সব।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান সাতক্ষীরার কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার আম চাষিরা। লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তারা আম চাষে নেমেছিলেন। তাদের অধিকাংশ আম পড়ে গেছে। ৮৩ ভাগ আমের ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে জেলার চাষীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আমরা কৃষকদের পাশি থাকার আশ্বাস দিয়েছি।
ডুমুরিয়ায় প্রবর্তন সম্পাদক মোস্তফা সরোয়ারের ঈদ উপহার বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনার ডুমুরিয়ায় দৈনিক প্রবর্তন সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মোস্তফা সরোয়ার করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নসহ অসহায় দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য দুস্থদের মাঝে তিনি এ ঈদসামগ্রী ও ঈদবস্ত্র বিতরণ করেন। সর্বমোট ২ হাজার পরিবারের মাঝে এ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গফ্ফার, বায়জিদ হালদার, মেহেদি হাসান মিন্টু, তরুণ কুমার তরফদার, যুবনেতা হারুন সরদার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম সরদার, শেখ ওয়াহিদুজ্জমান, রেজাউল হালদার, নজরুল ইসলাম সরদারসহ অসংখ্য নেতা কর্মীরা।
খুলনায় জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদকের ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
খবর বিজ্ঞপ্তি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন মানুষদের মাঝে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীর নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল শুক্রবার খুলনার বটিয়াঘাটা, তেরখাদা, দিঘলিয়া ও ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের কর্মহীন ৬০০টি পরিবারের মাঝে তিনি ঈদের উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক প্রবর্তন সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মোস্তফা সরোয়ার, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নব কুমার চক্রবর্তী, এমএ রিয়াজ কচি, ফারহানা আলিম, আলী রিয়াজ বাচা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান, ওবায়দুর শেখ, মোশারেফ হোসেন, শাহাবুদ্দীন শেখ, ইকবাল হোসেন, আব্দুস সালাম মোল্লা, বিঞ্চুপদ মেম্বর, তরিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা তুহিন মোল্লা, মুকুল শেখ, চেয়ারম্যান জিয়া গাজী, জুয়েল ইসলাম, ঝিলু মুন্সি, আলমগীর মল্লিক, ছাত্রনেতা রাসেল ভুলুসহ অসংখ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সহধর্মিনী রমা অধিকারী গাজীরহাট এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্র নেতা অমিও অধিকারী। উল্লেখ্য, করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে তিনি খুলনার বিভিন্ন উপজেলার কর্মহীন ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন।
শরণখোলায় এমপি মিলনের ত্রাণ বিতরণ
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
শরণখোলায় ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রান বিতরণ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। গতকাল (শুক্রবার) বিকালে সাউথখালী ইউনিয়নের সিএসবি বাজারে এ ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়।
জানা যায়, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ আমিরুল আলম মিলন শরণখোলায় এসে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সাউথখালী, গাবতলা, বগী ও উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের পূর্ব মাথায় ঘুরে দেখেন। তিনি ছয়শত পরিবারের মধ্যে চলা, ডাল, তেল, চিনি, লবন ও সুজি বিতরন করেন। এসময় তার সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা, মোরেলগঞ্জ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন, আওয়ামীলগি নেতা এম এ রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
খুবি স্বাশিপের উদ্যোগে ৩২ জন অস্বচ্ছল কর্মচারিকে ঈদ উপলক্ষ্যে সহায়তা প্রদান
খবর বিজ্ঞপ্তি
করোনা ভাইরাসের বর্তমান মহামারী পরিস্থিতিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) এর উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ জন অস্বচ্ছল অনিয়মিত কর্মচারীকে ঈদ উপলক্ষ্যে সৌজন্য সহযোগিতা বিতরণ করা হয়। সহযোগিতা বিতরণকালে সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, সহ সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাত, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আশীষ কুমাস দাস এবং অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সতর্কতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। স্বাশিপের এই প্রচেষ্টায় সঙ্গে থাকার জন্য সকল স্বাশিপ সদস্যকে সভাপতির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।
ফকিরহাটে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ৫জন সনাক্ত
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মোট ৫জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই এলাকায় এসেছেন। শুধুমাত্র তারাই করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এরা হলেন বেতাগা ইউনিয়নের ধনপোতা-মাসকাটা এলাকায় দুইজন, ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের সিংগাতী গ্রামের দুইজন এবং নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মৌভোগ এলাকায় একজন পুরুষ সহ মোট ৫জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মহিলা একজন শিশুকন্যা রয়েছে। এ উপজেলায় মোট ৬৯+১৬=৮৫জনকে পরিক্ষা করা হলে তাদের মধ্যে ৬৯জনের রির্পোট আসে ও বাকি ১৬জনের রিপোট এখনো আসেনী। তাদের মধ্যে হতে ৫জনের শরীরে করোনা সংক্রামন দেখা দিয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অসিম কুমার সমাদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিরোমণি আহ্ছানিয়া মিশন এর পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় হতদরিদ্রের মাঝে খুলনার শিরোমণি আহ্ছানিয়া মিশন এর প্রতিষ্ঠাতা সুলতানুল আউলিয়া, কুতুবুল আকতাব, গওছে জামান, আরেফ বিল্লাহ হজরত শাহ্ছুফী আলহাজ্ব খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) এর পক্ষ থেকে শিরোমণি আহছানিয়া মিশন এর সভাপতি মীর নাসির উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মীর আব্দুর রউফ ৩’শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। ২২ মে শুক্রবার সকাল ১০টায় ঈদ সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন মানবজমিন পত্রিকার সাংবাদিক গাজী মাকুল উদ্দীন, মীর ফেরদাউস আলী, রোকনুজ্জামান, দেলোয়ার হোসেন, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল একই স্থানে সকাল ১০টায় কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় হতদরিদ্রের মাঝে খুলনার শিরোমণি আহ্ছানিয়া মিশন এর পক্ষ থেকে ৩’শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘ দুই বছর পর শিরোমণি জুট স্পিনার্স মিল শ্রমিকদের ১ সপ্তাহের মুজুরী প্রদান
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
শিরোমণি শিল্পাঞ্চালের বন্ধকৃত ব্যক্তিমালিকানা জুট স্পিনার্স মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের ২বছর পর ঈদের পূর্বে শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বকেয়া মুজুরী বেতনের অনুকুলে ১ সপ্তাহের মুজুরী প্রদান। ২২ মে শুক্রবার সকাল ১০টায় মিল কর্তৃপক্ষ সকল শ্রমিক কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বকেয়া বিল বেতনের অনুকুলে এ মুজুরী প্রদান করেন এবং মিলের উর্ধ্বোতন নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশাসন মোঃ হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন ঈদের ৩ মাস পর মিল চালু এবং শ্রমিক কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে বকেয়া মুজুরী বেতন পরিশোধ করা হবে। এসময় মুজুরী প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন মিলের মহা ব্যবস্থাপক এনামুল হক মুরাদ ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন ভুইয়া। এব্যাপারে সিবিএ সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কালাম আজাদ এই ভয়াবহ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মালিক শ্রমিক কর্মচারীদের কথা বিবেচনা করে এ মুজুরী প্রদান করা হয় । এছাড়া সিবিএ নেতৃবৃন্দরাও বকেয়া মুজুরী বেতন পরিশোধ করায় সন্তষ প্রকাশ করেন। মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব শামস উজ জোহা মিলের শ্রমিক কর্মচারী, কর্মকর্তা সহ বিসিক এলাকার সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন।
কেসিসি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আহম্মদের পক্ষ থেকে ঈদসামগ্রী বিতরণ
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ায় অসহায় হতদরীদ্র , হিজড়া, প্রতিবন্ধী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী মানুষের মাঝে কেসিসি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ শাকিল আহম্মদ ও মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধীকারী মোঃ শেখ সোয়েব এর পক্ষ থেকে ৪র্থ দফায় ২’শতাধিক মানবতার বাজার চাল,ডাল, আলু, শিমাই, চিনিসহ ঈদসামগ্রী উপহার বিতরণ করেন। ২২ মে শুক্রবার দুপুর ১২টায় ফুলবাড়ীগেট জনতা মার্কেটে শাকিলের নিজস্ব অফিস থেকে এসকল ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ জহিরুল ইসলাম পান্নু, আবুল কালাম আজাদ,মোঃ বজলুর রহমান, শেখ আব্দুর রাজ্জাক, আবু হেনা বাবলু, তৌহিদুর রহমান কাজল প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ৩৩নং ওয়ার্ডে শ্রম প্রতিমন্ত্রী’র উপহারের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে খুলনা ৩ আসনের সংসদ সদস্য শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি নগরীর ৩৩নং ওয়ার্ড (যোগিপোল ইউনিয়ন) ও ১৫নং ওয়ার্ড(খালিশপুরে) এর ৬শ পরিবারের মাঝে উপহারের খাদ্যসামগ্রী গতকাল শুক্রবার বিতরণ করেন। সকাল ১১টায় ফুলবাড়ীগেট বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে ৩৩নং ওয়ার্ডের তিনশতটি পরিবারকে এবং তার আগে সকাল সাড়ে ৯টায় খালিশপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ১৫নং ওয়ার্ডের তিনশতটি পরিবারের মাঝে উপহারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এর কারণে মসজিদের ইমাম, খাদেম, মোয়াজ্জিন এবং কর্মহীন ও অসহায় হতদরীদ্রের মাঝে উপহারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত¦াবধনে ছিলেন খুলনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও খানজাহান আলী থানা যুবলীগের আহবায়ক মো. সাজ্জাদুর রহমান লিংকন। খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ন শ্রম পরিচালক খুলনার মো. মিজানুর রহমান, মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, খানজাহান আলী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর এ পি.এস আলহাজ্জ মো. শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, থানা আ’লীগের সহ-সভাপতি সলেমান মুন্সি, ৩৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ইউসুফ আলী খলিফা, সাধারণ সম্পাদক মোড়ল হাবিবুর রহমান, দৌলতপুর থানা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী মাহফুজা শাহাবুদ্দিন, খানজাহান আলী থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান রুপম, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রসুল, খায়রুল ইসলাম, ৩৩নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী রুমা খন্দকার মুন্নি, সাধারণ সম্পাদক অম্বিকা রাণি, আব্দুল কাদের, সাবেক মেম্বর শহিদুল ইসলাম, মাসুম খন্দকার, সুমন খন্দকার, কামরুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, মিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
ইর্ষ্টান জুট মিলে ৫৮০ জন শ্রমিকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ব উপহার সামগ্রী বিতরণ
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস এর কারনে চরম খাদ্রকষ্টে থাকা আটরা শিল্পাঞ্চলের রাষ্টায়ত্ব ইর্ষ্টান জুট মিলের ৫৮০ জন শ্রমিক পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্বউপহার খাদ্রসামগ্রী শুক্রবার বেলা ১১ টায় বিতরন করা হয় ।এসময় উপস্থিত ছিলেন গিলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম, ইর্ষ্টান জুট মিল ডিজিএম ড. মাহফুজুর রশিদ জুলফিকার, ফুলতলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কল্লোল বিশ্বাস , উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা খন্দকার জহিরুল ইসলাম , শিল্প পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আনোয়ার হোসেন, ইর্ষ্টান জুট মিল সিবিএ সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন, সাধারন সম্পাদক ইউসুফ গাজী, বিল্লাল হোসেন, ইদ্রিস আলী, নাজমুল হক , আনোয়ার সর্দার প্রমুখ ।
আওয়ামীলীগ নেতা বেগ খালিদ হোসেনের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস জনিত কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া নি¤œ আয়ের মানুষের মধ্যে খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বেগ লিয়াকত আলীর পুত্র খানজাহান আলী থানা আওয়ামীলীগ নেতা তরুণ সমাজ সেবক বেগ খালিদ হোসেন বাবু যোগিপোল ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ২য় দফায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের মধ্যে ২২ মে শুক্রবার সকাল ১০টায় নিজ বাসভবনে খাদ্রসামগ্রী বিতরণ করেন। তরুণ এ সমাজ সেবক খাদ্রসামগ্রী বিতরণ কালে বলেন সমাজের বৃত্তবান সকলকে এখন কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে এসে দাড়াতে হবে ।
গিলাতলা নজরুল থিয়েটার কাবের সাধারন সম্পাদক রাজার খাদ্রসামগ্রী বিতরণ
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
করোনার প্রভাবে চরম খাদ্যকষ্টে থাকা আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের কর্মহীন মানুষের মধ্যে ৫ম দফায় ব্যক্তিগত অর্থ থেকে শুক্রবার ৫ শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাদ্রসামগ্রী বিতরণ করেছেন । ঐতিহ্যবাহী গিলাতলা নজরুল থিয়েটার কাবের সাধারন সম্পাদক খান রিয়াজুল ইসলাম রাজা । তিনি গতকাল ৪ নং ওয়ার্ডের ১ ও নং বিহারী কলেনি , ৫ নং ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়া , গোলামনগর, পাকার মাথা ও গিলাতলা দক্ষিন পাড়া ৬ নং ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে এ সকল খাদ্রসামগ্রী বিতরন করেন । উল্লেখ্য তরুন এ সমাজ সেবক প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস এর প্রাদুভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এসকল এলাকায় অসহায় কর্মহীন পরিবারের মধ্যে রাতের আধারে ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্র সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন ।
ফুলবাড়ীগেটে আল আমিন কপি হাউজ ও তার বন্ধু মহলের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রামন রোধে ঘোষিত‘‘ ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন’’ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় হোটেল কর্মচারী, রিক্সা-ভ্যানচালকদের মাঝে ফুলবাড়ীগেট আল আমিন কপি হাউজের স্বত্বাধিকারী মোঃ আল আমিন গাজী ও বন্ধু মহলের পক্ষ থেকে ২২ মে শুক্রবার সকাল ৯টায় ফুলবাড়ীগেট এলাকায় বাড়ী বাড়ী যেয়ে ৭০ জন পরিবারের মধ্যে চাল, আলু তেল, পিয়াজ ও ডালসহ খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ আল আমিন গাজী, আল আমিন, হানিফ, পলাশ, হিমেল, বাপন, লিটন, শরিফ, জাকির হোসেন প্রমুখ।
“চটপটি বিক্রেতার মানবেতন জীবন” ফকিরহাটে বসত ঘরের উপর শিরিসগাছ পড়ে ব্যাপক ক্ষতি
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে তিনমাস আগে ঘরের উপর রোপকৃত বড়বড় শিরিসগাছ কেটে ফেলার অনুরোধ করলেও তা না কাটায় প্রচান্ড ঝড়ে সেই গাছ উপড়ে পড়ে বসত ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। এবিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিক শালিস বৈঠকে সিধান্ত গ্রহন করলেও গাছের মালিক তা না মানায় হতদরিদ্র চটপটি বিক্রেতা এখন খোলা আকাশের নিচেই চরম মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুত্রে জানা গেছে,বেতাগা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তালবাড়ি গ্রামের হতদরিদ্র মৃতঃ আজমল গাজীর পুত্র নুর ইসলাম গাজীর বসত ঘরের পাশের্^ একই এলাকার বাসিন্দা মৃতঃ হাফেজ মল্লিকের পুত্র শওকত মল্লিক নিজ সিমানায় বিপুল সংখ্যাক শিরিস মেহগনী ও চম্বল গাছ রোপন করেন। যা এখন বিশাল আকৃতির হয়েছে। সেই গাছ গুলিতে নুর ইসলাম গাজীর বসত ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় তিনি গাছ গুলির ডালপালা কেটে ফেলার অনুরোধ করেন। কিন্তু শওকত মল্লিক সেই অনুরোধ না মানায় বুধবার রাতের ঘুর্ণি ঝড়ে বেশ কয়েকটি শিরিসগাছ উপড়ে পড়ে ঘরের ব্যাপক ক্ষতি করে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ আব্দুর রাজ্জাককে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিলে তিনি স্থানীয় বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে শালিসটি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার নির্দ্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তারা শালিস বৈঠকে সিধান্ত গ্রহন করলেও শওকত মল্লিক তা না মানায় অসহায় পরিবারটি চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এবিষয়ে তিনি উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ফকিরহাটে কওমী মাদ্রাসায় আর্থিক অনুদান প্রদান
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত মানবিক সহায়তা স্বরুপ ১৬টি কওমী মাদ্রাসাকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফকিরহাটে কওমী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ পারভীন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রহিমা সুলতানা বুশরা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নাছরুল মিল্লাত, উপজেলা প্রকৌশলী এম এম এ বকর, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পুষ্পেন কুমার শিকদার, সিনিয়র মৎস্য অফিসার অভিজিৎ শীল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাঈদা দিলরুবা সুলতানা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দোবাশীষ বিশ্বাস। সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পিন্টু রঞ্জন দাশ, খাদ্য পরির্দশক অচিন কুমার দাশ, পল্লী বিদ্যুৎ ফকিরহাট জোনের ডিজিএম আহসানুল করিম তুষার, ইউপি চেয়ারম্যানগনের মধ্যে শিরিনা আক্তার, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ রেজাউল করিম ফকির, কাজি মোঃ মহসিন, এ্যাডঃ হিটলার গোলদার, মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মোঃ ইউসুস আলী শেখ প্রমূখ।
ফকিরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ঘূর্নিঝড় আম্ফানের আঘাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অসংখ্য কাচা পাকা বাড়ী-ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রবল বাতাসে শতশত গাছ ভেংগে ও উপড়ে পড়েছে। গাছ উপড়ে পড়ায় কয়েকটি সড়কও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষি জমির ফসল। ক্ষতিগ্রস্থ স্থান গুলো পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ পারভীন, অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ মোঃ খায়রুল আনাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাঈদা দিলরুবা সুলতানা। তবে তাৎক্ষনিক ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি। এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা প্রদান বিষয়ক ও করোনা দুর্যোাগ পরিস্থিতি মোকাবেলা বিষয়ে সভা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ পারভীন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রহিমা সুলতানা বুশরা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাছরুল মিল্লাত, উপজেলা প্রকৌশলী এম এম এ বকর, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: পুষ্পেন কুমার শিকদার, সিনিয়র মৎস্য অফিসার অভিজিৎ শীল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাঈদা দিলরুবা সুলতানা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দোবাশীষ কুমার বিশ্বাস। সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পিন্টু রঞ্জন দাশ, খাদ্য পরির্দশক ও খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অচিন কুমার দাশ, পল্লী বিদ্যুৎ ফকিরহাট জোনের ডিজিএম আহসানুল করিম তুষার, ইউপি চেয়ারম্যানগন শিরিনা আক্তার, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ রেজাউল করিম ফকির, কাজি মোঃ মহসিন, এ্যাডঃ হিটলার গোলদার, মেঃ শহিদুল ইসলাম ও মো: ইউসুস আলী শেখ প্রমূখ।
চুলকাঠিতে জেলা পরিষদের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি এলাকায় বাগেরহাট জেলা পরিষদের উদ্যোগে অসহায় দরিদ্র ও কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার শেখের সভাপতিত্বে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ মেজবাউজ্জামান টিপু, শিক্ষক তাপস দেবনাথ, ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল খালেক শেখ, যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান শেখ প্রমুখ। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। সদর উপজেলার ভোমরাসহ বিভিন্ন স্থানে বিধ্বস্ত হওয়া ৫টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। এ সময় পরিবার প্রতি দুই বান্ডিল করে ঢেউটিন টিন, নগদ ৩ হাজার টাকা ও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। একসাথে জেলায় গাছের ডাল ভেঙে গায়ে উপর পড়ে মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির পরিবারের মাঝে ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর এই ত্রাণ সহায়তা পৌছে দেন।
এসময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী প্রমূখ।
শরণখোলায় লকডাউনে দোকান খোলায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের শরণখোলায় লকডাউন অমান্য করে দোকান খোলার অপরাধে উপজেলা সদরসহ তিনটি বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় বিভিন্ন ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
ইউএনও জানান, সম্প্রতি শরণখোলা তিনজন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। সংক্রমন রোধে উপজেলার সকল বাজার-ঘাট লকডাউন করে দেয়া হয়। কিন্তু এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে দোকান খোলা রেখে বেচাকেনা করেন। এতে ওই দোকানে ব্যাপক ভিড় হয়। এ কারনে বাজারগুলোতে লোকসমাগম বেড়ে যায়। তাই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সংক্রমন প্রতিরোধ ও নির্মূল আইন ২০১৮ সালের ২৫ ধারায় জরিমানা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের মুদি ব্যাবসায়ী সরোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও হার্ডওয়ার ব্যাবসায়ী নুরুজ্জামান গাজীকে ৪০ হাজার টাকা এবং রাজাপুর বাজারের কাপড় ব্যাবসায়ী মোঃ সেলিম, জুতা ব্যাবসায়ী মোঃ ডালিম হাওলাদার, কাপড় ব্যাবসায়ী ছালাম সর্দার, তুহিন ও আরিফের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা এবং বান্দাঘাটা বাজারের গার্মেন্টস কাপড় ব্যাবসায়ী ইলিয়াস হোসেনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এসময় রফিক হাওলাদারের কসমেটিকসের দোকান সিলগালা করে দেয়া হয়।
শরণখোলায় ৩টি এতিমখানায় সেনাবাহিনীর ঈদ উপহার বিতরণ
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
শরণখোলায় বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসের ৭ পদাতিক ডিভিশনের সেনাবাহিনী ৩টি এতিমখানায় ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন। গতকাল দুপুরে উপজেলার মালিয়া গ্রামের আল-ফালাহ্ ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা, মাহদিয়াত আলী এতিমখানা এবং রাজাপুর নুরানী তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসের ৭ পদাতিক ডিভিশনের সেনাবাহিনী এতিম ও দুঃস্থ শিশুদের জন্য ঈদ উপহার বিতরণ করেন। এসময় লেঃ সাইফুল্লাহ খান স্ব-স্ব মাদ্রাসা প্রধানের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা ও পোলাউ চাল, চিনি, সেমাই সহ ৩৭ কেজি ওজনের একটি করে প্যাকেট তুলে দেন। এসময় শরণখোলা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার অতিশ সরকার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় আলহাজ্জ রহমাতিয়া রহমালী এতিমখানা, আবু হুরাইরা এতিমখানা ও এম.এ আজিজ এতিমখানায় প্রতিটিতে ৫ হাজার টাকা ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
পাইকগাছায় এমপি বাবু’র সহযোগিতায় যুবলীগ নেতা আকরামুলের নেতৃত্বে ১শ ছিন্নমুল মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ
পাইকগাছা প্রতিনিধি
খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু’র সার্বিক সহযোগিতায় যুবলীগনেতা আকরামুলের নেতৃত্বে ১শ ছিন্নমুল মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার জুম্মাবাদ পাইকগাছা থানা বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পাইকগাছা থানার ওসি এজাজ শফী, ওসি (তদন্ত) আশরাফুল আলম, সেকেন্ড অফিসার নিমাই কুন্ডু, এস,আই মিন্টু মিয়া, এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি, সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশ, প্রভাষক মোঃ বাবলুর রহমান, পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী, প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক বুলি, মাহবুবুর রহমান নয়ন, রথিন মন্ডল, দেবব্রত দেবু, সবুজ, মনোজ, সুব্রত, মোঃ রাশেদ বিশ্বাস, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, আজিজুল ইসলাম, শামীম রেজা, সাইফুল্লাহ, শফি, শোভন, রেজা, সুব্রত সানা, রাসেল প্রমুখ।
কপিলমুনিতে জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতারণ করেন পিন্টু
স্টাফ রিপোর্টার, কপিলমুনি
বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেক রহমানের নির্দেশে খুলনা জেলা বিএনপির উদ্যোগে পাইকগাছার ৩টি ইউনিয়নে ঈদ সামগ্রী বিতারণ করা হয়েছে।
শুক্রবার দিনভর জেলার পাইকগাছা উপজেলার উত্তর পাইকগাছার তিনটি ইউনিয়ন লতা, কপিলমুনি ও হরিঢালীতে ৩০০ দুস্থ্য ও কর্মহীন মানুষের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী বিতারণ করা হয়। খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কপিলমুনির প্রেসকাবের সভাপতি শেখ শামসুল আলম পিন্টু দিনভর ৩টি ইউনিয়নে গিয়ে সিমাই, চিনি, বাদাম, কিচমিচ, দুধ, আলু সহ প্রয়োজনীয় ঈদ সামগ্রী বিতারণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা এড. এস্কেন্দার মির্জা, বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি মেম্বর বাদল মোড়ল, সাবেক ইউপি সদস্য শেখ আব্দুল গফুর, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ইব্রাহীম গাজী, ছাত্রনেতা মোঃ আলাল হোসেন, মোঃ কামরুল ইসলাম সহ স্থানীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শামসুল আলম পিন্টু বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেক রহমানের নির্দেশে খুলনা জেলা বিএনপি ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও করোনায় কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে এ আয়োজন করেন। তিনি বলেন, আজ শুক্রবার উত্তর পাইকগাছার তিনটি ইউনিয়নের ৩শ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতারণ করা হয়। আগামীকাল উপজেলার বাকী ইউনিয়ন গুলিতে ঈদ সামগ্রী বিতারণ করা হবে।
মহানগর যুবলীগের সদস্য কাজী কামাল হোসেনর ঈদ উপহার বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার
আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডে সংসদ সদস্য সেখ সালাহ্উদ্দিন জুয়েল, বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল ও নৌ-পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শেখ জালাল উদ্দিন রুবেলের নির্দেশনায় মহানগর যুবলীগের সদস্য কাজী কামাল হোসেনর উদ্যোগে অসহায় মানুষদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ ও যুগ্ম-আহবায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, যুবলীগ সদস্য মো. শওকত হোসেন, মসিউর রহমান সুমন, মাসুর উর রশীদ, রিপন, জাফিউল হক মুরাদ, খন্দকার মাসুম, হিমু চৌধুরী, সুজন প্রমুখ।
যশোরে আবারও করোনা পজেটিভ
যশোর অফিস
খুলনা মেডিকেল কলেজের বৃহস্পতিবার ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১টিকে পজেটিভ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার তিনজন, নড়াইলের তিনজন, যশোরের একজন এবং একটি শৃঙ্খলা বাহিনীতে কর্মরত তিনজন রয়েছেন।
খুলনার যে তিনজনকে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেন, নগরীর গলামারী মোহাম্মদনগর এলাকার ৪২ বছর বয়সী একজন,
সোনাডাঙ্গা সিদ্দিকিয়া মহল্লার ৫৮ বছর বয়সী একজন, ডুমুরিয়া হাশেমপুর এলাকার ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর রয়েছেন।
ওয়ার্কার্স পার্টি নেতার মনিরের মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে খাবার বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
নগর ওয়ার্কার্স পার্টি নেতার মনির হোসেনের মা লাইলী বেগমের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে নগরীর আমতলা মোড় এলাকার এ খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় পার্টির নগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, মরহুমার ছেলে মনির হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পারিবারিকভাবে এ উপলক্ষে দোয়ার আয়োজন করা হয়।
তেরখাদায় “করোনা সেচ্ছাসেবী” সংগঠনের ঈদসামগ্রী বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার
ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) এর “করোনা সেচ্ছাসেবী” খুলনা জেলার উদ্যোগে তেরখাদা উপজেলায় বাঁছাইকৃত ২৫টি হত দরিদ্র পরিবারের খাদ্য ও ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সামগ্রীগুলো বিতরণ করেন সংস্থার খুলনা জেলার জেলা সমন্বয়ক মেহেদী হাসান শেখ।
বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন তেরখাদা থানার সমন্বয়ক মো. মিরাজুল ইসলাম, সদর থানার সমন্বয়ক আল আমিন ইসলাম, খালিশপুর থানার সমন্বয়ক মো. মমিনুর রহমান শেখ, তেরখাদা সেচ্ছাসেবী সদস্য রবিউল ইসলাম রুবেল, লস্কর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, মেহেদি হাসান, এনায়েত হোসেন, প্রসনজিৎ বৈদ্য, রিক্তা খাতুন, কানিজ ফাতেমা, সোহাগ শেখ, মুসাব্বির আহমেদ, মিরান হোসেন, আরিফ রহমান প্রমুখ।
রূপসায় ইয়াবাসহ সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার
রূপসার রহিম নগর কাষ্টম ঘাট থেকে ৪০০পিস ইয়াবাসহ মাদক মামলায় ৯ বছর ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২১মে রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মাদক বিক্রেতা হলেন নগরীর খালিশপুর এলাকার মৃত. আব্দুল আজিজের ছেলে মনিরুল ইসলাম মনির (২৮)।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, ‘মনির একজন মাদক ব্যবসায়ী। আগেও তার নামে মামল রয়েছে। সেই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক ছিলেন। ২১মে রাতে তাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।