খবর বজ্ঞিপ্তি:
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এর সম্ভাব্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগনকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌছানোর উদ্দেশ্যে নৌবাহিনীর খুলনা অঞ্চলের দুটি জাহাজ ১৮মে সকালে নৌ জেটি ত্যাগ করে। জাহাজদ্বয়ের একটি জাহাজ সাতক্ষিরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৫০০০ বাসিন্দা ও অপরটি দুবলার চরে আশ্রয় গ্রহণকারী জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌছানোর জন্য সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়াও ১৮ মে সড়ক পথে ২৪ নৌসদস্যের অপর একটি দল দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কার্যে সহায়তার জন্য সাতক্ষীরা জেলার উদ্দেশ্যে নৌ ঘাটি ত্যাগ করেছে।
দলের সাথে রয়েছে ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম। ইতোপূর্বে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য নিয়োজিত নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট সমূহ বরগুনা ও বাগেরহাট জেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছে। বরিশাল, বরগুনা ও পটুয়াখালীতে টহলরত ০৬টি জাহাজকে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীকালে প্রাথমিক রেসপ›স জাহাজ হিসেবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে ঝড়ের তীব্রতা ও আঘাতের প্রকোপ পর্যবেক্ষণের পর নৌবাহিনীর আরও পাঁচটি জাহাজ বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় ত্রাণ সহায়তা প্রদানে অপেক্ষারত রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ বিস্তির্ণ এলাকায় সমুদ্রের ঘূর্র্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ০৪টি যুদ্ধ জাহাজ খুলনা ও মংলা নৌ
জেটিতে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী ও উদ্ধার সরঞ্জামসহ প্রস্তুত রয়েছে। উলেখ্য পূর্বের ন্যায় নৌবাহিনী ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীকালীন দ্রুততম সময়ে সহায়তা প্রদানের যে ধারা বলবৎ রেখেছে জাহাজ মোতায়েন, উদ্ধারকারী দল, ত্রাণ সহায়তা ও মেডিকেল দল প্রেরণের মধ্যে এরই ধারাবাহিকতায় নৌবাহিনী জাহাজদ্বয়ের ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যে সার্বক্ষণিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।