মোড়েলগঞ্জে সুপার সাইক্লোন আম্ফানে ১৩৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত, ২৮টি গ্রাম হুমকির মুখে

13
Spread the love

সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত নিয়ে শংকা



এম.পলাশ শরীফ, মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি:

করোনা যুদ্ধের মধ্যেই সুপার সাইকোন আম্ফানের সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে উপকূলীয় অঞ্চল বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ১৩৩ টি সাইকোন শেল্টার ও ১৫০টি পাকা ভবন মানুষের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুুত করা হয়েছে।


আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রায় দেড় লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবে। তবে, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা নিয়ে শংকা রয়েছে। নদীর তীরবর্তী ২৮টি গ্রাম হুমকির মুখে। টেইশই ভেরিবাধের দাবী স্থানীয়দের।
সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এ উপজেলায় লোক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। সুপার সাইকোন আম্ফান মোকাবেলা ও য় তি কমাতে পুলিশ, আনছার ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, গ্রাম পুলিশ ও স্কাউটস সদস্যদের সমন্বয়ে ১০ দ্রুত উদ্ধারকারি দল গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ১৭টি।


মঙ্গলবার রাত ৮টায় বাগেরহাট-৪, স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা প্রশাসনের সাথে জরুরী সভা করেছেন। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রস্তুতির বিষয় খোজ খবর নেন তিনি।


কোষ্টগার্ড মোরেলগঞ্জ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ৭নং বিপদ সংকেত ঘোষণার পরেই পানগুছি নদীতে সার্বনিক চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। কয়েকটি সমুদ্রগামী ট্রলার ফেরত পাঠানো হয়েছে।


ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘতে নদীর তীরবর্তী পশুরবুনিয়া, সন্ন্যাসী, খাউলিয়া, গাবতলা, কাঠালতলা, বদনীভাঙ্গা, পাঠামারা, সানকিভাঙ্গা, বারইখালীর কাশমির, ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকা, শ্রেণিখালী, দোনা, কালিকাবাড়ি বহরবুনিয়া, ফুলহাতা, ঘষিয়াখালী, সোনাখালী, দেবরাজ, নতুন বাজার, মিস্ত্রীডাঙ্গা, হেড়মা ও মোড়েলগঞ্জ সদর বাজারসহ কমপে ২৮টি গ্রাম অধীক ঝুকির মধ্যে রয়েছে।


ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার ও চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী খান ও মোর্শেদা আক্তার জানান, দৈবজ্ঞহাটী ওয়াটার অবধা উপ কেন্দ্রের প্রকল্পটি অধিক ঝুঁকিপূর্ন। দেবরাজ নতুন বাজার হয়ে হেড়মা মিস্ত্রীডাঙ্গা এলাকায় ৬শ’ ফুট এলাকাজুড়ে গ্রামবাসি আতংকে রয়েছে, নদীর তীব্র জলোচ্ছাসে ভেঙ্গে যেতে পারে কাচা পাকা রাস্তা ও বাড়িঘর তলিয়ে যেতে পারে শত শত মৎস্যঘের। অরপদিকে পানগুছির তীরবর্তী বলইবুনিয়া ইউনিয়নের শ্রেনীখালী হয়ে দোনা গ্রাম পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার টেকশই ভেরীবাধের দাবি স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে ৫০ একর ফসলী জমি ১৫ একর বসতবাড়ির জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঝড়ের য় তি কমাতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সর্বসাধারণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি খাদ্য সহায়তা হিসেবে ১০০ মন মুড়ি, ২৭ মন চিড়া, ৬০ মন চিনি মজুদ করা হয়েছে। সকল আশ্রয় কেন্দ্রে করোনা প্রতিরোধক সরঞ্জামও মজুদ করা হয়েছে।


২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় সিডর’র আঘাতে মোড়েলগঞ্জে ৯৩ জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক য়তির ঘটনা ঘটে।