মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক (৩২) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একই সাথে উপজেলার মশ্মিমনগর এলাকার এক কাপড় ব্যবসায়ীর (৫০) করোনা পজেটিভ রেজাল্ট এসেছে। শুক্রবার (১৫ মে) রাত ১১টার দিকে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে এমন তথ্য আসে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউএইচও ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মণিরামপুর হাসপাতালের আক্রান্ত চিকিৎসক গত দুইমাস ধরে মণিরামপুরে কর্মস্থলে ছিলেন না। ওই সময়টিতে তিনি যশোর বক্ষবিধি হাসপাতালের অস্থায়ী করোনা ইউনিটে দায়িত্বরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার যশোর সদর হাসপাতালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
আর উপজেলার মশ্মিমনগরে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। মশ্মিমনগরের কাঁঠালতলা বাজারে তার কাপড়ের দোকান রয়েছে।
আক্রান্ত ব্যবসায়ীর স্ত্রী মোবাইল ফোনে জানান, তার স্বামীর পাঁচ বছর ধরে কিডনির সমস্যা। তিনি কলকাতায় চিকিৎসা নেন। গত সপ্তাহে ছয়দিন তিনি জ¦রে আক্রান্ত ছিলেন। পরে বুধবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। ওই দিনই নমুনা সংগ্রহ করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের পরিবেশ ভাল না হওয়ায় ভর্তির কয়েক ঘন্টা পর তারা হাসপাতাল ছেড়ে আসেন। পরে শুক্রবার রাতে তার করোনা আক্রান্তের খবর আসে। এরপর থেকে তাকে বাড়িতে আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে। এখন তিনি সুস্থ আছেন, বলেন আক্রান্ত ব্যক্তির স্ত্রী।
স্থানীয়রা বলছেন সম্প্রতি কাপড় আনতে ওই ব্যক্তি ঢাকার নারায়নগঞ্জে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি করোনা ভাইরাস নিয়ে এসেছেন বলে ধারণা তাদের। তবে তার পরিবারের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে তিনি বাইরে কোথাও জাননি; বাড়িতে থেকে দোকানে বসেছেন।
মশ্মিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, সকালে ওই ব্যবসায়ীর করোনা আক্রান্তের খবর পেয়েছি। এখন তিনি বাড়িতে আছেন। প্রশাসনের লোকজন আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসক তার যশোর শহরের বাসায় এবং মশ্মিমনগরের ব্যবসায়ী তার বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।
শনিবার মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই পর্যন্ত মণিরামপুরে আট জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ছয়জন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফ। বাকি দুই জনের মধ্যে একজন সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ও একজন মশ্মিমনগরের কাপড় ব্যবসায়ী। আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে হাসপাতালের চার স্টাফ করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।