করোনাভাইরাস: ঈদেও যেন স্বাস্থ্যবিধি গুরুত্ব পায়

3
Spread the love

করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী এখনও তার আধিপত্য বজায় রেখেছে। দিন দিন বাড়ছে শনাক্ত এবং মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশে একদিনে শনাক্ত সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে, আবার কোনো দিন থাকছে হাজারের কাছাকাছি। এরমধ্যেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনতার ব্যাপক ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটির মধ্যেই সীমিত আকারে দোকানপাট, শপিংমল এবং মসজিদ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে বাস্তবতার নিরিখে যদিও এই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবুও অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। এজন্য বাড়ছে ভাইরাস বিস্তারের ঝুঁকি। যেমন: ফরিদপুরের কথাই ধরা যাক। চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়: ‘‘ফরিদপুরে ঈদকে সামনে রেখে খুলে দেওয়া মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়ের কারণে দোকানপাট ও বিপনী বিতান খোলার দু’দিনের মধ্যেই আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের এক জরুরি সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে রোববার থেকে শহরের নিউমার্কেটসহ অন্যান্য বিপনী বিতানগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে প্রথম দু’দিনেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ ঝুঁকির আশংকায় সকল মার্কেট ও বিপনী বিতান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’ ফরিদপুরের মতো ঠিক একই কারণে অর্থাৎ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বুধবার থেকে মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে আবার বিপণী বিতান বন্ধ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

করোনাভাইরাসের এমন সংকটময় মুহূর্তেও যদি অসচেতনতা লক্ষ্য করা যায়, তাহলে আমাদের সচেতনতা আসবে কবে? এজন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের আরও কঠোর হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সৌদি আরবের কথা ধরলেও দেখা যায়, মক্কা-মদিনাসহ বিভিন্ন জায়গায় কারফিউ আরও দীর্ঘ হয়েছে। ঈদের সময়ও সেখানে কারফিউ বহাল থাকবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও একই অবস্থা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। শুরু থেকেই এখানে চরম উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এজন্য সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে। করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত তার গতি-প্রকৃতি বদলে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এর বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে তাই সবাইকে কৌশলী এবং ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নাহলে এ যুদ্ধে বিজয়ী হওয়া যাবে না। করোনাভাইরাস এর কাছে নিজেকে এবং স্বজনদের সঁপে দিতে না চাইলে এসব মানতেই হবে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সবাইকে প্রকৃত যোদ্ধার ভূমিকা পালন করতে আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।