স্টাফ রিপোর্টার:
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় খুলনায় ভার্চুয়াল আদালত চালু হয়েছে। তবে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক আইনজীবী বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার থেকে আদালতগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানিতে আইনজীবীরা তাদের মক্কেলদের পক্ষে অংশ নেন।
এদিকে ভার্চুয়াল আদালত শুরুর পর আইনজীবীদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। অনেক আইনজীবী ঠিকমতো বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছেন না।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক আইনজীবী বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। তবে বেশী বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বয়স্ক আইনজীবীরা।
তবে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, ভার্চুয়াল আদালতের নিয়মটি খুব সহজ। কিন্তু এতে অভ্যস্ত না বলে কেউ কেউ একটু অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। দু-একদিনের মধ্যে তারা এতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার থেকে আদালতগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানি শুরু হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত এবং সিভিল কোর্ট বাদে অন্যান্য আদালত চলছে। অচিরেই ওই দুটি কোর্টেও চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আইনজীবীদের জন্য ২০টি কম্পিউটার রয়েছে। যারা তথ্য প্রযুক্তিতে পিছিয়ে রয়েছেন, তারা এর সহায়তা নিতে পারবেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু হওয়ায় মানুষ আইনের সহায়তা নিতে পারছেন।
খুলনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই আদালতে বুধবার ৪১টি মামলার জামিন শুনানি হয়। এতে ৩ টি মামলায় ৩৫ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয় এবং ৬টি মামলায় ৬ জন আসামির জামিন নামঞ্জুর হয়।