ঢাকা অফিস
করোনার ভয়াবহতা সব সেক্টরকে বিপর্যস্ত করে দিলেও কৃষি খাতকে খুব একটা আক্রান্ত করতে পারবে না বলে আমার বিশ্বাস। গ্রামের কৃষক খুবই পরিশ্রমী। তারা এখনও সুরক্ষিত এবং সেটা তাদের পরিশ্রমের কারণেই। বলছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. ইব্রাহিম খালেদ। করানাকালীন পরিস্থিতি এবং সার্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষির ব্যবস্থা নিয়ে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, কৃষি আমাদের অর্থনীতির জন্য যে রতœ, তা করোনাকালেও প্রমাণ মিলছে। অর্থনীতির সব চাকা থমকে গেলেও কৃষি আমাদের আশার আলো জিইয়ে রাখছে। কৃষক পায়ের ঘাম মাথায় ফেলে কাজ করে যাচ্ছে। উদ্বৃত্ত ফসল ফলাচ্ছে। একজন কৃষক শারীরিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ করতে অধিক সক্ষম। অন্তত করোনার মৃত্যুহারে কিন্তু সেটা প্রমাণিত হচ্ছে।
‘করোনা কৃষককে বেশি মাত্রায় আক্রান্ত করতে পারেনি। কৃষি আক্রান্ত হয়নি। তবে গ্রাম এবং কৃষক রক্ষায় আমাদের আরও সচেষ্ট হওয়া দরকার ছিল।’
‘কৃষিকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে না পারা আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় দুঃখের’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, করোনার মধ্যেও কৃষক ফসল ফলাচ্ছে। তারা খাবারের জোগান দিচ্ছে। অথচ কৃষক তার ফসলের দাম পাচ্ছে না। কৃষক রীতিমতো হতাশ। কৃষক হেরে গেলে গোটা অর্থনীতি হেরে যাবে। কারণ আমরা গার্মেন্ট ও রেমিট্যান্স নিয়ে এখন অনেকটাই অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। কৃষিই একমাত্র ভরসা আপাতত। সরকারের উচিত যেকোনো উপায়ে ফসলের মূল্য নিশ্চিত করা। গ্রামের ফসল যেকোনো মূল্যে শহরে আনার ব্যবস্থা করা। এতে গ্রাম-শহর উভয়ই রক্ষা পাবে।
এই বিশ্লেষক মনে করেন, করোনা অর্থনীতির জন্য বিশেষ বার্তা দিচ্ছে, আর তা হচ্ছে গুটিকয়েক মানুষের সম্পদ নয়, অধিক সংখ্যক মানুষের হাতে সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করা। এটি করতে পারলেই আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।