মেহেরপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ঘাস

5
Spread the love

মহাসিন আলী

মেহেরপুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ঘাসের চাষ হচ্ছে। গো-খাদ্যের সঙ্কট ও লাভজনক হওয়ায় চাষিরা ঘাস চাষের দিকে ঝুঁকছেন পড়েছেন। মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ঘাস চাষের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও জেলায় বিভিন্ন মাঠে শত শত বিঘা জমিতে ঘাসের চাষ হতে দেখা গেছে।

বিভিন্ন প্রকারের ঘাসের মধ্যে নেপিয়ার চাষে বেশি লাভ করা যায় বলে চাষিরা মনে করেন। তাই তারা বেশি বেশি নেপিয়ার ঘাসের চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় ১০-১২ হাজার টাকা ব্যয় করে বছরে ৫০-৬০ হাজার টাকার ঘাস বিক্রি করা যায়। ওই ঘাস নিজে খুচরা বিক্রি করলে প্রতি বিঘা ঘাস থেকে ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। মেহেরপুরে উৎপাদিত নেপিয়ার ঘাস জেলায় বিক্রির পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোতেও বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে খৈল, ভূষি ও খড়ের দাম আকাশ ছোঁয়া। খড়ের চেয়ে সবুজ ঘাসে পুষ্টি আর খাদ্যগুণ বেশি। ঘাস খেলে গাভী দুধ বেশি দেয়। তাই খাদ্য ঘাটটির প্রতি অভিযোগ না করে গো খাদ্যের জন্য ঘাসের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে সৌখিন গোবাদি পশু পালনকারি ও খামার মালিকরা।

মেহেরপুর বামনপাড়ার বাসিন্দা মেহের আমজাদ বলেন, ‘বাড়িতে দুটি গরু রয়েছে। মাঠে নিয়ে গিয়ে ঘাস খাওয়ানোর উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়ে ঘাস কিনতে হচ্ছে।’ মেহেরপুর সদর উপজেলার উজুলপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বাড়িতে গরুর ফার্ম করেছি। ২৫টি গরু আছে। ঘাস কেনা ছাড়াও নিজেই ৭/৮ বিঘা জমিতে ঘাস লাগিয়েছি।’

মেহেরপুর শহরের ঈদগাপাড়ার ঘাস চাষি আশরাফুল জানান, এ বছর তিনি নিজেই সাত বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। আর ব্যবসার জন্য আরও ২৫ বিঘা জমির ঘাস অন্য চাষির কাছ থেকে কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি বিঘা জমিতে মাত্র তিন হাজার টাকা খরচ করে ঘাস রোপন করে প্রতি দুমাস অন্তর বছরে ৫-৬ বার ঘাস সংগ্রহ করা যায়।’

শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ বছর ১০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকায় চার বিঘা জমি লিজ নিয়ে ঘাস চাষ করেছি। এতে আমি দুলাখ টাকার ঘাস বিক্রি করতে পারব।’

ওয়াপদাপাড়ার ঘাস ব্যবসায়ি মুক্তি বলেন, ‘অন্যান্য ব্যবসায় পুঁজি বেশি লাগে। শারিরিক পরিশ্রমও করতে হয় অনেক বেশি। সেই তুলনায় ঘাসের ব্যবসায় কম পুঁজি ও কম পরিশ্রমে বেশি লাভ করা যায়। তাই ঘাসের ব্যবসা শুরু করেছি।’