স্টাফ রিপোর্টার:
তেরখাদা উপজেলার নতুন মডেল বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ প্রকল্পের গর্ত ভরাটের জন্য
৫০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ হয়। যার বাজার মুল্যে ১৮লাখ টাকা। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্দির ও ডাকবাংলোর অনুমতি ছাড়া চিত্রা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলণ করে ইউপি সদস্য মো. আরিফুজ্জামান অরুণ অফিসের কর্মকর্তদের যোগসাজসে ১৬লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এঘটনার তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংরক্ষীত ইউপি সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ তেরখাদা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোসা. রিনা বেগম জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।
আবেদন সুত্রে জানা যায়, তেরখাদা উপজেলার নতুন মডেল বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ প্রকল্পের গর্ত ভরাটের জন্য ৫০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ হয়। যার বাজার মুল্যে ১৮লাখ টাকা। কিন্তু ২লাখ টাকায় গর্ত ভরাট করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্দির ও ডাকবাংলোর অনুমতি ছাড়া চিত্রা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলণ করায় ৮০/৯০ ফুট গভীরতা হয়েছে। ফলে পাকা সড়ক ও বহুতল ভবন ধ্বসে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। উক্ত কাজের প্রকল্প চেয়ারম্যান ৫নং তেরখাদা ইউনয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আরিফুজ্জামান অরুণ অফিসের কর্মকর্তদের যোগসাজসে ১৬লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও পানতিতা গ্রামে ২২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ হয়।
কিন্তু উক্ত প্রকল্পের কোন কাজ না করে সম্পুর্ন টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আবেদন পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে ইউপি সদস্য মো. আরিফুজ্জামান অরুণ ইতোপুর্বে ছোট বড় বহু প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে প্রচুর অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছে। এছাড়া সে পুলিশে চাকরি দেয়ার দালালি করতে গিয়ে টাকাসহ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজত খেটেছে। বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ প্রকল্প ও পানতিতা গ্রামে কাজের প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংরক্ষীত ইউপি সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ তেরখাদা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোসা. রিনা বেগম প্রশাসকের নিকট আবেদন করেছেন।
এছাড়া আবেদনের কপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্ণীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য, পুলিশ সুপার, দুর্ণীতি দমন কর্মকর্তা খুলনা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তেলখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ এর বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।