স্টাফ রিপোর্টার:
ঘরে থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কোন মতে যেন আমরা নিজেরা আক্রান্ত না হই অপরকে আক্রন্ত না করি তার দিকে লক্ষ্যে রাখতে হবে। কর্মহীন মানুষের মধ্যে যাদের আর্থিক সংকট রয়েছে তাদেরকে সকলে মিলে সহযোগিতা করতে হবে। মনে রাখতে হবে এই দূর্যোগমোকাবেলা করতে হলে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যা কিছু করিনা কেন তাযেন স্বাস্থ্যবিধির বাইরে না যায়। আমাদের এ যুদ্ধের সবচেয়ে বড় সৈনিক ডাক্তার। তাদের অকান্ত পরিশ্রমে আমরা এই মহামারিকে জয় করতে পারবো নিশ্চয় -এভাবে বললেন জনউদ্যোগ,খুলনার উপহার সামগ্রি বিতরণকালে বক্তারা বলেন।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় বিএমএ মিলনায়তনে করোনা (কভিড-১৯) ভাইরাস মোকামেলায় আইইডি’র সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং খাদ্য ও প্রতিরোধ সামগ্রী সহযোগিতা কর্মসূচির অংশ হিসাবে জনউদ্যোগ,খুলনার আয়োজনে কর্মহীন মানুষের মাঝে উপহার সামগী বিতরণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমএ’র সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম। সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন। সভায় সঞ্চালনা করেন জনউদোগ নারী সেলের আহবায়ক এ্যাড: শামীমা সুলতানা শীলু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখে খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক এ্যাড: আফম মহসিন, জনউদ্যোগ, খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্র নাথসেন, এ্যাড: আফম মুস্তাকুজ্জামান, রিপন কুমার বিশ্বাস, প্রশান্ত হালদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস-যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি হয়েছে দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষের। বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ছড়িয়েছে। ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ – এনসিওভি বা নভেল করোনা ভাইরাস। এটি এক ধরণের করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি। বক্তারা আরো বলেন, মানুষের মধ্যে যখন ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেবে তখন বেশি মানুষকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে তাদের।
তবে এমন ধারণাও করা হচ্ছে যে নিজেরা অসুস্থ না থাকার সময়ও সুস্থ মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে মানুষ। শুরুর দিকের উপসর্গ সাধারণ সর্দিজ্বর এবং ফু’য়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্থ হওয়া স্বাভাবিক।