পাইকগাছা প্রতিনিধি:
দীর্ঘ আড়াই মাস পর পাইকগাছার এক ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী ছেলেকে ফিরে পেলো পিতা-মাতা। রোববার সকালে আরিফের ভাই আফেল চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ভাইকে বুঝে নেয়।
জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিং-এর কতোয়ালী থাকার আলকাজ মিয়ার প্রতিবন্ধী ছেলে আরিফ আহম্মেদ হারিয়ে যায়। সেই থেকে আরিফ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লক্ষ্মীখোলার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান কে,এম, আরিফুজ্জামান তুহিনের দৃষ্টিগোচর হলে ছেলেটিকে তার পরিষদে ডেকে নিয়ে বিস্তারিত পরিচয় জানতে চাই।
শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী আরিফ কোন মতে তার পিতা ও জেলার নাম বলতে পারে। পিতা-মাতার সাথে যোগাযোগের আগ পর্যন্ত দীর্ঘ এ আড়াই মাস যাবৎ সে চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধায়নে তার বাড়ীতে ছিল।
আলোর দিশারী নামে একটি ফেইসবুক আইডিতে কয়েকটি মোবাইল নম্বর দিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। বুধবার ময়মনসিং-এ তার পিতা ছেলের ছবি দেখে চিনতে পারে ও চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে।
পাইকগাছায় স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালিকা ও শ্যালকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে জামাতা থানায় সাধারণ ডায়েরী
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালিকা ও শ্যালকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে জামাতা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে। অভিযোগে দেখা যায়, ২০১৬ সালে প্রেমের ফাঁদে ফেলে উপজেলার মঠবাটী গ্রামের মৃত কওসার আলীর ছেলে কায়ুমকে বিয়ে করেন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের হামিদ গাইনের মেয়ে রোজিনা হামিদ। যাকে নিয়ে ঢাকার মুগদা থানার পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করে। কায়ুম জানায়, বিগত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে একটি মামলায় কায়ুম জেলহাজতে গেলে স্ত্রী রোজিনা তার বাড়ী থেকে নগদ টাকা সহ ৫ লাখ টাকার গহনা, সার্টিফিকেট, এনআইডি ও ব্যাংকের চেক বই নিয়ে চলে যায়। স্ত্রী রোজিনা, স্বামী কায়ুমের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না রাখায় ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে তালাক দেয়। এ ঘটনায় স্ত্রী তার বোন রেহানা খাতুনকে দিয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে ১০ লাখ টাকার মামলা করেছে। এদিকে নানাভাবে জানমালের হুমকি-ধামকি দেয়ায় কায়ুম স্ত্রী রোজিনা হামিদ, শ্বশুর আব্দুল হামিদ গাইন, শ্যালিকা রেহানা খাতুন ও শ্যালক মোঃ মোশারফের নামের থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে। যার নং- ৬৬৮/২০। এ ব্যাপারে রোজিনা হামিদ জানায়, তার কোন কাগজপত্র ঢাকার বাসায় ছিল না। সে আমাকে তালাক দিয়েছে।