বাংলাদেশকে ৩০ হাজার করোনা শনাক্তকরণ কীট সহায়তা দিল ভারত

3
Spread the love

ঢাকা অফিস

মানবিক সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে ৩০ হাজার করোনা শনাক্তকরণ কীট দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সাথে তার মন্ত্রনালয়ে সাক্ষাৎ করে এ কীট হস্তান্তর করেন।

এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে করোনা চিকিৎসায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক,১৫ হাজার হেড কাভার, ৫০ হাজার সার্জিক্যাল গ্লাভস এবং ১ লক্ষ ঐুফৎড়ীুপযষড়ৎড়য়ঁরহব প্রেরণ করা হয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের ফেনী নদী সীমান্ত দিয়ে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করানোর চেষ্টাকে অনাকাঙ্খিত বলে এসময় ড. মোমেন উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, এধরনের ঘটনায় দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে সে বিষয়ে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে সতর্ক করার অনুরোধ করেন মন্ত্রী। ভারত থেকে আমদানিকৃত মালামালসহ পেট্রোপোল সীমান্তে আটকে থাকা ট্রাকসমূহ বাংলাদেশে দ্রুত প্রবেশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন।

ড. মোমেন বলেন,ট্রাকসমূহ আটকে থাকায় বাংলাদেশি আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এসময় রেলপথে উভয় দেশের মালামাল পরিবহনের বিষয়ে ভারতীয়

হাইকমিশনারের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশের আমদানি ও রফতানিকারকদের সমস্যা দূর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মোমেন এসময় উল্লেখ করেন, ভারত থেকে আসা ৬১ জন ড্রাইভার ও তাদের সহযোগীকে মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাদেরকে দ্রুত ভারতে ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশে ও ভারতের নাগরিক কর্মরত আছে, যে সব দেশে উভয় দেশের শ্রমিকরা আর্থিক ও খাদ্য সংকটে আছে তাদের সহযোগিতায় উভয় দেশ একত্রে কাজ করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

যদি কোন শ্রমিক দেশে ফেরত আসে তবে তারা যেন কমপক্ষে ৬ মাসের বেতনের সমপরিমাণ আর্থিক সহায়তা পান সে বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবকে ভারতের হাইকমিশনার স্বাগত জানান।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে সাম্প্রতিক বৈঠকে দেয়া ‘ঈড়ারফ- ১৯ ৎবপড়াবৎু ্ জবংঢ়ড়হংব ভঁহফ’ গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে উল্লেখ করেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের ন্যাম সম্মেলনেও ড. মোমেন ফান্ড গঠনের একই প্রস্তাব তুলে ধরেন, যেখানে ২০ জন রাষ্ট্রপতি, ৭ জন প্রধানমন্ত্রী ও ১০ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন। এ ফান্ডে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা আর্থায়ন করবে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ প্রস্তাবের সাথে ভারতের হাইকমিশনার একাত্বতা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় রীভা গাঙ্গুলি দাস জানান, বাংলাদেশি ডাক্তারদের জন্য ভারত একটি ই-আইটিইসি কোর্সের আয়োজন করছে। এই কোর্সটি ১২-১৩ মে পর্যন্ত ভূবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস কর্তৃক বাংলা ভাষায় পরিচালিত হবে।