খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে দেশে আরও কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে দুজন, মুন্সীগঞ্জে দুই বছরের শিশু ও এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া করোনার হটস্পট নারায়ণগঞ্জে একজন, চাঁদপুরে এক ব্যক্তি এবং নোয়াখালীতে দুজন মারা যায়। এ ছাড়া নতুন করে মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ইন্সপেক্টর, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মীসহ ৩১, যশোরে শার্শার দুই চিকিৎসকসহ ১১, বরিশালে নার্সসহ চারজন, হবিগঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১২, নাটোরের লালপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইঞ্জিনিয়ার, চট্টগ্রামের সীতাকু-ে এক শিক্ষক, লক্ষ্মীপুরে শিশু ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ চার, রংপুরে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সাত, গাইবান্ধায় এক, বরগুনার আমতলীতে মায়ের পর ছেলে, রাজশাহীতে ১৭, ঝালকাঠিতে এক, বগুড়ার সান্তাহারে স্বামীর পর স্ত্রী, চট্টগ্রামের পটিয়ায় ভাবির পর দেবর, কুমিল্লায় কৃষি কর্মকর্তাসহ পাঁচজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় বেশ কয়েকটি পরিবার, গ্রাম ও এলাকা লকডাডউন করা হয়েছে। আক্রান্ত কয়েকজনকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। কেউ কেউ রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। এদিকে করোনা থেকে সতর্ক থাকার অংশ হিসেবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ায় অনেককেই ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। সোমবার রাত ও মঙ্গলবার এসব তথ্য জানা গেছে।
খুলনা: খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে এই করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোঃ আনসার (৫০) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। এরপর বিকেল ৩টার দিকে মারা যান কবির আহম্মেদ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেসিডেন্স ফিজিশিয়ান (মেডিসিন) ও করোনা ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডাঃ শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাগুরা জেলার বাসিন্দা মোঃ আনসার জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা নিয়ে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বাগেরহাট জেলার মংলার চাঁদপাই এলাকার বৃদ্ধ কবির আহম্মেদ ৪-৫ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে তাকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয। এর পর ২টা ৫৫ মিনিটে তিনি মারা যান। মৃত দুজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা জানতে তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ: সদর উপজেলার বাগেশ্বর কমিউমিনিটি কিনিকের সিএইচসিপি (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার) আশরাফ-উল-ইসলাম (৩৬) করোনা উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মারা গেছেন। তিনি বাড়িতে অসুস্থবোধ করায় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের করোনা কেয়ার ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। এখানে অক্সিজেন দেয়া হয়। কিন্তু অবস্থার আরও অবনিত ঘটলে এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়। আইসোলেশন থেকে রওনা হয়ে কিছু সময় এগুতেই না ফেরার দেশে চলে যান।
এছাড়া শ্রীনগর উপজেলার সমসাবাদে করোনা উপসর্গ নিয়ে ২ বছরের এক শিশু মারা গেছেন। গত ২ মেয়ে শিশুটির চাচারও করোনা শনাক্ত হয়।
নোয়াখালী: নোয়াখালীর সেনবাগ ও বেগমগঞ্জে সর্দি, জ্বর, কাশি ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে মঙ্গলবার দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন, সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের চিলাদি গ্রামের নতকুন মোল্লা বাড়ি শাহজাহানের ছেলে সোহেল (২৫) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড জমাদার বাড়ির জয়নাল আবেদিনের ছেলে ইমাম হোসেন (৬০)।