শরণখোলায় দিনমজুরের সম্পত্তি ভাড়া নিয়ে জবর দখল

0
All-focus
Spread the love


শরণখোলায় (বাগেরহাট) প্রতিনিধি


বাগেহাটের শরণখোলায় নার্সারী করার কথা বলে সম্পত্তি ভাড়া নিয়ে তা জবর দখল করার অভিয়োগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। উক্ত পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য এখন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক দিনমজুর পরিবার।
উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর নুর-মোহম্মদ হাওলাদারের স্ত্রী পারুল বেগম (৫৬) অভিযোগ করে বলেন, উত্তারাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত আমার পিতার ভোগদখলীয় ৮নং খাদা মৌজার এস.এ ১৪৯, ১৫০ খতিয়ানের ১৭৬৫ দাগের যার বি.এস. ৩৭৩০ ও ৩৭১১ নং দাগের ০.১১ একর সম্পত্তির মধ্য হইতে ০.০৪৬০ একর ও আমার মাতার ফরায়েজ সুত্রে প্রাপ্ত ০.০০৮৯ একর সম্পত্তি একুনে ০.০৫৪৯ একর সম্পত্তি আমার প্রতিবেশী প্রভাবশালী মোঃ ফজলুল হক হাওলাদার প্রায় ১০বছর পুর্বে বাৎসরিক ৫’শ টাকা হারে নার্সারী করার কথা বলে উক্ত জমি ভাড়া নেয়।
বছর শেষে উক্ত সম্পত্তির ভাড়া বাবদ টাকা চাইতে গেলে ফজলুল হক টাকা পয়সা না দিয়া উক্ত জমি তার বলে দাবি করেন। পরে আমরা জমি দখল নিতে গেলে প্রভাবশালী ফজলুল হক আমাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর আমি সম্পত্তি জবর দখলের বিষয়টি বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি শরনখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম মিমাংসার দায়িত্ব নেন। কিন্তু গত দুই বছরেও উক্ত সম্পত্ত্বি ওই প্রভাবশালীর কবজা থেকে উদ্ধার করা যায়নি। পারুল বেগমের ভাই শাহ আলম বেপারী জানান, আমাদের জমিতে বসত ঘর উত্তোলন করিয়া করিলেও রাতে ঘুমাতে পারছি না। রাত জেগে ঘর পাহাড়া দিতে হয় ওই প্রভাবশালীর ভয়ে।
যে কোন সময় অঘটন ঘটাতে পারে। এ ব্যাপারে ওই গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম হাওলাদার সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, পারুল বেগম সহ তার ৭ভাই-বোন ও মা জমি পাইবে, তবে ওই সম্পত্তির মধ্যে যে কয়টি দলিল আছে তা নিয়ে বৈঠক দিয়ে জমি পরিমাপ করলেই হয়ত পারুলদের জমি উদ্ধার হবে। তবে এ ব্যাপারে মোঃ ফজলুল হক দাবি করেন, আমি ওই দিন মজুর পরিবারের কোন জমি দখল করি নাই। তাদের ৩জন অংশীদারের ১২ শতক সম্পত্বি কবলা রেখেছি। তাও সম্পুর্ন আমার দখলে নেই। অযথা হয়রানি করার উদ্দেশ্যে পারুল আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে। ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই সম্পত্তির একাধিক অংশীদার রয়েছে। এক গ্রুপ রাজি হলে আবার অন্য গ্রুপ রাজি হয় না। যার ফলে সম্পত্তি বিরোধের বিষয়টি নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল-সাইদ জানান, পারুল বেগম আমার কাছে কোন অভিযোগ দেননি। প্রতিপক্ষ ফজলুল হকের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, উভয় পক্ষের কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।