শরণখোলায় পানি সংকটে হাজার হাজার পরিবার

10
Spread the love

শরনখোলায় (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফেলতির কারণে বাগেহাটের শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে পানির জন্য হাহাকার চলছে। স্লুইজ গেইট নির্মানের কাজ প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের কর্তব্য পালনে উধাসীন থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ।

জানাগেছে, ঝড় , জ্বলোচ্ছাস ও বন্যা সহ প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের হাত থেকে উপকুলবাসীকে রক্ষায় ২০১৭ সালে বলেশ্বর নদী সংলগ্ন ৩৫/১ পোল্ডারের ৬৩ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্যর ভেরী বাঁধ নির্মান কাজ শুরু করেন (সি এইচ. ডব্লিউ) নামের চায়নার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । উক্ত বাঁধ নির্মানের পাশাপাশি পানি নিঃস্কাশনের জন্য ছোট -বড় মিলিয়ে উক্ত বাঁধে শতাধিক স্লুইজ গেইট নির্মানের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার গ্রুপ। কিন্তু তদারকির অভাবে গেইট গুলোর নির্মান কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। আবার অনেক স্থানের নির্মান কাজ বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর র্দুভোগ এখন চরম পর্যায়ে পৌছেছে।

Exif_JPEG_420

পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম হওয়ায় প্রকল্পের স্থায়ীত্ব নিয়ে শংঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের শহীদ মিনার এলাকার বাসিন্দা শ্রমিকলীগ নেতা মোঃ তাইজুল ইসলাম মিরাজ বলেন, আমার বাসা সংলগ্ন এলাকার একটি লেক ও পুকুরের পানি ওঠানামার জন্য বলেশ্ব নদীর সাথে ভেরীবাঁধ নির্মানকারি ঠিকাদার গ্রুপ প্রায় ৩মাস পুর্বে একটি স্লুইজ গেইট নির্মান কাজ শুরু করেন। কিছু অংশ করে ঠিকাদার ওই কাজ ফেলে রাখায় স্থানীয় সোনালী মসজিদের মুসুল্লিরা সহ পাঁচ শতাধিক পরিবার এ রমজান মাসেও পানির জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঠিকাদারের গাফেলতির পাশাপাশি কাজ দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের উদাসিনতার কারণে এখন রান্না-বান্না ,ওযু-গোসল সহ দৈনন্দিন কাজের জন্য কোন পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এ গেইটটির কাজ দ্রুত শেষ করে পানি ছেড়ে দেয়ার জন্য উপজেলার (ইউ এন ও) স্যার কয়েকবার ফোন করলেও কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া মেলেনি। এছাড়া ঠিকাদার গ্রুপের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে বাঁধ সহ স্লুইজগেট গুলো টেকশই না হলে শরণখোলা বাসীর দুর্ভোগ থেকেই যাবে ।

অপরদিকে, রায়েন্দা বাজার শহর রক্ষা বাঁধ কমিটির আহবায়ক প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা এম এ রশিদ আকন বলেন , পানি শুন্যতার কারণে মানুষের মধ্যে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি বাঁধ নির্মান কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কাছে বার বার অনুরোধ করেছি কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে তাদের ইচ্ছা মতো কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। এখন পানির জন্য জনসাধারনকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প কোন পথ দেখছিনা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, বিষয়টি নিয়ে চায়না ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের সাথে শীঘ্রই বৈঠক করে পানির সংকট নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে ।

অন্যদিকে , প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, রায়েন্দা বাজারের ওই গেটটি নির্মানে একটু ত্রুটি হওয়ায় কাজ সাময়িক বন্ধ আছে। তবে, মসজিদের মুসল্লিসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের পানির দুর্ভোগ সমাধানে চেষ্টা চলছে ।