সারা খুলনা অঞ্চলের খবর

19

খুলনা ও মোংলায় নৌবাহিনী কতৃর্ক ত্রাণ ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ

খবর বিজ্ঞপ্তি

ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। লকডাউনে আটকে পরা  অসহায়, দুস্থ ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, ইফতার সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌছানোসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণুনাশক ছিটানো, জনসাধারণের মাঝে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নৌ ঘাঁটি তিতুমীর কর্তৃক খালিশপুরের আলমনগর নিউজপ্রিন্ট সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত ২০০ গরীব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া নৌ ঘাঁটি সোলাম কর্তৃক জিরোপয়েন্ট ও লবণচরা এলাকায় ১০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। একই সময় নৌঘাটি মংলা কর্তৃক বাজুয়া এলাকায় দরজায় দরজায় গিয়ে ২০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বানৌজা ওমর ফারুক কর্তৃক শৈলপুর ঘাট এলাকায় ২৫০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিএসও খুলনা কর্তৃক শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘরহীন ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ৪০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অপরদিকে মোতায়েনকৃত নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় টহলের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এসময় ২০৬৪টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সহায়তা ও ২০০টি জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে। এসময় মুদি দোকান ও ষ্টেশনারি দোকান খোলা রাখার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আট হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা করা হয়। সাধারণ জনগণকে কাঁচা বাজার, ঔষধের দোকান ও মসজিদ ব্যবহারে সরকারী নীতিমালা অনুসরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। একই সাথে অনুমোদিত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দোকান নির্দিষ্ট রুটিন সময়ের পর বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে। নৌ কন্টিনজেন্ট মংলা জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিগরাজ বাজার, মংলা বন্দর, চিলা, সুন্দরবন, বুড়িরডাঙ্গা ও চরকানাই এলাকায় টহল পরিচালনা করে। এ সময় ২৫৪টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সহায়তা প্রদাণ ও ১০০টি জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে। এসময় বিভিন্ন প্রকার দোকান খোলা রাখার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দুই হাজার একশত টাকা জরিমানা করা হয়

রুপসায় দুঃস্থ অসহায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে ২য় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার ত্রান সামগ্রী বিতরণ

খবর বিজ্ঞপ্তি

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে রুপসা তেরখাদা দিঘলিয়ার গণমানুষের প্রিয়নেতা কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক, ছাত্রদলের সাবেক সফল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জননেতা আজিজুল বারী হেলালের পক্ষে ২ এপ্রিল শনিবার দিনব্যাপি খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের উদ্যোগে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারনে জাতীর মহাদূর্যোগে কর্মহীন গৃহবন্দী পরিবারের মাঝে ২য় পর্যায়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন। খাদ্য সামগ্রী বিতরন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পি, জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস মল্লিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ তৈয়েবুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান রনু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিন, জেলা মৎসজীবি দলের ১ম যুগ্ম আহবায়ক আজিজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনো, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মন্জুর আরেফিন, জেলা বিএনপির সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাসুদ জুমাদ্দার,  বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান, আবুল কাশেম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইদ্রিস আলী,দপ্তর সম্পাদক মোঃ রেজাউল ইসলাম, রুপসা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোশারফ শিকদার, রুপসা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, রুপসা উপজেলা শ্রমিকদলের আহবায়ক লাবু মেম্বার, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান বেল্লাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক জহিদ মোল্লা, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তারেক, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাসুদুর রহমান, রুপসা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌস, রুপসা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল ইসলাম খোকন, রপসা উপজেলা ছাত্র দলের  সদস্য সচিব রাসেল সেখ, যুগ্ম আহবায়ক ইমতিয়াজ সুজন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাজু মল্লিক, শাহিন, বেল্লাল হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রনি জুমাদ্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহামুদ সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন সহযোগী নেতৃবৃন্দ।

মণিরামপুরে দায়িত্বপালনকালে পিয়নের হাতে ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের মণিরামপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এক দোকানির হাতে মশ্মিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লাঞ্চিত হয়েছেন। ঘটনাটি ওই ইউনিয়নের পারখাজুরা বাজারের। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফীকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ চেয়ারম্যানের।

অভিযোগ করা হচ্ছে, দোকানপাট বন্ধ রাখার সরকারি আদেশ থাকলেও ওই বাজারের তেল ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান দোকান খোলা রেখে লোক সমাগম করছিলেন। শুক্রবার (১ মে) সকাল নয়টার সময় আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে লুৎফর রহমানকে দোকান বন্ধ করতে বলেন চেয়ারম্যান আবুল হোসেন। ওই সময় দোকান বন্ধ না করে বরং লুৎফর রহমান, তার পিতা জামাল উদ্দিন ও ছোটভাই অপু মিলে চেয়ারম্যানকে লঞ্চিত করে।

চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফীকে জানালে তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি সবকিছু শুনে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বিস্তারিত ইউএনওকে জানিয়ে ফিরে আসেন।

চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের অভিযোগ, লুৎফর মণিরামপুর এসিল্যান্ড অফিসের কর্মচারী হওয়ায় ক্ষমতা দেখিয়ে দোকান বন্ধ না করে আমার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ফিরে যাওয়ায় ইউনিয়নের দোকানদাররা এখন আর চেয়ারম্যানের কথা শুনছেন না। আজ (শনিবার) দুপুরের সময়ও লুৎফর দোকান খুলে রেখেছে। তার দেখাদেখি অন্যরাও দোকান খুলে বসে আছেন।

আবুল হোসেন বলেন, ইউনিয়নের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আমি। আমি নিজের কাজে ওখানে যাইনি। সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে লুৎফরকে দোকান বন্ধ করতে বলেছি। কথা না শুনে উল্টো সে আমার উপর চড়াও হয়েছে। অন্য দোকানদাররা যখন দেখলো দোকাল খোলা রাখলেও লুৎফরের কোন সাজা হচ্ছে না তাই তারাও দোকান খুলে বসে আছেন,দাবি চেয়ারম্যানের।

চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি ইউএনওকে জানানোর পরও কোন ফল আসেনি। তিনি পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত আমি আর এই ব্যাপারে কোন দায়িত্ব পালন করবো না।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ইউএনওর দোহাই দিয়ে দোকান বন্ধ করতে বলার পর ইউএনওকে নিয়ে কটুক্তি করে লুৎফর। এক পর্যায়ে সে চেয়ারম্যানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হয়ে লুৎফরের ক্ষমতার উৎস্য কোথায় তা জানার আগ্রহ স্থানীয়দের।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে মশ্মিমনগর ইউনিয়নে কেউ আর লকডাউন মানছেন না। শুক্রবার সন্ধ্যায় মুসল্লিদের মসজিদে ভিড় করতে নিষেধ করায় চাকলা এলাকায় লুৎফর রহমান নামে এক মসজিদের মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে,বলেন চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।

তবে মণিরামপুর এসিল্যান্ড অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার দোকান বন্ধ করা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান আবুল হোসেন আগে লুৎফরের পিতার গায়ে হাত তোলেন। তারপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।

এই বিষয়ে জানতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদারের মোবাইলে কয়েকদফা কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, চেয়ারম্যান ঘটনাটি আমাকে বলেছেন। ঘটনা তদন্তে উপজেলার এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি রিপোর্ট দিলে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি আদেশ না মেনে কেউ দোকান খোলা রাখলে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নেবে, বলেন ইউএনও।

খুলনাবাসীর প্রতি মানবিক সাহায্যের আবেদন: ইফতার মাহফিলের অর্থ নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে প্রদানে সকল সংগঠনের প্রতি খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বান

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা মহানগর বিএনপি নগরবাসীর প্রতি আবারও করোনায় কর্মহীন গৃহবন্দী দরিদ্র্য মানুষের জন্যে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন, সমিতি, কাব, ব্যাংক-বীমা, টেলিকম কোম্পানী, সরকারি-আঁধা-সরকারি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কল-কারখানা মালিকরা প্রতি বছর মাহে রমজানে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করি ইফতার মাহফিলে; আসুন এই করোনা মহামারীতে আমরা সেই অর্থ নি¤œ আয়ের মানুষকে প্রদান করে তাদের মুখে হাসি ফোঁটাই। শনিবার ( ২ মে) খুলনা মহানগর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে এই মানবিক আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দ শতকরা ২০ভাগ; তাও আবার রাজনৈতিক চশমায় দেখে বন্টন ও সরকারের মিডিয়ায় প্রচারণা বেশি। করোনা ভাইরাসের রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে, না খেয়ে কাউকে মরতে দেব না, সবই ‘বজ্র আটুনি ফসকা গেরো’র মতো। বাস্তবতা এই যে চিকিৎসার বেহাল অবস্থা ও খাদ্য অপ্রতুল; সিংহভাগ মানুষ না খেয়ে নিদারুণ কষ্টে আছে। প্রত্যহ ভূবুক্ষ মানুষ বিক্ষোভ করছে, কোথাও কোথাও কখনো কখনো চালের গাড়ীতে হামলা করছে।

বিবৃতিতে নেতবৃন্দ মানবিক খুলনাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, রাষ্ট্রের দিকে না তাকিয়ে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াই। এই মাহে রমজানে ঈদকে সামনে রেখে সে প্রস্তুতি আমাদের থাকতো- বাড়ীতে

ভূরিভোজের ব্যবস্থা ও নতুন পোশাক/কাপড়ের আয়োজন। এবার দেশের এই সংকটকালে গরীব-দুঃখী মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে সব অনুষ্ঠান ও অলংকরণ বন্ধ করে সেই অর্থ আর্তমানবতার সেবায় ব্যয় করি। আসুন আমরা আরও মানবিক হই। আল্লাহ্ আমাদের সহায় হউন। বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপি’র চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, আব্দুল জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, মোঃ ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।

সুন্দরবনের ডিমের চরে ফাঁদসহ হরিণ শিকারী আটক

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ডিমেরচর থেকে দু’ হরিণ শিকারীকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৫’শ ফুট নাইলনের ফাঁদ উদ্ধার করা হয়। আটককৃত শিকারীরা হচ্ছে, পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা স্লুইস এলাকার খালেক মুন্সির ছেলে শফিক মুন্সি (২৮) ও বাদুরতলা গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদারের পুত্র মনির হাওলাদার (২৭)। শুক্রবার দুপুরে তাদের আটক করে বনে তল্লাশী চালানো হয়। পরে বনরক্ষীরা শিকারীদের গতকাল শনিবার দুপুরে তাদের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসে।

বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বনরক্ষীরা ডিমেরচরে অভিযান চালায়। শুক্রবার ভোররাত থেকে বনে তল্লাশী চালানোর পরে দুপুরে ওই দু’ শিকারীকে আটক করতে সক্ষম হন তারা। এসময় হরিণ শিকারের জন্য বনের মধ্যে পেতে রাখা ১৫’শ ফুট নাইলনের ফাঁদ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই ফাঁদে কোন হরিণ ধরা পরেছে কিনা তা খুঁজতে সাড়াদিন বনে তল্লাশী চালান তারা। তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ সুন্দরবনের চরখালী থেকে ৫’শ ফুট, ১০ এপ্রিল কচিখালী থেকে ৫’শ ফুট, ১৭ এপ্রিল চান্দেশ্বর থেকে ৭’শ ফুট এবং ২৩ এপ্রিল শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রাম থেকে ১০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করে বনরক্ষীরা।

করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে সোলাদানা ও গদাইপুর ইউনিয়ন গ্রাম আদালত সহকারীবৃন্দ

পাইকগাছা প্রতিনিধি:

পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ও গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়োজিত গ্রাম আদালত সহকারীরা মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। স্থানীয় সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে সহযোগী সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন’র সার্বিক পরিচালনায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডে দিন-রাত্রি ছুটে চলেছেন তারা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরামর্শে ও উপজেলা সমন্বয়কারী মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে গ্রাম আদালত সহকারীরা নিজ নিজ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণু নাশক স্প্রে, বাজারে মুদির দোকানের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চুনের বৃত্ত তৈরি, লিফলেট বিতরণ, মাস্ক বিতরণ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণে সহযোগিতা করে চলেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা সমন্বয়কারী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গ্রাম আদালতের সহকারীবৃন্দ নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের জন্য নি:স্বার্থে কাজ করাটা সত্যিই প্রশংসনীয়’।

মোংলায় বিদেশী এলপিজি জাহাজ থেকে তেল পাচার: রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

আবু হোসাইন সুমন, মোংলা

মোংলা বন্দরে আগত বিদেশী এলপিজি জাহাজ থেকে বিভিন্ন ধরণের জ¦ালানী তেলসহ মূল্যবান মালামাল প্রতিনিয়ত কালো বাজারে দেদারছে পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে সরকার মোটা অংকের শুল্ক আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বন্দরে আসা বিদেশী এলপিজি জাহাজে কাস্টমসের পিও (প্রিভেন্টিভ অফিসার) থাকা সত্বেও কিভাবে তেল পাচার হয় তা নিয়ে এবং কাস্টমসের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মোংলা কাস্টমস হাউসের যুগ্ন কমিশনার মোঃ সেলিম শেখের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বন্দরের হারবার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৩০টি এলপিজি জাহাজ এ বন্দরে এসে থাকে। গত এপ্রিল মাসেও ২৪টি জাহাজ এলপিজি নিয়ে এ বন্দরে ভিড়েছে। এসব জাহাজ থেকেই মূলত তেল পাচার করে থাকে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীরা। এ সকল জাহাজ হতে রাতে অন্ধকারে ২০ থেকে ৫০টন তেল (ডিজেল, মোবিল) পাচার করে থাকে সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারী চক্রের সদস্যরা।

অভিযোগ উঠেছে, কতিপয় স্থানীয় শিপিং এজেন্টের যোগসাজসে মোংলার মামার ঘাট সংলগ্ন রিজেকশন গলির প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি এ তেল পাচার কারবার করছেন। এক শ্রেণীর অসাধু শিপিং এজেন্ট অতি মুনাফার আশায় অবৈধ এ কারবারে সরাসরি সহযোগীতা করছেন জাহাজের নাবিকসহ সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্রকে। এ ব্যপারে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক অভিযোগ করেও কোন সূরাহ হয়নি। যে কারণে আর্ন্তজাতিকভাবে এ বন্দরের সুনাম ক্ষুন্নের আশংকা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এ্যাশোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোঃ রফিকুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, বন্দর আইনে নিয়মই আছে জাহাজে ওয়াচম্যান বুকিং দিতে হবে, যদি কোন শিপিং এজেন্ট এ আইন অমান্য করে থাকে তাহলে লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হবে।

এদিকে মোংলা বন্দর ষ্টিভিডরিং ওয়াচম্যান ওয়েলফেয়ার সংঘের সভাপতি গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, গত এক মাসে এ বন্দরে যে এলপিজির জাহাজ এসেছে তার মধ্যে অন্তত সাতটি এলপিজি জাহাজে ওয়াচম্যান বুকিং দেওয়া হয়নি। আর ওই জাহাজগুলোতে ওয়াচম্যান না দেয়ার সুযোগেই স্থানীয় গ্লোবাল শিপিং, টি, এশিয়া শিপিংসহ বেশ কয়েকটি শিপিং এজেন্টের যোগসাজসে মোংলার রিজেকশন গলির মাফিয়া প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা ওই সাতটি জাহাজ থেকে তেল, মোবিলসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ পাচার করে কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, শনিবারও (২ মে) মোংলা বন্দরে দুইটি গ্যাসের জাহাজ রয়েছে যাতেও ওয়াচম্যান নেয়া হয়নি। একটি পশুর চ্যানেলের হারবার জেটিতে আর একটি সুন্দরতলায় রয়েছে। এ জাহাজ দুইটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টি,এশিয়ার। রবিবার (৩ মে) এলপিজি নিয়ে যে জাহাজটি বন্দরে আসার কথা রয়েছে সেটিরও স্থানীয় শিপিং এজেন্ট গ্লোবাল শিপিং। বিশেষ করে এই দুই শিপিং এজেন্টের বিরুদ্ধে মুলত জাহাজে ওয়াচম্যান না নেয়া ও যোগসাজসে তেল পাচারে চোরাকারবারীদের সহায়তার অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে জাহাজে ওয়াচম্যান বুকিং (নিয়োগ) করা থাকলে এসব পাচার কাজ কোনভাবেই সম্ভব হতো না বলেও জানান গোলাম মোস্তফা। কিন্তু বন্দরের আইনে নিয়ম থাকলেও স্বার্থন্বেষি কতিপয় কিছু শিপিং এজেন্ট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তারা জাহাজে ওয়াচম্যান বুকিং (নিয়োগ) দিচ্ছেন না। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনে (মোংলা সদর দপ্তর) একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তারা।

অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) অপারেশন কর্মকর্তা লেঃ ইমতিয়াজ আলম বলেন, চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে, তারপরও অভিযোগের ভিত্তিতে মোংলা বন্দরে তেল চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

অভিযোগ পেয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টারও। হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, যেসব শিপিং এজেন্ট জাহাজে ওয়াচম্যান বুকিং (নিয়োগ) দেননি, তাদের তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর বন্দরে আগত বিদেশী জাহাজ থেকে তেল পাচার ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীদের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হবে বলেও জানান বন্দরের পদস্থ এই কর্মকর্তা।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোংলার রিজেকশন গলির কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, বন্দরে আগত বিদেশী এলপিজি জাহাজে বাজার সরবরাহের নামে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী প্রতিদিনই ওইসব জাহাজ থেকে তেল পাচার করে তা কালো বাজারে বিক্রি করছেন। একই সাথে তারা জাহাজের মূল্যবান মালামালও চুরি করে নিয়ে আসছেন। এসব করে তারা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

মোংলা বন্দর উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দল খালেক বলেন, যেসব চোরাকারবারি জাহাজে ব্যবসার নামে এই বন্দরকে আর্ন্তজাতিকভাবে হেয় করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হবে।

পাটকল শ্রমিক ও তাদের পরিবারের মাঝে সিটি মেয়রের আর্থিক চেক বিতরণ

তথ্য বিবরণী

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার সকালে খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে খুলনা জেলার ৩২ জন অসহায় পাটকল শ্রমিক ও তাদের পরিবারের মাঝে চার লাখ ৮০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এসব চেক অসহায় পাটকল শ্রমিক ও তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেন।

চেক বিতরণকালে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহয়তা প্রদানের লক্ষ্যে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শ্রমিকদের জন্য শ্রমনীতি ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষিত, বঞ্চিত ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন।

চেক বিতরণকালে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সিটি মেয়র দৌলতপুর সরকারি বিএল কলেজ চত্বরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘বেসরকারি মানবিক সহায়তা সেল’-এর আওতায় তিনশত ২৩ নি¤œআয়ের কর্মহীনদের মাঝে সাত কেজি করে চালসহ, শাক, লাউ, করলা ও ঢেঁড়শসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

৯৫ তে-ও জোটেনি ভাতা !

আনোয়ার হোসেন, মণিরামপুর (যশোর)

জন্মসনদ হিসেবে বয়স ৮৮ বছর। কিন্তু নিজের হিসেবে হাছিনা বেগমের বয়স দাঁড়িয়েছে ৯৫ তে। এই বয়সেও ভাতা জোটেনি তার কপালে। যদিও সরকারি নিয়মে ৬৩ বছর বয়সেই ভাতা পাওয়ার কথা ছিল হাছিনা বেগমের। ভাতার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে বহুবার ঘুরেছেন হাছিনা বেগম। প্রতিবারই তাদের লোভের কাছে হেরেছেন তিনি। স্বামী হারা এই নারী একাধারে বৃদ্ধা, বিধবা ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তিন ধরণের ভাতা পাওয়ার যোগ্য তিনি। তারপরও নিজের জন্য জুটাতে পারেননি একটি ভাতার কার্ড। এখন বোঝা হয়ে পড়ে আছেন ছোট ছেলে ভ্যান চালক রফিকুল ইসলামের ঘাড়ে।

হাছিনা বেগম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সরসকাঠি গ্রামের মৃত মালেক গাজীর স্ত্রী। ঠিক কত বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন সেটাও মনে করতে পারেন না। দুই ছেলে থাকতেও স্বামী চলে যাওয়ার পর থেকেই অন্যের বাড়ি কাজ করতেন তিনি। পরে বড় ছেলে ভ্যানচালক আব্দুল খালেকের কাছে থেকেছেন কিছুদিন। কয়েক বছর আগে বড় ছেলে অসুস্থ হয়ে মারা যান। তার একবছর আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান আব্দুল খালেকের স্ত্রী হাজিরা বেগম। তারপর থেকে নানা রোগব্যাধি নিয়ে ছোট ছেলের সংসারে পড়ে আছেন হাসিনা বেগম।

হাছিনা বেগমের ছোট ছেলে রফিকুল ইসলামের বয়স ৬৩ বছর। তিনিও ইতিমধ্যে ভাতা পাওয়ার যোগ্য হয়েছেন। ভ্যান চালিয়ে কোন রকমে স্ত্রী সন্তানদের মুখে আহার দিতেই কষ্ট হয় তার। বৃদ্ধা মায়ের বোঝা তিনি টানবেন কি করে!

করোনা ভাইরাসের কারণে গত দেড়মাস ধরে ঠিকমত ভ্যান টানতে পারেন না রফিকুল। বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিন কাটালেও সরকারি কোন ত্রাণ জোটেনি তার ভাগ্যে।

হাছিনা বেগম অভিযোগ করেন, ছেলেরা গরিব হওয়ায় এর ওর বাড়ি কাজ করে খেতাম। চোখ নষ্ট হওয়ার পর এখন আর কাজ করতি পারিনে। আমাদের ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর সুফিয়া বেগমের কাছে গিলাম। মেম্বর তিন হাজার টাকা চাইলো; দিতি পারিনি। আমি গরিব মানুষ; টাকা পাব কনে।

রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে কয়দিন আগে ডাকিলো; যাইনি। অনেক হাঁটিছি ; কিছু পাইনি। এখন আর হাঁটুতে বল পাইনে, বলেন বৃদ্ধা হাছিনা।

হাছিনা বেগমের পোতা ছেলে শাহিনুর হোসেন বলেন, দাদি এখন খুব অসুস্থ। আব্বার মত আমরা দুই ভাইও ভ্যান চালাই। নিজেদের চলা কষ্ট। দাদিরে দেখব কি করে।

শাহিনুর আক্ষেপ করে বলেন, দাদির জন্য অনেকের হাত-পা ধরিছি। কাজ হইনি।

হাছিনা বেগমের মত সরসকাঠি-কাশিমপুর গ্রামে অনেক বয়স্ক নারী পুরুষ ভাতার যোগ্য হলেও তারা ভাতা পান না। যদিও ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আমিনুল হাসান শিল্পির মায়ের নামে ভাতার কার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

রোহিতা ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মী সাধনা অধিকারী বলেন, আমিতো ওইভাবে খোঁজ নিইনে। চেয়ারম্যান-মেম্বররা যে তালিকা দেয়; তা নিয়ে কাজ করি।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত সংরক্ষিত (৭,৮ ও ৯) ওয়ার্ড মেম্বর সুফিয়া বেগম বলেন, আমি ওনাকে চিনি না। আমি গরিব হতে পারি কিন্তু টাকার প্রতি আমার লোভ কম।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল হাসান শিল্পি বলেন, নতুন করে যাচাই-বাছাইতে আমার ওয়ার্ডের বয়স্কভাতার জন্য আট জনের আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু হাছিনা বেগমের নাম দেওয়া হয়নি। তখন উনি বাড়ি ছিলেন না।

মেম্বর বলেন, আমার হাতে মৃত ব্যক্তির একটা কার্ড আছে। ওটা হাছিনা বেগমকে দেবো।

নিজের মায়ের নামে বয়স্কভাতার কার্ডের ব্যাপারে মেম্বর বলেন, আমি মেম্বর হওয়ার অনেক আগে মার নামের কার্ডটি হয়েছে। জানতে চাইলে মণিরামপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

ঋষি পাড়ায় লকডাউনে বন্দি ১১৫ পরিবারের পাশে যুবলীগ নেতা শেখ সুজন

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনার দৌলতপুরের ঋষি পাড়ায় লকডাউনে বন্দি ১১৫ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন। ঋষি পাড়ায় একজন রিক্সা চালক বয়স্ক ব্যাক্তির করোনা পজেটিভ হওয়ায় ঐ এলাকাটি লক ডাউন করে প্রশাসন। আর লক ডাউনে স্বল্প আয়ের এই মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন। তিনি খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার সামগ্রী পৌছেদেন। উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল ও শ্বাক সজ্বি। এই বিষয়ে শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন জানান, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের সাধ্যের মধ্য দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়চ্ছি। একই সাথে সমাজের বিত্তবানদের অনুরোধ করব আপনারা আপনাদের বাড়ির পাশের অসহায় মানুষটিকে সাহায্য করুন। আর বিপদে ধৈর্য্য ধারন করে সচেতন হোন অন্যকে সচেতন করুন।

নিরালায় যুবলীগের সব্জি বিতরণ

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে শনিবার সকাল ১০টায় নিরালা ৯ নং রোডে তরিতরকারি  বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন  নগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ,  উপস্তিত ছিলেন নগর যুবলীগ নেতা  মোঃআব্দুল কাদের শেখ, কাজী কামাল হোসেন, অভিজিত চক্রবর্তী দেবু,বিপুল মজুমদার, মোঃ ডলার, ছাত্রলীগ আসাদুজ্জামান বাবু,জব্বার আলী হিরা,জহির আব্বাস, মোল্লা ইয়াসিন আরাফাত,  মুত্তাজুল ইসলাম সোহাগ,সৈয়দ সালমান জামান,কোরবান আলী, মাসুম খন্দকার, মোঃ নয়ন। ২৫০ পরিবার এর মাঝে লাউ,ঢ্যাঁড়স,কুমরা,বটবটি,কাচাঝাল, বিতরণ করা হয়।

মোড়েলগঞ্জে ধানকাটা অত্যাধুনিক মেশিন কৃষকের হাতে তুলে দিলেন এমপি মিলন

এম.পলাশ শরীফ,মোড়েলগঞ্জ

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ধান কাটাসহ বহুমুখী পদ্ধতির অত্যাধুনিক ‘কমবাইন হারভেস্টার’ মেশিন কৃষকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাগেরহাট-৪, আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন শনিবার আমতলী ব্লকের কৃষক এনায়েত হোসেন তালুকদারের কাছে এ মেশিনের চাবি তুলে দেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান, বাগেরহাট জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা দিপক কুমার রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভিন, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা ছাবুল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ মেশিন দিয়ে ঘন্টায় .৩৩ শতকের এক বিঘা জমির ধান কেটে মাড়াই করে বস্তা বন্দী করা যাবে। প্রতি ঘন্টায় ডিজেল খরচ হবে ৩ লিটার। মেশিন পেয়ে করোনায় শ্রমিক সংকটে পড়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। ধানকাটাও শুরু হয়ে গেছে। সরকারি উন্নয়ন সহায়তার আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভর্তুকীমূল্যে মেশিনটি সরবারাহ করেছে। একই সাথে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে হস্তচালিত একটি ধানকাটা মেশিন, ফুটপাম্প, সেচ মেশিন ও ৪শ’ কৃষককে সবজী বীজ দেওয়া হয়েছে।

কর্মহীন মানুষদের মাঝে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

খবর বিজ্ঞপ্তি

করোনা পরিস্থিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ। নগরীর বিভিন্ন স্থানের কিছু মানুষ করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়ে ফলে তারা কারোর নিকট তাদের অসহায়ত্বের কথা বলতে না পারায় তাদের সমস্যার কথা শুনে তাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল। প্রতিদিনের ন্যায় ২ মে শনিবার বিকালে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষে এ খাদ্য সামগ্রী কর্মহীন মানুষদের মাঝে বিতরণ করেন তিনি।  এসময় নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রাসেল বলেন “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নির্দেশে ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতা কর্মী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, খাদ্যহীনদের খাদ্য দিচ্ছে, অসহায় কৃষকের জমির ধান কেটে দিচ্ছে, অসুস্থ ব্যক্তির সাহায্যে রোজা রেখেও স্বেচ্ছায় রক্তদান করছে, রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে। তিনি আরও বলেন বর্তমানে করোনা সংকটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশ ব্যাপী ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে এসে একটি মানবিক সংগঠন হিসেবে দেশের মানুষের নিকট সমাদৃত হয়েছে।”

খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান বাদশা, গালিব হোসেন, পিয়াল হাসান, সাইফুল প্রমুখ।

কমরেড রতন সেন স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে সিপিবি’র খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

খবর বিজ্ঞপ্তি

রূপসাস্থ কমরেড রতন সেন কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থী লগডাউনে থাকা কর্মহীন পরিবারের মাঝে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিÑসিপিবি, খুলনা জেলা কমিটির উদ্যোগে গত শুক্রবার সকালে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন জেলা সভাপতি কমরেড ডাঃ মনোজ দাশ। এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑখুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষণ সাহাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।

অপরদিকে খুলনা মহানগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর, দৌলতপুর, শিরোমণি ও দিঘলিয়ার সেনহাটি’র পরিবহণ শ্রমিক এবং পাট শিল্প শ্রমিকসহ কর্মহীনদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসব কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেনÑসিপিবি নেতা নেতা এস এম চন্দন, ফরহাদ হোসেন মিটন, মিজানুর রহমান স্বপন, ওয়াহিদুর রেজা বিপলু, উদীচী’ন আরাফাত হোসেন, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা সোমনাথ দে, জাকির হোসেন জুয়েল, এস ডি জয় প্রমুখ। এসময়ে নেতৃবৃন্দ কর্মহীন পরিবহণ শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে চলমান পরিস্থিতিতে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান। 

নগরীতে ওয়ার্ড বিএনপি’র খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে মঞ্জু: মহামারিতে চাল ডাল চুরি করোনা ভাইরাসের মত দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে

খবর বিজ্ঞপ্তি

এই মহামারিতে চাল ডাল চুরি করোনা ভাইরাসের মত দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই চোর ও করোনা প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে সকলে আরো সচেতন হকে হবে। যারা হতদরিদ্র মানুষদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে, তাদের মুখের খাবার চুরি করছে, তারা মানুষ নয়। মানুষ নামের ইতর, নিকৃষ্ট প্রাণী। আজ মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় ছুটে চলেছে, তাদের মধ্যে কোন লকডাউন, বাঁধা ধরে রাখতে পারছে না। চারিদিকে শুধু হাহাকার। দু’মুঠো ভাতের জন্য মধ্যবিত্ত, নি¤œ মধ্যবিত্ত মানুষের চোঁখেমুখে যন্ত্রণার ছাপ। বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদেরকে মানব ধর্মে উজ্জীবিত হয়ে সব ভেদাভেদ ভুলে এ মহাসংকট উত্তরণের জন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এই সংকটময় মুহুর্তে দল, মত, জাতী, ধর্ম, বণ্য নির্বিশেষে সকলকে সমাজের ক্ষুধার্থ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। এই দুর্যোগময় সময় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সকলের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসাই হবে আমাদের মুল লক্ষ্য।

গতকাল শনিবার দুপুর ২টায় নগর বিএনপি’র ত্রাণ কর্মসুচির অংশ হিসেবে সদর থানার ২৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে নতুন বাজার ব্যাংক গলি এলাকার গৃহবন্ধি মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকাল উপরোক্ত কথাগুলো বলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউসুফ হারুন মজনু, গিয়াস উদ্দিন বনি, বদরুল আনাম, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, জাহাঙ্গীর হোসেন, শরিফুল জোয়াদ্দার, জাহাঙ্গীর কবির, একেএম মাহবুব আলম, এনামুল হক মিলন, মন্টু সেলিম প্রমুখ।

১মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে  নগর বিএনপি’র ত্রাণ কর্মসুচির অংশ হিসেবে সদর থানার ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে ও বিএনপি নেতা মাসুদ খান বাদলের সার্বিক সহযোগিতায় প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে মিয়াপাড়া পাইপের মোড় এলাকার গৃহবন্ধি মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউসুফ হারুন মজনু, ইশহাক তালুকদার, জিএম রফিকুল হাসান, ডা. ফারুক হুসাইন, ফরিদুল হক, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, কালাম হোসেন, সাকিব হোসেন, রাফিউল হোসেন, ইদ্রিস আলি, শুকুর আলি, জুয়েল প্রমুখ। পরে বিকেল ৫টার দিকে নগর বিএনপি’র ত্রাণ কর্মসুচির অংশ হিসেবে সদর থানার সোনাডাঙ্গা থানার ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হেদায়েৎ হোসেন হেদু’র সার্বিক সহযোগিতায় প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে শেখ সরোয়ার আলি লেনের দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইউসুফ হারুন মজনু, রবিউল ইসলাম রবি, আনিসুর রহমান আরজু, শেখ মহিউদ্দিন, শামীম রহমান, শরিফুল ইসলাম সাগর, ইমরান হোসেন, ওহেদুজ্জামান খোকন, নজরুল ইসলাম, মো. দিহান প্রমুখ।

ফেনসিডিলবোঝাই প্রাইভেটকার জব্দ

বেনাপোল প্রতিনিধি

যশোরের শার্শা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন একটি প্রাইভেটকার এবং এর ভেতরে লুকানো ৪৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। তবে এসময় পাচারকারী চক্রের কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। শনিবার (২ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার সময় শার্শা উপজেলার কায়বা সীমান্ত থেকে ফেনসিডিল বোঝাই প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা।

বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদে জানতে পেরে বিজিবি সদস্যরা বাগআঁচড়া-কায়বা সড়কের চালতাবাড়িয়া বাজারের সামনে কামারবাড়ী মোড়ে অবস্থান নেন। এসময় সাদা রংয়ের একটি করোলা প্রাইভেটকার সেখানে আসলে, বিজিবি কারটির গতিরোধ করে। এসময় পাচারকারীরা প্রাইভেটকারটি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে এর ভেতর থেকে কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৪৪৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। খুলনা ২১ বিজিবির কায়বা ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার নুরুজ্জামান খান মালিকবিহীন প্রাইভেটকার থেকে ফেনসিডিল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে ফেনসিডিলের চালানটি আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

খুলনায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আবারও বৃদ্ধের মৃত্যু

দিঘলিয়া প্রতিনিধি

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক বৃদ্ধের (৬০) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। এর আগে রূপসায় ৬০ বছরের ও লবণচরায় ৭০ বছরের দুই বৃদ্ধা করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল আলম জানান, ডায়রিয়া, অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃদ্ধ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। এক ঘণ্টা পর সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি দিঘলিয়া উপজেলা সদরের খেজুরবাগান এলাকায়।

প্রসঙ্গত, খুলনায় গত ১৯ মার্চ প্রথম করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু যায়। তারপর থেকে ২ মে পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজনের নমুনা পরীক্ষার পর করোনা পজিটিভ আসে। তিনিই খুলনায় করোনায় মৃত্যুবরণকারী প্রথম ব্যক্তি। আর খুলনা জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। এর মধ্যে তিন জন চিকিৎসক, একজন নার্স ও তিন জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। করোনা আক্রান্ত তিন জন চিকিৎসককে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

তরুণদের উদ্যোগে দাকোপে ২৫০ জন অসহায়কে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার

করোনা মোকাবিলায় খেটে খাওয়া অসহায়, দুস্থ পরিবারের সহায়তায় ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে দাকোপের  কয়েকজন তরুণ। তারা অনলাইনে ‘আমরা সচেতন দাকোপবাসী” নামে একটি গ্রুপ খুলে দেশ-বিদেশের বন্ধুদের সহায়তায় তহবিল গঠন করে এ পর্যন্ত দাকোপের বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৫০টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা দিয়েছে। তারা আরও পরিবারকে সহায়তা করার জন্য ফান্ড গঠন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ গ্রুপটির অন্যতম উদ্যোক্তা উজ্জ্বল বর্মণ জানান, করোনা পরিস্থিতিতে তারা বন্ধু বান্ধবকে নিয়ে অসহায় মান্ষুকে সহায়তা করতে এই অস্থায়ী প্লাটফর্ম গঠন করেছেন। গঠিত ফান্ড দিয়ে সর্বাত্মকভাবে মানুষকে সচেতন করা ও সহায়তায় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি জানান, এই কাযর্ক্রম পরিচালনায় স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘দাকোপ খুলনা শিক্ষা পরিবার (ডিকেএসপি)’,  ‘শিশুদের জন্য আমরা’, ‘দ্য ভয়েস অব দাকোপ’ সংগঠনের স্থানীয় তরুণরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এ গ্রুপের আরেক সদস্য শেক্সপিয়ার রায় বলেন, করোনা সংকটে তারা অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছেন। এই মানবিক কাজে প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসছে। তিনি এই মানবিক কাজে যারা সহযোগিতা করতে চান তাদের ০১৭১৮১৮৯২৬৩ নম্বরে বিকাশ এর মাধ্যমে সহযোগিতা পাঠানোর আহ্বান জানান।

গোপালগঞ্জে শিশুকে শারীরিক নির্যাতন, পল্লী চিকিৎসক আটক

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সাত বছরের এক শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক সোলায়মান শাহকে (৪০) ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। আজ শনিবার দুপুরে কোটালীপাড়া উজেলার বুজুরগোকোনা গ্রামের ওই ডাক্তারের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই শিশু স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর মা জানান, হঠাৎ করে আমার মেয়ের শরীরের অ্যালার্জি দেখা দিলে বাড়ির কাছে পল্লী চিকিৎসক সোলায়মান শাহ’র কাছে নিয়ে যাই। এ সময় আমার মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ওই ডাক্তারের কাছে রেখে বাড়িতে ধান নাড়তে চলে আসি। পরে আমার মেয়ে বাড়িতে এসে আমার কাছে সব কিছু বলে। এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান বলেন, ওই শিশুর মা বিষয়টি এলাকার লোকজনকে জানালে তারা ওই ডাক্তার সোলায়মান শাহকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ডাক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ডাক্তার শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার আটককৃতকে আদালতে পাঠানো হবে।

শরণখোলায় মুরগির খোপে অজগর: উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের শরণখোলায় মুরগির খোপ (ঘর) থেকে একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। পরে অজগরটিকে সুন্দরবনে অবমুক্ত করেন বনবিভাগের সদস্যরা। শনিবার (০২ মে) বিকেলে শরণখোলা উপজেলার বকুলতলা গ্রামের জেন্নাত আলীর বাড়ির মুরগির খোপ থেকে ভিটিআরটির সদস্যরা অজগরটি উদ্ধার করে। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বনসংরক্ষক মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ভিটিআরটির সদস্যরা অজগরটিকে উদ্ধার করে আমাদের খবর দেয়। বনবিভাগের সদস্যরা অজগরটিকে নিয়ে এসে শরণখোলা রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে অবমুক্ত করেছে। অজগরটি আটফুট লম্বা ছিল।

খুলনায় ২ নারী গার্মেন্টসকর্মীর করোনা শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার

খুলনায় দুই নারী গার্মেন্টসকর্মীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (২ মে) খুলনা মেডিক্যাল কলেজের (খুমেক) পিসিআর মেশিনে তাদের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের বাড়ি দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নে। তারা সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে দাকোপের গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, ‘খুমেকের পিসিআর ল্যাবে ১৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদেরমধ্যে ওই দু’জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।’

দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হক জানান, করোনা আক্রান্ত ওই দুই নারী প্রতিবেশী। এক সপ্তাহ আগে তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামে আসেন। তারা নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। তারা যেদিন আসেন, সেদিন থেকে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছিল। গত বুধবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তাদের বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউন করা হবে।’

কেশবপুরে ৯ হাজার ২শত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী প্রদান

আলমগীর হোসেন, কেশবপুর

যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার কেশবপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে কর্মহীন অসহায়  ৯ হার ২শত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছেন। তাছাড়া তিনি তিনি ১৭ হাজার মাস্ক, ২ হাজার তিন শত পিচ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ২ কার্টুন পিপিই প্রদান করেন।

গত ১২ এপ্রিল  দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহানের নিকট করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মহীন ৫ হাজার ১ শত পরিবারের জন্য চাউল, ডাউল, আলু, পেয়াজ, সাবান, তেল-সহ খাদ্যসামগ্রী আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। এসময় তিনি ৫ হাজার মাস্ক, ১ হাজার তিন শত পিচ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ১ শত পিপিইও হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দীন, সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ মাষ্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম পিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগরদাঁড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. হুসাইন মোহাম্মদ ইসলাম, সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মনি প্রমুখ।

তাছাড়া যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের পক্ষ থেকে রবিবার দিন ব্যাপী ট্রাকে করে কেশবপুরের জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।

২৬ এপ্রিল দুপুরে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহানের নিকট ২৬শত পরিবারের জন্য ২৬ হাজার কেজি চাউল, ১৩ শত কেজি তৈল, ১৩ শত কেজি চিনি, ১৩ শত কেজি পেয়াজ, ২৬ শত কেজি ছোলা ও ২৬ শত কেজি চিড়া শাহীন চাকলাদারের পক্ষে ইফতার সামগ্রী হিসাবে হস্তান্তর করেন তার চাচাতো ভাই যুবনেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। উপজেলা পরিষদ সম্মুখে ইফতার সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, সহ-সভাপতি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম পিটু, সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক প্রভাষক কাজী মুজাহীদুল ইসলাম পান্না, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক।

৩ এপ্রিল যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার কেশবপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে কর্মহীন অসহায় ১ হাজার ৫ শত পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহানের নিকট প্রদান করেন।

২৮ মার্চ দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ১১ হাজার ৯ শত মাস্ক, ১ কার্টুন পিপিই ও ১হাজারটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহানের নিকট হস্তান্তর করেন । এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোঃ আলমগীর, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগরদাঁড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ মাষ্টার, বিদ্যানন্দকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল, সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন দফাদার, গৌরীঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা প্রেসকাবের সভাপতি এস আর সাঈদ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাবেয়া ইকবাল, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।

কেশবপুরে কর্মহীন ১০ হাজার পরিবারে খাদ্য ও নগদ অথ্য সহায়তা প্রদান

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

কেশবপুর পৌর সভায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে কর্মহীন ৯ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য ও নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম জানান, পৌর সভা ও তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লক ডাউনে কর্মহীন ৯ হাজার ৯ শত ১৬ পরিবারের মাঝে খাদ্য ও নগদ অথ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে অতিদরিদ্র ৫ হাজার ৬ শত ১৩ অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে চাউল, ডাউল, আলু, পেয়াজ ও তৈল-সহ খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। তার মধ্যে যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার প্রদত্ত ১ হাজার ৭ শত ৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। ৪ হাজার ১শত ৯৬ মধ্যবৃত্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। এবং ১ শত ৭ পরিবারের মাঝে শুধুমাত্র চাউল ক্রয় করে দেওয়া হয়েছে।

কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম আরো জানান, পৌরসভার বিত্তবানদের উদ্বুদ্ধ করায় পৌর কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান ৯৬ পরিবারের মঝে, টিটো ৪৬ পরিবারের মাঝে, ব্যাবসায়ী বক্কার গাজী ২ শত পরিবারের মাঝে, মুরগী ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ১ শত ৪২ পরিবারের মাঝে, দলিল লেখক আমিনুর রহমান ২ শত ৫০ পরিবারের মাঝে, পৌর কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু ১ হাজার ৫ শত ৮৭ পরিবারের মাঝে, রুবেল ও জিয়ার ২ শত ৫০ পরিবারের মাঝে, নাসির উদ্দীন ৩ শত ১৭ পরিবারের মাঝে ও মোশারফ মোড়ল ২ শত ১ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।

এছাড়া ব্যাবসায়ী ওহেদুজ্জামান বিশ্বাস ৪ শত পরিবারের মাঝে, পৌর স্বোচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবুল বাসার খান ৫০ পরিবারের মাঝে, যুগ্ম-আহ্বায়ক সেলিম খান ৫০ পরিবারের মাঝে এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রদীপ বসু পল্টু  ৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

যশোরে কাজী নাবিল আহমেদের পক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরন

যশোর অফিস

যশোর -৩  সদর  আসনের সংসদ সদস্য  কাজী   নাবিল আহমেদের পক্ষে ২০০ কর্মহীন ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  করেছেন জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী। শনিবার (২ মে ) শহরের গাড়িখানা রোড়ে পুলিশ মাঠে বিতরণ করা হয়।

প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, আলু, লবণ, সাবান দেয়া হয়।

মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালীর সাথে  এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু মুসা মধু, জেলা যুবলীগের সদস্য ইয়াকুব আলী, জেলা যুবমহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিনি খান, সদস্য হাসিনা খাতুন, লাকি আক্তার, নাজমা খাতুন, দোলেনা খাতুন প্রমুখ।

যশোরে নতুন করে সনাক্তর খবর মেলেনি ৭২টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ

যশোর অফিস

২ মে শনিবারেও যশোরে কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন যশোর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তারা। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে যশোর থেকে পাঠানো ৭২টি নমুনা পরীক্ষা করে সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বলে  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন। তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে এখন খুলনা মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরের ৭২ টি নমুনা পরীক্ষা করে কারো শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। শুক্রবার ৪১টি নমুনা পরীক্ষায় ৪১টি নেগেটিভ এবং বৃহস্পতিবার  ২৭ নমুনা পরীক্ষায় একটি পজিটিভি আসে। এছাড়া,সিভিল অফিস সূত্রে আরো জানাগেছে,গত ৩০এপ্রিল ও  তার পূর্বে যেসব স্যাম্পল সংগ্রহ করে খুলনায় পাঠানো হয়েছে তার সংখ্যা ৮০টি। খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে যশোরে ৮০ টি নমুনার রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে  নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে কিনা জানাযাবে। সব মিলে এখন যশোরে করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৭ জন বলে সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছেন।

যশোরে সাইকেল চোর  গণধোলাইয়ের শিকার: মামলা দায়ের

যশোর অফিস

প্রকাশ্য বাইসাইকেল চুরি করে পালাবার কালে স্থানীয় লোকজন সাগর হোসেন নামে এক যুবককে ধরে গণধোলাই দিয়েছে। চুরির চেষ্টার অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

যশোর শহরের খড়কী এলাকার আনছার আলীর ছেলে শাহিন হোসেন জানান,গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় যশোর টাউন হল মাঠে মাছের ব্যবসার করতে দোকানের জায়গা নির্ধারত করতে যায়। সে তার  লাল রংয়ের ক্যাপ্টেন  বাইসাইকেল পাশে রেখে দোকান ঠিকঠাকের কাজ করার এক পর্যায় সাগর হোসেন নামে এক চোর তার বাইসাইকেল কৌশলে তালা খুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের লোকজন দেখে তাকে জানালে শাহিন হোসেন চিৎকার দেয়। সেখানে থাকা জনগণ সাগর হোসেনকে বাইসাইকেলসহ ধরে ফেলে। পরে তাকে গণধোলাই দেয়। গণধোলাইয়ের পর কোতয়ালি পুলিশকে খবর দিয়ে থানা থেকে এসআই হারুণ অর রশীদ এসে গণধোলাইয়ের শিকার সাগর হোসেনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সাগর হোসেন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাঠাল বাড়ীয়া ১নং ওয়ার্ড বর্তমানে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডস্থ এলাকার হযরত আলীর ছেলে।

যশোরে ইয়াবা ও গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতা আটক

যশোর অফিস

৫৫পিস ইয়াবা ও আড়াইশ’ গ্রাম গাঁজাসহ শাহাবুদ্দীন নামে এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টায় সদর উপজেলার বিরামপুর ফকিরের মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সে বিরামপুর কালীপাড়া পশ্চিমপাড়া জনৈক মোসলেম এর বাড়ীর পার্শ্বে মৃত আলী হোসেন হাওলাদারের ছেলে।

উপশহর পুলিশ ক্যাম্প সূত্রে জানাগেছে,শুক্রবার ১ মে রাত সাড়ে ৯ টায় উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা জানতে পারেন বিরামপুর ফকিরের মোড় সাইফুল এর চায়ের দোকানের পশ্চিম পাশে জনৈক শাহজাহানের বাড়ির পিছনে পশ্চিম পাশে মাদকদ্রব্য বেচাকেনা হচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহাবুদ্দীন দ্রুত পালানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে তার দখল হতে ৫৫ পিস ইয়াবা ও ২৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার শাহাব্দ্দুীনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

যশোরে কসাইকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

যশোর অফিস

গরুর মাংস বেচাকেনা নিয়ে মহাদেব রায় নামে এক যুবক মাংস বিক্রেতা আসলাম হোসেন (৪৫) কে ধারালো চাপট (চাপড়) দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠিয়েছে যশোরের চিকিৎসকগন। এ ঘটনায় মহাদেব রায়সহ দু’জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি  মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের আরআরএফ ট্রেনিং স্টোরের পার্শ্বে আসলাম হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ ফারজানা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ফারজানা বেগম তার আহত স্বামী আসলাম হোসেনের কাছ থেকে জানতে পারেন,তার স্বামীর রাজারহাট বাজারের মাংসের দোকানের পাশে রাজারহাট বাজারের হাবু নামে এক ব্যক্তির মদিনা টেইলার্স নামক কাপড়ের দোকানে সুতীঘাটা ভাটপাড়ার বিমল রায়ের ছেলে মহাদেব রায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আসলাম হোসেন গরুর মাংসের ব্যবসা করে। গরুর মাংস ও হাড় কাটার সময় মহাদেব বিরক্ত হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার ১ মে সকাল সাড়ে ১০ টায় মহাদেব রায় আসলাম হোসেনের দোকানে আসে। দোকান হতে চাপট( চাপড়) নিয়ে আসলাম হোসেনের পিছন থেকে স্বজোরে এলোপাতাড়ী কোপ দেয়। বিষয়টি দেখে মাংসের দোকান্দার হায়দার আলীসহ অন্যান্যরা এগিয়ে এসে মহাদেব রায়কে রক্তাক্ত চাপট (চাপড়)সহ ধরে ফেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় আসলাম হোসেনকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আসলাম হোসেনের অবস্থায় আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসকগন তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে মহাদেব রায়কে কোতয়ালি পুলিশের কাছে চাপড়সহ সোপর্দ করে। হাবু পরিস্থিতি দেখে দ্রুত দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

ফকিরহাটে কর্মহীন দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান

ফকিরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাটে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের ঘরে থাকা নিদ্দেশে কর্মহীন অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় লখপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেম্বর আলহাজ¦ আবু বক্কক ছিদ্দিক এর নিজেস্ব অর্থায়নে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাশ, বিশেষ অতিথি ছিলেন লখপুর গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেম্বর আলহাজ¦ আবু বক্কক ছিদ্দিক, সাধারন সম্পাদক মোঃ আরিফ শেখ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামন মনি সহ বিভিন্ন নের্তৃবৃন্দ। পরে শতাধিক কর্মহীন অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

মোড়েলগঞ্জে দুই ভাইকে মারপিট করে মটরসাইকেল ছিনতাই!

মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে চাঁদার দাবিতে দুই সহোদরকে মারপিট করে মটরসাইকেল ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খনিরখন্ড গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে বায়জিদ হাওলাদার(২৫) ও তার বড়ভাই মাহবুবুর রহমানকে (৩৫) মারপিট করে তাদের নিকট থেকে স্থানীয় শত্রুপক্ষের লোকেরা একটি প্লাটিনা মটরসাইকেল ও নগদ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জিউধরা ইউনিয়নের ডেউয়াতলা বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

 পেশাদার মটরসাইকেল চালক বায়জিদ ঘটনার সময় তার বড়ভাইকে সাথে নিয়ে পার্শ্ববর্তী খাসের ডাঙ্গা এলাকায় একটি মোটসাইকেল কেনার জন্য যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় একই গ্রামের জাহিদুল হাওলাদারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোড়েলগঞ্জে এবার কৃষকরে ধান কেটে দিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা

মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে এবারে চিংড়াখালী ইউনিয়নে কৃষকের ধান কেটে দিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫০ নেতাকর্মীরা। ধরাধোয়া গ্রামের কৃষক বাবুল শেখের ৫ বিঘা জমির ব্রি-২৮ প্রজাতির ধান কেটে দিলেন তারা।

শনিবার দুপুরে ইউনিয়নের ধরাধোয়া মাঠে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫০ নেতাকর্মী এ ধান কাটা শুরু করেন। ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুলের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে এ ধান কাটায় অংশ গ্রহন করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুরাদ হোসেন চুন্নু, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রেশমা খাতুন, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান খান, এইচএম আলাউদ্দিন রানা, বঙ্গবন্ধু যুব একতা সংঘের সভাপতি আব্দুর রহমান মান্নু, শ্রমিক লীগ নেতা মো. কিছমত হাওলাদার, কৃষক লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ শেখ, রাকিব শেখ , ইমরান হাওলদার, জসিম শেখ, নাইম হাওলাদার ও হৃদয়।

এ সময় কৃষক বাবুল শেখ বলেন, ছোট  বেলা থেকে অভাব অনটনের মধ্যে বড় হয়েছি। পৈত্তিক ভিটেমাটি ১০ শতক জমির ওপরে পলিথিন টাঙ্গিয়ে বসবাস করছি। সংসারে স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। দিন মজুরের কাজ করে কোনমতে সংসার চলত। অন্যের ৫ বিঘা জমি বর্গা রেখে ফসল ফলিয়েছি। শ্রমিকের অভাবে ফসল কাটায় দুশ্চিন্তায় ছিলাম সেই মুর্হুতে এ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভাইয়েরা এসে ধান কেটে দিয়েছে। আমি অনেক খুশি। ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুল বলেন, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় করোনা পরিস্থিতির পরপরই এ ওয়ার্ডে করোনা সচেতনতায় ৫০ জন দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে এ স্বেচ্ছাশ্রম কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির সদস্যরা ধরাধোয়া ও কাচিকাটা গ্রামের প্রায় ১৫ একর ফসলী জমির ধান কাটবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, এ উপজেলায় ইতোপূর্বে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ চাই  প্রত্যাশী ২০১৮ নামের একটি সংগঠনও কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে।

মানবতার সেবায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার

স্টাফ রিপোর্টার, কপিলমুনি ঃ

আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এলেন যশোরের ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার। শনিবার সকাল ১০ টায় গ্রামের বাড়ি তালার রায়পুরে নিজ অর্থায়নে তাঁর পিতা জ্যোতিষ চন্দ্র গোলদার উপস্থিত থেকে ৭০ টি কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, আটা ও তেল বিতরণ করেছেন।

প্রসংগত, সুফল চন্দ্র গোলদার করেনা কালীণ যশোরের মনিরামপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বরিশাল বিভাগে ইউএনও হিসেবে পদায়িত হয়েছেন।

বটিয়াঘাটার জলমায় ইউপি সদস্য দেবব্রত মল্লিক দেবুর উপহার সামগ্রী বিতরণ

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটাঃ

বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের ১নং ওয়র্ডের ইউপি সদস্য দেবব্রত মল্লিক দেবু করোনায় কর্মহীন মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী পর্যায়ক্রমে দেড় শতাধিক মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে। জলমা ইউনিয়নের ১নং ওয়র্ডে মোট জনসংখ্যা ৬ হাজার এবং পরিবারের সংখ্যা ৯শত ২৫টি। এর মধ্যে হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত উপহার সামগ্রী পাওয়ার মত ৭শত ৫০টি পরিবার। যে সকল পরিবার উপহার সামগ্রী এখনো পায়নি তাদেরকে পর্য়ায়ক্রমে তালিকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া উপজেলা আ’লীগের পক্ষ থেকে ২৩টি পরিবারকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। অপরদিকে ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের পক্ষ থেকে ২০টি পরিবারকে এবং বিশিষ্ট সমাজ সেবক নায়ন চন্দ্র গোলদারের পক্ষ থেকে ৬০টি পরিবারকে ২ শত টাকা প্রদান করা হয়। ইউপি সদস্য দেবব্রত মল্লিক দেবু বলেন, জনগন আমাকে ভোটে নির্বাচিত করে যে দায়িত্ব অর্পন করেছিলো আমি সার্বক্ষনিক ভাবে সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমার প্রাপ্য বেতন ভাতার টাকার দিয়ে এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থীদের বেতন, বই এবং শিক্ষা সামগ্রী অসচ্ছল পরিবারদের অর্থিক সহযোগীতা করে আসছি। আগামীতে প্রাপ্য বেতন ভাতা উত্তোলন করে উপহার সামগ্রী বঞ্চিত পরিবার গুলোর মাঝে বিতরণ করব। পাশাপাশি আমার এলাকায় যে সকল বিত্তবানেরা করোনায় কর্মহীনদের মাঝে নিজস্ব উদ্যোগে উপহার সামগ্রী বিতরন করছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।

কয়রায় জাহানারা এন্টার প্রাইজের পক্ষ থেকে সহ¯্রাধিক পরিবারে খাদ্য বিতরণ

কয়রা প্রতিনিধি

কয়রায় বাগালী ইউনিয়নের জাহানারা এন্টার প্রাইজের মালিক বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী জিনারুল ইসলাম বাচ্চু তার নিজ এলাকার সহ¯্রাধীক করোনা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। শনিবার সকাল ১১ টায় উলাকুশোডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তির বর্গের উপস্থিতিেিত এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল আটা, ডাল, ছোলা, তৈল, আলু, পেয়াজ, রসুন ও লবন। জানা গেছে, বাগালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বারোপোতা ও কুশোডাঙ্গা গ্রামে অসহায় ও শ্রমজীবী সহ¯্রাধীক পরিবারে জাহানারা এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে এসব বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় দু’ মাস দুটি গ্রামের শ্রমজীবী মানুষের পরিবারে পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ায় কুশোডাঙ্গা গ্রামে বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী নিজ এলাকায় সরেজমিনে তালিকা করে এ খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছেন। এ বিষয় জিনারুল ইসলাম বাচ্চুর সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ব্যাপী কোভিড-১৯ এর কারনে গ্রামের শ্রমজীবী মানুষ দীর্ঘদিন লকডাউনে নিজ বাড়ীতে আটকে পড়েছে। তিনি বলেন, এসব অসহায় শ্রমজীবী মানুষের ঘরে যে খাদ্য সামগ্রী ছিল তা অধিকাংশ পরিবারে শেষ হয়ে গেছে। যে কারনে অনেকেই লকডাউন ভেঙে কাজের সন্ধানে ছুটাছুটি করছে। সে জন্য সরকারের পাশাপাশি তিনি তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বারোপোতা ও কুশোডাঙ্গা গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ এমন সহস্্রাধীক পরিবারে তালিকা করেছেন। তিনি বলেন, না চাইতে পারা এমন পরিবারের তালিকা ও করে আগামীতে আরও কিছু বাড়ীতে খাদ্য পৌছে দেবেন। তিনি আরও বলেন, সমগ্র কয়রায় তার মত অনেক ধন্যাঢ্য ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী আছে, এই দূর্যোগ মহুর্তে আমার মত অনেকেই এগিয়ে আসলে পবিত্র রমজানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার উপকৃত হবে।  

পাইকগাছায় নবারুন মহিলা সমিতির সদস্যদের মধ্যে নগদ টাকা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ

পাইকগাছা প্রতিনিধি:

পাইকগাছায় করোনা ভাইরাস রোধে নবারুন মহিলা সমিতির উদ্যোগে ঘর বন্দি সমিতির ৬০জন সদস্যের মধ্যে নগদ ২শ টাকা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে সমিতি কার্যালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সমিতির সভানেত্রী তৃপ্তি রাণী রায়ের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা প্রজিৎ কুমার রায়। উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সম্পাদিকা আনারতি ঢালী, কোষাধ্যক্ষ গীতা বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদিকা শিপ্রা রায়, নির্বাহী সদস্য শিক্ষক শান্তিলতা রায়, সুচিত্রা বিশ্বাস, অনিমা মন্ডল, শীলা মন্ডল, মিনতী বিশ্বাস, শিবানী বিশ্বাস, মুক্তা বিশ্বাস, বাসন্তী সরকার, স্মরদিনী সরকার, লাকী মল্লিক, নিবেদিতা বাছাড়, কৃষ্ণা বাছাড়, রমা বিশ্বাস, দুর্গা সরকার, অনিতা সরকার প্রমুখ।

পাইকগাছা পৌরসভার আবাসন প্রকল্পের কর্মহীনদের মাঝে মানবিক সাহায্য

পাইকগাছা প্রতিনিধি:

পাইকগাছা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কর্মহীন আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের মধ্যে মানবিক সাহায্য হিসেবে খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করা হয়েছে। বিজেআইটি গ্রুপের চেয়ারম্যান আকবর জেএম (সিআইপি)-এর প্রতিষ্ঠিত জাপান বাংলাদেশ আইটি কোম্পানীর পক্ষ থেকে শনিবার সকালে সরল আবাসন প্রকল্পের কর্মহীন দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য ও সবজি সামগ্রী বিতরণ করেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। সুন্দরবন কিন্ডার গার্টেন প্রাঙ্গণে আবাসনের ৫০টি পরিবারের প্রত্যেকে ৫কেজি চাল সহ ১০ প্রকারের সবজি প্রদান করা হয়।

টিউশনির টাকা দিয়ে মোড়েলগঞ্জে খাদ্য সহায়তা দিলেন ছাত্রলীগ নেতা টিটু

মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি

করোনা মহামারীতে টিউশনের জমানো অর্থ দিয়ে ৩০ টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী কিনে দিয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-সম্পাদক চিন্ময় হালদার টিটু শুক্রবার তার নিজ এলাকা বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে ৩০ টি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী সাবান ও মাস্ক বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতার সাথে ছিলেন ইউপি সদস্য মো. জামাল হোসেন।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা টিটু বলেন, আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমি ঢাকার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইইই বিভাগে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী লাভ করি। তাই ছাত্রজীবন থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি টিউশন করে নিজের খরচ যুগিয়েছি। প্রতি মাসে নিজ খরচের পর টিউশন থেকে প্রাপ্ত কিছু টাকা রেখে দিতাম। আমার সেই ক্ষুদ্র সঞ্চয় থেকে হতদরিদ্রদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।

টিটু’র পিতা শিক্ষক রবীন হালদার বলেন, আমার সন্তানের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। দেশজুড়ে এই করোনা মহামারীতে তার নিজ পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কর্মবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এতে আমি পিতা হিসেবে আজ গর্বিত।