শেখ সেকেন্দার আলী, মালয়েশিয়া:
করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ বিহীন এক মাসের বেশি সময় ঘরে অবস্থান করছে অভিবাসীরা। আর সেই সময়ে মালয়েশিয়ার লকডাউন ভবনে অভিযান চালাচ্ছে ইমিগ্ৰেশন বিভাগ। ইতিমধ্যেই আটকের শিকার হয়েছেন কয়েক শত বিদেশি অভিবাসীরা। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকরাও। আবার আটককৃতদের মধ্যে রবিবার রাতে বহুজনকে নিজ বাসায় ফেরত পাঠিয়েছে ইমিগ্ৰেশন ও পুলিশ। বিগত দিনে প্রতিদিন অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান চললেও করোনা ভাইরাসের কারণে সব ধরনের ধরপাকড় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যে কারণে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের বৈধ-অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সেদেশের সরকার কর্তৃক ঘোষণাকৃত বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ে বাংলাদেশসহ সব দেশের নাগরিকরা। আশায় বুক বাঁধে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মালয়েশিয়ায় আবারো নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরবে আগের মত।
কিন্তু বিধিবাম, করোনা চিকিৎসায় আশার আলো দেখালেও অবৈধভাবে অবস্থানরতদের আটকের অভিযানে বাংলাদেশীসহ সেদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের মধ্যে শুরু হয়েছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক। শনিবার দুটি ভবন থেকে বিদেশি অভিবাসীদের আটকের প্রতিবাদ করেছে সেদেশের মানবাধিকার সংগঠন গুলো। তারা বলেছে, বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের কারণে বিদেশীরা কর্মহীন হয়ে পড়ে রয়েছে তার মধ্য দিয়ে আটকের ঘটনা আমরা ব্যথিত। যেখানে অনেকেই খাদ্য সহায়তা আবেদন করেছে সেখানে অভিবাসন বিভাগের অভিযান মোটেও ভালো নয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে বর্তমান সময়ে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়ানদের সমন অধিকার দাবির প্রেক্ষিতে সেদেশের সরকারের পক্ষ থেকে নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতিমধ্যেই সেদেশের সরকার বলেছেন রোহিঙ্গাদের আমরা কখনো শরনার্থীর মর্যাদা দেয়নি বরং আমারা তাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গণ্য করি। সূত্র বলছে যার কারণেই অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান জোরদার হবে মালয়েশিয়ায় চলমান লকডাউন শেষ হলেই। যার কারণে অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থান নিশ্চিত করে অল্প-সল্প করে চেক করা শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেদেশে চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোল অডার এমসিও শেষ হওয়ার পরই বড় ধরনের অভিযান হতে পারে বলে মনে করছে সেদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা।