খুলনা ও মোংলায় নৌবাহিনী কর্র্তৃক ত্রাণ ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ

7
Spread the love

খবর বিজ্ঞপ্তি:


ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। লকডাউনে আটকে পরা অসহায়, দুস্থ ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, ইফতার সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌছানোসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণুনাশক ছিটানো, জনসাধারণের মাঝে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নৌ ঘাঁটি তিতুমীর কর্তৃক খালিশপুরের আলমনগর নিউজপ্রিন্ট সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত ২০০ গরীব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া নৌ ঘাঁটি সোলাম কর্তৃক জিরোপয়েন্ট ও লবণচরা এলাকায় ১০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। একই সময় নৌঘাটি মংলা কর্তৃক বাজুয়া এলাকায় দরজায় দরজায় গিয়ে ২০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বানৌজা ওমর ফারুক কর্তৃক শৈলপুর ঘাট এলাকায় ২৫০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিএসও খুলনা কর্তৃক শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘরহীন ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ৪০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অপরদিকে মোতায়েনকৃত নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় টহলের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এসময় ২০৬৪টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সহায়তা ও ২০০টি জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে। এসময় মুদি দোকান ও ষ্টেশনারি দোকান খোলা রাখার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আট হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা করা হয়। সাধারণ জনগণকে কাঁচা বাজার, ঔষধের দোকান ও মসজিদ ব্যবহারে সরকারী নীতিমালা অনুসরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। একই সাথে অনুমোদিত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দোকান নির্দিষ্ট রুটিন সময়ের পর বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে। নৌ কন্টিনজেন্ট মংলা জনসচেতনতা বৃদ্ধির ল্েয দিগরাজ বাজার, মংলা বন্দর, চিলা, সুন্দরবন, বুড়িরডাঙ্গা ও চরকানাই এলাকায় টহল পরিচালনা করে। এ সময় ২৫৪টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সহায়তা প্রদাণ ও ১০০টি জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে। এসময় বিভিন্ন প্রকার দোকান খোলা রাখার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দুই হাজার একশত টাকা জরিমানা করা হয়