খুলনাঞ্চল রিপোর্ট:
গার্মেন্টস খুলে গেছে, যেতেই হবে। নতুবা চাকরি থাকবে না। তাই দুর্ভোগ মাথায় করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটছেন তারা। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকাগামী গার্মেন্টসকর্মীরা।
মহান মে দিবসেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকাগামী গার্মেন্টসকর্মীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার (১ মে) আজ টানা পাঁচ দিনের মতো সকাল থেকে ফেরি ও ট্রলারে করে পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন শত শত গার্মেন্টসকর্মী। কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি ও ট্রলারে শিমুলিয়া ঘাটে আসলেও ঢাকায় যেতে গার্মেন্টস কর্মীদের শত বিড়ম্বনার কবলে পড়তে হচ্ছে।
শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকায় যাওয়ার মতো কোনো গণপরিবহন নেই। অগত্যা অটোরিকশা, সিএনজি কিংবা রিকশাযোগে সড়কে ভেঙে ভেঙে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটে চলছেন তারা।
উপজেলার মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, যাত্রী ভর্তি করে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরি কুমিল্লা বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে এসে নোঙর করে। ফেরিতে থাকায় শত শত যাত্রীর অধিকাংশই গার্মেন্টসকর্মী। এছাড়া সকালের দিকে রো-রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও ডাম্প ফেরি রামশিং শিমুলিয়া ঘাটে এসে নোঙর করে। এ দুটি ফেরিতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গার্মেন্টসকর্মী শিমুলিয়া ঘাটে এসেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঢাকাগামীদের সঙ্গে বলে জানা গেছে চাকরি হারানোর অদৃশ্য ভয় থেকেই তারা ছুটে এসেছেন। ফেরি ছাড়াও ট্রলারে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন, এমন গার্মেন্টসকর্মীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এরা সকলেই ঢাকার গার্মেন্টসের চাকরি হারানোর ভয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে ছুটে এসেছেন বলেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সীমিত আকারে নৌরুট চালু রয়েছে। জরুরি সেবার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রী সাধারণ ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। এদের বেশির ভাগই গার্মেন্টসকর্মী। ফেরির পাশাপাশি ট্রলারে করেও যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন তারা।