স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে থেকে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা। খুলনার প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়া সেবিকা নিজের আর্তনাদ জানিয়েছেন ফেসবুকে। সেখানে এক পোস্টে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘আমি কি কোনও অপরাধী? আমি কি খাবার না খেয়ে মারা যাবো?’
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল ৪টা ৫৩ মিনিটে ফেসবুকে তিনি এই পোস্ট করেন। এরপর বিষয়টি অনেকের দৃষ্টিগোচর হয়। ফেসবুকের ওই পোস্টে রাত ১২টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত ১৬৯ জন শেয়ার ও ১৫৫ জন মন্তব্য করেছেন। রিঅ্যাক্ট করেছেন পাঁচ শতাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী।
সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই সেবিকা তার ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি নার্সিং সুপারভাইজার পদে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা নার্স পরিষদের খুলনার বিভাগীয় প্রেসিডেন্ট। গত ৪ এপ্রিল থেকে করোনা রোগীদের সেবা দিচ্ছিলেন। এরপর ২৮ এপ্রিল তার করোনা শনাক্ত হয়।
তিনি অভিযোগ করেন বলেন, ‘খুব কষ্ট লাগছে এলাকার কমিশনারসহ কিছু লোকের কর্মকাণ্ড শুনে। আমি যখন হাসপাতালে ভর্তি হই তখন তারা আমার বাসার কাজের লোকের বাসা লকডাউন করে। ঠিক আছে! কিন্তু আমি একজন নিরামিষভোজী, আমার বাড়ির মানুষজন বলেছে আমার খাবারের ব্যবস্থা করতে, আমি নিজেও বলেছি… কিন্তু তারা মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে।’
এ বিষয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘ওই সেবিকার খাবার সরবরাহে কোনও ধরনের ত্রুটি ছিল না। সমস্যা হয়েছে তিনি নিরামিষভোজী এবং তার নির্দিষ্ট পাত্রে রান্না হতে হবে। তার সঙ্গে আলাপ করে তার জন্য তার বাসা থেকে খাবার অ্যাম্বুলেন্সে করে এনে খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি দুপুর থেকেই ওই খাবার পাচ্ছেন। আর তার বাসার লোকজন স্থানীয়দের মাধ্যমে যে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সে বিষয়টি প্রশাসনকে দেখার জন্য বলা হয়েছে।’
খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার ও মিডিয়া উইং এর মুখপাত্র মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। এই বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।