‘আঁধার ঘুচুক, পরশ থাকুক হৃদয় ভরা’ স্লোগানে বাংলাদেশের পাশে ভারত

4
Spread the love

খুলনাঞ্চল ডেস্ক

‘আঁধার ঘুচুক, পরশ থাকুক হৃদয় ভরা’ এই স্লোগানকে সঙ্গে নিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশকে দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে ভারত। এ সহায়তার মধ্যে আছে এক লাখ হাইড্রোক্সিকোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিকাল ল্যাটেক্স গ্লাভস। ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ জরুরি চিকিৎসা সরবরাহের চালানটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেন। রবিবার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ, প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত থেকে অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সঙ্কটের সময়ে প্রতিবেশী বন্ধুর সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাই। হাইকমিশনার কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে। চিকিৎসাসামগ্রীগুলি বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বিমান বাংলাদেশের সহায়তায় ওষুধগুলো ভারত থেকে আনা হয়। এই সময়োপযোগী সাহায্যের জন্য হাই কমিশন বিমান সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনকে হস্তান্তর করা হয়। সার্ক অঞ্চলে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে, ২৬ মার্চ ও ৮ এপ্রিল সার্ক দেশসমূহের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ, বাণিজ্য সহজীকরণ এবং সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময় বিষয়ে আলোচনার জন্য আলাদা ভিডিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সার্কভুক্ত দেশগুলির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সেরা অনুশীলনগুলি বিনিময়ের জন্য ও পারস্পরিকভাবে উপকৃত হওয়ার জন্য অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

এছাড়াও ভারতের স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা কোভিড-১৯ পরিচালনা কৌশল, দক্ষতা বৃদ্ধি, সেরা অনুশীলনের বিনিময় ও এ সম্পর্কিত দিকগুলি নিয়ে সার্ক দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবা দানকারীদের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য ওয়েবিনার আকারে ই-আইটিইসি প্রশিক্ষণ মডিউল ডিজাইন করেছেন। ১৭-২১ এপ্রিল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস, রায়পুর এই অনলাইন কোর্সটি পরিচালনা করে যেখানে বাংলাদেশের ৯০ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেন। ভারত সরকারের আইটিইসি উদ্যোগের আওতায় ২৭ এপ্রিল, ০৬ মে, ২০২০ পর্যন্ত ভারতের চ-ীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ দ্বিতীয় অনলাইন কোর্সের আয়োজন করছে। বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিকূল সময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ভারত ও বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।