কয়রায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের পাশে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ

7

কয়রা প্রতিনিধিঃ

কয়রায় চলতি মৌসুমে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। সোনালি ধানের বাম্পার ফলন হলেও সেই ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। ফলে কৃষকদের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। মাঠজুড়ে ধান পেকে থাকলেও শ্রমিক সংকটের কারণে সেই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছিল না কৃষক। কৃষকের ফলানো এসব সোনালি ধান নিয়ে বিপাকে পড়া কৃষকদের চোখে মুখে হাসি ফোঁটাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবুর নির্দেশনায় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকুর নেতৃত্বে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

তারা ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। গতকাল শনিবার সকাল থেকে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের শফিকুল ইসলাম গাজির বর্গা নেওয়া ২ বিঘা জমির ধান কেটে দেয় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কাচি দিয়ে কৃষক শফিকুল ইসলাম গাজির ধানি জমির ধান কেটে তা ওই কৃষকের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এদিকে এ মহামারীর সময়ে বিনা পারিশ্রমিকে ধান কেটে দেওয়ায় খুশি দরিদ্র কৃষকসহ এলাকাবাসী। কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে আমার এক মাস ধরে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। তাই একদিকে টাকার সমস্যা দেখা দিয়েছে। আবার কিছু টাকা জোগাড় করলেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে জমিতে ধান পাকলেও তা কাটার কোনো উপায় পাচ্ছিলাম না। পড়ে যখন খবর পেলাম ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে দিচ্ছেন তখন তাদের কাছে গেলে তারা আমার জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়। এ ধান কেটে দেওয়ায় আমার খুব উপকার হয় আমি উপজেলা ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানাই। কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ সৃষ্টিই করেছিলেন মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য। শুধু করোনা নয়, যে কোনো প্রাকৃতিক দুযোর্গে ছাত্রলীগ সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। করোনাও একটা দুযোর্গ। করোনার কারণে কৃষকরা যখন দিশেহারা তখন বিনাপারিশ্রমিকে আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু ভাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং কাজও করছে। যখনই যেখান থেকে সাড়া পাচ্ছি ধান কাটতে ছুটছি ও নেতা কর্মীকে পাঠাচ্ছি। কৃষকের কষ্টে ফলানো সোনালি ধান কেটে কৃষকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। ধান কাটায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল হক বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা শেফার, উপজেলা ছাত্রলীগের বিল্লাল, রিজভী,শান্ত, বিল্লু, মফিজুল, জুবায়ের, কাজলসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা। করোনা শুরু থেকে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবুর সার্বিক সহোযোগিতায় লিফলেট বিতরণ, হ্যান্ড-স্যানিটাইজার বিতরণ, খাদ্য বিতরণ, খাদ্য সহায়তা প্রদানে কন্টোল রুম খোলা সহ সচেতনতায় বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহন করেছে।