দেবহাটা উপজেলায় ইরি ধানের বাম্পার ফলন
কে,এম,রেজাউল করিম দেবহাটা
দেবহাটা উপজেলায় ইরি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহে ভরে উঠেছে ইরি ধানের মাঠ ফসলের মাঠে যেন এখন সবুজের বিছানা। যতদুর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ চতুর্দিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃষকের হৃদয়ে সঞ্চারিত হচ্ছে ভিন্ন আমেজ। ইরি ধানের বাম্পার ফলনে ফলিত হওয়ায় কৃষকের মুখে ভরে উঠেছে অফুরন্ত হাসি। সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, চন্ডিপুর, কাজিমহল্লা চিনেডাঙ্গা সখিপুর, চকমোহাম্মদআলিপুর কোড়া,মাঘরি, নওয়াপাড়া সুশিলগাতি, কুলিয়া , দেবহাটা , মাঝসখিপুর মাঠে ইরি ধানে ভরপুর। তবে গত বছরের তুলনায় আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় অনেক পতিত জমিতে ও অধিক ফলন হয়েছে।এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর তার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক কে এম রেজাউল করিমকে বলেন,১৮০০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিগেড ও ৪২০৩০ হেক্টর জমিতে উফসি চাষাবাদ করা হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় ফলন বেশ ভাল হয়েছে। কয়েক জন কৃষক ওমর আলি , রবিউল ইসলাম, মিন্টু, সাইফুল ইসলাম আজিজুর হক আরিফ, তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,ভাই ইরি ধানের ফলনতো ভাল।তবে শিলা বৃষ্টি ও ঘূণীঝেেডর প্রভাব যদি না পরে তাহলে ভালভাবে ইরি ধানের ফসল ঘরে তুলতে পারবো ইনশাল্লাহ।
ফুলতলায় আওয়ামীলীগ নেতার ভাই’র ইন্তেকাল
ফুলতলা প্রতিনিধি
ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইমাম হোসেন মোড়লের ভাই ও ইউনাইটেড ব্রিকসের স্বত্ত্বাধিকারী এবং বুড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান মোড়ল (৫৪) মঙ্গলবার রাত সোয়া ২টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২পুত্রসহ বহু আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে যান। খুলনা মেডিকেল কলেজের করোনা বিষয়ক মুখপাত্র ডাঃ শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস সূত্রে জানা গেছে, তিনি কিউনি রোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তবে করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বুধবার বাদ জোহর প্রশাসের উদ্যোগে স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তির উপস্থিতিতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। এদিকে ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে মিজানুর রহমানের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা সে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত পরিবারের সকল সদস্যকে বাইরে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
বেনাপোল দিয়ে দেশে আসল ৯৯৩ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে বাড়ি ফেরত ১০১
বেনাপোল প্রতিনিধি
ভারতে আটকে পড়া পাসপোর্ট যাত্রীরা গত দুই সপ্তাহে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরেছে ৯৯৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ যাত্রী ছিল ৬৭৩ ও মহিলা যাত্রী ৩২০ জন। এর মধ্যে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে শেষে বাড়ি ফিরে গেছে ১০১ জন। তবে ৯৯৩ জনের মধ্যে ভারত তিন জন ফিরেছে লাশ হয়ে। তারা চিকিৎসা নিতে যেয়ে মৃত্যু বরন করেছে। বর্তমানে হোম প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়ে ৮৮৯ জন। বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান কবির বলেন, সরকার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার ঘোষনা দেওয়ার পর এ পথে ভারত থেকে গত ৬ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ফিরেছে ৯৯৩ জন পাসপোর্ট যাত্রী। বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন গ্রহন করে বিভিন্ন জায়গায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্মরত ডাক্তর মুজিদ বলেন ভারত থেকে ফেরত যাত্রীদের এখনো করোনা উপসর্গ কোন যাত্রীকে আমরা সনাক্ত করতে পারি নাই। তবে এদের নির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত কেউ সেখানে সনাক্ত হয়নি।
ভারত থেকে ফেরত যাত্রীদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে উপজেলা প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে এদের নিয়ে যাচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য। প্রতিদিন সেনাবাহিনী, বিজিবি , পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে নিয়ে যায় এসব যাত্রীদের।
শার্শা উপজেলা প্রশাসন সুত্র জানায় ভারত ফেরত যাত্রীদের খুব সতর্কতার সাথে গ্রহন করে বিশেষ নিরাপত্তার সাথে যশোর বেনাপোল মহাসড়কের গাজির দরগাহ নামক একটি মাদরাসায় নিয়ে রাখা হচ্ছে। সেখানে এদের খাওয়া দাওয়া ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সরকারী ব্যবস্থাপনায় করা হচ্ছে।
করোনায় কর্মহীনদের মাঝে খুলনা জেলা মৎস্যজীবী লীগের
মাছ, ডিম ও মাস্ক বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বিসিবি’র পরিচালক শেখ সোহেলের অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান সাঈদ, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আলম, সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর লস্করের সহযোগিতায় বুধবার সকাল ১০টায় মহানগরীর ইসলামাবাদ কমিনিউনিটি সেন্টারে করোনায় কর্মহীন ৪০০ পরিবারের মানুষের মাঝে মাছ, ডিম ও মাস্ক উপহার হিসেবে খুলনা জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব প্রাণিপ্রেমী এস এম সোহরাব হোসেন, ইসলামাবাদ কমিউনিটি কিনিকের ডাঃ মিশকাতুননেছ সাথী, জেলা যুব লীগের প্রচার সম্পাদক জলিল তালুকদার, মহানগরীর লবণচরা, টুটপাড়া, বানিয়াখামার, পৈপাড়ার উল্লিখিত মাছ-ডিম বিতরণে সংগঠনের জেলা সভাপতি মোল্লা সামসুর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি সহ-সভাপতি মোঃ রাজু আহমেদ, রাশিদুল হাসান রাজা, কাজী তরিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ অহিদুজ্জামান লাবু, যুগ্ম সম্পাদক কর্ণজিৎ রায় বাপ্পি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বুলুরানী ম-ল, অর্থ সম্পাদক শেখ শাকিল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার হাসান বাপ্পি, উপ-দপ্তর সম্পাদক শেখ ওবায়দুর রহমান মাসুম, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তারেক বিশ্বাস, শ্রম ও কর্মসংস্থান সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাব্বি, মানব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জুলফাত-ইলাহ-আগা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শহিদুল ইসলাম, সদস্য সঞ্চিতা রায়, নিরুপমা গোলদার, তরুন শিল্প উদ্যোক্তা মোঃ শাহজালাল হানিফ, ফরিদ তালুকদার, হিরা হাওলাদার, রমজান আলী পল্টু খান, আবুল কালাম প্রমুখ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপস্থিত ও সার্বিক তত্বাবধানে নিরাপদ ও পুষ্টিকর আমিষ প্রদান করেন এবং সমাজের বিত্তবানদের এই ধরনের আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়।
ফকিরহাটে সেনাবাহিনীর মাইকিং ও লিফলেট বিতরন
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে করোনা প্রতিরোধে জনগনকে সচেতন করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাইকিং ও লিফলেট বিতরন করে প্রচারনা চালিয়েছেন। বুধবার বিকালে তাঁরা উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া মোড়, টাউন নওয়াপাড়া বাজার, শ্যামবাগাত মোড়, শুকদাড়া মোড় ও বেতাগা বাজার সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই প্রচারনা চালিয়েছেন। এসময় বাগেরহাটের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফকিরহাটের লখপুরে ২২৫টি পরিবারের মাঝে চাউল বিতরন
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটের লখপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধে সরকারের দেওয়া ঘরে থাকা নিদ্দেশ মোতাবেক ২শত গরীব অসহায় ও হতদরিদ্র ভ্যান চালক এবং ২৫টি জেলে পরিবারের মাঝে চাউল বিতরন করা হয়েছে। বুধবার সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত এই সমস্ত পরিবারের মাঝে ১০কেজি চাউল ও নগত ৫০টাকা এবং জেলে পরিবারের মাঝে জনপ্রতি ৪০কেজি করে চাউল বিতরন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন লখপুর গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন, ইউপি সচিব প্রসুন দাশ, ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মানস কুমার হালদার, প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ আহম্মদ আলী, ইউপি সদস্য মোঃ বজলুল রহমান মোড়ল, ফিরোজ খান, হুমায়ুন কবির, মোতালেব মোড়ল, রেজাউল করিম, বিল্লাল হোসেন মিলন, আরিদ হোসেন, মহিলা সদস্যা তাসলিমা বেগম লতা ও শিল্পি বেগম প্রমুখ।
বটিয়াঘাটার মাথাভাংগার গুচ্ছগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ
বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি ঃ
বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মাথাভাংগার ৩টি গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত ৬০ দরিদ্র পরিবারের মাঝে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট মোঃ রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জলমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশিকুজ্জামান আশিক, ইউপি সদস্য মোঃ লিটন, আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ ও গ্রাম পুলিশ সদস্যবৃন্দ। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, করোনা দূর্যোগে একটি মানুষও যেনো খাদ্য অভাবে কষ্ট না পায় সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগীতায় করোনা দুর্যোগে কর্মহীন মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ এবং সার্বক্ষনিক তদারকি চালিয়ে যাচ্ছি।
সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসানার উপহার খাদ্যসামগ্রী অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি উপজেলা বিআরডিবির উপ-প্রকল্প অফিসার আজমল হোসেনের উপস্থিতিতে সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নের সকল গ্রামে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসানার উপহার খাদ্যসামগ্রী ৪ শত অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করেন সাগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত। বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন কর্মকর্তা স্বপন কর, একটি বাড়ি একটি খামারের রোজোয়ান, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব শহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আব্দুস সবুর শেখ, কাজী মহব্বত হোসেন, জালাল উদ্দীন, শাহাজামাল, ডাঃ জাকির হোসেন, আজগর আলী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মাষ্টার ওজিয়ার রহমান, পার্থ সারথী রায় চৌধুরী, অলকেশ দেবনাথ বাবু, মোজাম সরদার, শওকত আলী, আব্দুল মোমিন, ওজিয়ার রহমান, হায়দার আলী, আব্দুল কাদের, আব্দুর রউফ, শাহিনুর রহমান, বজলুর রহমান, মকবুল হোসেন, হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
সাগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, ইতিপূর্বে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ৩য় দফায় সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে আরো ৩ শত ৯০ পরিবারের মঝে সরকারীভাবে অসহায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের পক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে সাগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নের ২৫ শত ভ্যান চালক, মটর সাইকেল চালক, নসিমন-করিমন চালক ও চা বিক্রেতাদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
কেশবপুরে নারী পাচারকারী মহির উদ্দীনের হাত থেকে রক্ষা পেতে দুই নারীর বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুরে নারী পাচারকারী মহির উদ্দীনের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন দুই নারী। কেশবপুর থানা ও যশোর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মণিরামপুর উপজেলার হাজারাকাটি গ্রামের এলাহি বক্স ওরফে বাচার ছেলে মহির উদ্দীন, তার ভাই কামাল হোসেন, খলিলুর রহমান ও একই গ্রামের মরশেদ দফাদারের ছেলে তৌহিদ দফাদার, রোজওয়ান দফাদারের ছেলে হারুন দফাদারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী কবলে পড়ে ২ নারী ভারতের পতিতালয়ে থেকে পালিয়ে এসে দারুন হুমকীর মুখে পড়েছে। তারা পাচারকারীদের হাত থেকে বাচতে কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম ও একই এলাকার রুবেল মোড়লের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম উক্ত নারী পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে উল্লেখিত ৫ জনকে আসামী করে যশোর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন, উক্ত আসামীরা অত্যান্ত ভয়ঙ্কর নারী পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। এদের কাজ হলো এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সি নারীদের প্রলোভোন দেখিয়ে সুকৌশলে ভারতে নিয়ে অণেতিক কাজ করান। এরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। মহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে কেশবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রয়েছে। যার নং ১০, তারিখ ০৬-০৩-২০০৬। যার পিটিশন নং ৫২/২০০৬। উক্ত মামলার চার্জসীট দাখিল করা হয়। অভিযোগ পত্র নং ৫৯। মহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পারছে না। তার কারণ মহির উদ্দীনের প্রচুর অবৈধ অর্থ রয়েছে।
ফেরদৌসি বেগম ও আঞ্জুয়ারা বেগম অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আসামীরা বিগত ৬/৭ মাস পূর্বে ফেরদৌসি বেগম ও আঞ্জুয়ারা বেগমকে ভালো বেতনের চাকুরীর প্রলোভোন দেখিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতের বোম্বে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ২ জনকে দিয়ে পতিতালয়ের ব্যবসার কাজে লগিয়ে দেয়। পরবর্তীতে উক্ত ২ নারী যে কোন ভাবে প্রাণ বাচিয়ে দেশে পালিয়ে আসে। আসামীরা পুনরায় ঐ ২ নারীকে আবার ভারতের বোম্বে পাচার করতে নানাভাবে হুমকী-খামকী দিচ্ছে। তাদের কথায় রাজি না হলে প্রাণ নাশের হুমকী পর্যন্ত দিয়েছে। আসামীদের হুমকীর মুখে ফেরদৌসি বেগম তার স্বামী নজরুল ইসলাম ও আঞ্জুয়ারা বেগমের স্বামী রুবেলকে জানায়। গত ০১-০৪-২০২০ তারিখে তারা বিষয়টি আসামীদের নিকট জানতে চাইলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নারী পাচারকারী মহির উদ্দীনের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় নজরুল ইসলাম, তারছেলে বাবুল আক্তার ও রুবেল আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম ১৩ জনকে আসামী করে কেশবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। বর্তমানে বাদির পরিবার চরম আতংকের মধ্যে দিনপাত করছে।
এব্যাপারে মহির উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আমি আদৌ নারী পাচারের সাথে জড়িত নই। একটি কুচক্রী মহল আমাদের সামাজিক মর্যদা ক্ষুন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
বটিয়াঘাটার জলমায় আ’লীগ নেতা অনুপ গোলদারের উপহার সামগ্রী বিতরণ
ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটাঃ
বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী অনুপ গোলদার গত ৩০ মার্চ থেকে করোনায় কর্মহীন সাধরণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে আর্থিক সহায়তা, সাবান, মাস্ক, জীবানুনাশক, ও সচেতনাতা মূলক লিফলেট বিতরন করেন। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ হালদারের নেতৃত্বে তহবিল গঠন করে জলমা ইউনিয়ন সহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনায় কর্মহীন মানুষের মাঝে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। অনুপ গোলদার বলেন, আমি পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ইউপি নির্বাচনে আমাকে জলমা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মনোনয়োন দেন। নির্বাচনে আমি সামন্য ভোটের জন্য দ্বিতীয় স্থান অধিকার করি। আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি জনগনের সুখে দুঃখে পাশে রয়েছি এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকবো।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র ভাঙন কবলিত পরিদর্শন
পাইকগাছার কালিনগর ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধে আবারো ভয়াবহ ভাঙন; বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা
স্টাফ রিপোর্টার
পাইকগাছার দেলুটির কালিনগর ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধে আবারো ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও। উল্লেখ্য উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২২ নং পোল্ডারের কালিনগর এলাকার ওয়াপদা বেঁড়িবাঁধে আবারো ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল জানান-বিগত প্রায় ১০ বছর যাবৎ ওই স্থানে ও আশপাশের এলাকায় ভাঙন অব্যহত রয়েছে। ভাঙন যখন ভয়াবহ আকার ধারন করে তখন অনেক সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিকল্প ভেঁড়িবাঁধ নির্মাণ করে দেয়। আবার কখনো আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেরামত করার চেষ্ঠা করি। কিন্তু ভাঙন এলাকায় ভদ্রা নদীর এতটাই বেশি তীব্র ¯্রােত থাকে বাঁধ মেরামত করলেও তা টেকসই হয় না। স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি বলেন সম্প্রতি শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় কালিনগরের বাওয়ালী বাড়ী হতে আশিষ হালদারের বাড়ী অভিমুখে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। যেকোন মুহুর্তে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়ে ইউনিয়নের ২২নং পোল্ডারের কালিনগর, হরিনখোলা, দারুনমল্লিক, হাটবাড়ী, নোয়ায়, সেনেরবেড়, তেলিখালী, ফুলবাড়ি, বিগোরদানা, দূর্গাপুর ও সৈয়দখালীসহ ৫টি ওয়ার্ডের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। ঝুকিপূর্ণ বাঁধের কারনে হুমকির মুখে রয়েছে অত্র এলাকায় বসবাসরত ১৫ হাজার মানুষ। চলতি মৌসুমে অত্র পোল্ডারের আবাদকৃত ৩০ কোটি টাকার তরমুজ ও বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে ২২ নং পোল্ডারের বাসিন্দারা। এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশনায় উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না ও সহকারি কমিশনার(ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম মঙ্গলবার সকালে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে ভাঙনরোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঘটনাস্থল থেকেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন ইউএনও জুলিয়া সুকায়না। যার প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সেখানে ৬শ মিটার বিকল্প বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান।
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বাগেরহাটে সাড়ে আট হাজার গর্ভবতি মা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে
মাসুম হাওলাদার, বাগেরহাট
বাগেরহাটে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় গর্ভবতি প্রায় সাড়ে আট হাজার মা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। এইসব গর্ভবতি মায়েদের ঘরবন্দি থেকে সাবধানে চলাফেরা করতে পরামর্শ দিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। এসব মায়েদের নিয়মিত স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মীরা। গর্ভকালীন সময়ে যেসব মায়েদের শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেবে তাদের চিকিৎসার জন্য মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসকরা প্রস্তুত রয়েছেন। বাগেরহাট জেলার ৯ উপজেলায় ৮ হাজার ৪৩১ জন মা গর্ভবতি (সন্তান সম্ভবা) রয়েছেন। এরমধ্যে বাগেরহাট সদরে এক হাজার ৫৩৩ জন, চিতলমারীতে ৮৯০ জন, মোল্লাহাটে ৮৭০ জন, ফকিরহাটে এক হাজার ৫৮ জন, রামপালে ৫৩৭ জন, শরণখোলাতে ৫৯০ জন, মোরেলগঞ্জে এক হাজার ৪৯১ জন, কচুয়ায় ৫৫৬ জন এবং মোংলাতে ৮১৬ জন।
বাগেরহাটের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস সামাদ বলেন, গর্ভবতি মায়েদের সেবা দেয়ার জন্য ২৪ ঘন্টা হাসপাতাল খোলা রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কোন গর্ভবতি মা এখানে সেবা নিতে আসছেন না। তবে তাদের সেবা দিতে এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রস্তুত আছে। গর্ভবতি মায়েদের সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, সামাজিক দুরত্ব মেনে চলাফেরা করবে। একজন গর্ভবতি মাকে অন্তত চার চেকআপ করে থাকি। মা ও তার গর্ভের শিশুর রক্ত সঞ্চালন ও হার্টবিট, এই মায়ের ডেলিভারী কবে নাগাদ হবে এসব সেবা নিতে তারা এখানে নিয়মিত এসে থাকেন। কিন্তু এখন এই মায়েদের বাইরে চলা বেরোনোতে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি আছে সেজন্য তাদের খুববেশি সমস্যা না হলে হটলাইনে ফোন করে সেবা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই মায়েরা তাদের সুরক্ষার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাবে, পর্যাপ্ত পানি পান করবে, মুখে মাক্স ব্যবহার করবে এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বাগেরহাট কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক গুরুপ্রসাদ ঘোষ বলেন, বাগেরহাট জেলার ৯ উপজেলায় ৮ হাজার ৪৩১ জন মা গর্ভবতি রয়েছেন। এদের সেবা দিতে আমাদের মাঠ পর্যায়ে ৩৪৫ জন কর্মী নিয়োজিত আছেন। এই গর্ভবতি মায়েরা কিন্তু এখন স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই আমরা এইসব গর্ভবতি মায়েদের ঘরবন্দি থেকে সাবধানে চলাফেরা করতে পরামর্শ দিচ্ছি। এই সময়টাতে কোন অবস্থাতে তারা যেন ঘরের বাইরে না আসেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের যেসব কিনিকগুলো আছে আমাদের মাঠ কর্মীরা গর্ভবতি মায়েদের সেবা দিয়ে আসছেন। আমাদের মাঠকর্মীরা গর্ভবতি এসব মায়েদের বাড়িতে যেয়ে অথবা মোবাইল ফোনে তাদের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরাও ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন। গর্ভবতি মায়েদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেই স্থানীয় হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এই গর্ভবতি মায়েদের কাছে আমাদের মাঠকর্মীদের ফোন নাম্বার দেয়া আছে তারা কোন সমস্যায় পড়লেই যেন আমাদের কল করে সেই আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।
মোংলায় পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের খাদ্য সহায়তা প্রদাণ
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, বাপা বাগেরহাট জেলা কমিটি ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে মোংলার শতাধিক জেলে ও শ্রমজীবি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদাণ করা হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে মোংলা প্রেস কাব মিলনায়তনে এ খাদ্য সহায়তা প্রদাণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রেস কাব সভাপতি আলহাজ্ব এইচ,এম দুলাল, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার বাপা’র বাগেরহাট জেলা সমন্বয়কারী মোঃ নূর আলম শেখ, প্রেস কাব’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান গাজী, সাংবাদিক নেতা মনিরুল হায়দার ইকবাল, আমীর হোসেন আমু, আবু হোসাইন সুমন, মোঃ আবুল হাসান, সোহাগ মোল্লা, বাপা নেতা নাজমুল হক, তানজীম হোসেন মুকুল, পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের ভলান্টিয়ার আব্দুর রশিদ ও কমলা সরকার প্রমুখ। খাদ্য সহায়তা প্রদাণকালে বক্তারা বলেন, করোনাকালে তথাকথিত সভ্যতার চাকা থমকে যাওয়ায় প্রকৃতি আজ নিজরূপে সেজেছে। প্রাণ-প্রকৃতিকে সুরক্ষা করেই সভ্যতার অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে এটাই হচ্ছে করোনাকালের শিক্ষা। এ সময় বক্তারা করোনার থাবা থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান। উল্ল্যেখ্য, শতাধিক জেলে ও শ্রমজীবি পরিবারের প্রত্যেককে ২৫ কেজির চালের বস্তা প্রদাণ করে এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।
দেবহাটা উপজেলা তাঁতীলীগের করোনা প্রতিরোধে সচেতনা মুলক প্রচারনা
কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা
দেবহাটায় করোনা প্রতিরোধে সচেতনা মুলক প্রচারনা করেছে উপজেলা তাঁতীলীগ। বুধবার সকাল থেকে উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম এবং সাধারন সম্পাদক আরিফুর জামান আরিফের নেতৃত্বে মাইকিং করে এ প্রচারনা চালানো হয়। প্রচারনার সময় বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্থানসহ উপজেলার প্রত্যাস্ত অঞ্চলের মানুষদের করোনা ভাইরাসের প্রভাবমুক্ত থাকার বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে সচেতন করা হয়। এ সময় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ মেনে অকারনে বাহিরে না যেয়ে সকলকে বাড়িতে থাকার বিষয়ে বার বার সচেতন করা হয়।
মোড়েলগঞ্জে নিশানবাড়িয়ায় হতদরিদ্র ১০ পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান
মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে জেলা পরিষদের উদ্যোগে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে ১০ জন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৩০০ টাকা করে বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য মাকসুদা আক্তার মুক্তা, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু সহ ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রতিটি ইউনিয়নে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
মোড়েলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটীতে টিসিবি কার্যক্রমের উদ্ধোধন
মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টিসিবি কার্যক্রম উদ্বোধন কার হয়েছে। বুধবার বিকেলে দৈবজ্ঞহাটী বাজারে টিসিবি প্যাকেজের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শাহ-ই-আলম বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্পসারন কর্মকর্তা মো. সিফত আল মারুফ ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) পারুল বেগম ও ট্যাগ অফিসার।
প্রতিপ্যাকে রয়েছে ৫ কেজি তেল, ২ কেজি ছোলা, ২ কেজি চিনি ও ১ কেজি মশুর ডাল। রমজান মাসজুড়ে এ টিসিবি পন্য বিক্রি কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।
নড়াইলে ৪ চিকিৎসকসহ ৫ জন করোনা আক্রান্ত
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চার চিকিৎসক এবং একজন স্টাফ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল মোমেন। সিভিল সার্জন বলেন, চার চিকিৎসকসহ একজন স্টাফের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে মঙ্গলবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। বুধবার ভোরে তাদের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে। আক্রান্ত এই পাঁচ জনের শারীরিক অবস্থা এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে তারা সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
করোনায় আতঙ্কিত না হয়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, জেলায় এর আগে আরও একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। পরে তিনি সুস্থ হয়েছেন।
বাগেরহাটে ১০ টাকা কেজি ওএমএস চাল বিক্রি শুরু
বাগেরহাট প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাসের কারণে বাগেরহাট জেলায় বিশেষ ওএমএসের মাধ্যমে একজন রেশনকার্ডধারী ১০ টাকা দরে মাসে ২০ কেজি চাল পাবেন। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ মাসে কার্ডধারীরা ১০ কেজি চাল পাবেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার তিনটি পৌরসভার দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য রেশনকার্ডের মাধ্যমে এ মাস থেকে বিশেষ ওএমএসের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু করা হচ্ছে।
এজন্য বাগেরহাট পৌরসভায় ৬ হাজার, মোংলা পৌরসভায় ১ হাজার ৮০০ ও মোরেলগঞ্জ পৌরসভায় ১ হাজার ৮০০ পরিবার রেশন কার্ডের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। বাগেরহাট পৌরসভায় ন্যায্যমূল্যে চাল ও আটা বিক্রির জন্য ৯ জন, মোড়েলগঞ্জ পৌরসভায় তিন জন ও মোংলা পৌরসভায় ৫ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মনোতোষ কুমার মজুমদার জানান, জেলার তিনটি পৌরসভার ৯ হাজার ৬শ পরিবার রেশন কার্ডের সুবিধা পাবেন। এজন্য তিনটি পৌরসভায় প্রতিমাসে ১৯২ টন চাল বিক্রির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খুলনায় করোনায় মৃত ব্যক্তির ২ শিশু সন্তানও আক্রান্ত
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির দুই শিশু সন্তানও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বুধবার (২২ এপ্রিল) তার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে(১৪) ও আরেক ছেলের (৩) নমুনা পরীক্ষার পর তাদের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। খুলনা মেডিক্যাল কলেজের (খুমেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুল আহাদ জানান, বুধবার খুলনা মেডিক্যাল কলেজের পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনে ২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির দুই ছেলের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. আনিসুর রহমান জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে রূপসা উপজেলার ওই ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার পর জানা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এরপর মঙ্গলবার রাতে পরীক্ষার জন্য তার দুই ছেলের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। আজ বুধবার দুপুরে পরীক্ষার ফলাফলে তারা করোনা পজিটিভ হিসাবে শনাক্ত হয়েছে। ওই দুটি শিশু বর্তমানে বাড়িতেই আছে।
ডা. আনিসুর জানান, নূর আলমের সংস্পর্শে আসা মোট ৬ জনের নমুনা মঙ্গলবার রাতে খুমেকের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে দুজন করোনা পজিটিভ ও চারজনের ফলাফল নেগেটিভ। তিনি আরও জানান, আজ বুধবার মৃত ব্যক্তির স্ত্রীসহ তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মৃত ব্যক্তির বাড়ির পাশ্ববর্তী ৪০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
চৌগাছায় এক নারী ও স্কুলছাত্রের করোনা শনাক্ত
যশোর প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় একজন নারী (৩৭) ও স্কুলছাত্র (১৩) করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন। আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম। আক্রান্তরা বর্তমানে দুজনই নিজেদের বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্ত ওই স্কুলছাত্র উপজেলা সদরের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সে শহরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। আক্রান্ত নারী উপজেলা সদরের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার জানান, আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরের ডায়রিয়া ও জ্বর ছিল। আর ওই নারীর জ্বর ও গলাব্যথা ছিল। তারা পরীক্ষা করাতে না চাইলেও তাদের নমুনা জোর করেই মঙ্গলবার সিভিল সার্জনে পাঠান হয়। রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। বর্তমানে উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, রোগীদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
বকেয়া মজুরী ও ভাতা পরিশোধের দাবীতে প্রতিকী মানববন্ধন সফল করুন
খবর বিজ্ঞপ্তি
রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া ১৪ সপ্তাহের বিল ও বৈশাখী ভাতা আগামী ২৬ এপ্রিল ২০২০-এর মধ্যে পরিশোধের দাবীতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে ২৩ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় খুলনা প্রেস কাবের সামনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিকী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
অসহায় মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করেছেন নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার উপাচার্য
খবর বিজ্ঞপ্তি
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা’র উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাতক্ষীরার কৃৃতি সন্তান ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গরীব ও অসহায় মানুষেরর মাঝে ত্রান বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
বুধবার উপাচার্য এর পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল দেবহাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন এর সমন্বয়ে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ত্রান বিতরণ করেছেন। প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ এক ক্ষুদে বার্তায় জানান, “করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রথম থেকেই কাজ করে যাচ্ছি, আগামীতেও এমন ত্রান বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে”। উল্লেখ্য, গত ,১, ২ ও ৩ এপ্রিল দেবহাটা, আশাসুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার দুঃস্থ, গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু ও তেল বিতরণ করা হয়।
অসহায় শ্রমজীবী পরিবারে বাম জোটের ত্রাণ বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাম গণতাস্ত্রিক জোট, খুলনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে বুধবার সকাল ১১টায় সিপিবি জেলা কার্যালয়ের সামনে করোনায় কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জোটের খুলনা জেলা সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, খুলনা জেলার সমন্বয়ক কমরেড জনার্দন দত্ত নাণ্ট, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড ডাঃ মনোজ দাশ, সাধারণ সম্পাদক কমরেড এড. বাবুল হাওলাদার, জেলা সদস্য কমরেড মিজানুর রহমান বাবু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ খুলনা জেলা সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড মোস্তফা খালিদ খসরু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, খুলনা জেলা কমরেড আব্দুল করিম প্রমুখ। ত্রাণ বিতরণের পূর্বে তেৃবুন্দ বলেন, যে শ্রমজীবী মানুষের শ্রমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটছে, আজ মহামারীকালে সেই শ্রমজীবী মানুষ চূড়ান্ত অসহায় অবস্থায় পড়েছে। সরকার ধনীদের রক্ষায় যত আন্তরিক, নি¤œবিত্ত মানুষের ক্ষেত্রে ততটাই অবহেলা করছে। দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির কারণে বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষ আজ ত্রাণ বঞ্চিত। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকারের এই ‘ধনী তোষণ ও গরীব মারা’ নীতি পরিবর্তন করার আহ্বান জানান। একই সাথে সীমিত সামর্থ্য নিয়েও বামজোট কর্মীরাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিবর্গ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি খুলনায় করোনা টেস্টের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করাসহ চিকিৎসার আয়োজন আরও সমৃদ্ধ করা এবং ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় সরকারের ভূমিকা বৃদ্ধি করার দাবী জানান।