করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দেখতে দেখতে তিন অংকের ঘর ছুঁয়েছে। ৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্তের খবরের পরে ১৯ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দেশে। এরপর একমাসের মাথায় সেই মৃত্যু সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১০১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ১০ জন মারা গেছেন। এই সময়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪৯২ জন। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ৯৪৮ জনে। একইসঙ্গে নতুন করে ১০ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৮৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান। এ পরিস্থিতি বিশ্বের সাথে তুলনা করলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দেশে অনেক কম। তারপরেও ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশের জন্য করোনার মতো মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ একটি বড় সমস্যা। সবদিক বিবেচনা করে বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগের। করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারাদেশে জরুরি ছুটিসহ লকডাউনের ব্যবস্থা করেছে সরকার। কিন্তু তাতে কী! দেশের অনেক মানুষ যেন উল্টো স্রোতে ভাসতে বেশি পছন্দ করেন, দুয়েকদিন ঘরে থাকলেও কোনো না কোনো উসিলায় বের হয়ে আসছেন। করোনার স্রোত যে আমাদের মৃত্যুর ঠিকানায় নিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে তা বুঝতে পারছে না অনেকেই। ইটালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিত্র দেখলে আমরা এমনটাই দেখতে পাচ্ছি। তারাও প্রথম দিকে করোনাকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি, হয়তো ধরেই নিয়েছিল তাদের কিছু হবে না। সেজন্য আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা মারাত্মক হারে বাড়তে বাড়তে ভয়াবহ অবস্থায় চলে গেছে। সংক্রামক মহামারীর ইতিহাস বলে, দূরত্ব বজায় রেখেই শুধুমাত্র দ্রুতগতিতে সংক্রমণ রোধ করা যায়। সে হিসেবে আমাদের এখনও সময় আছে বলে আমরা মনে করি। হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশনের পাশাপাশি মনকে লাগাম দিয়ে আরেকটু সময় সবাইকে ঘরে থাকার কষ্ট করলেই মিলতে পারে করোনাভাইরাসের এই প্রকোপ থেকে, বন্ধ হতে পারে মৃত্যুর মিছিল।