পুলিশের বেধড়ক মারপিটে আহত সাংবাদিক রিফাতের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি

14
Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার:

বাগেরহাটে সাংবাদিককে মারপিটের মারাত্মক আহত মাইটিভির বাগেরহাট প্রতিনিধির শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তবে চিকিৎসক তাকে আরো কয়েকদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এএসআই সাখাওয়াত হোসেন ও কনষ্টেবল ফয়েজকে পোলেরহাট ফাঁড়ি থেকে পুলিশ লাইনে কোজড করা হয়েছে।
গত সোমবার মোরেলগঞ্জ উপজেলার ভাটখালী বাজারে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের বেধড়ক মারপিটের শিকার হন মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি রিফাত আল মাহামুদ। সাংবাদিক রিফাত আল মাহামুদ বলেন, সোমবার বিকালে আমি মোরেলগঞ্জের ভাটখালী বাজারে করোনাভাইরাস বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাই। এসময় লোক সমাগম বেশি হওয়ায় এবং কেউ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মানছেন না দেখে বিষয়টি মোড়েলগঞ্জ থানার ওসিকে জানাই এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করি। এর কিছুক্ষণ পরেই পোলেরহাট ফাঁড়ির এএসআই সাখাওয়াত হোসেন এবং কনস্টেবল ফয়েজ বাজারে এসে লোকজনকে এলোপাথাড়ি পেটানো শুরু করেন। তাদের পিটুনিতে ব্যবসায়ী ফারুক তালুকদার, রুবেল, কামালসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

নির্যাতিত সাংবাদিক রিফাত আল মাহামুদ– খুলনাঞ্চল


রিফাত আরো জানান, একপর্যায়ে আমাকেও তারা পেটানো শুরু করেন। এসময় আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলে কনস্টেবল ফয়েজ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, ‘তাহলে তুই থানায় খবর দিয়েছিস। তোদের মত সাংবাদিকের জন্য আমরা বিশ্রাম করতে পারি না।’ পিটুনিতে রিফাতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম হয় এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় চৌকিদারসহ লোকজন এগিয়ে এলে পেটানো বন্ধ হয়। মঙ্গলবার তাকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যে কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয় এবং বর্তমানে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন।
রিফাতের ভাই আসাদুজ্জামান ইমন বলেন, আমরা আইনের প্রতি আস্থাশীল। ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর আমরা বাগেরহাট পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন এবং তাৎক্ষনিকভাবে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে বাগেরহাট পুলিশ লাইনে কোজড করেছেন। পুলিশ সুপারের ওপর পারিবারিকভাবে আমাদের শতভাগ আস্থা আছে। আমার সঠিক বিচার পাবো আশা করছি। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, রিফাতের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো তবে চিকিৎসক তাকে আরো কয়েকদিন বিশ্রমে থাকতে বলেছেন।


বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, এএসআই শাখাওয়াত হোসেন ও কনষ্টেবল ফয়েজকে পোলেরহাট ফাঁড়ি থেকে লাইনে কোজড করা হয়েছে। সবকিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।