সারা খুলনা অঞ্চলের খবর

9
Spread the love

পাইকগাছায় উপজেলা আ’লীগের সম্পাদকের উদ্যোগে ত্রাণ-সামগ্রী বিরতণ
পাইকগাছা প্রতিনিধি
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা নির্দেশনা ও দলীয় ঘোষনা অনুযায়ী ঘরে থাকা পাইকগাছা পৌরসভার কর্মহীন নিম্মআয়ের শ্রমজীবী ও হত-দরিদ্র পরিবারের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন জেলা পরিষদ সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু। ত্রাণের পাশাপাশি করোনাভাইরস প্রতিরোধে জনসমাগম বন্ধসহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং মানুষের ঘরে খাদ্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। মহামারীর শুরুতেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর ত্রান-সামগ্রী, দলীয়, জেলা পরিষদের পক্ষে ও নিজস্ব উদ্যোগসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের কাছে খাদ্য-সামগ্রী পৌঁছায়ে দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে পাইকগাছা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে উনার নিজস্ব অর্থায়নে ২ শত পরিবারের প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি যেয়ে চাউল, ডাউল, তৈল, পেঁয়াজ ও আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় এ সকল খাদ্য-সামগ্রী পৌঁছায়ে দেওয়া হয়েছে। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, সুশিল সানা, আব্দুল হক ঘোরামী, শেখ শহিদুল ইসলাম, মোঃ আকবর হোসেন, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ সাঈদ আলী, বজলুর রহমান, সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

পাইকগাছায় এমপি বাবু’র পক্ষে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় খুলনা-০৬ (কয়রা-পাইকগাছা) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু’র পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু এর নেতৃত্বে ৮নং রাড়ুলী ইউনিয়নে মোটর সাইকেল চালক সমিতির সদস্যদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক শংকর দেবনাথ, যুবলীগের আজিজুল হাকিম, আরশাদ আলী বিশ্বাস, রনি সহ উপজেলার ও ইউনিয়নের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে, পাইকগাছায় খুলনা-০৬ (কয়রা-পাইকগাছা) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু’র পক্ষ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী’র নেতৃত্বে আইনজীবী সহকারী (মোহুরী) সমিতির নেতৃবৃন্দের মাঝে ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান এর বাসভবনে ত্রাণ-সামগ্রী এ সময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ তৈয়ব হোসেন নূর, যুবলীগের আজিজুল হাকিম প্রমূখ।

পাইকগাছায় এক সপ্তাহে সন্দেহভাজন ১২ নারী,পুরুষের নমুনা সংগ্রহ; সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ
স্টাফ রিপোর্টার
পাইকগাছায় করোনা ভাইরাস সনাক্তে গত এক সপ্তাহে ১২ নারী-পুরুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার। উপজেলা এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা সনাক্তে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করার পর থেকে আমরা উপজেলা পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ শুরু করি। তিনি বলেন করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফু কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। এখানে একজন মেডিকেল অফিসার মূল দায়িত্বে রয়েছেন। ফু কর্ণারে যেসব রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন তাদের উপসর্গ ও করোনা সন্দেহভাজন হিসেবে ফু কর্ণারের দায়িত্বরত চিকিৎসকই নির্ধারন করেন কোন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। কার্যক্রম শুরুর পর থেকে গত ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১২ জন নারী-পুরুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার বলেন-মূলত গলা এবং নাক থেকে দুই ধরনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহের পরে তা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সংক্রান্ত পিসিআর ল্যাবে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত যাদের নমুনা পাঠানো হয়েছে তাদের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহের কোন সীমাবদ্ধতা আছে কিনা অথবা রিপোর্ট পাওয়ার পর রোগীদের কি ধরনের সনদ প্রদান করা হচ্ছে এমন প্রসংগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা এ প্রতিনিধিকে জানান-নমুনা সংগ্রহের ব্যাপারে কোন সীমাবদ্ধতা নাই তবে ফু কর্ণারের দায়িত্বরত চিকিৎসকই নির্ধারন করেন কোন ধরনের রোগীর নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। আর আপাতত এই মুহুর্তে রোগীদের রিপোর্টের ব্যাপারে তেমন কোন সনদ বা প্রত্যয়ন প্রদান করা হচ্ছে না। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি আশাকরছি খুব অচিরেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে তিনি জানান।

রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ৩ হাজার পরিবারকে ত্রান সহায়তা
রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
রামপালে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ৩ হাজার কর্মহীন অসচ্ছল ও দুস্থঃ পরিবারকে ত্রান সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯ টায় প্রথমে ফয়লাহাট কামালউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এরপর বাইনতলা ও বাঁশতলী ইউনিয়নে ত্রানসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আঃ খালেক । প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা মাত্র উপায় হচ্ছে শুধুমাত্র সাবধানতা অবলম্বন করা। সবাইকে বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমেই ত্রান সহায়তার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্র গরীব অসহায় মানুষের জন্য ৭ টি ইউনিয়নে ২২০ টি করে ত্রানের প্যাকেট এবং বাকি ৩টি ইউনিয়নে এই সংখ্যার বেশী পরিমানে প্যাকেট সরবরাহ করবে। এছাড়া ১০ টাকা কেজি দরে চাল এবং ভিজিডির চাল ও দেয়া হচ্ছে। এ সময় অন্যান্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল,ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল হক লিপন,বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার জি এম তরিকুল ইসলাম,রামপাল থানার ওসি মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান,উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকতারুজ্জামান,বাইনতলা ইউপি চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ,বাঁশতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

শার্শার নাভারণে আইন ভঙ্গেরদায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অর্ধলক্ষাধিক টাকা জরিমানা
হাসান খান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন বাজারে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের দেওয়া বিধি-নিষেধ অমান্য করায় ১০জন ব্যবসায়ী’কে ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসনের একটি ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরী শুক্রবার সকালে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ ফোর্সসহ উপজেলার নাভারণ বাজার মনিটরিং করাকালে যে দৃশ্য দেখা গেল তা অবর্ণনীয়। মনে হলো মানুষের মেলা বসছে। এই হলো আমাদের সচেতনতা। এসময় বাজারে সরকারী সিডিউল বহির্ভূত দোকান খোলা রাখা, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা, দোকানের সামনে বেশি মানুষের ভিড় করায় এবং ক্রেতা সাধানের কাছ থেকে বেশি মূল্য নেওয়ায় মোট ১০ (দশ) জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এ জরিমানা করা হয়। বজলুর রহমানকে ১ হাজার, শুকুর আলী ১ হাজার, রেজাউল ১ হাজার, শহীদকে ১০ হাজার, আরিফ ৫ হাজার, আঃ মজিদ ৫ হাজার, হাবিব ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কবিরকে ১০ হাজার, নিউ সাহা স্টোর প্রো. অনন্ত সাহা, গুননগরকে ১০হাজার, ময়না স্টোর প্রোঃ ময়না ১০ হাজার, বারিক স্টোর, প্রোঃ আঃ রহমানকে ৪ হাজার টাকা সর্বমোট ৫৭,০০০/-(সাতান্ন হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে অযথা ঘুরাফেরা না করে বাসায় অবস্থান করার জন্য বলেন এবং মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সচেতনও করেন। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব এবং নিজ বাসায় অবস্থান নিশ্চিতকরণ সহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে শার্শা উপজেলা প্রশাসনের অভিযান আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আরও জানান।

ভারতে আটকে পড়া ৭৯ জন পাসপোর্টযাত্রী দেশে আসল বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে
বেনাপোল প্রতিনিধি
মহামারি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গত ৬ এপ্রিল সরকার ঘোষনা দেয় বিদেশ থেকে যারা দেশে ফিরবে তারা সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন এর নিকটে কোন প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। এ্রই ধারাবাহিকতায় আজ ১১ তম দিনে ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরল ৭৯ জন নারী পুরুষ ও শিশু।

ভারত থেকে ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিকটস্থ প্রাতিষ্ঠানিক কেন্দ্রে। শুক্রবার বেলা ৯ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত এ পথে ভারত থেকে আটকে পড়া চিকিৎসা ও ভ্রমন শেষে দেশে ফেরে ৭৯ জন নারী পুরুষ ও শিশু।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান কবির বলেন ফেরত আসাদের বিশেষ নিরাপত্তায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হচ্ছে। ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদের পুলিশ, বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নির্দিষ্ট গন্তব্য নিয়ে যাচ্ছে।
শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারত থেকে ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন রাখা হচ্ছে। আজ যে ৭৯ জন যাত্রী এসেছে এদের আমরা যশোর- বেনাপোল মহাসড়কের গাজিরদরগাহ নামক একটি মাদ্রাসায় নিয়ে যাব। সেখানে এরা ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর যদি কারো শরীরে করোনা সংক্রামক ধরা না পড়ে সরাসারি বাড়ি চলে যাবে।

বাগেরহাটে ভারসাম্যহীনদের খাবার খাওয়াচ্ছেন “ইচ্ছা সামাজিক সংগঠন
মাসুম হাওলাদার, বাগেরহাট.
এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসের হাত থেকে বাংলাদেশও রক্ষা পায়নি ।অনেক জেলা ইতোমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা বাগেরহাটেও যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সিমীত করা হয়েছে মানুষের চলা ফেরাও। এই পরিস্থিতিতে সবকিছুতে এক ধরণের স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে।সমস্যায় পড়েনি এমন কোন পেশা বা শ্রেণির মানুষ খুজে পাওয়া দুস্কর।তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন চাল-চুলোহীন ছিন্নমূল ও মানসিক ভারসাম্যহীন পথে থাকা মানুষগুলো।সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাধারণ বিত্তশালীরা কর্মহীণ ও অসহায় খাদ্য সামগ্রী দিলেও, অভুক্ত থেকে যাচ্ছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ও ছিন্নমূল মানুষেরা। কারণ স্বাভাবিক অবস্থায়ই তারা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটান। নোংড়া কাপড়, লম্বা জট ওয়ালা চুল, ময়লাযুক্ত শরীরের কারণে তাদের ধারে কাছে কেউ আসতে চায় না। খাবারের হোটেলের সামনে অনটাইম প্লেটে কাস্টমারের মাখা খাবারে পেটের জ্বালা মেটায় এরা।করোনা পরিস্থিতে না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে এই মানুষগুলোর।
এই করুণ পরিস্থিতে নিরবে, নিভৃতে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষগুলোকে রান্না করা খাবার খাওয়াচ্ছেন সামাজিক সংগঠন “ইচ্ছা”। একবার যাকে খাবার দিয়ে আসছেন “ইচ্ছা”-র কর্মীরা তার কাছে জানতে চান পরবর্তীতে কি খেতে চায় তিনি। পরবর্তীতে ওই মানুষটির চাহিদা অনুযায়ী খাবার রান্না করে আবার হাজির হন স্বেচ্ছাসেবকরা।মানসিক ভারসাম্যহীনদের পাশাপাশি বাগেরহাট শহরের ২০ টি স্থানে বেওয়ারিশ কুকুর এবং পাখিদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে এই সংগঠনটি।
জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হওয়ার পর। ২৩ মার্চ থেকে “ইচ্ছা”র কর্মীরা বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের পাশে দাড়িয়েছে।শহরের ১৫ থেকে ২০ জন মানসিক ভারসাম্য মানুষকে তারা প্রতিদিন দুই বেলা রান্না করা খাবার পৌছে দিচ্ছেন। শহরে ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ কুকুরদেরও নিয়মিত খাবার দিচ্ছেন তারা। পাখিদের জন্য দেওয়া হচ্ছে ধান, গম ও মুড়িরমত শুকনো খাবার।এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে সংগঠনটি কয়েকজনকে নগদ অর্থ এবং ৬’শ ৬৮ মধ্যবিত্ত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। নিজস্ব প্রস্তুতকৃত ৯’শ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌছে দিয়েছেন। খেটে খাওয়া মানুষকে মাস্কও দিয়েছে সংগঠনটি।“ইচ্ছা”র এসব কার্যক্রম চলে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়ন ও শুভাকাংখীদের সহায়তায়।সমাজের বিত্তবানরা তাদের কাজের সাথে এগিয়ে আসলে আরও বেশি মানুষের উপকার করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
ইচ্ছা‘র সাধারণ সম্পাদক শারমিন মেহফুজ সাথি বলেন, যে সকল ভাসমান এবং ভারসাম্যহীন মানুষ এখন বাগেরহাটে অবস্থান করছেন তাদের শুধু খাদ্য নয় বাসস্থানেরও প্রয়োজন। অন্যথায় এই সকল ভ্রাম্যমাণ মানুষেরাই হয়ে উঠতে পারেন করোনা ভাইরাস ছড়ানোর মারাত্মক হাতিয়ার। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে এই সব মানুষদের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান তারা।
ইচ্ছা‘র সভাপতি এ্যাড. শাহিন সিদ্দিকি বলেন, ২০১৪ সালে বাগেরহাটের হতদরিদ্র মানুষের জন্য রক্ত জোগার করার মাধ্যমে সংগঠনের পথ চলা। এরপরে অসহায় দরিদ্র শিশুদের জন্য ঈদের পোশাক দেওয়া।দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা ও শিক্ষা সহায়তার মধ্য দিয়ে চলতে থাকে আমাদের সেবাধর্মী কাজ। বৈশ্বিক এই মহামারীতে যেসব মধ্যবিত্ত মানুষ কারও কাছে খাবার চাইতে পারেনা, তাদেরকে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছি। বাগেরহাট শহরে থাকা ছিন্নমূল ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে প্রতিদিন দুই বেলা রান্না করা খাবার দিচ্ছি। বেওয়ারিশ কুকুর পাখিদেরও খাবারের ব্যবস্থা করেছি। ভবিষ্যতে যেকোন দূর্যোগে এ ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দাকোপে সাবেক মেয়রের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ মোকাবিলায় খুলনার দাকোপে চালনা পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যক্ষ ড. অচিন্ত্য কুমার মন্ডলের ব্যক্তিগত অর্থায়নে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অসহায় দরিদ্র কর্মহীন ঘরবন্ধি ১২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী হিসেবে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু ও ১ কেজি করে লবণ বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১০টায় চালনা বৌমার গাছতলা মেয়রের বাস ভবন সংলগ প্রাঙ্গনে উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি এ ত্রান খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা-১ আসনের সাবেক সংসদ ননী গোপাল মন্ডল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান, উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সভাপতি আ‘লীগনেতা অসিত বরণ সাহা, গাজী আব্দুর রহিম, সমর বিশ^াস, ছাব্বির আহম্মেদ শেখ, শিবেন্দ্রপ্রসাদ রায়, পৌর কাউন্সিলর রুস্তোম আলী খান, দাকোপ প্রেস কাবের সভাপতি শচীন্দ্র নাথ মন্ডল, অতীন মন্ডল, সাংবাদিক বিধান চন্দ্র ঘোষ, আফজাল হোসেন খান, বিপ্লব বিশ^াস, বিলাশ বিশ^াস, শিবপদ গোলদার, সৃকৃতি রায়, তাপস গোসাই, এ্যাপলো মন্ডলসহ আরো অনেকে।

ফুলতলায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান
ফুলতলা প্রতিনিধি
শেখ ব্রদার্সের পক্ষ থেকে শুক্রবার সকালে ফুলতলার দামোদর ইউনিয়ের ৮নং ওয়ার্ডে প্রতিবন্ধী স্কুল মাঠে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামোদর ইউপি চেয়ারমান শরীফ মোহাম্মদ ভুইয়া শিপলু, বণিক কল্যাণ সোসাইটির সাবেক সভাপতি বরকত আলী ভুইয়া বাটুল, শেখ ব্রাদার্সের ম্যানেজার ইখতিয়ার উদ্দিন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা বেগম, আওয়ামীগ নেতা রমজান আলী মিন্টু, জিল্লুর রহমান প্রমুখ। উল্লেখ্যঃ ৪শ’ প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ১০ কেজি চাল, ২কেজি আলু, ১কেজি ডাল, ১টি সাবান বিতরণ করা হয়।

পাটকেলঘাটার গ্রাম ডাক্তারগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি
পাটকেলঘাটার গ্রাম ডাক্তারেরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোন রকম সুরক্ষা ছাড়াই নিরলস ভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। দিয়ে যাচ্ছেন করোনা ভাইরাসের সচেতনতামূলক পরামর্শ। এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা থানা গ্রাম ডাক্তার কল্যান সমিতির সভাপতি ডাক্তার হাদিউজ্জামান জানান, আমাদের পাটকেলঘাটায় ৩০০ জন গ্রাম ডাক্তার রয়েছেন। বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুস সাত্তারের নির্দেশনায় পাটকেলঘাটার গ্রাম ডাক্তার এই সংকটময় মুহুর্তে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। তিনি আরও বলেন, এখন গ্রাম অঞ্চলের মানুষ সর্দি, কাশি, জ্বর হলেও করোনা রোগের আক্রান্তের ভয়ে ভুগছে। এ সকল রোগীদেরকে পাটকেলঘাটা গ্রাম ডাক্তারগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। করোনার উপসর্গ থাকলে তাৎক্ষনিক সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে বাংলাদেশের সকল প্রকার গ্রাম ডাক্তারদেরকে সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান। সাতক্ষীরায় গ্রাম ডাক্তারদের কোন দিন সরকারি ভাবে অনুদান আসে তা যেন সাতক্ষীরায় কর্মরত উর্দ্বতন ডাক্তাররা গ্রাম ডাক্তারদের নিকট পৌঁছে দেয়ার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

পাটকেলঘাটায় এড. মোহাম্মদ হোসেনের ত্রান বিতরণ অব্যাহত
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি
তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এড. মোহাম্মদ হোসেন তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তালার বিভিন্ন ইউনিয়নের করোনায় কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রান বিতরন অব্যাহত রেখেছেন। তিনি গতকাল বিকালে ভ্যান যোগে ত্রান নিয়ে পাটকেলঘাটার সদরে গরীব ও অসহায়দের মাঝে ত্রান বিতরণ করেন। তিনি বলেন, গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে ত্রান বিতরন অব্যাহত রাখবো। পাশাপাশি সমাজের বৃত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাড়াবার বিনীত আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী’র দেওয়া খাদ্যসামগ্রী পেলেন মোড়েলগঞ্জের ১৭০ বাস শ্রমিক পরিবার
এম.পলাশ শরীফ,মোড়েলগঞ্জ
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর দেওয়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া ১৭০জন বাস শ্রমিক সদস্যদ্যের মাঝে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান। এ খাদ্য সামগী বিতরণকালে তার সাথে ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম। শুক্রবার দুপুরে ও বিকেলে মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা বাস শ্রমিক ২৯ পরিবার ও মোড়েলগঞ্জ-বাগেরহাট সোলমবাড়িয়া ৪৫ বাস শ্রমিক পরিবার ও বনগ্রাম ইউনিয়নে বসবাসরত ১০০ বাস শ্রমিক পরিবারের মাঝে জনপ্রতি ১০ কেজি করে এ চাল বিতরণ করা হয়।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া ঘরমুখি বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ পর্যায়ক্রমে খাদ্য সামগ্রী পাবে। খাদ্যের অভাবে কোন ব্যক্তি অভূক্ত থাকবেনা। প্রধানমন্ত্রী’র নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী নিজ হাতে দিচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে এ উপজেলায় ৫ হাজার ৬শ’ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ছিন্নমূল আশ্রয়ন প্রকল্পের ১১০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। # ছবি সংযুক্ত আছে।

মোড়েলগঞ্জ ৭৫০ জন কৃষক বিনামূল্যে পেল বীজ ধান ও সার
মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে করোনায় কর্মহীন সাড়ে ৭ শ’ প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দপুরে করোনা ভাইরাসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান এর নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষকদের বাড়িতে বাড়িতে এসব সার ও বীজ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে ও আউশ ধানের বীজ ও রাসায়নিক সারের পুর্নবাসন প্রকল্প-২০২০ এর আওতায় ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ এসব কৃষি সামগ্রী পৌঁছে দেন।
বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা দীপক কুমার রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভীন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ, মোড়েলগঞ্জ প্রেস কাব সভাপতি মেহেদী হাসান লিপন সহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ। জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা অনুযায়ী কোন জমি পতিত রাখা যাবেনা। সে মোতাবেক কৃষকদের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভীন জানান, প্রতি চাষী ৫ কেজি বীজ ধান, ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার পাবে। পাশাপাশি করোনায় বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য সকল কৃষককে পরামর্শ প্রদান করেছি।

কেশবপুরে জনসচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুর উপজেলার টিটাবাজিতপুর যুব সংঘের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ডস স্যানিটাইজার প্রদান, বহিরাগতদের প্রবেশে বাঁধাদান ও জীবানুনাশক স্প্রে করা-সহ সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। শুক্রবার দিনব্যাপী টিটাবাজিতপুর মোড়ে উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন টিটাবাজিতপুর যুব সংঘের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর, সদস্য তরিকুল ইসলাম, ইউসুফ আলী, ফজর আলী, ওবায়দুল, আমিনুর রহমান, জিয়াউর রহমান, সাফায়েত, ফিরোজ, জুল ফিকার আলী, সাগর, নাহিদ, বাচ্চু, দিপু, রাসেল, নাজমূল, ফয়সাল, মুজিবুর রহমান, শামীম রেজা প্রমুখ। উক্ত কার্যক্রমকে উৎসাহ প্রদান করেছেন যুব সংঘের উপদেষ্টা ও টিটাবাজিতপুর এম.কে.বি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান, সমাজসেবক আলাউদ্দীন সরদার, নবজান সরদার, আশরাফ আলী সরদার প্রমুখ। এব্যাপারে টিটাবাজিতপুর যুব সংঘের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রতিদিন আমারা আমাদের অর্থায়নে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উক্ত কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি। তবে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে আমাদের মাস্ক, হ্যান্ডস স্যানিটাইজার, জীবানুনাশক, পিপিই-সহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করা হলে আমাদের কর্মকান্ড আরো গতিশীল হতো।

চিতলমারীতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে দিনমজুর, পনিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ও গৃহবধূর আত্মহত্যা
চিতলমারী প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মফিজার সরদার (৪৫) নামের এক দিনমজুর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট ও সালমান শেখ নামের দেড় বছরের এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। অপরদিকে রত্মনা রায় নামের এক গৃহবধু আতœাহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে এ দূর্ঘটনা দুটি ঘটে ও দুপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত মফিজার সরদার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের বড়গুনি গ্রামের হাদি সরদারের ছেলে ও সালমান শেখ বড়বাড়িয়া গাংপাড় মিত্তিপাড়া গ্রামের খলিল শেখের ছেলে এবং রতœা রায় খাগড়া বুনিয়া গ্রামের অদ্য রায়ের স্ত্রী। বড়বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল মতিন জানান, দিনমজুর মফিজার সরদার শিমুল গাছে উঠে বাশঁ দিয়ে তুলা সংগ্রহ ছিলেন। এ সময় অসাবধানত অবস্থায় বিদ্যুতায়িত হলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া খলিল শেখের ছেলে শিশু সালমান শেখ খেলার ছলে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে ডুবে মারা গেছে।
অপরদিকে, খাগড়া বুনিয়া গ্রামের অদ্য রায়ের স্ত্রী রত্মা রায়ের গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্য করেছে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মফিজার সরদার ও গৃহবধু রত্মা রায়ের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানান ।

ছিন্নমূল, পথশিশু ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের রান্না খাবার দিচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা সজল
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগরীর ছিন্নমূল, পথশিশু ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের প্রতিদিন একবেলা রান্না করা খাবার খাওয়াচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা সজল। খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রনবীর বাড়ৈই সজল জানান, বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল এর সহযোগিতায় তিনি নগরীর নিউ মার্কেট থেকে রূপসা পর্যন্ত ছিন্নমূল, অসহায়, পথশিশু ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের এই খাবার রান্না করে খাওয়াচ্ছেন। তিনি বলেন, তিনি সহ ছাত্রলীগের কিছু কর্মীরা মিলে এই কাজটি প্রতিদিন করছেন। প্রতিদিন তারা ২০০ জনের মতন মানুষকে খাওয়াচ্ছেন নিজেরা রান্না করে।
নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বায়োজিদ সিনহা জানান, নগরীর নিম্ম আয়ের মধ্যবিত্তদের সরকার ও প্রশাসনের লোকজন সাহায্য করছেন। কিন্তু এই ছিন্নমূল মানুষ, অসহায় মানুষ, পথশিশু ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের কেউ দেখছে না। যদিও এখন পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ সাহায্য করা শুরু করেছেন। আমরা তাদের এই কাজটিকে আরো এগিয়ে নিচ্ছি। আমরা চাই এই দূর্যোগ কালিন সময়ে কোন মানুষ যেন বিপদে না থাকে। নিজেকে একা না মনে করে। তারা আরো বলেন, তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এটি যেন পুরো নগরীজুরে করা যায় তারা সেই চেষ্টা করছেন।

কয়রায় ত্রাণের ৪ বস্তা চাল আটকের পর ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন
কয়রা প্রতিনিধি
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে হত দরিদ্রদের দেওয়া খাদ্য বান্ধব এর ১০ টাকা কেজি চাল, ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আটক করেছে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিট্রেট। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত অনুঃ ১২ টায় কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের তেতুলতলার চর গ্রামের মুর্শিদ ঢালীর বসত ঘর থেকে ৪ বস্তা চাল আটকের পর ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার আমাদী ইউনিয়নের ডিলার সুভাস সরদার ৩ বস্তা একই চাল বিক্রির পর জনতার হাতে ধরা পড়লেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এ সম্পার্কে একাধীক সুত্র জানায় বিভিন্ন ইউনিয়নে ইউপি সদস্যরা এভাবে খাদ্য বান্ধবের ১০ টাকার চাল ডিলারদের সাথে যোগাযোগ করে বেশি দামে বিক্রি করে আসছে। কিন্তু এ বিষয়ে এতদিন খোঁজ খবর না নেওয়ায় বিষয়টি ধরা ছোয়ার বাইরে ছিল। এদিকে কয়রায় বারবার সরকারি ত্রাণের চাউল আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন মহলে গুনজন শুরু হয়েছে এবং কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন অনেকেই। খবর নিয়ে জানা গেছে, চোরাই চাল ব্যবসায়ী মুর্শিদ ঢালী খাদ্য বান্ধব চাউলের কার্ডধারী একই গ্রামের রেবেকা খাতুন, নজরুল ঢালী ও মহেশ্বরীপুর গ্রামের নুর ইসলাম সহ শতাধীক কার্ডধারীর কাছ থেকে কম টাকায় চাল কিনে বেশি দামে বিক্রি করে থাকে এ বিষয় স্থানীয় মেম্বর আঃ গনি জানান, বিভিন্ন কার্ডধারীদের কাছ থেকে চাউল কিনেছেন মুর্শিদ ঢালী এবং সে একজন ব্যবসায়ী। মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদার বলেন, যে সকল খাদ্যবান্ধব চালের কার্ডধারী যে সমস্ত ব্যক্তি ১০ টাকার চাল কিনে বিক্রি করেন তাদের কার্ড বাতিল করার জন্য কতৃপক্ষকে জানাবেন। তিনি বলেন, এলাকার একটি কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এ কাজে জড়িত আছে বলে তার ধারনা। তবে মুর্শিদ ঢালী সাংবাদিকদের জানান, কার্ডধারীরা ৩০ কেজির চালের বস্তা ৩০০ টাকায় কিনে তার কাছে বেশি দামে বিক্রি করে যায় এবং সেই চাল আটক করেছে প্রশাসন।

অসচ্ছল খেলোয়াড় ও সাধারন মানুষের পাশে নারী ক্রিকেটাররা
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনায় অসচ্ছল খেলোয়াড়, নিম্ম আয়ের মানুষ ও মসজিদ মন্দিরে সাহায্য করছেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়সহ ২২ খেলোয়াড় ও কোচ। খেলোয়াড়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন নারী ক্রিকেটার সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, আয়শা রহমান শুকতারা, সাহেলা শারমিন ও কোচ ইমতিয়াজ হোসেন পিলু। ইমতিয়াজ হোসেন পিলু বলেন, তারা ২২জন মিলে আড়াই টন চাল সংগ্রহ করে। যারা অসচ্ছল পরিবার রয়েছেন তাদের সাহায্য করা হচ্ছে। পাশাপাশি সাহায্য করা হ”্ছে নিম্ম আয়ের মানুষ, মসজিদ ও মন্দিরে। তিনি বলেন সচ্ছল নারী খেলোয়াড়রা তাদের সহকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যেই মুলত শুরু করেন। পরে আস্তে আস্তে পরিধি আরো বারানো হবে। তিনি বলেন মানুষের ঘরে ঘরে আমরা সাহায্য পৌছে দিচ্ছি। আমাদের এই সাহায্য অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড় সালমা খাতুন জানান, আমরা আমাদের আশপাশের নিম্ম আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। কিন্তু যে সকল অসচ্ছল খেলোয়াড়রা রয়েছে তারা এই দূর্যোগ কালিন সময়ে যাতে সমস্যায় না পরে এ জন্য আমাদের এই প্রয়াস।

কৃষককে মারধর করা সেই চেয়ারম্যান গ্রেফতার
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চাওয়া কৃষককে মারধর করা সেই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ৩৩৩ নম্বরে কল করে ত্রাণ সহায়তা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ১২ এপ্রিল দুপুরে কৃষক শহীদুল ইসলামকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে চৌকিদার। ইউএনও এসেছে এমন মিথ্যা কথায় ইউপি ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে চৌকিদারের লাঠি দিয়ে শহীদুলকে মারধর করে চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার। এ ঘটনায় ১৫ এপ্রিল শহীদুল বাদী হয়ে চেয়ারম্যান সাত্তার, মেম্বার রেজা ও তথ্যসেবা কেন্দ্রের রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই থেকেই পলাকত ছিল আসামিরা। শুক্রবার সকালে চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার আইও লালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মনোয়ারুজ্জামান জানান, আসাামকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আঙ্গারীপাড়া এলাকার ২০০-২৫০ গরিব মানুষ ২০-২৫ দিন থেকে কর্মহীন। এ অবস্থায় পরিবারের কথা চিন্তা না করে প্রতিবেশীদের জন্য সাহায্য পেতে শহীদুল ৩৩৩ নম্বরে ফোন দেন। রবিবার দুপুরে নামাজ শেষে বাড়ি এলে চৌকিদার তাকে বলে ইউনিয়ন পরিষদে ইউএনও এসেছে আপনার সঙ্গে কথা বলবে। সেখানে যাওয়ার পর কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে চৌকিদারের লাঠি নিয়ে চেয়ারম্যান তাকে মারধর করে। এরপর চেয়ারম্যান বলেন, ‘৩৩৩ নম্বরে কেন ফোন দিয়েছিস তার জন্যই এই শাস্তি। একথা কাউকে বললে তোর অবস্থা আরও খারাপ করে দিবো।’ বাড়ি আসার পর এলাকাবাসী তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করায়। এরপর ইউএনওকে জানালে তিনি তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

দোকানের গুদামে টিসিবি’র ৯২ লিটার তেল, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারীতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র ৯২ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফুল আলম সদর বাজারে অভিযান চালিয়ে আবির স্টোরের গুদাম থেকে সয়াবিন তেল উদ্ধার করেন। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোকান মালিক ইসমাইল কাজীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম জেল প্রদান করেন। একই সময় চিতলমারী টিসিবি’র ডিলার ও বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর উকিলের কাছে তেল বিক্রির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আবির স্টোরের কর্মচারী আব্দুল্লাহ কাজী জানায়, তারা টিসিবি’র এই তেল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মিলন মাঝির কাছ থেকে থেকে কিনেছেন।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর ট্রেডার্সের মালিক জাহাঙ্গীর উকিল বলেন, ‘আমি গত বছর হজে যাওয়ার আগে টিসিবি’র ওই লাইসেন্সটি পরিচালনার জন্য চিতলমারী উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মিলন মাঝিকে দিয়ে যাই। সেই থেকে মিলন টিসিবির পণ্য তুলে বিক্রিসহ লাইসেন্সটি পরিচালনা করে আসছে। কালোবাজারে তেল বিক্রির বিষয়টি ইউএনও স্যার আমাকে বলেছেন। আমি আজই মিলনের কাছ থেকে লাইসেন্স কোজ করবো।’ মিলন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি লাইসেন্সটি পরিচালনা করছেন এটা সত্য। তবে কালোবাজারির সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ‘বাজারে অভিযানকালে আবির স্টোরের গুদামে আমরা টিসিবি’র ৯২ লিটার ভোজ্য তেল পাই। যা বিক্রি সম্পূর্ণ বেআইনি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ ধারায় দোকান মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের বিনাশ্রম জেল দেওয়া হয়েছে। আর ডিলার জাহাঙ্গীর উকিলের কাছে তেল বিক্রির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু
যশোর প্রতিনিধি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ১৩টি নমুনা পরীক্ষার মশ্য দিয়ে এ কাজ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যায় এ পরীক্ষার ফল দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, দেশের এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার কাজ আজ থেকে শুরু করেছে। যশোরের সিভিল সার্জন আজ ১৩ নমুনা দিয়েছেন। সেই নমুনা দিয়ে দুপুর ১২টার পর পরীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ রিপোর্ট সিভিল সার্জনে জানানো হবে। এখন থেকে এ পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সেন্টারে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

লকডাউন নিয়ে চাঁদা দাবির ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার বাগুডাঙ্গা গ্রামে ঢাকাফেরত রিজাউল সরদারের বাড়ি লকডাউনের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বাগুডাঙ্গা গ্রামের সাজেদুল ইসলাম শোভন, কলাবাড়িয়া গ্রামের রিয়াজ ও চরডুমুরিয়া গ্রামের পারভেজ শেখের নাম উল্লেখ করে নড়াগাতি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রিজাউল। এই অভিযোগের দুদিন পর বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রিজাউল, তার ছেলে ও ছোট ভাইসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে নড়াগাতি থানায় পাল্টা অভিযোগ করেন ডুমুরিয়া গ্রামের পারভেজ শেখ। দুটি অভিযোগই তদন্তাধীন বলে জানান নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খানম।
রিজাউল সরদার তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তিনি ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানির গাড়ি চালান। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ছুটি ঘোষণার পর গত ২৪ মার্চ তিনি গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। গত ১০ এপ্রিল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক পরিচয় দিয়ে উপজেলার বাগুডাঙ্গা সাজেদুল ইসলাম শোভন, কলাবাড়িয়া গ্রামের রিয়াজ ও চরডুমুরিয়া গ্রামের পারভেজ শেখ ঢাকাফেরত রেজাউলকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেন। রিজাউল সুস্থ আছেন জানানোর পরও তার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। রেজাউলকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া, মোবাইল কোর্টে সাজা দেওয়া এবং বাড়ি লকডাউনের ভয় দেখিয়ে তারা দু’হাজার টাকা চাঁদা হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ৮ হাজার টাকা দিতে রিজাউলকে নানারকম ভয়ভীতিও দেখান বলে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনা কালিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানার পর (ইউএনওর) তিনি ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ১২ এপ্রিল রিজাউলের বাড়িতে যান। বিষয়টি ইউএনও যাচাই করে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে ফিরে চলে আসেন। এরপরও তারা চাঁদার দাবিতে রিজাউলকে ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে সাজেদুল ইসলাম শোভন বলেন, ‘রিজাউল সরদার আমার প্রতিবেশী। করোনা শুরুর পর তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে এলে গ্রামের দু’একজনসহ আমি তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলি। তিনি আমার কথা না মেনে বাইরে ঘোরাফেরা করতে থাকলে বিষয়টি প্রশাসনসহ অন্যদের জানালে রিজাউল সরদার ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা দায়ের করেন।’ রিয়াজ ও পারভেজ শেখ বলেন, ‘রিজাউল সরদারের সঙ্গে আমাদের ন্যূনতম পরিচয়ও নেই। তাকে আমরা কেন ভয়ভীতি দেখাতে যাবো। হয়তো কারোর প্ররোচনায় পড়ে তিনি আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।’ চরডুমুরিয়া গ্রামের পারভেজ শেখ অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি ১৫ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে উপজেলার যোগানিয়া বাজার হতে বাগুডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার পথে বাগুডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলের পাশের রাস্তার ওপর পৌঁছালে চরমধুপুর গ্রামের আব্দুল করিম স্বপন, বাগুডাঙ্গা গ্রামের রিজাউল সরদার, বিল্লাল সরদার, সম্রাট সরদার ও বেলায়েত মোল্যা তার গতিরোধ করেন। এ সময় আব্দুল করিম স্বপন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং গালিগালাজ করেন। বাকি চারজন এ সময় আমাকে চড়, থাপ্পড়, কিল ঘুষি মারতে থাকেন। তাদের কাছে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, রিজাউল সরদারের হোম কোয়ারেন্টিন না মানার বিষয় প্রশাসনকে জানানোতে তারা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। এ সময় সাংবাদিক আব্দুল করিম স্বপন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আব্দুল করিম স্বপন জানান, আগের অভিযোগকারী বাগুডাঙ্গা গ্রামের রিজাউল সরদার তার পূর্বপরিচিত থাকায় অভিযোগকারী তাকে জড়িয়ে থানায় ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ দায়ের করেছেন। পারভেজ শেখের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেওয়া কিংবা তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রিজাউল সরদার বলেন, ‘আমার দায়ের করা অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে অভিযুক্তরা আমার ছেলে, ভাই ও আমিসহ পাঁচ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত হলে ঘটনার প্রকৃত সত্যতা বেরিয়ে আসবে।’ এ ব্যাপারে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খানম বলেন, ‘বাগুডাঙ্গা গ্রামের বাড়ি লকডাউনের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় গত ১৪ এপ্রিল রিজাউল সরদারের দায়ের করা অভিযোগ পেয়েছি। এছাড়া চরডুমুরিয়া গ্রামের পারভেজ শেখের দায়ের করা অভিযোগও পেয়েছি। ঘটনা দু’টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

খুলনায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ২ জনের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ফু কর্নারের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসাদুজ্জামান (২৪) নামে এক যুবক ও দুপুর সাড়ে ১২টায় মিতু (১০) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। খুমেক হাসপাতালের ফু কর্নারের মুখপাত্র ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, মহানগরীর লবণচরা এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান শ্বাসকষ্ট নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় হাতপাতালে আসেন। প্রাথমিক পরীক্ষার পর করোনা সন্দেহে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা। এর এক ঘণ্টা পর তিনি মারা যান। তিনি অ্যাজমায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি আরও জানান, রূপসা উপজেলার কাজদিয়া গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মিতু নামে একটি শিশুকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তার মৃত্যু হয়। সে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিল। দু’জনেরই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
যারা অসহায় মানুষের মুখের খাবার ও নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: সিটি মেয়র
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছিন্নমুল খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের রাজনৈতিক দল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন এদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে গেছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনাও একই ভাবে জনগণের মৌলিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্যেই দেশের এই দুর্যোগময় মূহুর্তে নিজের নিরাপত্তা রেখে জনগণের পাশে দাড়ানো আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীর আদর্শিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ত্যাগী ও সৎ। এই সততার মধ্যে যারা অসহায় মানুষের মুখের খাবার ও নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি ফেসবুক, মেসেঞ্জার গ্রুপের সকল সদস্যকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া হয়েছে এদেশের মানুষের কল্যানে এবং দেশের উন্নয়নে। আর সেই প্রযুক্তিকে নেতিবাচক ভাবে ব্যবহার করা যেমন দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয় তেমনি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানেরও। তিনি বলেন, ত্রাণের চাল যারা চুরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ অত্যন্ত সুকৌশলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ন্যাক্কার জনকভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে যারা ব্যাঙাত্মক ভিডিও, অডিও গান, কাল্পনিক ছবি পোষ্ট করে অপপ্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি দলের সকল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কেউ কোন অডিও, ভিডিও ব্যাঙাত্মক নাটক, কবিতা ও গান তৈরি করে অপপ্রচার করবেন না। যদি কেউ করেন তাকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিন। এরপরেও যদি কেউ না শুনে এ ধরনের অপপ্রচার করে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ সৈয়দ আলী, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, শেখ আবিদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম বাশার, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, এস এম আনিছুর রহমান, ফয়েজুল ইসলাম টিটো।
সভায় প্রত্যেক ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ত্রাণ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সর্তক অবস্থানে থাকার সিদ্ধান্ত হয়।

মুজিবনগর দিবসে নগর আ’লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
মুজিবনগর দিবসে আলোচনা সভা করেছে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে এসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ সৈয়দ আলী, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, শেখ আবিদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম বাশার, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, এস এম আনিছুর রহমান, শফিকুর রহমান পলাশ, হাবিবুর রহমান দুলাল, ফয়েজুল ইসলাম টিটো।

শ্রমিক নেতা কামালের সহধর্মিনীর ইন্তেকাল আ’লীগ নেতৃবৃন্দের শোক
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও মানিকতলা খাদ্য বিভাগ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামালের সহধর্মিনী হাসিনা বেগম মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ………….. রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ৩ মেয়ে নাতি নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় দৌলতপুরের সেনপাড়ায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। মরহুমার নামাজে জানাযা বাদ জুম্মা সেনপাড়া জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে মরহুমাকে মহেশ্বরপাশা কবরস্থানে দাফন করা হয়। এসকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নুর ইসলাম বন্দ, শেখ সৈয়দ আলী, শহীদুল ইসলাম বন্দ, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মাকসুদ আলম খাজা, শেখ সাহাবুদ্দিন, শাহাদাৎ মিনা, আসিফুর রশীদ, আব্দুর রউফ মোড়ল, মফিজুর রহমান হিরু, মনিরুল ইসলাম তরফদার,জাফর মিয়া, মুকুল, মাকসুদ হাসান পিকু, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, মো. হারুনুর রশীদ, আবু জাফর সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে হাসিনা বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ্ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম বন্দ।

দক্ষিণ বেদকাশীতে দারিদ্রের ঘরের অবকাঠামো মেরামতের ব্যবস্থা করলেন সংসদ সদস্য বাবু
কয়রা প্রতিনিধি:
কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকার এক হত দরিদ্রের বাড়িতে গিয়ে তার ভগ্ন কুঠীরের অবকাঠামো মেরামতের ব্যবস্থা করলেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। গত বুধবার দুপুরে এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু চরামুখা খেয়াঘাট এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করতেছিলেন, এমন সময় এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু’র কাছে যেয়ে দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের হতদরিদ্র মুনসুর ঢালী তার বাড়ির ভগ্ন অবস্থার কথা বলেন। হতদরিদ্র মুনসুর ঢালীর বাড়িতে যেয়ে ঘরের ভগ্ন অবস্থা দেখে ঘরের অবকাঠামো মেরামত করার জন্য তার হাতে ব্যক্তিগত অর্থ সহায়তা হিসেবে নগদ দশ হাজার টাকা তুলে দেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। নিজের ভগ্ন কুঠিরে এমপিকে পেয়ে এবং ঘর মেরামত করার জন্য নগদ অর্থ পেয়ে মহাখুশি দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড এলাকার সাধু ঢালীর ছেলে হতদরিদ্র মুনসুর ঢালী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ূন কবির, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমরেশ চন্দ্র সরকার, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গনেশ মন্ডল, জেলা যুবলীগ নেতা শামীম সরকার, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ খান, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম টিংকু, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল হক বাদল, ইউপি সদস্য রমেশ চন্দ্র সরকার, ইউপি সদস্য মোঃ মাসুদ রানা, মোজাফফর শিকারী, মরিয়ম খাতুন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম আছাফুর রহমান, শাহিনুর রহমান শাহিন, ছাত্রলীগ নেতা রাজিবুল ইসলাম রাজু, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মামুন কবির প্রমুখ।