চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
দুই পুত্রবধূর বিরুদ্ধে বৃদ্ধা শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায়।সোমবার রাতে উপজেলার পল্লী রায়সা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত সফুরা খাতুন (৬৫) ওই গ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের স্ত্রী। এ ঘটনায় দুই পুত্রবধূ রিজিয়া খাতুন ও রেশমা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে দুই পুত্রবধূ হত্যার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, শাশুড়ি ঘরে উঠতে গিয়ে পড়ে মারা গেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ১০টার দিকে শাশুড়ি মারা গেছেন বলে দুই পুত্রবধূ প্রচার করতে থাকেন। প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে টের পেয়ে স্থানীয় তিয়রবিলা ক্যাম্প পুলিশে খবর দেয়। মঙ্গলবার সকালে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুই পুত্রবধূ তাদের বৃদ্ধা শাশুড়ি সফুরা খাতুনকে সব সময় অবহেলার চোখে দেখতেন। বড় পুত্রবধূ রিজিয়া খাতুন সোমবার সন্ধ্যায় রুটি তৈরির বেলুন দিয়ে শাশুড়ির মাথায় আঘাত করলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এসময় তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক সুজনের কাছে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে রাত ১০টার দিকে বৃদ্ধা সফুরা মারা যান। তাকে গোপনে দাফনের চেষ্টা করা হলে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। সকালে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রিজিয়া খাতুন ও রেশমা খাতুনকে আটক করা হয়। এদিকে , দুই পুত্রবধূকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তারা হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘শাশুড়ি একা একঘরে থাকতেন। সেখান থেকে পড়ে মারা গেছেন।’
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বৃদ্ধা সফুরা খাতুনকে পুত্রবধূরা হত্যা করেছে। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশি তদন্তও শুরু হয়েছে।