ফুটবল বিশ্বে ঘুষের ছড়াছড়ি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ফুটবল বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্বাচন করা হয় ফিফার সদস্যদের ভোটে। আর সে ভোট কেনা-বেচা নিয়ে ঘুষের মহোৎসব চলে ফিফার অভ্যন্তরে।
ফিফা’র অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি চলে আসছে গত বহু দশক ধরে। কিছু শীর্ষ সাবেক কর্মকর্তারা এর সূচনা করেন। এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য নিউইয়র্কের গোয়েন্দা ভিত্তিক সংস্থা এফবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা তদন্ত করে জানিয়েছে, বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের ঘুষের আদান-প্রদান হয়ে থাকে। এছাড়াও টিভিস্বত্ত পাইয়ে দেওয়ার জন্যও দুর্নীতি হয়ে থাকে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি রিকার্ডো ট্যাক্সেইরা, কনমেবলের সভাপতি পদ থেকে চ্যুত নিকোলাস লিওজকে ২০২২ বিশ্বকাপে কাতারকে ভোট দেওয়ার জন্য বিপুল অর্থ ঘুষ প্রস্তাব করা হয়। তারা ঘুষ নিয়ে কাতারকে ভোট দেয় বলে তথ্য পেয়েছে এফবিআইয়।
এদিকের ফিফার সাবেক সহ সভাপতি ও কনকাকাফের সাবেক সভাপতি জ্যাক ওয়ার্নার ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার নেওয়ার বিনিময়ে ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার দৌঁড়ে রাশিয়াকে ভোট দিয়েছিলেন। একই কাজ করেছিলেন গুয়েতমালার ফুটবল প্রধান রাফায়েল সালগুয়েরো। তবে তিনি নিয়েছেন ১ মিলিয়ন ডলার। শুধু ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার জন্য নয়, টিভিস্বত্ত পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ নিতো ফিফার কর্মকর্তারা। ২১ ফক্স সেঞ্চুরিকে ২০১৮ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপে দণি আমেরিকার প থেকে টিভিস্বত্ত নিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ নিয়েছিল ফিফা’র কিছু কর্মকর্তারা। আর এই কাজটা তারা এতটাই গোপনে করেছে যে ফিফা’র অধিকাংশ কর্মকর্তারা বিষয়টি সম্পর্কে জানতোই না। ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে আয়োজন করার জন্য ফিফাকে ৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিলো দেশটির ফুটবল প্রধান রোমি। আর তাকে এই কাজে সহযোগিতা করেছে কনকাকাফের সাবেক সভাপতি জেফরি ওয়েব। এর আগেও ওয়েবের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। শুধু ফিফা নয়, কনমেবলও কোপা লিবার্তাদোরেয়াসের টিভিস্বত্ত পাইয়ে দেওয়ার জন্য ইমাজিনা মিডিয়া গ্রুপ থেকে ঘুষ নিয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই।
এফবিআই কর্মকর্তা উইলিয়ান ফুটবল বিশ্বের এমন দুর্নীতি নিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবলে লাভজনক এবং ঘুষের ঘটনা বহু দশক ধরে চলে আসছে। তাদের কাছে বর্তমানে বিষয়টি সাধারণ কাজে রুপ নিয়েছে। তারা এসব কাজ করতে বিভিন্ন এজেন্সি, কোম্পানি ব্যবহার করতো। যারা দু’পরে মধ্যে এমন সব চুক্তি দেখাতো যাতে এটাকে ঘুষ বা দুর্নীতি বলে মনে না হয়। তবে এরফলে ফুটবলের ব্যাপক তিসাধন হয়ে গেছে।’
বাংলাদেশি চিকিৎসকদের পিপিই দিল জাপানের বেঙ্গল ক্রিকেট কাব
ক্রীড়া প্রতিবেদক
জাপানের নাগোয়া শহরের বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেট কাব নাগোয়া বেঙ্গল টাইগার এর প থেকে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের জন্য উপহার হিসাবে ৫০সেট পিপিই প্রেরণ করা হয়। ইতিমধ্যে পিপিইগুলো ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতাল এর সহকারী অধ্যাপক ভাস্কুলার সার্জন ডা. সাকলাইন রাসেল এর সহযোগিতায় ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
চিকিৎসকদের জন্য এ এমন উদ্যোগ প্রসঙ্গে নাগোয়া বেঙ্গল টাইগার এর প্রতিষ্ঠাতা মো. শাহীন উদ্দিন বলেন, আমরা যারা বিদেশে থাকি তারা প্রতি মুহূর্তে বাংলাদেশকে নিয়ে অন্তরে ধারণ করি। দেশের প্রতি ভালোবাসা স্বরূপ ক্রিকেট কাব করেছি, এখানে কেউই প্রফেশনাল ক্রিকেটার না, শুধু সখের বসে মাতৃভূমির মায়ায় খেলে। তবে আমরা মনে করি ক্রিকেটাররা আসল টাইগার নয়, প্রকৃত টাইগার হলেন দেশের চিকিৎসকরা, যারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের প্রতি সন্মান স্বরূপ এই ভালোবাসাটুকু আমাদের উপহার। আমরা আরো কিছু উদ্যোগ ইতিমধ্যে নিয়েছি, এরমধ্যে রয়েছে, এলাকা ভিত্তিক দরিদ্র মানুষদের জন্য জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা।
মূলত নাগোয়া বেঙ্গল টাইগার এর সদস্য ও নাগোয়া শহরের বাংলাদেশিদের আর্থিক সহযোগিতায় এটি সম্পন্ন হচ্ছে, এদের মধ্যে নানজান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর খন্দকার মিজানুর রহমান, ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম শাথিল, গোলাম রব্বাণী অন্যতম। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন, জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. শরীফ মহিউদ্দিন।
সরকারি উদ্যোগে ২৪দিন পর দেশে ফিরেছে টিসি স্পোর্টস
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ থেকে এএফসি কাপ খেলেই দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস। মালদ্বীপে যেতে হলে শ্রীলঙ্কা হয়েই যেত হয়। কিন্তু করোনার কারণে লকাডাউন থাকায় শ্রীলঙ্কাতেই তাদের কাটাতে হয়েছে টানা ২৪দিন। অবশেষে দলটি দেশে ফিরেছে বিশেষ একটি ফাইটে করে।
এএফসি কাপে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের কাছে ৫-১ গোলে হেরে দেশের পথে যাত্রা করেছিল টিসি স্পোর্টস। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দুই দেশেই চলছে লকডাউন। তাই কলম্বোর একটি হোটেলে বন্দী থাকতে হয়েছিল আলী আশফাকদের। তাদের দুর্ভোগ কমাতে মালদ্বীপ সরকার অবশেষে এগিয়ে আসে রবিবার। এদিন বিশেষ একটি ফাইটে করে এরই মধ্যে তাদের মালেতে নিয়ে আসা হয়েছে।
৩০০ অসহায়কে খাওয়ালো এসবিএফ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের কারণে একের পর এক লকডাউন হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়া মানুষগুলো পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বচ্ছলরা। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নানাভাবে সাহায্যের হাত বাঁড়িয়েছে দুস্থ মানুষগুলোর সাহায্যে। তারই অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার সাপোটার্স অব বাংলাদেশ ফুটবল (এসবিএফ) ৩০০ জন অসহায় মানুষকে দুপুরে রান্না করা খাবার প্রদান করেছে।
২৬শে মার্চ ছিল সাপোটার্স অব বাংলাদেশ ফুটবলের সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সংগঠনের জন্মদিনে অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল তাদের; কিন্তু মহামারী করোনাভাইরাসের সব কিছু বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সকল কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের বাজেটের টাকায় বাফুফের দৈনিক ৩০০ জনের একবেলা খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে প্রদান করা হয়।
কোচদের সহায়তা করবেন তরফদার রুহুল আমিন
ক্রীড়া প্রতিবেদক
স্বল্প আয়ের কোচ ও খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ান’- দেশের অভিজ্ঞ কোচ কামাল বাবুর এই আহবানের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এগিয়ে এসেছেন এ সময়ের আলোচিত ফুটবল সংগঠক বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিডিএফ) মহাসচিব এবং বাংলাদেশ ফুটবল কাব অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফসিএ) সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, স্বল্প আয়ের ও অস্বচ্ছল কোচদের সহায়তা করবেন।
স্বল্প আয়ের কোচদের এমন দুর্দিনে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের কর্ণধার তরফদার মো. রুহুল আমি সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন। বিডিডিএফএ এবং বিএফসিএ ইতোমধ্যে স্বল্পআয়ের কোচদের তালিকা তৈরির প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করেছে। দুই সংগঠনের প থেকে শিগগিরই দেশের স্বল্প আয়ের দুস্থ কোচদের সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন তরফদার মো. রুহুল আমিন।
করোনাকালেও মাঠে জামাল ভূঁইয়া
ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসে দেশের সব ফুটবল বন্ধ। বেশ কয়েকদিন ‘ঘরবন্দি’ থেকে জামাল ফিরে গেছেন ডেনমার্কে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সঙ্গে ফিটনেস ধরে রাখতে নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ফুটবল অধিনায়ক। জিম কিংবা রানিং আগেই করেছেন, এবার ফুটবলেও পা রাখলেন। শুটিং আরও ভালোভাবে করতে ডেনমার্কে বাড়ির পাশের মাঠে নেমে পড়েছেন এই মিডফিল্ডার।
দিনতিনেক আগে ফিটনেস ধরে রাখতে বাসায় স্ট্রেচিং ও ভারোত্তোলন করেছেন জামাল। বাইরে গিয়ে রানিং করতেও দেখা গেছে তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ভিডিওতে। এবার বাড়ির কাছের মাঠে দূরপাল্লার শট নিয়ে বেশ কিছুণ অনুশীলন করেছেন তিনি। বক্সের বাইরে থেকে একের পর এক শট জালে জড়ানোর চেষ্টা করে গেছেন তিনি। কোনোটি ল্েয পৌঁছেছে, কোনোটি আবার ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়েছে। অনুশীলনের এই ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে জামাল লিখেছেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত অনুশীলন চলছে।’
আমির-ওয়াহাবকে ধুয়ে দিলেন ওয়াকার
ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া মোহাম্মদ আমির ও ‘অনির্দিষ্ট বিরতিতে’ যাওয়া ওয়াহব রিয়াজের কড়া সমালোচনা করলেন পাকিস্তানের বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস।
গত বছরের জুলাইয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান আমির। ওয়ার্কলোড কমাতে এবং সাদা বলের ক্যারিয়ার বড় করতে আমির টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ায় আমির ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টিগুলো নিয়মিত খেলতে পারছেন। তাকে অনুসরণ করেছেন ওয়াহাব রিয়াজ। সেপ্টেম্বরে টেস্ট ক্রিকেট থেকে ‘অনির্দিষ্ট বিরতি’ নিয়েছেন ওয়াহাব। খেলেননি ঘরের মাঠে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও। ওয়াহাব রিয়াজের বয়স ৩৫। আমিরের বয়স মাত্র ২৮। চার মাসের ব্যবধানে দুই বাঁহাতি পেসার টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ায় পাকিস্তানকে বেছে নিতে হয়েছে নতুন পেস অ্যাটাক। তৈরি করতে হচ্ছে নতুন পেসারদের। অনভিজ্ঞ পেস অ্যাটাক নিয়ে ভুগছে দল। শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আব্বাস, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ মুসাদের নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে পাকিস্তান। তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে প্রয়োজন সময়। কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে সেই সুযোগটি কম। অভিজ্ঞ কেউ না থাকায় পাকিস্তান ক্রিকেট দল এখন মহা ঝামেলায়। আমির ও ওয়াহাব পাকিস্তানের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করেছেন বলে মনে করছেন ওয়াকার।
স্বনামধন্য কোচ আনতিচ আর নেই
ক্রীড়া প্রতিবেদক
একমাত্র কোচ হিসেবে স্পেনের তিন শীর্ষ কাব-বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ আর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের দায়িত্ব পালন করা রাদোমির আনতিচ আর নেই। সোমবার তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
প্যানক্রিয়েটাইটিসের জটিলতায় মৃত্যু হয়েছে আনতিচের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। গুণি এই কোচের মৃত্যুতে আলাদা বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছে রিয়াল-বার্সা-অ্যাটলেটিকো।
করোনাকালে বেতন কমে গেছে সাউথগেটের
ক্রীড়া প্রতিবেদক
অবশ্য এমন পদপে বাধ্য হয়েই নিতে হচ্ছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (এফএ)। করোনার কারণে খেলা বন্ধ থাকায় ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের মতো লোকসানের মুখে পড়েছে তারা। তাই বার্ষিক যেখানে ৩ মিলিয়ন পাউন্ড বেতন পেতেন সাউথগেট। সেখানে এখন ৩০ শতাংশ কম নেবেন ইংলিশ কোচ। তার মতো নারী দলের কোচ ফিল নেভিলও সাময়িক ভিত্তিতে বেতন কম নিচ্ছেন ৩০ শতাংশ।
এই বছরেই ইউরোর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ওয়েম্বলিতে। করোনার কারণে সেটি স্থগিত হওয়াতে বড় আর্থিক তির মুখেই পড়েছে এফএ। এই তি পুষিয়ে নিতে এফএ প্রধান নির্বাহী মার্ক বালিংহাম জানিয়েছেন, যেসব স্টাফের বার্ষিক আয় ৫০ হাজার পাউন্ডের বেশি তাদের বেতন কর্তণের মুখে পড়তে হবে। যার হার থাকবে ৭.৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ। অবশ্য এই তি শুধু ইংল্যান্ডেরই হচ্ছে না। তি কমাতে সুইডিশ এফএ তো তাদের কোচ অ্যান্ডারসনকে সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মে মাসের শেষ পর্যন্ত এই ভাগ্য বরণ করতে হচ্ছে ৯০জন কর্মচারিকে। এর মধ্যে নারী দলের কোচ পিটার গেরহার্ডসনও আছেন।
চাপে পড়ে কর্মীদের বহাল করলো লিভারপুল
ক্রীড়া প্রতিবেদক
এই সাময়িক ছুটি ঘোষণার পর পরই লিভারপুল যেন সমালোচনার জ্বলন্ত মুখগুলো খুলে দেয়। চারদিক থেকে কাবটির বিরুদ্ধে তিনদিন ধরে চলে নেতিবাচক সমালোচনা। অবশেষে সোমবার এই সাময়িক ছুটি বাতিল করার ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে কাব কর্তৃপ।
সিদ্ধান্ত বদলের সঙ্গে কাবের সমর্থকদের কাছে মাও চেয়েছেন লিভারপুলের প্রধান নির্বাহী পিটার মুরস, ‘ আমরা বিশ্বাস করি যে গত সপ্তাহে আমরা একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সেজন্য সত্যি আমরা মাপ্রার্থী।’ মুরস জানিয়েছেন এই কর্মীদের বেতন দিতে বিকল্প উপায় খুঁজে দেখবে কাব।
নিজের ঘরকেই মসজিদ বানান : ইরফান পাঠান
ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ আজ ঘরবন্দী। স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে। তার প্রভাব পড়েছে মুসলিম বিশ্বেও। জনসমাগম যাতে না হয় এজন্য মসজিদ গুলোতে নামাজ আদায়ে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে মুসল্লিদের। এরই প্রেেিত ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠান মুসলমাদের নিজেদের ঘরটাকেই মসজিদ বানাতে বলছেন।
এক ভিডিও বার্তায় সমস্ত মুসলিমদের এই আহ্বান জানান তিনি। এটাকে নেতিবাচক হিসেবে না দেখে ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করতে বলেছেন তিনি। পাঠান বলেন, ‘এমনটা ভেবো না যে, মসজিদে যেতে মানা করা হয়েছে। বরং এটা ভাবুন যে, আমাদের ঘরকেই মসজিদ বানাতে বলা হয়েছে। আমাদের মতোই আমাদের ঘরও এখন গুনাহগার হয়ে গেছে। আসুন নিজের ঘরকে আগে পরিশুদ্ধ করি। কিছুদিন আমরা ঘরেই নামাজ পড়ি।’
বায়ার্নের সঙ্গে মুলারের নতুন চুক্তি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়েছেন টমাস মুলার। নতুন চুক্তি অনুযায়ী কাবটিতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত থাকবেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড।
২০০৯ সালে অভিষেকের পর বায়ার্নের হয়ে পাঁচশর বেশি ম্যাচ খেলেছেন মুলার। কাবটির হয়ে আটটি বুন্ডেসলিগাসহ জিতেছেন মোট ১৬টি বড় শিরোপা। মিউনিখের কাবটির সঙ্গে নতুন চুক্তি করে উচ্ছ্বসিত ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। করোনাভাইরাসের কারণে অন্তত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে বুন্ডেসলিগা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের চেয়ে চার পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে আছে বায়ার্ন। সোমবার তারা অনুশীলনে ফিরেছে।
চেলসি ছাড়ছেন ব্রাজিলের উইলিয়ান
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ব্রাজিলের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাাৎকারে ৩১বছর বয়সী তারকা জানান, চুক্তি নিয়ে কাবের সঙ্গে তার আলোচনা থমকে গেছে, মেয়াদ আর বাড়ছে না।
“চেলসির সঙ্গে, এটা (চুক্তি) শেষ। সবাই জানেন কয়েক মাসের মধ্যে আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি নবায়ন হওয়াটা কঠিন। চেলসি আরও দুই বছর থাকার প্রস্তাব দিয়েছিল, আমি চেয়েছিলাম তিন বছর। আমরা আর কথা বলছি না। আর কোনো আলোচনা হবে না।” বিভিন্ন সময়ে উইলিয়ানের প্রতি বার্সেলোনার আগ্রহের বিষয়টি খবরে এসেছে। ক্যাম্প নউ হতে পারে তার সম্ভব্য পরবর্তী ঠিকানা। তার প্রতি আগ্রহী হতে পারে পিএসজিও।
হাফিজ-মালিকের উচিত এখন অবসর নেওয়া
ক্রীড়া প্রতিবেদক
১৯৯৯ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন মালিক। এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৩৫ টেস্ট, ২৮৭ ওয়ানডে ও ১১৩ টি-টোয়েন্টি। ২১৮ উইকেটের সঙ্গে রান করেছেন ১১ হাজার ৭৫৩, সেঞ্চুরি ১২টি ও হাফ সেঞ্চুরি ৬০টি।
হাফিজেরও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু ওয়ানডে দিয়ে, ২০০৩ সালে। ৫৫ টেস্ট, ২১৮ ওয়ানডে ও ৯১ টি-টোয়েন্টি রয়েছে তার নামের পাশে। ২১ সেঞ্চুরি ও ৬১ হাফ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ১২ হাজার ২৫৮। উইকেট নিয়েছেন ২৪৬টি।
২০১৫ সালের নভেম্বরে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন মালিক। ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। সাদা বলের ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট থেকে বিদায় থেকে বিদায় নেন হাফিজ। অবশ্য দুই জনই জানিয়ে ছিলেন, আগামী অক্টোবরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিবেন তারা। কিন্তু মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ঝুলছে বিশ্বকাপের ভাগ্য। একই সঙ্গে তাদের সময়ও ফুরিয়ে আসছে বলে মনে করছেন পাকিস্তানের হয়ে ৫৭ টেস্ট ও ১৯৮ ওয়ানডে খেলা রমিজ।
“তাদের উচিত সম্মানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া কোনো সন্দেহ নেই তারা দুইজনেই এত বছর ধরে পাকিস্তান ক্রিকেটের সেবা করে আসছে। কিন্তু আমি মনে করি, এখনই সময় তাদের সম্মানের সঙ্গে পাকিস্তান দল থেকে অবসর নেওয়ার।”