ঢাকা অফিস:
করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ছে। রমজান মাস শুরুর আগের দিন পর্যন্ত (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান শুরু ২৫ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হবে। ফলে এর সঙ্গে যুক্ত হবে পবিত্র রমজানের ছুটি। সব মিলিয়ে ঈদের ছুটি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও একই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশে সাধারণ ছুটি রয়েছে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময় পর্যন্ত সরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে দিন দিন করোনাভাইরাসের বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি মোকাবিলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদের ছুটি পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল বলেন, ‘ছুটি বাড়িয়ে ঈদের ছুটি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হতে পারে, তবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘আমি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। তারা ঈদের ছুটি পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে একই সিদ্ধান্ত আমরাও নেবো।’ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রমজানের ছুটির আগের দিন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তারপর রমজানের ছুটি শুরু হবে। সেই হিসেবে ঈদ পর্যন্ত বন্ধ থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ এপ্রিল (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) পবিত্র রমজান শুরু হবে। সেই হিসেবে রমজান শুরুর দিন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হবে। তারপর শুরু হবে রমজানের ছুটি। ফলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ঈদের ছুটির পর।
তবে দীর্ঘ ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের সংসদ টেলিভিশনের কাস অব্যাহত থাকবে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির ভিডিও কাস কিশোর বাতায়নে এবং ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হবে। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেণি কার্যক্রম আয়ত্ত করবে। আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে সংসদ টিভিতে ভিডিও শ্রেণি কার্যক্রম প্রচার করা হবে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর নিজস্ব পোর্টাল তৈরি করছে। সেখানে শ্রেণি কার্যক্রম ভিডিও আপলোড করা হবে। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া চালিয়ে নিতে পারবে।