যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণহানি ১২শ’ # চীনে বাড়ছে উপসর্গহীন করোনা রোগী
খুলনাঞ্চল ডেস্ক:
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ আজ বিশ্বব্যাপী মহামারীতে রূপ নিয়েছে। রোগটি চীন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলেও সেদেশে বাড়ছে উপসর্গহীন করোনা রোগীর সংখ্যা। সোমবার পর্যন্ত সারাবিশ্বে ১২ লাখ ৮৭ হাজার ১১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭০ হাজার ৫২৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন দুই লাখ ৭১ হাজার ৮৮২ জন। করোনা মহামারীতে চিকিৎসকদের সহায়তা করতে আবারও নিজের পুরনো পেশায় ফিরলেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার। তিনি ডাক্তার হিসেবে পুনরায় নিবন্ধন করেছেন এবং সপ্তাহে এক শিফট কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের করোনা উপসর্গ ভাল না হওয়ায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন করা হয়েছে দুবাই শহরে। জেরুজালেমে কাফনের কাপড়ের পরিবর্তে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে দাফন করা হচ্ছে করোনা রোগীকে। বিবিসি, সিএনএন, আরব নিউজ, গাল্ফ নিউজ, আলজাজিরা, এ্যারাবিয়ান টাইমস, গার্ডিয়ান ও ওয়াশিংটন পোস্টের।
চীনের মূল ভূখ-ে নতুন করে ৩৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) জানায়, ৭৮ জন উপসর্গহীন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৪৭। এ ধরনের রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তাদের শরীরে কোন উপসর্গ দেখা যায় না এবং নিজের অজান্তেই তারা অন্যদের সংক্রমিত করেন। বিদেশ থেকে যাওয়া আক্রান্ত ব্যক্তি এবং উপসর্গহীন রোগীদের মোকাবেলা করাই এখন চীনের মাথাব্যথার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে এনএইচসির মুখপাত্র মি ফেং বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আক্রান্ত রোগী আসার ঝুঁকি বাড়ছে। তবে নতুন করে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যেন না হয় এজন্য সতর্ক থাকতে হবে চীনকে। উপসর্গহীন যেসব রোগী শনাক্ত হয়েছেন, তাদের প্রায় অর্ধেকই হুবেই প্রদেশের। চীনের মূল ভূখ-ে এমন ৭০৫ জন রোগী পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। কেবল গত সপ্তাহ থেকে উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা প্রকাশ করতে শুরু করেছে চীন। জানুয়ারির শেষদিকে লকডাউন করা উহান শহর থেকে যারা বাইরে যেতে চান, আগামী ৮ এপ্রিল থেকে তারা সে সুযোগ পাবেন। এমন সময় উপসর্গহীন রোগী বাড়ায় নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। চীনে এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৭০৮ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩১ জন। বিশ্বজুড়ে রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় বিদেশী নাগরিকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে চীন। তবে বিদেশ থেকে যাওয়া রোগীদের বেশিরভাগই চীনা নাগরিক। ১ এপ্রিল থেকে বিদেশ থেকে যাওয়া সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে শুরু করেছে চীন।
ভারতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্য: ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধান হিসেবে যত মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৮ জনে। এছাড়া এই ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৬৯৩ জন। সে হিসেবে সেখানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চার হাজার ৩১৪ ছাড়িয়ে গেছে। করোনা মোকাবেলায় গত ২৫ মার্চ দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে এই লকডাউনের সময় নজিরবিহীন এক উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তারা আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় রেলের ১৬৭ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম। চলাচল স্থগিত হওয়া ট্রেনগুলোকে এখন দৃশ্যত হাসপাতালে পরিণত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হতেই ট্রেনের ২০ হাজার পুরনো বগিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই তারা দেশজুড়ে ১২৫ হাসপাতাল পরিচালনা করছে। ফলে মোবাইল বেড বাড়ানোর দক্ষতা তাদের রয়েছে।
মৃত্যু ৭০ হাজার ছাড়াল: করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭০ হাজার ৫২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইতালিতেই মারা গেছেন ১৫ হাজার ৮৮৭ জন। তারপরই রয়েছে স্পেন। সেখানে ১৩ হাজার ৫৫ জন মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে ৯ হাজার ৬২০ জন। ফ্রান্সে ৮ হাজার ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটেনে ৪ হাজার ৯৩৪ জন মারা গেছেন। জার্মানিতে এক হাজার ৫৮৪ জন মারা গেছেন। ইরানে তিন হাজার ৭৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেলজিয়ামে এক হাজার ৬৩২ জন মারা গেছেন। হল্যান্ডে এক হাজার ৮৬৭ জন মারা গেছেন। সুইজারল্যান্ডে ৭৩৪ জন মারা গেছেন। তুরস্কে ৫৭৪ জন মারা গেছেন। ব্রাজিলে ৪৮৯ জন মারা গেছেন। সুইডেনে ৪৭৭ জন মারা গেছেন। পর্তুগালে ৩১১ জন মারা গেছেন। কানাডায় ২৮০ জন মারা গেছেন। অস্ট্রিয়ায় ২২০ জন মারা গেছেন। ইন্দোনেশিয়ায় ২০৯, ডেনমার্কে ১৮৭, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৮৬ জন, ইকুয়েডর ১৮০, ফিলিপিন্স ১৬৩, রোমানিয়ায় ১৫৭, আলজিরিয়াতে ১৫২, পোল্যান্ডে ৯৮, মেক্সিকোতে ৯৪, জাপানে ৮৫, পেরুতে ৮৩ ইত্যাদি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭০৫ জন। তাদের মধ্যে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯৫ জন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন। বাকি ৪৫ হাজার ৯৯৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
আইসিইউতে বরিস জনসন: হাসপাতালে আইসিইউতে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। এর আগে গত শুক্রবার আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় বরিস জনসন জানিয়েছিলেন যে, তার শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি। আইসোলেশনে থাকার ১০ দিন পরেও তার শরীরে করোনার লক্ষণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এক সপ্তাহের বেশি কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে তা থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বেশ কয়েকজন দাবি করেছেন যে, কনফারেন্স কলের সময় বরিস জনসনকে প্রচ- কাশতে দেখা গেছে। ব্রিটেনের আবাসনমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক জানিয়েছেন, করোনা পজিটিভ আসার পরেও গত কয়েক দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন জনসন। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাদিন দোরিস প্রথম কোন মন্ত্রী হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হলেও তিনি এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ১২০০ মৃত্যু : ইউরোপের দেশগুলোর পর প্রাণঘাতী করোনা দিন দিন যুক্তরাষ্ট্রে ভয়ঙ্কর থেকে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে শুরু করেছে। এ ভাইরাসের কবলে প্রতিদিনই সেখানে হাজারও মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেখানে নতুন করে এক হাজার দুই শ’ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩৩ হয়েছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য ছাড়াও বর্তমানে লুইজিয়ানা করোনা সংক্রমণের অন্যতম নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
২০ হাজার শ্রমিক কোয়ারেন্টাইনে: করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২০ হাজার অভিবাসী শ্রমিককে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলল সিঙ্গাপুর। অভিবাসী শ্রমিকদের দুটি ডর্মিটরিতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এগুলোর একটিতে ১৩ হাজার শ্রমিক থাকেন এবং এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে ৬৩ জনের শরীরে। আরেকটিতে থাকেন ৬ হাজার আট শ’ শ্রমিক এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৮ জন। এসব অভিবাসী শ্রমিকের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশিয়া থেকে আগত পুরুষ। যারা নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় শ্রমিকরা বেতন ও তিন বেলা খাবার পাবেন। ডর্মিটরিতে অপরিচ্ছন্নতা ও জনবহুলতা নিয়ে অভিযোগ করেছেন অনেকে। সরকার জানায়, ডর্মিটরিগুলোতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং জনগণকে সুরক্ষার জন্য তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধে সিঙ্গাপুরের কার্যক্রম প্রশংসিত হলেও গণসংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে সেখানে।
চিকিৎসা পেশায় ফিরলেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী: করোনা মহামারীতে চিকিৎসকদের সহায়তা করতে আবারও পুরনো পেশায় ফিরলেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার। তিনি ডাক্তার হিসেবে পুনরায় নিবন্ধন করেছেন এবং সপ্তাহে এক শিফট কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। সাত বছরের ডাক্তারি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারাদকারের। রাজনীতিতে যোগ দেয়ার আগে তিনি সেন্ট জেমস হাসপাতালের একজন জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে এবং ডাবলিনের কোনোলি হাসপাতালে কাজ করেছেন।
দুঃস্বপ্ন কেটে আশা দেখছে স্পেন: টানা চতুর্থ দিনের মতো স্পেনে প্রাণঘাতী করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে। দেশটির সরকার বলছে, টানা চারদিন ধরে প্রাণহানি ধারবাহিকভাবে কমছে। প্রাণঘাতী ওই ভাইরাসে বিশ্বে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু স্পেনে হয়েছে। করোনায় বিপর্যস্ত স্পেনের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেশটিতে করোনার সর্বোচ্চ প্রকোপ পার হচ্ছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা আশা করছেন। সোমবার দেশটির সরকারী পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে নতুন করে আরও ৬৩৭ জন মারা গেছেন। তবে এই সংখ্যা এক সপ্তাহ আগের মৃত্যুর চেয়ে প্রায় অর্ধেক। স্পেনের জরুরী স্বাস্থ্যসেবা কমিটির উপপ্রধান মারিয়া জোসে সিয়েরা বলেছেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, এই মহামারী বৃদ্ধির হার প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে কমছে।
কাতারে নতুন করে বেড়েছে: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী ভাইরাসে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে চারজন। করোনায় আক্রান্ত ১ হাজার ৪৭৭ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অর্থাৎ দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এখন সুস্থ। করোনায় আক্রান্ত ৩৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ইরানে বেড়েছে আক্রান্ত: ইরানে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ হাজার ২২৬ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৬০৩ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২২ হাজার ১১ জন। ৪ হাজার ১০৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জার্মানিতে আক্রান্ত ৩৬৭৭: জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩ হাজার ৬৭৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ হাজার ৩৯১। সংক্রামক রোগ বিষয়ক সংস্থা রবার্ট কোচের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতিদিন নতুন করে করোনায় আক্রান্তের ঘটনা ঘটলেও গত চারদিনে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
প্লাস্টিকে মুড়িয়ে দাফন: ইসলাম, খ্রীস্টান এবং ইহুদী- এই তিন ধর্মের মানুষের কাছে জেরুজালেম পবিত্র এক নগর। করোনার কারণে সেখানে বদলে গেল মরদেহ দাফনের নিয়ম। এ ভাইরাসে মৃতদের কাফনের কাপড়ের বদলে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে দাফন করা হচ্ছে। তিন ধর্মের মানুষই এভাবে দাফন করছেন। সরকারী হিসাব অনুযায়ী করোনায় ফিলিস্তিনে একজন মারা গেছেন, আর ইসরাইলে ২৯ জন। আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে।
দুই সপ্তাহের লকডাউনে দুবাই: প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার রাতে থেকে লকডাউন কার্যকর হয়েছে বলে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থা ও সঙ্কট বিষয়ক সুপ্রীম কমিটি জানিয়েছে। লকডাউনের সময় মানুষ ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকার পাশাপাশি কেউ বিনা প্রয়োজনে বের হলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২৪ ঘণ্টায় একটি পরিবারের কেবল একজন সদস্য একবারের জন্য জরুরী প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে। লকডাউনের কারণে দুবাইয়ের মেট্রো ও ট্রামসেবা বন্ধ থাকলেও বাসে বিনামূল্যে এবং ট্যাক্সিতে ৫০ শতাংশ ছাড়ে ভ্রমণ করা যাবে।