দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে খদ্দের না থাকায় খুলনার দাকোপের বানিশান্তা পতিতা পল্লীর ৮৯জন যৌন কর্মির দিন কাটছে অর্ধাহারে অনাহারে। এপর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে ত্রান দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করে চলেছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার বানিশান্তা পতিতা পল্লীতে ৮৯জন যৌন কর্মি রয়েছে। এছাড়া সেখানে ৬৫ জন শিশু ও ৭০ জন পুরুষ লোক রয়েছে। করোনা আতঙ্কের কারনে পতিতা পল্লীতে গত ১৫ মার্চ থেকে কোন খদ্দের আসে না। তাছাড়া গত ২৪ মার্চ থেকে উপজেলা প্রশাসন সেখানে লোকজন যাতাযাতে নিষেধাজ্ঞা জারী করে।
যৌন কর্মি কলি, নূরি, রেহানা, পপিসহ কয়েকজন জানায় আগে পতিতা পল্লীতে অনেক খদ্দের আসতো। প্রতিদিন একজন মেয়ের দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা ইনকাম হতো। পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে পরে ভালোই ছিলেন। কিন্তু করোনার কারনে এখন আর খদ্দের নেই। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে বলে জানান।
যৌনপল্লীর সভানেত্রী রাজিয়া বলেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে এখানে আর কোন লোকজন আসে না। বর্তমানে যৌন কর্মিরা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। এপর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ১১দিনে যৌনকর্মি প্রতি ১৩ কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম আলু আর ৫০০ টাকা দিয়েছে। এক একজন যৌনকর্মির সংসারে ৪/৫ করে লোক কি খেয়ে তারা বাঁচবে।
এবিষয়ে বানিশান্তা ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় জানান এপর্যপ্ত যৌনকর্মিদের কিছু চাল, অল্প কিছু আলু, হাত ধোয়ার সামগ্রী আর ৫০০ টাকা দেয়া হয়েছে। সরকার যখন যা দিচ্ছে তখন তাই তিনি পৌছে দিচ্ছেন। যৌনকর্মিদের যে ত্রান দেয়া হচ্ছে তাতে তাদের কিছুই হচ্ছে বিষয়টি তিনি বুঝেও কিছু করার নেই বলে জানান।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল ওয়াদুদ বলেন সরকারের কাছ থেকে যা পাওয়া গেছে তাই তাদের দেয়া হয়েছে। তার মতে যৌনকর্মিদের পর্যাপ্ত পরিমানে ত্রান দেয়া হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।