মাসুম হাওলাদার বাগেরহাট:
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় গৃহবধু ইতি বেগম হত্যা মামলায় ফেঁসে গেলেন ননদ ও ভাবি। থানা পুলিশ তাদের আটক করেছে। বৃহস্পতিবার আটককৃতদের বাগেরহাট আদালতে সোপর্দ করেছে। লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, ভাবি সানজিদা বেগম (২০) এবং ননদ শারমিন বেগমকে (১৯ । তাদের বাড়ি চিতলমার উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতের কোন এক সময় সদর আলী মীরের বাড়িতে জবাই করে হত্যা করা হয় ইতি বেগমকে। বুধবার বিকেলে ইতি বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে চিতলমারী থানা পুলিশ। এদিন গভীর রাতে চিতলমারী থানা পুলিশ উপজেলার কুনিয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করে। বুধবার রাতে ইতি বেগমের মা পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার আলালকাঠি গ্রামের লাইলি বেগম বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আটককৃত সানজিদা বেগম ইতি বেগমের ভাসুর হাফিজুর ইসলামের স্ত্রী এবং শারমিন বেগম ইতি বেগমের শ^শুর কুনিয়া গ্রামের সদর আলী মীরের মেয়ে।
অপরদিকে, তাদের বাড়িতে গত সোমবার চুরির অপবাদে প্রতিপক্ষের হামলা, লুটতরাজের ঘটনায় ওই সানজিদা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে চিতলমারী থানায় ১৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সে মামলায় গ্রামের প্রতিপক্ষদের কেউ আটক হয়নি। মঙ্গলবার রাতে ইতি বেগম হত্যা হয়। বুধবার বিকেলে ইতি বেগমের লাশ উদ্ধার হয়। বুধবার রাতে হত্যা মামলায় সানজিদা বেগম আটক হয়।
হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তারেক বলেন, নিহত ইতি বেগমের মায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করেছি। এজাহার নামীয় অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।