করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারী আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। দেশের পরিস্থিতি উন্নতির দিকে না যাওয়ায় ইতোমধ্যে সরকারি সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যেই দেশজুড়ে চলছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন। এরপরও অনেক জায়গায় মানুষের সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সংখ্যা যদিও কম, তবুও গুটিকয়েক অসচেতন মানুষের জন্য পুরো দেশকে ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। এজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এখনও পর্যন্ত দেশে ৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। এটা অবশ্যই ভালো খবর। তবে গত ২৪ ঘণ্টায়ও করোনায় একজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৬ জনে দাঁড়ালো। সুতরাং সংখ্যা কম বলে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।
ইউরোপ-আমেরিকাসহ পুরো বিশ্বের করুণ অবস্থা আমরা লক্ষ্য করছি। উন্নত দেশগুলোও এ ক্ষুদ্র জীবাণুর সাথে যুদ্ধ করে এখনও পেরে উঠছে না। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মারা যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অভিন্ন শত্রুর মোকাবেলায় কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে করোনা প্রতিরোধে সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
এমন অবস্থার মধ্যেও মানুষের আতঙ্ককে পুঁজি করে সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে অসাধু চক্র। এ চক্র যে শুধু বাংলাদেশে তৎপর, তাও নয়। বিশ্বব্যাপী গুজব ছড়াচ্ছে তারা। এমন অবস্থায় গুজবে বিশ্বাস না করার পাশাপাশি সঠিক তথ্য জেনে ও মেনে সতর্ক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে নিয়ম মেনে করোনা মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।