করোনা: নিয়মিত চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিকল্পও ভাবা জরুরি

4
Spread the love

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসাকর্মীরা। ডাক্তার, নার্স, হাসপাতাল টেকনিশিয়ানসহ জনস্বাস্থ্যকর্মীরা জীবন বাজি রেখে এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। চীন-ইটালিসহ বিভিন্ন দেশে বহু চিকিৎসাকর্মীর প্রাণ গেছে। বাংলাদেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডাক্তার করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

দেশে বর্তমানে রেজিষ্ট্রার্ড ও নন-রেজিষ্ট্রার্ড মিলিয়ে লাখ খানেক ডাক্তার আছেন, আছেন কয়েক লাখ নার্স ও হেলথ টেকনিশিয়ান। যারা নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি করোনা বিষয়ে সেবা প্রদান করে চলছেন। তাদের এই অবদানের জন্য দেশ এখন পর্যন্ত অনেকটাই নিরাপদে আছে। তাদের এই অবদানকে সম্মান জানাই। তবে পরিস্থিতি ইটালি বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাতারাতি পরিবর্তন হলে কী হবে, এ বিষয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত।

দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, পল্লী চিকিৎসক ট্রেনিং সেন্টারসহ নানা প্রতিষ্ঠানে আরও কয়েক লাখ শিক্ষার্থী চিকিৎসা বিষয়ে পড়ালেখা করছে। এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ‘পল্লী চিকিৎসক’ কাজ করে যাচ্ছেন। চ্যানেল আই অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, কক্সবাজারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের অনেকে কোয়ারেন্টাইনে আছেন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধের কারণে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন সেখানকার পল্লী চিকিৎসকরা। তাদের এই দূর্যোগকালীন সময়ে কাজে লাগানো জরুরি বলে আমরা মনে করি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের এখনই প্রস্তুত করার কর্মসূচি হাতে নেয়া উচিত। জেলায় জেলায় সিভিল সার্জনের অধীন থেকে শুরু করে অনলাইনে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা গেলে বিষয়টি কার্যকর হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা কার্যক্রমে সহায়তা করতে অবসরে যাওয়া চিকিৎসক, শিক্ষার্থীসহ বহু মেডিক্যাল সেচ্ছাসেবীদের এই দূর্যোগ মোকাবেলায় সামিল করা হয়েছে। আমাদের দেশে সীমিত সংখ্যক চিকিৎসাকর্মী করোনার প্রকোপ কীভাবে মোকাবেলা করবে, এই চিন্তার পাশাপাশি আমাদের সবধরণের বিকল্প ব্যবস্থা পরিকল্পনা করে রাখা উচিত। তাহলেই হয়তো এই মহাদূর্যোগের প্রকোপ থেকে জনগণকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।