কয়রা প্রতিনিধি
কয়রা নদীর পাউবোর বেঁড়িবাঁধের কুশোডাঙ্গা গ্রামে অর্ধ শত বছরের স্লুইজ গেটটি সম্প্রতি বিধ্বস্ত হওয়ায়, দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু। তিনি খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে অর্ধশত বছর আগে নির্মিত গেটের বিষয় জানতে পারেন। বিধ্বস্ত স্লুইজ গেটটি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার না হলে কয়েক হাজার বিঘা জমির পানি নিস্কাশনে বাঁধা পড়বে।
এ বিষয় স্থানীয়রা জানান, বাগালী ও মহেশ্বরীপুর দুটি ইউনিয়নের সীমানায় অবস্থিত স্লুইস গেটটি কৃষকদের বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশনে ভুমিকা রাখে। এছাড়া দুটি ইউনিয়নে ১ লক্ষাধীক মানুষের অতি বৃষ্টির সময় একমাত্র এই গেটটির উপর নির্ভর করে থাকে। সরেজমিনে দেখা গেছে স্লুইজ গেটের মূল সড়কের কিছু অংশ ধ্বসে পড়েছে ফলে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এলাকাবাসী ভোগান্তিতে আছে। এ সম্পার্কে স্থানীয় লুৎফর রহমান জানান, স্লুইজ গেটের পশ্চিম পাশে একটি অংশ ফাটল ধরায় উপরের মাটি উক্ত ফাটল দিয়ে বের হচ্ছে ফলে উপরে একাধীকবার মাটি ও বালির বস্তা ফেলেও ধ্বস ঠেকানো যাচ্ছে না। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জাফরুল পাড় জানান, জনগুরুত্বপূণ ঝুকিপূর্ণ স্লুইজ গেট নিয়ে দুশ্চন্তায় বাগালী ও মহেশ্বরীপুর দুটি ইউনিয়নের মানুষ। তিনি বলেন, চাঁদালী , গিলাবড়ী জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বর্ষা মৌসুমের আগে স্লুইজ গেটটি সংস্কার করা না হলে আগামী আমন মৌসুমে অতিবৃষ্টির পানিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া নতুন করে এখানে একটি স্লুইজ গেট নির্মাণ করার দাবী এলাকাবাসীর। ঝুকিপূর্ণ স্লুইজ গেট পরিদর্শন কালে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবু সাংবাদিকদের জানান, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে অতি দ্রুত স্লুইজ গেটটি সংস্কার করা হবে। তিনি আরও বলেন,পরবর্তী বর্ষা মৌসুমের পূর্বে একটি নতুন গেট করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। অপর দিকে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমাদী শাখা কর্মকর্তা একাধীকবার বিধ্বস্ত স্লুইজ গেট সরেজমিনে তদন্ত করে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছেন বলে জানিয়েছেন।