খবর বিজ্ঞপ্তি:
কেককাটা, পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, আতসবাজি ও দোয়া মাহফিল সহ সীমিত পরিসরের মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করেছে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন। এছাড়া নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ডে বাদ জোহর মসজিদে দোয়া, মন্দির গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সূর্যোদয় হতে মধ্যরাত পর্যন্ত নানা আয়োজনে এসকল কর্মসূচি উদযাপন করা হয়। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। সভায় বিশেষ অতিথির উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী। সভা পরিচালনা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
এসময়ে প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত, অধিকার হারা মানুষের মুক্তির ঠিকানা। তিনি শিশুকাল থেকেই দরিদ্র মানুষের পাশে গিয়ে সহযোগিতার হাত নিয়ে দাড়িয়েছেন। তিনি নিরন্ন মানুষের মুখে অন্ন আর বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দিয়েছেন। তিনি অধিকার বঞ্চিত মানুষের কথা বরতেন। তিনি বাঙালির অধিকার ফিরিয়ে আনতে শিশুকাল থেকেই মানুষের জন্য আন্দোলন করেছেন। তিনি কখনও ধর্মবর্ণ জাত দেখেননি। তিনি মানুষ হিসেবে মানুষকে বিবেচনা করে তার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি বাঙালির ভাষাকে ফিরিয়ে দিতে কারাবরণ করেছেন। সেই থেকেই বঙ্গবন্ধু ৬২র শিক্ষা, ৬৬-র ৬দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যূত্থান এবং ৭১-এর মহানমুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাঙালির অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মুজিব যখন এই যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাকে পুর্ণগঠনে হাত দিলেন, ঠিক তখনই পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে আবার পিছিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়ার ছোট্ট খোকা গোপালগঞ্জের শেখ মুজিব, বাংলার বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে আজ বিশ্বনেতা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। এ শুধু বঙ্গবন্ধু’র আত্ম বিশ্বাস, দেশপ্রেম, সততা আর সৎ সাহসের কারনেই সম্ভব হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু নিজে স্বপ্ন দেখেছেন, পরবর্তীতে তিনি বাঙালিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু’র লালিত স্বপ্ন তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাঙালি বাস্তবায়ন করছেন। বঙ্গবন্ধু’র আত্মত্যাগের করনে বাংলাদেশ মাত্র নয় মাসে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলো। তিনি দলের নেতাকর্মীসহ খুলনা বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আসুন দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার, এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, কাজী এনায়েত হোসেন, বিএমএ সালাম, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, এ্যাড. রজব আলী সরদার,নুর ইসলাম বন্দ, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, কামরুজ্জামান জামাল, মো. আশরাফুল ইসলাম, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, এ্যাড. নবকুমার চক্রবর্তী, শ্যামল সিংহ রায়, মকবুল হোসেন মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, শেখ ফজলুল হক, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, ফেরদৌস আলম চান ফারাজী, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, অধ্যা. আলমগীর কবীর, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, অধ্যা. মিজানুর রহমান, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, শেখ শহিদুল ইসলাম, শেখ মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর মো. মোশাররফ হোসেন, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, আব্দুল্লাহ হারুন রুমি, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ সৈয়দ আলী, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, মনিরুল ইসলাম বাশার, শহীদুল ইসলাম বন্দ, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, মাকসুদ আলম খাজা, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, তরিকুল ইসলাম খান, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, কাজী জাহিদুল ইসলাম, আলী আকবর শেখ, অসিত বরণ বিশ্বাস, হাজী নুরুজ্জামান, মানিকুজ্জামান অশোক, শেখ পীর আলী, রনজিত কুমার ঘোষ, সফিকুর রহমান পলাশ, শেখ মো. আবু হানিফ, এ্যাড. কে এম ইকবাল, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, পারভেজ হাওলাদার, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মো. ইমরান হোসেন, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাজী কামাল হোসেন, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবুসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে খুলনা বেতারে বঙ্গবন্ধু’র ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে কেককাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী প্রত্যেক ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার এবং মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মন্দির, গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা ও রাত ৮টায় কেন্দ্রিয় কর্মসূচির সাথে একযোগে আতশবাজি ফোটানো হয়।