স্টাফ রিপোর্টার
সন্তান পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে (ক্রস ফায়ারে) নিহতের প্রায় ২বছর ৮মাস পর আদালতে ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে নালিশী পিটিশন করলেন মা। নালিশী ওই পিটিশনে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন ও সদর থানার সাবেক ওসি এম এম মিজানুর রহমানসহ ১৬জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (লবণচরা) অঞ্চলে নালিশী পিটিশনটি দায়ের করেন রেক্সোনা বেগম। তিনি লবণচরা থানাধিন চাঁনমারী এলাকার জাহাঙ্গীর তালুকদারের স্ত্রী। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম বাদীর নালিশী পিটিশনটি তদন্তের জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৩০মার্চ পুলিশ রিপোর্ট প্রাপ্তীর জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন। বাদির ছেলে রাজু হোসেন ওরফে বাবু ২০১৭ সালে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
নালিশী ওই পিটিশনে অন্যান্য আসামিরা হলেন, এসআই দেবাশীষ, এসআই টিপু, এএসআই আনোয়ার, এএসআই মোশরফ, এএসআই আলমগীর, রবি (৪০), সাজু (৩৩), মো. শামছু ব্যাপারী (৩০), মানিক (৩৮), নান্নু (৪৫), ইমরুল (৪০), কচি (৪৫), কালা বাবু (৪২) ও রাসেল।
বাদির নালিশী পিটিশনে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৬জুলাই খুলনা থানা পুলিশের একটি টিম দু’টি মাইক্রোবাসে বাদীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে তার ছেলে বাবুকে চাকরি দেয়ার নামে ঝালকাঠি থেকে অপহরণ করে নিয়ে আসে। পরের দিন ১৭জুলাই সকালে তার গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে সণাক্ত করেন বাদী। বাদীর ছেলের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের যোগসাজস রয়েছে বলে তিনি পিটিশনে দাবি করেন।
এবিষয়ে খুলনা থানার সাবেক ওসি এমএম মিজানুর রহমান বলেন, বিজ্ঞ আদালতে নালিশী এ পিটিশন দাখিলকারী বাদিনীর ছেলে রাজু হোসেন ওরফে বাবু ২টি হত্যা মামলাসহ ছিনতাই-চাঁদাবাজির অভিযোগের একাধিক মামলার আসামি। জোড়াগেট এলাকায় সাইদুল হত্যাকান্ডের পর আত্মগোপনে থাকা এ আসামিকে গ্রেফতারের অভিযানে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সে মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিলো।
এবিষয়ে কেসিসি’র ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে অনেক সময় খারাপ মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হয়। একারনে অনেকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করেন।