শাহজাহান সিরাজ, কয়রা
কয়রায় শুষ্ক মৌসুমে পতিত জমিতে কাংখিত মানের ফলন ফলানোর লক্ষ্যে অষ্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ কৃষি বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে বিভিন্ন ফসলের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেছেন। দেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা শুষ্ক মৌসুমে লবণাক্ততার কারনে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি পতিত থাকে। যে কারনে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এসব কৃষি জমিতে বিভিন্ন ফসল ফলানোর জন্য খুলনার কয়রায় একাধিক ফসলের মাঠ পরিক্ষামূলকভাবে তৈরি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ এমএল টি সাইট কয়রা। বুধবার এসব গবেষণা মাঠ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন অষ্ট্রেলিয়ার রিসার্স প্রোগ্রাম ম্যানেজার সিএসআইআরও ড. এরিক হার্টনার, পরিচালক ডাল গবেষণা কেন্দ্র মোঃ রইচ উদ্দীন চৌধুরী, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ সিএসও ড. আক্কাজ আলী, চেয়ারম্যান এএরএস ড. আব্দুল হামিদ, সিএসও বারি ড. ইউছুপ আকন্দ, পিএসও বারি ড. ওমর আলী, পিএসও বারি খুলনা ড. হারুনর রশিদ, এসএসও ড. ফারুক হোসেন, এসএসও ড. মোশররফ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ড. মোঃ তাজউদ্দীন। জানা গেছে এসব গবেষণামূলক ফসলের মাঠের মধ্যে কয়রা উপজেলার বেদকাশি, মহারাজপুর ও আমাদীতে মুগ ডালের মাঠ, ৩নং কয়রা গ্রামের একাধিক কৃষকের গম, বিটি বেগুন, টমেটো, রসুন, তরমুজ ও ঢেড়স ক্ষেত পরিদর্শন কালে দেশী ও বিদেশী কৃষি বিজ্ঞানীরা দেশের উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত জমিতে এ ধরনের ফসল উৎপাদন সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সরেজমিনে উক্ত বিজ্ঞানীরা কৃষকের সাথে সরাসরি কথা বলেন এবং এসময় একাধিক কৃষক গবেষণা মূলক ফসলের উৎপাদন দেখে উৎসাহিত হয়েছেন এবং স্বতস্ফুতভার্বে ফসল করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সরেজমিন গবেষণা বিভাগের খুলনা প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুনর রশিদের নিকট থেকে স্থানীয় কৃষকরা বিনা চাষে আলু রোপনে উৎসাহিত হয়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। ফলে এলাকার কৃষকদের মধ্যে বারি উৎভাবিত টমেটো, বিটি বেগুন, ঢেড়স,বাদাম, তরমুজ, ব্রোকলি, আলু ও মুগডাল চাষের আগ্রহ বেড়েছে। বুধবার দেশী বিদেশী কৃষি বিজ্ঞানীদের খুলনার কয়রায় গবেষণামূলক ফসলের মাঠ পরিদর্শনকালে উপজেলা কৃষি অফিসার মিজান মাহমুদ, কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এইচএম হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ এমএল টি সাইট কয়রার বৈজ্ঞানিক সহকারি মোঃ জাহিদ হাসান, সাংবাদিক ও স্থানীয় কৃষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।