স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর ২/১বাবু খান রোডের জনৈক কাজী মঞ্জুরুল ইসলামের বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২৯লাখ ২৫হাজার ৫শ’ টাকার মালামাল চুরি মামলার আসামি সাদিয়া আক্তার মুক্তা (৩২) কে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আবু সাঈদ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০দিনের রিমা-ের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলাম কাল বৃহস্পতিবার রিমা- শুনানির দিন ধার্য করে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেছেন। সাদিয়া আক্তার মুক্তা হরিণটানা থানাধিন রাসেল সড়কের শেখ শুকুর আলির স্ত্রী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, প্রচালিত ও অপ্রচালিত সম্ভাব্য সকল মাধ্যম ও কৌশল এবং প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বর্ণালংকার চুরির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে সণাক্ত করা হয়। সোমবার সকাল ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত চক্রের মুলহোতা মুক্তাকে আটকের পর তার বাসা থেকে নগদ ২লাখ ৮২হাজার টাকা ও ১৪২.২৮গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। মুক্তার বিরুদ্ধে ঢাকার খিলগাঁও ও খুলনার হরিণটানা থানায় চুরির মামলা রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৪জানুয়ারি বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর ২/১বাবু খান রোডের কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম স্বপরিবারে বয়রার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তার বাড়ির ভাড়াটিয়া মাহাবুবুর রহমান তাকে ফোনে জানান তার বাসার কাজের মহিলা এসে বলছে তার বাসার দরজা খোলা ও ঘরের মধ্যে মামলামাল এলামেলো ভাবে পড়ে আছে। সংবাদ পেয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম বাসায় এসে দেখেন তার বাসার দরজার হ্যাজবোল্ড ভেঙ্গে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ঘরে ডুকে ৫০ভরি স্বর্ণালংকার, হিরের আংটি, মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে ৪২ হাজার টাকাসহ ২৯লাখ ২৫হাজার ৫শ’ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। এঘটনায় কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন যার নং- ৩৫।