প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রীংলার বৈঠক, মোদির সফর নিয়ে আলোচনা

3
Spread the love

ঢাকা অফিস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন। সোমবার বিকেলে গণভবনে বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় এবং উপ-আঞ্চলিক সংযোগ (কানেকটিভিটি) সম্পর্কিত বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে এ সময় আলোকপাত করেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের সতর্কতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালের ব্যবস্থা রেখেছে। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয় তখন তাকে চিকিৎসার জন্য ঐ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে বলেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক সূচকগুলোর উন্নয়ন বিশেষকরে শিশু মৃত্যু হার হ্রাস থেকে নারী শিক্ষা এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে সাক্ষরতায় চমকপ্রদ সাফল্যের ভূয়শী প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহম্মদ ইমরান এবং বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।।

  • মুজিববর্ষে ‘অহেতুক’ কর্মসূচি না দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

ঢাকা অফিস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘অহেতুক’ বড় বড় বাজেট দিয়ে নতুন কর্মসূচি পালন না করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজেদের বাজেট থেকে মানুষের কাল্যাণ এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে এমন কর্মসূচি ঘোষণা করতেও তিনি বলেছেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, আমরা প্রিসাইসলি বলে দিয়েছি যে, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তার একটা নোটেবল প্রোগ্রামকে মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম হিসেবে ঘোষণা করবে, তার নরমাল বাজেট থেকে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যদি একসেপশনাল কোনো কাজ থাকে তার জন্য এক্সট্রা টাকা চিন্তা করা যেতে পারে। কিন্তু বড় বড় বাজেট দিয়ে নতুন কাজ করার দরকার নেই। কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সমন্বয় করে প্রোগ্রাম নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, অর্থ বিভাগ মুজিববর্ষ ঘোষণার সাথে সাথে প্রোগ্রাম নিল ডিসেম্বরের মধ্যে ছয় লাখ পেনশনারের বাড়িতে বসে পেনশন দিয়ে দেবে। এই প্রোগ্রামটা তারা মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম হিসেবে ঘোষণা করেছে।।