খুলনাঞ্চল ডেস্ক
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিধান (সিএএ) ও এনআরসি প্রণয়ন নিয়ে বিক্ষোভ ও সহিংস সংঘাতে তোলপাড় সারা ভারত। আর এর মাঝেই জানা গেল চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। বৈধ নাগরিকত্বের নথি ছাড়া কাউকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গ্রাহ্য না করার সংশোধিত বিধান প্রতিষ্ঠাকারী খোদ বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরই বৈধ ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনোও প্রামাণ্য নথি নেই!
চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি তথ্য অধিকার আইনের অধীনে বিজেপি দলীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চেয়ে এক ব্যক্তির দায়েরকৃত রিটের জবাবে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)। আনন্দবাজার
সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে ভারতব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও এ প্রসঙ্গে মোদী সরকারের অটল অবস্থান অব্যাহত থাকে। এরই জেরে দেশটির কেরেলা রাজ্যের ত্রিসূর জেলার বাসিন্দা শুভঙ্কর সরকার ওরফে কাল্লুভাটি নামে এক ব্যক্তি আরটিআই অধ্যাদেশ অনুসারে এই রিট দায়ের করেছিলেন। যার উত্তর জনসম্মুখে জানানোর দাবি করা হয়।
পরবর্তীতে এই রিটের জবাবে রোববার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর সচিব প্রবীন কুমার জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় নাগরিকত্বের কোন প্রামাণ্য নথি নেই। তবে এই আইনের ৩ ধারা অনুসারে তিনি জন্মসূত্রেই বৈধ ভারতীয় নাগরিক। ইন্ডিয়া টাইমস
গত ১৩ জানুয়ারি কেরেলার চালাকুডি পৌরসভার তথ্য সংক্রান্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে আনূষ্ঠানিকভাবে প্রথম এই রিট দায়েরের দাবি জানান শুভওঙ্কর। তারপর প্রধানমন্ত্রীর নাগরিকত্বের কাগজ দেখতে চেয়ে তথ্য জানার আইনের অধীনে আবেদন জমা করেন সেখানকার সংশ্লিষ্ট বিভাগে।
ভারতের আসাম রাজ্যে এরইমধ্যে সংশোধিত নাগরিক এই বিধান প্রণয়নের ফলে বৈধ নথি না থাকায় বহু স্থায়ী নাগরিককে ঠাঁই নিতে হয়েছে ডিটেনধন কেন্দ্রে।
সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশের ভারতের বিভিন্ন শহরে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। অনেকের প্রশ্ন এখন কি তবে মোদী নিজেও এনআরসি’র খপ্পরে পড়তে যাচ্ছেন নাকি বাকিরাও ধারা ৩ অনুসারের নিজেদের জন্মসূত্রে নাগরিক দাবি করে সংকট থেকে উদ্ধার পাবেন।
সন্ধোধিত নাগরিক আইন অনুস্বারে ২০১১ ও ২০১৫ সালের ভারতীয় নাগরিক পঞ্জির প্রক্রিয়া শেষে দেয়া পরিচয়পত্র কারো কাছে না থাকলে সেই ব্যক্তি অবৈধ নাগরিক বলে গণ্য হবেন। অথচ দেশটির অধিকাংশ মানূষের হাতেই নেই এই পরিচয়পত্র।