অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না সালমারা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেকোনো বিচারেই ১৯০ রান তাড়া করা অনেক কঠিন কাজ। আর সেটা যদি হয় মেয়েদের ক্রিকেটে এবং প্রতিপ যদি হয় অস্ট্রেলিয়া, তাহলে ম্যাচের ফলাফল অনুমান করাই যায়। হয়েছেও সেটাই। অজি নারী ক্রিকেট দলের কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় পরাজয় হজম করলেন সালমা-জাহানারারা।
ক্যানবেরার মানুকা ওভালে গতকাল বৃহস্পতিবার মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘এ’তে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮৬ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ১৮৯ রানের সংগ্রহ গড়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করতে সম হয় টাইগ্রেসরা। ল্য তাড়ায় বাংলাদেশ কোনো ব্যাটারকেই আগ্রাসী হতে দেখা যায়নি। রান তোলার েেত্র বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান আসলে অজি বোলার মেগান স্কাট আর জেস জোনাসেন। দুজনের দাপুটে বোলিং আর ফিল্ডারদের অসাধারণ ফিল্ডিং মিলিয়ে রান তুলতে রীতিমত হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সবমিলিয়ে ১১টি চারের মার থাকলেও নেই কোনো ছক্কা। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দল চতুর্থ উইকেট হারানোর আগে করে ৭৬ রান। এর মধ্যে নিগার সুলতানার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। কিন্তু এই রান তুলতেই ৩২ বল খেলে ফেলেন তিনি। ৩৬ রান করা ফারজানা খেললেন ৩৫ বল। এছাড়া দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছেন শুধু শামিমা (১৩) ও রুমানা (১৩)। শেষ তিন ব্যাটসম্যান কোনো রানই করতে পারেননি। বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার মেগান ৪ ওভারে ২১ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২ উইকেট নিতে ৪ ওভারে ১৭ ওভার খরচ করেছেন জোনাসেন। আর ১টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড ও নিকোলা ক্যারি।
এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি আর বেথ মুনি ঝড়ো শুরু এনে দেন। দুজনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেটেই ১৫১ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ১৭তম ওভারের শেষ বলে সালমা খাতুনের বলে সানজিদা ইসলামের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে হিলির ব্যাট থেকে আসে ৫৩ বলে ৮৩ রান। এই ইনিংসটি ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো। ওপেনারের বিদায়েও অজিদের রানের চাকায় বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়নি সালমাদের প।ে উল্টো বাজে ফিল্ডিং প্রদর্শনী প্রতিপরে জন্য আশীর্বাদের কারণ হয়। আর তা থেকে ফায়দা তুলে নিয়ে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন মুনি আর গার্ডনার। এর মধ্যে মাত্র ৯ বলেই ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান করেন তিন নম্বরে নামা গার্ডনার আর ৫৮ বলে ৯ চার ৮১ রান করেন মুনি। বল হাতে অজিদের একমাত্র উইকেটটি তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার হিলি।
সিরিজ জয়ের উৎসব করলেন স্মিথ-ওয়ার্নার
ক্রীড়া প্রতিবেদক
দুই বছর আগে কেপটাউনের যে মাঠে বল টেম্পারিং করে নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল, সেই একই মাঠে এবার স্বাগতিক দর্শকদের সামনে প্রোটিয়া বোলারদের কচুকাটা করলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিফেন স্মিথ। বুধবার এই দুজনের ব্যাটে ভর করেই দণি আফ্রিকাকে ৯৭ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। দলের বিশাল সংগ্রহে ব্যাট হাতে ৩৭ বলে ৫৭ রান করেছেন ওয়ার্নার। জবাব দিতে নেমে এর ধারেকাছেও যেতে পারেনি দণি আফ্রিকা। জবাব দিতে নামা দণি আফ্রিকার অধিনায়ক কুইন্টন ডিক কককে প্রথম ওভারেই মাত্র ৫ রানে বিদায় করে শুরুটা করেন অজি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক। এরপর তৃতীয় ওভারে সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকেও (৫) দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেন এই বাঁহাতি গতি দানব। প্রোটিয়াদের শেষ উইকেট (কাগিসো রাবাদা) তুলে নেন স্টার্ক আর তাতেই ১৫.৩ ওভারে ৯৬ রানে শেষ স্বাগতিকদের ইনিংস। এর মাঝে স্পিনার অ্যাশটন আগার (১৬ রানে ৩ উইকেট) ও অ্যাডাম জাম্পা (১০ ওভারে ২ উইকেট) দণি আফ্রিকার ব্যটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিতে রাখেন বড় ভূমিকা। এর আগে ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ ওপেনিং জুটিতেই তুলে ফেলেন ১২০ রান। এর মধ্যে অজি অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৫৫ রান।
দণি আফ্রিকার জন্য সময়টা আসলেই খারাপ যাচ্ছে। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের কাছে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারার পর ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছে দলটি। এখন অজিদের বিপে ওয়ানডে সিরিজকেই পাখির চোখ করতে হবে মার্ক বাউচারের শিষ্যদের। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ জয় অজিদের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর েেত্র দারুণ ভূমিকা রাখবে সন্দেহ নেই। তাছাড়া অক্টোবর এবং নভেম্বরে বিশ্বকাপের আসর বসবে অজিদের ঘরেই। তবে এই জয়টা বল টেম্পারিংয়ের স্মৃতি হয়ত পুরোপুরি মুছে দিতে পারবে না, তবে ওয়ার্নার ও স্মিথের জন্য কিছুটা স্বস্তি অন্তত দিতে পারবে। অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের শেষদিকে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন স্মিথ। শেষ ওভারে ২ ছক্কা মেরেছেন তিনি আর ওই ওভারে এসেছে ২০ রান।
চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনালে খুলনার মেয়েরা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ছেলে-মেয়ে দুই বিভাগের সেমিফাইনালে উঠে চমক দেখিয়েছিল খুলনা বিভাগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (বালক অনূর্ধ্ব-১৭) এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব (বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭) টুর্নামেন্টের দুই বিভাগেরই ফাইনালে খেলার প্রত্যাশা ছিল তাদের; কিন্তু হতাশ করেছে ছেলেরা। তারা পারেনি সেমিফাইনালের বাধা অতিক্রম করতে।
ছেলেরা না পারলেও মেয়েরা পেরেছে। সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম বিভাগকে ৪-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে খুলনার মেয়েরা। ছেলেদের বিভাগে খুলনা হেরে গেছে বরিশালের কাছে। মেয়েদের অন্য সেমিফাইনালে ঢাকা বিভাগ ১-০ গোলে হারিয়েছে রংপুর বিভাগকে। ছেলেদের প্রথম সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম বিভাগ টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ময়মনসিংহকে। কাল শনিবার দুই বিভাগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ছেলেদের ফাইনালে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম বিভাগ ও বরিশাল বিভাগ এবং মেয়েদের ফাইনালে মুখোমুখি হবে খুলনা ও ঢাকা বিভাগ।
জাতীয় স্কুল হকিতে রংপুরের শিশু নিকেতনের জয়
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক জাতীয় স্কুল হকি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের দ্বিতীয় দিনে জিতেছে রংপুরের শিশু নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে রংপুরের দলটি ১-০ গোলে হারিয়েছে কক্সবাজারের বায়তুস শরফ জব্বারিয়া একাডেমিকে। বিজয়ী দলের আল সারি হক ৫৯ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন।
ফরিদপুরের পুলিশ লাইন্স স্কুল ও চুয়াডাঙ্গার এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যেকার দিনের অন্য ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে। ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স স্কুলের গোল করেছেন মোস্তাদির হাসান, মোহাম্মদ রোহান ও কাজী জাবিদ। চুয়াডাঙ্গার এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুটি গোল করেছেন রফেজ হোসেন এবং একটি গোল করেছেন আরিফুল ইসলাম। আজ শুক্রবার দুপুর ২টায় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ময়মনসিংহের পুলিশ লাইন্স হাই স্কুল ও কক্সবাজারের বায়তুস শরফ জব্বারিয়া একাডেমি এবং বিকেল ৪ টায় কুমিল্লার রফিকউদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় খেলবে চুয়াডাঙ্গার এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।
সবার আগে সেমিফাইনালে ভারত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বর্তমান এবং চারবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা ভারত গতকাল বৃজস্পতিবার পেয়েছে টানা তৃতীয় জয়। আর নিউজিল্যান্ডের বিপে এই জয়ই প্রথম দল হিসেবে ২০২০ টি-টোয়েন্টি মেয়েদের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তুলে দিলো তাদের। মেলবোর্নের জংশন ওভালে ভারতের কাছে নিউজিল্যান্ডের মেয়েরা হেরেছে মাত্র ৩ রানে। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতের নারী দল ৮ উইকেটে করে ১৩৩ রান। কিন্তু ছোট এই ল্যটাকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কিউই মেয়েদের কাছে কঠিন করে তোলেন ভারতের বোলাররা। ৬ উইকেটে ১৩০ পর্যন্ত যেতে পারে সোফি ডেভাইনের দল। তবে হারের আগে ভারতের স্নায়ুর পরীা নিয়েছেন অ্যামেলিয়া কার। অল্পের জন্য জয়ের গ-িটা পেরোতে পারেননি, ১৯ বলে ৩৪ করে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। এর আগে তিনিই ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সফলতম বোলার, ২১ রানে ২ উইকেট নেন লেগ স্পিনে।
কারের দুই শিকারের অন্যতম শেফালি ভার্মা, ৩৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করে যিনি ভারতকে দেন লড়াই করার পুঁজি। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো এই ইনিংসটিই শেফালিকে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। টুর্নামেন্টটি দারুণ কাটছে ১৬ বছর বয়সী কিশোরী ওপেনারের। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপে ২৯, পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপে ৩৯ করার পর আজ করলেন ৪৬ রান।
আবার হায়দরাবাদের অধিনায়ক ওয়ার্নার
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হওয়ায় ২০১৮ সালের আইপিএল খেলা হয়নি ডেভিড ওয়ার্নারের। স্বাভাবিকভাবেই সানরাইজার্স হায়দারবাদের নেতৃত্ব হারাতে হয় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারকে। গত মৌসুমে আইপিএলে ফিরলেও খেলতে হয়েছে তাকে কেন উইলিয়ামসনের অধীনে। এবারের আসরে আবার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অধিনায়কত্ব ফিরে পেলেন তিনি। ২৯ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে ওয়ার্নারের নাম ঘোষণা করেছে হায়দরাবাদ।
২০১৮ ও ২০১৯ সালে দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন উইলিয়ামসন। তার অধীনে ২০১৮ সালে ফাইনালে উঠলেও হারতে হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। দুর্দান্ত নেতৃত্বের সঙ্গে কিউই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ঝরেছিল রানের বৃষ্টি, ওই আসরে উইলিয়ামসন করেন ৭৩৫ রান। গত বছর অবশ্য চোটের কারণে বেশ কয়েকটি ম্যাচে বাইরে থাকতে হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে হায়দরাবাদকে এগিয়ে নেন ভুবনেশ্বর কুমার। ২০১৯ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে এলিমিনেটর হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের। এবার নেতৃত্ব বদল হলো। দায়িত্ব আবারও তুলে দেওয়া হয়েছে ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করা ওয়ার্নারের কাঁধে। এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের নেতৃত্বেই ২০১৬ সালে একমাত্র শিরোপা জিতেছে হায়দরাবাদ।
১৫ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন হিলি-মুনি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
কী দুর্দান্ত ব্যাটিংটাই না করলেন অস্ট্রেলিয়ার আলিসা হিলি ও বেথ মুনি। ১৭ ওভার অবিচ্ছিন্ন থেকে তারা দুজন তুলেছেন রেকর্ড ১৫১ রান। যা অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেট ইতিহাসে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এর আগে ২০০৫ সালে কেইট ব্লাকওয়েল ও কারেন রোলটন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গড়েছিলেন ১৪৭* রানের জুটি। তাদের সেই রেকর্ড ভেঙে আজ হিলি-মুনি তুলেছেন ১৫১ রান। প্রথম উইকেট জুটিতে এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান ছিল ১২১। ২০১৫ সালে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপে এই জুটি গড়েছিলেন এলিসা পেরি ও এলিসে ভিলানি। তাদের সেই রেকর্ড রানের জুটি ভেঙে আজ হিলি-মুনি তুলেছেন ১৫১ রান। এই রান কেবল যেকোনো উইকেটেরই সর্বোচ্চ নয়, নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসেও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রানের জুটি।
জুভেন্টাসকে হারালো লিঁও
ক্রীড়া প্রতিবেদক
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয় পেয়েছে অলিম্পিক লিঁও। শেষ ষোল পর্বের প্রথম পর্বে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসকে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়েছে ফারাসি কাবটি। জুভেন্টাসে বিপে লিঁও’র এটি প্রথম জয়। এর আগে চারবার মুখোমুখি হয়েও জুভেন্টাসকে হারাতে পারেনি লিঁও।
বুধবার দিনগত রাতে গ্রোউপামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে আধিপত্য দেখায় জুভেন্টাস। ম্যাচের চার মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ পায় তারা। রোনালদোর বাড়ানোর ক্রস পা স্পর্শ করতে পারেনি কুয়াদরাদো। তবে ঠিকই গোলে ঠিকানা খুঁজে পায় লিঁও। ম্যাচের ৩১ মিনিটে হোউসেম আউয়ার বাড়ানো ক্রস পায়ের ছোঁয়ায় বল জালে পাঠান লুকাস তুজা। পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে রোনালদো-দিবালারা। তবে প্রথমার্ধে ব্যর্থ হন। বিরতির পর আক্রমণের ধারা অব্যহত রাখে ইতালির চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে সমতা ফেরার দারুণ একটি সুযোগ পায় জুভেন্টাস। আলেক্স সান্দ্রোর কাছ থেকে পাওয়া বল শট করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড দিবালা। অল্পের জন্য ল্যভ্রষ্ট তা। এরপর ৮৭তম মিনিটে গোলের দেখা পেয়েছিলেন দিবালা। তবে অফ সাইডের কারণে তা বাতিল করা হয়। ম্যাচের বাকিটা সময় আর সমতায় ফিরতে পারেনি জুভেস্টাস। ফলে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। আগামী ১৭ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি পর্বে জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে জুভেস্টাসের মুখোমুখি হবে লিঁও।
ম্যানসিটি হারালো রিয়ালকে
ক্রীড়া প্রতিবেদক
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপে প্রথমবারের মতো জয়ের দেখা পেয়েছে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি। এর আগে চারবার মুখোমুখি দেখায় একবারও রিয়ালকে হারাতে পারেনি ইংলিশ কাবটি। এবার পিছিয়ে পড়েও রিয়ালের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল পর্বের প্রথম পর্বে রিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা।
বুধবার দিনগত রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে সমান আধিপত্য ছিল দুই দলেরই। ম্যাচের ২১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ম্যানসিটি। গ্যাব্রিয়েল জেসুসের নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন রিয়াল গোলরক থিবো কর্তোয়া। ম্যাচের ৩০ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলো রিয়ালও। ফারল্যান্ড মেনডির ক্রস থেকে করিম বেনজিমার হেড ফিরিয়ে দেন সিটিজেন গোলরক এডারসন। তবে ফিরতি বল অবশ্য শট দিতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ফলে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। বিরতির পর ৫৬ মিনিটে জেসুসের ক্রস থেকে পাওয়া বল গোলরককে প্রায় একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন রিয়াদ মাহরেজ। তার নেওয়া শট ডান দিকে ঝাপিয়ে পড়ে রা করেন কর্তোয়া। অবশেষে গোলে দেখা পায় রিয়াল। ম্যাচের ৬০ মিনিটে দুই সিটিজেন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে ভিনিসিউস জুনিয়রের পাস থেকে পেনাল্টি বক্সের মাঝামাঝি জায়গায় ফাঁকায় থাকা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইসকো সুযোগ পেয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে সমতায় ফিরে সিটিজেনরা। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে বাম পাশ দিয়ে ডে ব্রুয়েনা ক্রস বাড়িয়ে দেন জেসুসের দিকে। তবে জেসুসকে পাহারায় রাখা ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস ক্রসটির নাগাল পাননি। ফলে হেড দিয়ে গোল করে দলকে সমতায় আনেন জেসুস।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। পেনাল্টি ডি বক্সের ভেতরে রাহিম স্টার্লিংকে ফাউল করে বসেন রিয়াল ডিফেন্ডার কারভাহাল। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সিদ্ধান্ত বদলাননি রেফারি। স্পট কিক থেকে দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন কেভিন ডে ব্রুইনে। এরপর আরও বিপদে পড়ে রিয়াল। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া জেসুসকে পেনাল্টি বক্সের ঠিক আগে পেছন থেকে টেনে ধরেন রামোস। সরাসরি লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। ফলে দ্বিতীয় পর্বে খেলতে পারবে না রামোস। এটি তার ক্যারিয়ারের ২৬তম লাল কার্ড। আগামী ১৭ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি পর্বে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ।