এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান, সিন্দুকভর্তি টাকা-স্বর্ণালংকার উদ্ধার

38
Spread the love


ঢাকা অফিস

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার আরেক বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব-৩। সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর নারিন্দার লাল মোহন সাহা স্ট্রিটের ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সিন্দুক থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও ক্যাসিনো সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার একাধিক বাড়ির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই বাড়ির সন্ধান পায় র‍্যাব। পুরান ঢাকার নারিন্দার লাল মোহন সাহা স্ট্রিটের ছয়তলা এই বাড়ির নিচতলার বাসায় কেউ থাকতো না। বেশ সুরক্ষিত অবস্থায় সবকিছু রাখা ছিল এখানে।

ভিডিও: https://youtu.be/lFA4DQ-4VxI

অভিযানের বিষয়ে আরও জানা যায়, এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার এই বাড়ি থেকে টাকা ভর্তি পাঁচটি সিন্ধুক, পাঁচ কোটি টাকার এফডিআর বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সিল লাগানো বেশ কিছু ক্যাসিনো সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। সিন্দুকে পাওয়া নগদ টাকার হিসেবে পেতে টাকা গোনার মেশিন আনা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে সেখানে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন র‍্যাব কর্মকর্তারা।

এছাড়া আট কেজি স্বর্ণ ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সিন্দুকে পাওয়া এই টাকার উৎস ছিল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো।

This image has an empty alt attribute; its file name is 4_35.jpg

বেশ কিছুদিন পলাতক থাকার পর চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যায় একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন এনু-রুপন দুই ভাই। তাদের গ্রেফতারের পর সিআইডি জানায়, এনামুল হক এবং রুপন ভূঁইয়ার নামে ঢাকায় ২২টি বাড়ি ও জমি রয়েছে। এছাড়া তাদের ব্যবহার করা পাঁচটি গাড়ির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের নামে ৯১টি একাউন্ট রয়েছে। এসব একাউন্টে ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকা রয়েছে। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর থেকে তাদের এসব ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করে রাখা হয়েছে।

ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা, জুয়া পরিচালনা, অর্থপাচার, মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে মোট সাতটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মধ্যে অবৈধ ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা ও অর্থ-পাচারের অভিযোগে চারটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।