স্টাফ রিপোর্টার
নগরীতে বাড়ি বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে একটি আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান (২৮)কে অপহরণের পর আটকে রেখে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত খুলনা জেলা ছাত্রলীগের বহিঃস্কৃত সহ-সভাপতি জুয়েল হাসান আরমানসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার তাদেরকে ৭দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ড. আতিকুস সামাদ জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে তাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আগামি বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারন করেছেন।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন শেখপাড়া স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার জালাল সর্দারের ছেলে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের বহিঃস্কৃত সহ-সভাপতি জুয়েল হাসান আরমান (২৮), সোনাডাঙ্গা আবাসিকের ১নং ফেজের ৪নম্বর রোডের ৭২/বি বাড়ির বাসিন্দা শেখ আ. রহমানের ছেলে আহনাফ হোসেন রাজ (৩০) ও সাত্তার বিশ্বাস সড়ক (খোকন সাহেবের গলির) আ. খালেকের ছেলে মাহমুদ হাসান বাবু (৩২)।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কুমকুম নাজমুন্নাহার জানান, রবিবার সন্ধ্যায় অপহরণের পর ওই ব্যবসায়ীকে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা ১ম ফেজের একটি বাড়িতে নিয়ে মারপিট করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্যাংকের তিনটি ডেবিট কার্ড ও পিন নাম্বার ছিনিয়ে নিয়ে ব্যাংকের বুথ থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে। এছাড়া ওই ব্যবসায়ীর কথা বলে তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা নেয়। খবর পেয়ে রবিরার রাত সোয়া ৩টার দিকে নগরীর আমতলা মোড় থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি ইয়াবাসহ নগরীর জনকণ্ঠ গলিতে গ্রেফতার হয় জুয়েল হাসান আরমান। সোনাডাঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। ওই ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়।