পাইকগাছায় রাস্তা সংস্কারে বরাদ্দ ১০টন চাউল আত্মসাতের অভিযোগ!

20


স্টাফ রিপোর্টার


পাইকগাছায় কাবিখা প্রকল্পের ১০টন গম আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হওয়ায় তড়িঘড়ি করে নামে মাত্র কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে একদিকে যেমন কাজের মান নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ঠিক অন্যদিকে কাজ না করে কিভাবে গত অর্থবছরে ১০টন চাউল তুলে নিলো তা নিয়েও মোটা দাগে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। উপজেলার পারিশামারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বৈরাগী বাড়ী অভিমুখে ২৫ চেইন কাঁচারাস্তার জন্য ১০টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে। প্রকল্প কমিটি কাজ না করায় ইউনিয়ন পরিষদের অর্থ থেকে অর্ধেক রাস্তা ইটের সোলিং করা হয়েছে। চলতি মাসে উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ায় আগের বরাদ্দেই বাকি ৭/৮ চেইন রাস্তা তড়িঘড়ি করে নামেমাত্র সংস্কার করা হচ্ছে। গত অর্থবছরে বরাদ্দকৃত চাউল আত্মসাত করা হয় আর চাপের মুখে কাজটি শুরু হয়েছে গেল শনিবার।


এলাকাবাসি জানায়, উপজেলার যুবনেতা আজিজুল হাকিমের পৃষ্ঠপোষকতায় তার ভগ্নিপতি তোরাব আলী সরদারই এ অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত বলে জানাগেছে। অন্যদিকে অনিয়মে সহযোগিতা করেছেন উপজেলা পিআইও ইমরুল কায়েস। অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার পারিশামারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বৈরাগী বাড়ী অভিমুখে ২৫ চেইন কাঁচারাস্তার জন্য বর্তমান সংসদ সদস্যের বিশেষ কোটায় ১০ মে. ট. চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা প্রকল্পের সভাপতি আজিজুল হাকিমের বড় ভগ্নিপতি তোরাব আলী সরদার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এ কাজটি না করে ১০টন চাউল উত্তোলন করে কালোবাজারে টন প্রতি ২৬ হাজার টাকা বিক্রি করে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। বিষয়টি নিয়ে গত ৯ জানুয়ারী পাইকগাছা উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় বিস্তারিত আলোচনা হলে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সময় সমন্বয় সভায় উপস্থিতরা প্রশ্ন করেন কিভাবে কাজ না করে ১০টন চাউল উত্তোলন করা হলো? আর প্রকল্প কর্মকর্তা কিভাবে বিলে ভাউচার স্বাক্ষর করালেন? যুবনেতা আজিজুল হাকিম বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। আর তোরাব আলী সরদার বলেন, পানির জন্য কাজ করতে বিলম্ব হয়েছে। বর্তমানে ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। কাজ না করে কিভাবে এববছর আগে ১০টন চাউল তুলে নিলেন প্রশ্ন করলে তিনি মোবাইল কেটে দেন।


এলাকার রাহুল ঢালী বলেন, আসলে প্রকল্পের কোন কাজ হচ্ছে না। যুবনেতার চাপের মুখে রাস্তার পার্শ্ববর্তী মাছের ঘেরের মালিকররা রাস্তা সংস্কার করছেন। কথা হয় প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) ইমরুল কায়েসের সাথে তিনি বলেন, কাজ সম্পন্ন হয়েছে সরেজমিনে এসে দেখে যান। প্রকল্প সভাপতি বললেন কাজ চলছে আর আপনি বলছেন সম্পন্ন হয়েছে প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খুলনাঞ্চলকে বলেন, বৃষ্টির জন্য কাজটি সমাপ্ত করতে দেরি হয়েছে। ওরা (প্রকল্প কমিটি) আগেই বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলো।